|
জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং গবেষণা
--------------------------------------
‘দেখা গেছে,- এ-ই হয়’- ইহা সত্য, ইহা জ্ঞান। ‘এখন, দেখানো যাচ্ছে,- এভাবে হয়’- ইহা অনুমান এবং ইহাই বিজ্ঞান। আগেও অনুমানের প্রমাণগুলো বাস্তবসম্মতই ছিল, প্রয়োগে-পরীক্ষায় প্রমাণিত- নতুনতর প্রমাণ-পদ্ধতি না-আসা পর্যন্ত,- আজও সেই আগের মতোই,- সকল বর্তমানে, চূড়ান্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রূপে নিত্য নতুনটাই মনোনীত।
.
প্রমাণ না-পেলে বিশ্বাস পায় না যারা, তাদের জন্যেই যত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ। বিজ্ঞান তো কখনোই ধ্রুব বা অনড় নয়, বরং ক্ষণস্থায়ী এই পরিবর্তনশীল প্রবাহে বিচক্ষণ বিজ্ঞদের সমীকরণে মেলানো ভাসমান কিছু বাস্তব গাণিতিক অনুমান।
নিত্য পরিবর্তনশীলতাকে মেনে নিয়েই সকল শাস্ত্রীয় গবেষণা চলমান।
.....................................................................
জ্ঞান এবং গণিত
--------------------------------
কোনো গণিত বিশারদের পক্ষে বিচক্ষণ হওয়া যত সহজ, জ্ঞানী হওয়া তত সহজ নয়। তা’ এজন্যেই যে, তিনি সবকিছুকেই গাণিতিক সমীকরণে মেলাতে পারেন, এবং কখনো ব্যর্থ হলে পরে যুক্তি প্রয়োগ করে সত্যকে প্রমাণ করে দেখাতে পারেন।
.
যে-সকল বিষয়কে আমরা গণিত বা যুক্তি দিয়ে মেলাতে পারি, সেগুলো সত্য, তবে কখনোই সেগুলো জ্ঞান হিসেবে গণ্য হতে পারে না।
.
জ্ঞান এবং সত্য সমার্থক নয়। জ্ঞানের সঙ্গে সত্যের তফাৎ এতটুকুই যে, জ্ঞানকে গণিত দিয়ে মেলানো সম্ভব নয়, যেভাবে সম্ভব সত্যকে প্রমাণ করে দেখানো।
.
জ্ঞানকে কেউ গণিত বা যুক্তির মাধ্যমে মেলানোর চেষ্টাতে, বেশ কিছুদূর পর্যন্ত মিলে মিলে যাচ্ছে দেখে অতি আগ্রহে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যখন তিনি দেখবেন যে, মিলের চে’ বরং গরমিলটাই বাড়তে বাড়তে তেনার গণিতের সীমানা ছেড়ে অসীমের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যেখানে কোনো গণিতকে বা যেকোনো যুক্তিকে অকেজো মনে করছেন তিনি, তখন ব্যর্থতা নিয়ে আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সেই অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বিচক্ষণ ব্যক্তিটি যথার্থেই একজন জ্ঞানী, আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয় হিসেবেই তিনি মর্যাদা পেয়ে থাকেন।
.
এ জগতের যত গণিতের সূত্র কিম্বা উপপাদ্য, সবই আমরা পেয়ে এসেছি সাধক জ্ঞানীদের লক্ষ্যের সত্যেকে মেলানোর চেষ্টার ব্যর্থতাগুলো থেকে।
Categories: ___Part-2
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.