|
![]() |
একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে নিরপরাধী বা নির্দোষ দাবী করতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে আদালত অভিযুক্ত করে নি। ততক্ষণ সে তার পূর্ণ মর্যাদা নিয়েই সমাজে থাকবে। আমরা এসব কি দেখছি, বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গনে, বা আদালতের ভিতরে আইনজীবিদের জুতো নিক্ষেপ, মারামারি, ঢিল ছুঁড়তে গিয়ে ইষ্টক-প্রতিযোগিতা, এসব কিসের ইঙ্গিত? আদালতে-ও একটি পবিত্রতা বিরাজ করা চাই। যেখানে সকলেই সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়ে থাকে। আপাতঃদৃষ্টিতে একজন বা একাধিক জনকে যতই দোষী বলে মনে করা হোক, তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিক্ষোভ প্রদর্শন, আদালতের বাহিরে-ই হওয়া উচিত। এসব বিষয়াদি, আমাদের উঠতি ছেলেমেয়েদের-কে কোন্ পথে নিয়ে যাচ্ছে, একটু ভেবে দেখার বিষয়। আদালত কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানাই, যে সকল কালো-বোরকা পরিহিত কিছু অসভ্য বর্বর, আদালতের ভিতরে অশালীন আচরণ প্রদর্শনের ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে, তাদের-কে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে, তার যা ফলাফল তা ভোগ করতে দিয়ে, দেশবাসীকে নিশ্চিন্ত করা হোক।
.
বাচ্চাদের প্রাথমিক স্কুল পরীক্ষার-ও যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়, আর কি কি বাকী রইল?বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত টার্গেট করে, কেউ কেউ নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করেছে। এই চক্র-টি যে খুব দুর্বল তা নয়। এখানে দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক দুর্বলতা একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। জাতি এখনও কি নাক ডেকে ঘুমোবেন? তবে আর পরীক্ষা পদ্ধতি রাখার কি প্রয়োজন? এই কোমল-মতি ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে, কেন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে, সহপাঠীকে কুপিয়ে মারবে না, কেনই বা সুযোগ পেলে রাস্তায় এসে গাড়ি ভাঙ্গবে না বলুন? এরা যখন আদালতে যাবে, সে আদালত কি মানুষের থাকবে? সে তো একটি বর্বর-আদালতেই পর্যবসিত হবে। যারা আইন নিয়ে পড়াশোনা করে, এতটুকু জ্ঞান রাখে না, এ রকমের কালো বোরকা-ওয়ালা অসভ্যদের কি দরকার?
আজকের এই বিজ্ঞানের যুগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে জগতের নানান দেশের খবরাখবর আমরা জেনে থাকি। একটু ভাবুন তো, আমাদের দেশের এই যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, শিক্ষার পরিবেশ, আদালত প্রাঙ্গনে আইনিজীবিদের মারামারি - - - -এসকল ঘটনাবলী কি বাহিরের দেশের মানুষ জানছে না? আমরা কি এসব ঢেকে রাখতে পারব? তারপর বাহিরের পৃথিবীর নিকট থেকে কি রকমের মূল্যায়ন আশা করেন? যাদের স্কুলের শিশুদের -ও দুর্নীতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে প্রতিবছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, যেখানে সরকারের কোনো কোনো কর্মকর্তার আচরণ যা প্রকাশ্য-দুর্নীতির নামান্তর, এবং সকল সরকারের সময়েই এ রকমের ঘটোনা ঘটতেই থাকে। বাহিরের পৃথিবী যে আমাদের, তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে থাকে, তা শুধু আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নয়।
.
