|
ভেজাল মস্তিষ্কই বাংলাদেশের জন্য সর্বনাশ হয়ে দাঁড়াবে।
।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এটি জাতির জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি করতে ব্যর্থ হলে জাতির জীবনে ভবিষ্যতে অন্ধকার নেমে আসতে পারে। বিষাক্ত ও ভেজাল খাবার খেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জাতি গঠন করা যায় না। আর একটি জাতির মস্তিষ্ক সুষ্ঠু স্বাভাবিক না থাকলে হাজার উন্নয়নেও কোন লাভ হবে না। ভেজাল ও বিষযুক্ত খাদ্যের প্রভাব হতে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে অতি বিত্তবান কেউ রেহাই পাচ্ছে না। ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্যের প্রভাবে দেশে এক ধরনের নীরব হত্যা ও অসুস্থতার মহামারী চলছে। অথচ এদিকে নজর দেয়ার সময়ই নেই সরকারের।
.
খাদ্যের বিষক্রিয়ায় কোন পর্যায়ে গিয়ে মিশেছে তা সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (এফএও) এবং খাদ্যনিরাপত্তা গবেষণাগারে এ বছরের এপ্রিল মাসের যৌথ পরীক্ষায় রাজধানীর ৮২টি দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ, ফল ও শাক সবজির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাতে নিষিদ্ধ ডিডিটি, এনড্রিন, হেপটাক্লোর এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। খাদ্যে এসব উপাদানের মাত্রা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি। এছাড়া এ গবেষণায় ৩৫ শতাংশ ফল ও ৫০ শতাংশ শাক সবজিতে বিষাক্ত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক পাওয়া গেছে। চালের ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫টিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। মুরগি ও মাছে পাওয়া গেছে মানুষের জন্য ক্ষতিকর এ্যান্টিবায়োটিক। আম ও মাছের ৬৬টি নমুনায় পওয়া গেছে ফরমালিন। লবণে পাওয়া গেছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০-৫০ গুণ সীসা।
.
পাবলিক হেলথের গবেষণায় পরীক্ষা করা খাদ্য নমুনার মধ্যে ছিল, সরিষার তেল, সয়াবিন, পামওয়েল, দুধ, গুঁড়া দুধ, জুস, ফ্রুট সিরাপ, মধু, মিষ্টি, ক্যান্ডি, বিস্কুট চকোলেট, কেক, দই আচার, শুঁটকি মাছসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য। এর মধ্যে ঘি, জুস মধু ক্যান্ডি ও সয়াবিল তেলের ৮০-৯৯ ভাগ ভেজালের নমুনা পাওয়া গেছে। জাতীয় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচ) অধীনে পরিচালিত ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশের মানুষ প্রতিদিন যে মাছ, মাংস, দুধ, ফলমুল, চাল, ডাল, তেল মসলা ও লবণ খাচ্ছে তার শতকরা ৪০-৫৪ ভাগ পর্যন্ত ভেজাল রয়েছে। এসব খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক যেমন এনড্রিন, ডিডিটি, হেপ্টাক্লোর মেথোক্সিক্লোর, ইথিয়ন (এক ধরনের ভারী সিসা জাতীয় পদার্থ) ও আর্সেনিকের অস্তিত্ব রয়েছে।
Categories: Open Mind
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.