|
.
আরব নেতাদের মুখে কুলুপ কেন? ওরা মুসলিম নামের কলঙ্ক
গাজায় ইসরাইলি হামলা বৃহস্পতিবার ১৭ দিনে গড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছে সাড়ে সাত শয়ের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। ঘর ছেড়ে পালিয়েছে লাখো মানুষ। ধ্বংসস্তূপ, লাশের সারি, রক্তাক্ত শিশুর মর্মন্তুদ আর্তনাদ বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রতিদিন প্রকাশ হওয়া এ রকম অজস্র ছবি যখন ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় তুলছে বিশ্বজুড়ে, তখন নিশ্চুপ আরব বিশ্ব। প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর কিছু মানুষ যদিও বা ইসরাইলের ঔদ্ধত্য এ হামলার প্রতিবাদে পথে নামছে, কিন্তু এক রকম মুখে কুলুপ এঁটেই রয়েছেন এসব দেশের শাসক।
।
'বোবা-কালা' এই আরব নেতাদের আচরণে শান্তিকামী মানুষ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত, হতাশ, অসহায়। তাদের প্রশ্ন, আরব নেতাদের মুখে কুলুপ কেন? ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ১৯৪৮ সাল থেকে চলে আসা ফিলিস্তিন-ইসরাইল সঙ্কট নিয়ে আরব নেতাদের এ ভূমিকা নতুন নয়; বরং তা চিরন্তন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। বড় জোর কিছু বুলি আওড়িয়ে দায়সারার প্রথা বরাবরের মতো আজো জারি রেখেছেন আরব নেতারা। বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ মনে করেন, মিসর, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, ইরাক, সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোতে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা নিজেদের গদি রক্ষায়ই বেশি ব্যস্ত।
।
সৌদিআরবের পারিবারিক 'বাদশাহ তন্ত্র' টিকিয়ে রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাদের আপস করে চলতে হয়। ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে পশ্চিমারা মানবাধিকার ইস্যুতে রাজপরিবারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। পশ্চিমা প্রশ্রয়ে ভিন্নমতাবলম্বীরা মাথাচাড়া দিতে পারে। এতে রাজতন্ত্রের গদি টলোমলো হয়ে উঠতে পারে। এসব কারণে গাজা নিয়ে সৌদিআরবের মাথাব্যথা কম।
Categories: Religious , Part-1
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.