|
গতকাল বিকেলে বগুড়ায় বড়গোলা থেকে বাসায় ফিরছি রিক্সায়; সাথে বাল্য বন্ধু স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের শীর্ষ নেতা মিশু। এমন সময় উল্টো দিক থেকে একটা বিশাল মিছিল গর্জন করতে করতে আসছে। মিশু বলল, আজকে বি এন পির বিক্ষোভ দিবস, এটা সেই মিছিল। বগুড়ার বিএনপির মিছিল বলে কথা, হাজারের উপরে মিছিলকারী। আমি হঠাৎ শ্লৌগানের কথা শুনে চমকে উঠলাম। মিছিলের মুল শ্লৌগান “জবাই কর- জবাই কর”। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রকাশ্য রাজপথে জবাই করার শ্লৌগান দিয়ে নিজেদের মহিমা জারি করছে। এর মধ্যেই দেখলাম দুয়েক জন মিছিলের সামনে থেকেই মিশুকে দেখে সালাম দিল, মিশুও হেসে সালামের জবাব দিল। নিজেরা তো ঠিকই সৌজন্য বিনিময় করছেন, কিন্তু কর্মীদের শেখাচ্ছেন কী? এরা তো রাজনৈতিক কর্মী, জল্লাদ বা খুনি নয়। এদের মুখে এই ধরণের অসভ্য আর বর্বর শ্লৌগান তুলে দেয়ার দায় কার? আর এই বিশাল মিছিল মৃত্যুক্ষুধায় গর্জন করতে করতে একবিংশ শতকের একটি নগরের রাজপথ প্রদক্ষিণ করবে? এটা মেনে নেয়া যায়?
.
শাহবাগে ঠিক এই ধরণের শ্লৌগান দেয়া হয়েছিল, “একটা দুইটা শিবির ধরো, ধইরা ধইরা জবাই করো”। আমি শিউরে উঠেছিলাম; এটা কী? পরদিন বাকী বিল্লাহ নতুন শ্লৌগান আবিষ্কার করলো, “একটা দুইটা শিবির ধরো, ধইরা ধইরা মানুষ করো”।
.
যখন রাজশাহীতে ছাত্র ছিলাম, আমি বিএনপি, জাসদ আর মৈত্রী তিন দলকেই দেখেছি হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়াল এমন সব প্রাগৈতিহাসিক অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করতে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কোন অর্থেই রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি, হয়ে উঠেছে ইনডেমনিটি পাওয়া মাস্তান বাহিনী।
.
আপনি চিন্তা করে দেখুন, দলের ব্যানার না নিয়ে এই শ্লৌগান দিয়ে কেউ রাজপথে আসলে তাকে কি ছেড়ে দিত পুলিশ, রাষ্ট্র? না দিত না। দলের ব্যানার থাকলেই সব ধরণের ফ্যাসিস্ট আর অসভ্য ফ্যান্টাসি বৈধ হয়ে যায়। আফসোস।
Categories: __________Chapter-IV
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.