একটি দেশে দারিদ্র্য থাকতেই পারে। তার সাথে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কি সম্পর্ক? একটি দেশের আদালতের ভিতরে মারামারি করা, এবং তা শিক্ষিত এবং প্রথম শ্রেণীর নাগরিকরা যারা ওই সকল কর্মস্থলের পেশাজীবি তারাই করছে, এর সাথে দারিদ্র্যের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি? খাবারে ভেজাল, প্রশাসনে দুর্নীতি, রুগ্ন গণতন্ত্র এসব কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। রাষ্ট্রের ধর্ম আছে, সে সব পরিচিতি শুনলে, অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সভ্য মানুষের নিকট কিছুটা কাল্পনিক মনে হওয়ার-ই কথা। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার যে চরম অবনতি হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদেরকেই মাথা ঘামাতে হবে। যদি ভবিষ্যতে আমাদেরকে কোনো কারণে, বিশ্বের বিশেষ বিশেষ অধিবেশনে না ডাকা হয়, সেদিন কিন্তু শুধু কন্সপারেসী বলেই চিৎকার করবেন না। যা হচ্ছে, তা বিশেষ করে আজকের দিনে বিশ্বের নিকট গোপন কিছু নয়। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসে, বাংলাদেশের ইংরেজী পত্রিকার নাম, গগলে সার্চ করলেই তো লিংক পেয়ে যাবে। এখন দেশের ইংরেজী পত্রিকা পড়লেই, যে কোনো প্রান্ত থেকে জানতে পারবে, সামাজিক মাধ্যমে যা নিয়ে আলাপ হচ্ছে , তা সত্যি কি না।
.
আমরা-ই আমাদের বদনাম পৌঁছে দিচ্ছি অসতর্কতায়। আমরা যদি দিগম্বর হই, আর অপরে সে ভাবে আমাদের ডাকে, তাতে অপরের দোষ হতে পারে না। আমরা বস্ত্র পরিধান করে আছি কি না, সে দায় আমাদের। আমরা কতটা নীচে নেমেছি, সকলেই জানার চেষ্টা করছি না। শিক্ষা ও বিচার-ব্যবস্থায় যদি ত্রুটি দেখা দেয়, এবং তার মান নীচের দিকে যেতে থাকে, তবে সে জাতির আর বিশেষ কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে করা যায় কি?
|
![]() |
.
বাড়ী বানাও - চাঁদা দাও - এই শিল্প (সন্ত্রাসী- পুলিশ) বন্ধ হবে কবে?
।
নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ। চারতলার কাজ শেষে শ্রমিকরা কাজ করছেন পাঁচতলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য। ঠিক তখনই ৮-১০ জনের সশস্ত্র একদল চাঁদাবাজ নির্মাণাধীন ওই ভবনে ঢুকে পড়ে। ভবন মালিকের খোঁজ করে তারা। না পেয়ে তারা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শ্রমিকদের। দু-একজন শ্রমিক তবুও কাজ করতে থাকলে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা তাদের বেদম পিটুনি দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তারা। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন শ্রমিকদের কাছে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে বলে, ‘আমার নাম বেলাল। ‘বেলাল’-কে চাঁদা না দিলে বাড়ির কাজ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করতে হবে। নইলে প্রাণও যাবে, সঙ্গে বাড়িটাও।’ রাজধানীর জনবহুল আবাসিক এলাকা মিরপুরের শেওড়াপাড়ার ঘটনা এটি।
।
মিরপুর থানা পুলিশকে চাঁদাবাজদের হুমকির কথা জানানো হয়েছে। তাতে কাজ হয়নি। বরং চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া। প্রায় প্রতিদিনই ওই ভবনকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে তারা। খোঁজ করছে মালিকদের। প্রাণভয়ে মালিক পক্ষের কেউ আর সেখানে ঘেঁষতেই পারছেন না। সর্বশেষ গত সোমবার সন্ধ্যায় ‘বেলাল বাহিনী’র সদস্য সালাম, পল্টু, বাবুসহ অন্য সন্ত্রাসীরা ওই ভবনে গিয়ে তাগাদা দিয়েছে। শুধু এই সাততলা ভবনটিই নয়, শেওড়াপাড়া ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় সশস্ত্র চাঁদাবাজদের এমন হুমকি-ধমকিতে বেশ কয়েকটি চারতলা, পাঁচতলা ও ছয়তলা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
।
শেওড়াপাড়া থেকে শুরু করে আশপাশের মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করছে বেলাল। পুলিশের সঙ্গে সখ্য করেই বেলাল একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন তাকে প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখলেও পুলিশ বলছে, আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। শেওড়াপাড়ার শাপলা সরণির ৪৪, ১/এফ-১ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন সাততলা ভবনটিতে এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না।
|
![]() |
মানবজমিনের কাছে থাকা অডিও রেকর্ডে শোনা যায়
.
