|
.
শেষ পর্যন্ত কথা রাখতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আবাসন খাতে বিনিয়োগ করলে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই কালোটাকা সাদা করার সুযোগটি বহাল রাখলেন ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটেও। অথচ নিজেই তিনি বারবার বলেছেন যে এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। এমনকি বাজেট পেশের পরদিন ৬ জুন সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে এই সুযোগ বাতিল হয়ে গেছে। অথচ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে গত শনিবার জাতীয় সংসদে যখন অর্থবিল-২০১৪ অনুমোদন করা হলো, তখন তাতে এই সুযোগ বহাল রেখে দিলেন কৌশলে। ভাষার মারপ্যাঁচে কৌশলে এই সুযোগ বহাল রাখার মধ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন, প্রশ্নবিদ্ধ হলো সরকারও।
.
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রকারান্তরে কর ফাঁকিকে উৎসাহিত করবে। আর এই কর ফাঁকি দেবেন তাঁরাই, যাঁরা বিপুল পরিমাণ অর্থ বৈধ-অবৈধ পথে উপার্জন করেন। নতুন বাজেটে অর্থমন্ত্রী মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন, আর ছাড় দিচ্ছেন কালোটাকার মালিকদের। অতীতে দেখা গেছে যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েও তেমন রাজস্ব আসেনি, বেশি পরিমাণ অর্থও কথিত মূলধারায় আসেনি; বরং দেশ থেকে প্রতিবছরই টাকা পাচার বাড়ছে। তাই এই ধরনের সুযোগের কোনো নৈতিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না।
Categories: Bangladeshi News and Views
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.