|
বিশেষ করে বাংলাদেশে যে কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা তা স্বয়ং আল্লাহর ফেরেশতারা এসে না বললে বিশ্বাষ করাটা খুবই মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সত্য ও মিথ্যাকে পৃথক করতে রাষ্ট্রীয় একটা নিরপেক্ষ মেশিনারীজ থাকে, প্রক্রিয়া থাকে, যার উপর দলমত, সাধু, ক্রিমিনাল নির্বিশেষে ভরসা করে, সেটা বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। যার ফলে বাংলাদেশের দুটো বৃহত দল যারা মুলত জনসংখ্যার সিংহভাগ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করে তারা তাদের সুবিধামত ও ইচ্ছেমত সম্পুর্ন বিপরীত মুখী ইতিহাস, তথ্য ও বটিকা জনগনকে সেবন করাতে সচেষ্ট হয়। যেমন একদল বঙ্গবন্ধুকে যখন বলছেন, জাতির জনক, আর এক দল বলছে তিনি ছিলেন দেশদ্রোহী! স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এরকম ঘটনা মনে হয় পৃথিবীর আর কোন দেশে নেই। এই রকম একটা ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত মুখী অবস্হানে থেকে দু দলই আবার বলছে যে তারা নাকি জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে গড়ে তুলতে চান। এখন পাঠক বিচার করুন, ষোল কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব কিনা? আর তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাওয়ার কি এই নমুনা?
।
সেই সাথে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর মিজানুর রহমানকেও জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ তার সাম্প্রতিক সাহসি ভুমিকার জন্য। এ মুহুর্তে সারা বিশ্বের রাজনীতিতে যে জংগীবাদের জঘন্য ট্রাম কার্ড খেলা হচ্ছে, তারই যেন কিছুটা প্রতিধ্বনি করেছেন, বলেছেন, "ন্যায় বিচার সম্পর্কে বললেই আমাকে জংগীবাদের উস্কানীদাতা বলা হয়"। জানি তিনি কোন প্রসংগে বলেছেন, তবে শুধু বলবো, শুধু জংগীবাদ নিয়ে নয়, ক্ষমতার নোংড়া স্বাদ গ্রহন করতে ব্যাস্ত ও উদগ্রীব উন্মাদেরা যখন যে খেলাটা দরকার সেটাই করে থাকে, কখনো নাস্তিক, কখনো জংগীবাদ, কখনো নকশাল, কখনো সন্ত্রাসী, কখনো কম্যুনিষ্ট, কখনো সাম্প্রদায়িকতা!
।
তাই বলে সময়ের সাহসী সন্তানেরা থেমে থাকেন না, তারা তাদের কথা বলেই যান, সত্যের উপর অবিচল দাড়িয়ে থাকেন।
Categories: __________Chapter-IV
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.