ওইদিনের অনুষ্ঠানে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যখনই কারও বায়োডাটা নিয়ে যাই তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন, এরা কি ছাত্রলীগ করে? কোথায় ছিল? কোন পদ ছিল? তোমরা অনেকে বলেছিলে ছাত্রলীগের চাকরির কথা। তোমরা কি মনে কর, আমার ও আমার নেত্রীর চেয়ে অন্য কারও দরদ বেশি আছে? আমরা তো জান পরান দিয়ে চেষ্টা করি। নেত্রী যেভাবে বলছেন, যেভাবে হোক তাদের ব্যবস্থা করতে হবে। তোমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা দেখে আমি গর্ববোধ করি। তোমাদের মধ্যে যারা সিনিয়র হয়ে গেছে বা যারা বের হয়ে গেছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেভাবেই হোক প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তোমাদের মধ্যে যারা পরীক্ষা দিতে চাও। আমি বারবার বলবো। তোমরা রাজি থাকলে, আমি কোচিং ক্লাস নিতে রাজি আছি। কিন্তু তোমরা পড়াশোনা কর। পরীক্ষায় এক-দুই নম্বর বেশি পাও। লিখিত পরীক্ষাটা ভালো কর। তারপর আমরা ভাইভাটা দেখবো। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাততালি দিয়ে এইচটি ইমামের বক্তব্যে উল্লাস প্রকাশ করেন।
.
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনেক কিছুতেই ব্যস্ত থাকতে হয়। এজন্য লিখিত পরীক্ষায় একটু ভাল করলেই ছাত্রলীগের ছেলেদের চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু তোমাদের পড়ার সময় কম তাই রাত জেগে হলেও একটু পড়াশোনা কর। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে তোমাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের উচিত। তোমাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
.
নির্বাচন ও প্রশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ পুলিশের, বাংলাদেশ প্রশাসনের যে ভূমিকা, এই নির্বাচনের সময় আমি তো প্রত্যকটা উপজেলায় কথা বলেছি। কল করে সব বলেছি। সব জায়গায় আমাদের যারা রিক্রুটেড। তাদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বুক পেতে দিয়েছে। আমাদের যে পুলিশ ভাইরা, ১৯ জন প্রাণ দিয়েছে এই জামায়াত-শিবিরের আক্রমণে। কি নির্মমভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছিলো। তোমাদের মনে আছে? এরা কারা? সব আমাদের নিজস্ব মানুষ।
.
বিড়িআর হত্যার কথা বলে। যারা হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন সেই ৫৩ জনের মধ্যে ৩৩ জনই ছিল আওয়ামী লীগের সমর্থক বা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।
|
![]() |
.
হাসিনার খেদ বাংলাদেশের উপর। বাংলাদেশের মানুষের উপর। কারন সবার জানা। হাসিনার মতে বাংলাদেশের জন্মদাতা তার পিতার মৃত্যুতে বাংলার মানুষ প্রতিবাদ করল না, কাঁদলো না, এমন কি জানাজায় পর্যন্ত অংশগ্রহণ করলো না। মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর বইতে পড়েছিলাম হাসিনার প্রতিক্রিয়াঃ বাংলার মানুষকে আমি কাদিয়ে ছাড়বো......... বাংলাদেশকে আমি ধংস করে ছাড়বো।
.
হাঁ। হাসিনা তার প্রতিজ্ঞার শেষ প্রান্তে এসে গেছে। সব লেখার মত সময় নাই। তার সবচেয়ে বড় খেদ বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। বাংলার মানুষেরও শেষ ভরসার স্থল বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। এই বাহিনীকে ধাপে ধাপে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে এসেছে।
.
> সেনাবাহিনী মেধাশুন্য করতে চেয়েছে, চৌকস অফিসারদের মেরে তা করেছে। কিছু মৃত্যু পর্দার বাহিরে ঘটেছে, কিছু মৃত্যু ঘটেছে পর্দার অন্তরালে।
.
> সেনাবাহিনীর চেইন অফ কমান্ড ভাঙ্গার প্রয়োজন ছিলো, হাসিনা তাতে সফল হয়েছে। চেইন অফ কমান্ড ভাঙ্গা মানে সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙ্গে দেওয়া। আর কোমর ভাঙা সেনাবাহিনী মানে পোষা কুকুর। মনিবের পদ লেহন ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
.
