|
মুক্তিযোদ্ধা সনদ এবং কোঠা বাণিজ্যের প্রামাণ্যচিত্র –
৯৪% জনগণ সেই সার্টিফিকেট পাবার বৈধ অধিকারী।
-----------------------------------------------------------------------------------------
আজ যাদের বয়স ৫০ বছরের কম, তারা গেরিলা যুদ্ধকে সম্মুখ যুদ্ধ ভেবে ভুল করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্বন্ধে কিছু জানতে চাইলে, দু’দলের দু’ধরণের কিম্বা কোনো সনদ ক্রেতা-বিক্রেতার সন্তানের রচিত পক্ষপাতসমৃদ্ধ ইতিহাসের বইয়ের উপর নির্ভর না-করে, বরং ৫৩বছরের উর্ধে বয়স যাদের এবং যারা সক্রিয়ভাবে কোনো দলের অন্ধ ভক্ত নয়, তাদের মুখ থেকে জেনে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আবারও স্মরণীয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কখনোই কোনো পানিপথ, আকাশপথ কিম্বা রণক্ষেত্রের যুদ্ধ ছিল না। সুদীর্ঘ নয় মাসের ঐ যুদ্ধে, ঝোপঝাড়ে আত্মগোপন করে থেকে, যেকোনোখানে হানাদারদেরকে ব্যারাকের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে বিপাকে পাওয়ামাত্র আক্রমণ করাটাই ছিল মূল কৌশল। আর এতে জনগণের আন্তরিক এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল জন্যেই সুসংগঠিত একটা সামরিক বাহিনীকে নাকানি-চুবানি খাওয়ানো সম্ভব হয়েছিল।
.
এদেশকে হানাদারমুক্ত করার জন্য ৯৪% জনগণ প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। যার বেশির ভাগটাই ছিল নিরস্ত্র, এবং তাদেরকেই বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়েছিল দেশের ভিতরে অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্রে। এই নিরস্ত্ররাই অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সার্বিক শক্তির যোগান দিয়েছিল, তাই সাভারের অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধাটিও সান্তাহারে সঠিকভাবে হানাদারকে নিশানায় ফেলতে পেরেছিল।
.
যথার্থেই যদি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তাহলে ০৬% (রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিবাহিনী ইত্যাদি) বাদ দিয়ে বাকি ৯৪% জনগণ সেই সার্টিফিকেট পাবার বৈধ অধিকারী।
.
এখনে হাস্যকর এটাই যে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও এখানে বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শুনে যেতে হচ্ছে এমন কারো বর্ণনায়, যারা তখনও জন্মায়নি, কিম্বা জন্মালেও যারা ছিল ঐ যুদ্ধের সময়ে সর্ব্বোচ্চ সাড়ে তিন বছরের সদ্য কোলছাড়া শিশু।
Categories: Open Mind
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.