|
বৃদ্ধ সিএনজি চালক তার গাড়ীতে বসে কাঁদছে। কাছে গেলাম, জিজ্ঞেস করায় জানতে পারলাম আজ দুই-তিন দিন ধরে সারাদিন গাড়ি চালিয়েও জমার টাকা জোগাড় হচ্ছে না, বাসায় ৪জন মেয়ে মানুষ (মা, বউ, দুই মেয়ে) কয়েকদিন ঠিক মত খেতে পারেনি। কাল না খেয়ে ছিল মা। আজও জমার টাকা উঠেনি। কি করবে বুঝতে না পেরে কাঁদছে। লোকটার গাড়ীতে উঠলাম, বাজারে গেলাম। প্রায় এক সপ্তাহের বাজার করলাম। তারপর সব গাড়ীতে উঠালাম। বাসায় এসে গাড়ি থেকে কিছু না নামিয়ে ভাড়া দিলাম। তারপর লোকটাকে বললাম, “বাসায় চলে যান। এই বাজার আপনার জন্য না। এক মা না খেয়ে থাকবে সেটা তো ঠিক না। মা কে খাওয়ান, মেয়ে আর বউকেও খাওয়ান। রাস্তায় কান্নাকাটি করলে লোকে কি বলবে??” সি এন জি-এর গেইট খুলে আমাকে ধরে ফেলল লোকটা, কেঁপে কেঁপে কাঁদছে। ব্যাপারটা আমার ভালো লাগলো না আর। চলে আসতে চাইলাম। লোকটা আমার হাতটা ধরে খালি বলল, “বাবা আপনি আমার ছেলের মতন, আপনি এইটা রাখেন বলে একটা কলা হাতে দিল। মাইয়াডা সকালে হাতে দিসিল, দুপুরে খাওনের জন্য, আপনি খাবেন”। ব্যাস, পেয়ে গেলাম আমার জন্মদিনের শ্রেষ্ঠ উপহার। আহা, লোকটার নাম জানা হল না। মামা বলেই সম্বোধন করেছিলাম। আবারও বৃদ্ধ সিএনজি চালক তার গাড়ীতে বসে কাঁদছে। এইবার মনে হয় আনন্দ অশ্রু। আমি চলে আসলাম বাসায়। ------------------- দেশের রাজনৈতিক অদ্ভুত বাজে পরিস্থিতির কারনে কত কষ্টে জীবন পালন করছে আমাদের দেশের মানুষ। এটাতো অনেক ভালো দৃশ্য, এর চেয়েও ভয়াবহ কত দৃশ্য আছে, যা আমরা প্রতিদিন দেখি কিন্তু দেখেও দেখি না। আজ আমি দেখলাম, তাই কিছু করার চেষ্টা করলাম। সবার প্রতি অনুরোধ, যদি অনেক কে সাহায্য না করতে পারেন, তাহলে অন্তত একজন কে সাহায্য করুণ। এখন সময়টা অনেক খারাপ, আমাদের সবার পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
Categories: Brief Stories, Part -1
The words you entered did not match the given text. Please try again.
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.
Oops!
Oops, you forgot something.