|
ভাষণের এম্পিথ্রী শুনতে শুনতে মগজ গিয়েছে গোবর হয়ে।
.
আপনি যখন অন্ধের মত কোনও দলকে সমর্থন দিতে থাকেন তখন আপনি মাথা খাটাতে পারবেননা। বেনিফিট অফ ডাউট তখন আপনার কাছে তীব্র হয়ে ধরা দেয়। আপনার সাথে যারই কথার মিল থাকে, তাকে অতি আপন মনে হয়- এটি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
.
তৃতীয় বিশ্বের লোকজনদের মাথা আছে, কিন্তু তাতে মগজ নেই। ভাষণের এম্পিথ্রী শুনতে শুনতে মগজ গিয়েছে গোবর হয়ে। শুনতে খারাপ লাগছে জানি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই অন্তঃসারশূন্য মাথাকে ঝুনা নারিকেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করলেও আমাদের কিছু আসবে যাবেনা।
.
দেশ এরকমই চলবে। আল্লাহ্ তায়ালা চালাবেন। এত অনিয়মের মধ্যেও আমরা যে চলছি, সেটি অবশ্যই আল্লাহ্র কুদরত। এরকম নজীর পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আর ইতিহাস বলে, আজ পর্যন্ত কোনও অত্যাচারী শাসকের মৃত্যু করুণভাবে হয়নি- এটি নজির বিহীন।
.
এখন দেশের মানুষ তাদের নিজ নিজ দলের প্রতি অন্ধ সমর্থনে ব্যাস্ত। অনেক লোক আওয়ামিলীগ সাপোর্ট করছেন এখনো। তারা কেন করছেন আমার জানা নেই। অনেকে বিএনপি কিংবা জামাত। কেউ কেউ চাচার দল। আগে দেখুন, আপনার দল আপনাকে কি দিয়েছে। দেশকে কি দিয়েছে। প্রধান দুই দলই পালাক্রমে ক্ষমতায় থেকেছে।
.
এই দুই দলের অবদান কি কি ক্ষেত্রে কতটুকু। দুষ্টের দমনে কারা বেশি নিজেদের ন্যায্য প্রমান করতে পেরেছে। কারা দেশের জন্য ক্ষতিকর। এই বিষয়গুলো নিয়ে একটু পড়ার চেষ্টা করুন। তারপর লিখুন কিংবা বলুন। নিজ দলের সমালোচনা করলে হয়ত আপনি দলছুট বক হবেন কিন্তু সময়ের কাছে আপনি নিজেকে মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
.
তবে যারা ইসলামের শত্রু, তাদের বিনাবাক্যে বর্জন করুন। ইসলামের চাইতে দেশ আমার কাছে বড় নয়। সহজ স্বীকারোক্তি। হয়ত ওয়াক্ত হিসেব করে নামাজে দাঁড়াইনা। একদিন মরতে হবে সবাইকেই। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবমাননাকারীদের মধ্য থেকে কাউকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবার আগে, এই বিষয়গুলো মাথায় রাখি। যে আল্লাহ্কে ভয় করেনা, সে আপনার আমার এতসব আন্দোলন, হুমকি ধামকিকেও পরোয়া করেনা। এটি স্বাভাবিক। নো ডাউট। মেনে নিন, নইলে মরুন।
.
বাবা বলতেন, সব বড় রকমের পরিস্থিতিতে যখন কিছুতেই কিছু হয়না তখন আল্লাহ্ তায়ালা নিজে হাল ধরেন। উনি মুক্তিদাতা। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র! উনি কাকে দিয়ে কখন কি করাতে পারেন তা কেউ জানেনা। অপেক্ষায় আছি, যেদিন আমাদের সকল লিখা ব্যার্থ হবে আর পরম করুনাময় তাঁর মমতাময় হাত আমাদের মাথায় রাখবেন, এসে হাল ধরবেন।
.
এক মহিলা প্রতিদিন তাঁর বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করেন, 'সকল প্রশংসা আল্লাহ্র'। পাশের বাড়ির নাস্তিক তাঁর স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে জবাব দেয়, আল্লাহ্ বলতে কিছু নেই।
মহিলা তাকে ইগ্নোর করেন। তিনি বলেই যান।
.
মহিলাঃ আল্লাহ্ সকল ক্ষমতার উৎস।
নাস্তিকঃ তোমার আল্লাহ্ যদি এতই ক্ষমতাবান হন তবে তিনি কি এমন এক পাথর তৈরি করতে পারবেন যা তিনি নিজেই উঠাতে পারবেন না?
মহিলা মুচকি হেসে বলেই যান, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র।
.
একদিন মহিলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকেনঃ
হে আল্লাহ্! আমার বাজারটা করে দাও। আমার ঘরে বাজার করবার মত লোক নেই। তুমি সব জানো।
.
কিছুক্ষণ পরেই সে দেখলো তাঁর বাড়ির বাইরে ব্যাগ ভর্তি সব্জি, মাছ ইত্যাদি পরে আছে। তা দেখে সে চিৎকার করে উঠলো, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র।
.
পাশের বাড়ির নাস্তিকটি বিজয়ীর হাসি হেসে বলল, আল্লাহ্ বলে কিছু নেই। আমিই ওই বাজার করে দিয়েছি।
.
মহিলা এবার বললেন,
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র। তিনি শুধু আমার বাজারই করে দেননি, শয়তানকে দিয়ে তাঁর দামও পরিশোধ করিয়েছেন।
.
বন্ধুরা আমার! আসুন, নিজ নিজ কাজ করে যাই নিজের অবস্থান থেকে। ওয়ান ম্যান আর্মির মত। হতাশ হবার কিছুই নেই। আল্লাহ্র মাইর, দুনিয়ার বাইর। গ্রামদেশের বঞ্চিত মানুষদের কথা। ফিলিস্তিনের ওই নিষ্পাপ শিশুটির মত, আমি আল্লাহ্র কাছে বিচার দিয়েছি, উনি বিচার করবেন। আমিও ওর মতই আশায় আছি, একদিন আল্লাহ্ তায়ালা সব কিছু ঠিক করে দেবেন। উনি এই অথর্ব, রোগ ক্লিষ্ট, জরাজীর্ণ, আমাদের দিয়েই ভালো কিছু ঘটিয়ে দেবেন।
.
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র।
Categories: None
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.