> হাসিনার উদ্দেশ্য পুরনে বা কাঙ্খিত লক্ষে পৌছতে সেনাবাহিনীতে 'র' এর অনুপ্রবেশ ঘটানোর দরকার ছিলো, হাসিনা সফল্ভাবে তা করতে পেরেছে। প্রথমে 'র' এর জন্য ডিজেএফআই এর সদর দপ্তরের পঞ্চম তলায় দুটি রুম বরাদ্ধ দিলেও এখন পুরো পঞ্চম তলা 'র' এর জন্য বরাদ্ধ বা তাদের দখলে।
.
> এত কিছুর পরও হাসিনার সেনাবাহিনীর উপর খোব প্রশমন হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে অপায়েজ পঙ্গু করার জন্য মাদকের বিস্তার ঘটিয়ে এমন ছোবল দিল যে এর থেকে সেনাবাহিনীকে উদ্ধার করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা জানি না।
.
অনেকের হয়তো মনে আছে মেজর (বর্তমানে লেঃ কর্নেল) সিব্বির যশোর থেকে ঢাকা আসার পথে তার প্রাইভেট কারে বিপুর পরিমান ফেন্সিডিল সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এতগুলো ফেন্সিডিল সে কি তার নিজে খাওয়ার জন্য ঢাকা আনতেছিল? উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না কারন সে বর্তমানে সেনাবাহিনীতে বহাল তাবিয়তে আছে। প্রোমোশন পেয়ে লেঃ কর্নেল হয়েছে। এর মাঝে ইউএন মিশনেও গেছে!
.
সেনা অফিসারদের ভিতর মাদকের ভয়াবহতা কি মারাত্তক আকার ধারন করছে তা সাধারণ মানুষ বা সিভিলিয়ানদের চিন্তার বাইরে। অফিসার মেসগুলো এক একটা মাদকের আখড়া হয়ে গেছে। একটা উধারন দেইঃ অফিসারস মেস ব্রাভোতে (মেস-বি) একটা পুকুর আছে। পুকুরটা মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া। বছর তিনেক আগে ইজারাদার মাছ ধরার জন্য জাল দিলে মাছের পরিবর্তে শত শত ফেন্সিডিল ও মদের বোতল জালে আটকায়। ইজারাদার বিষয়টা স্টেশন কমান্ডারকে অবহিত করলে পুকুরটি সেচে এগার বস্তা ফেন্সিডিল ও মদের বোতল পায়। এটা সারা বাংলাদেশের একটা খন্ডিত চিত্র মাত্র।
.
দুই দুই বার আর্মি দেশে কে উদ্ধার করেছিল স্বৈরাচার থেকে, ১৯৭১, ১৯৭৫। সেই আর্মিকে ধংস করে হাসিনা মেইড শিওর আর্মি জাতিকে আর সাহায্য করতে পারবেনা। আর ১৫ই অগাস্ট হবে না।
.
(ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে সে লেঃ কর্নেল রউফ। শীতকালীন সামরিক মহড়ায় আয়েশে শিশা খাচ্ছে। সে বর্তমানে র্যাব-১৩ এর সিও। সে র্যাবের হয়ে যেখানে গিয়েছে সেখানে বিরোধী দলের লোকজনকে অপহরন ও গুম করাই ছিলো তার প্রধান কাজ। নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডারের পর এই রউফকে নিয়ে অনলাইনে অনেক লেখালেখি হয়। তার একটি পশমও খসে পড়েনি। কারন সে হাসিনার খুব আস্থাভাজন ও হাসিনার এজান্ডা বাস্তবায়নের অন্যতম ভুমিকায় আছে।)
.
কার্টেসিঃ জাতির নানা
|
![]() |
.
হাঁড়ির একটা ভাত টিপলেই হাঁড়ির খবর জানা যায় - নাসিম কি সেটা জানে?
।
নাসিম বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আড়াই লাখ লোক কাজ করে। কিন্তু মাত্র ৩৫ জনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে টিআইবি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর ‘স্বাস্থ্যখাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ওই প্রতিবেদনে অ্যাডহক চিকিৎসক নিয়োগে ৩ থেকে ৫ লাখ ঘুষ নেয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয়।
এতে বলা হয়, চিকিৎসক-কর্মকর্তাসহ সব ধরনের নিয়োগ-বদলিতে দলীয়করণ ও অপর্যাপ্ত বরাদ্দের কারণে স্বাস্থ্যখাতের সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্যখাতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ ও বদলিতে ১ থেকে ৫ লাখ, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদলিতে ৫ থেকে ১০ লাখ, সুবিধাজনক স্থানে দীর্ঘদিন অবস্থানের জন্য ২ থেকে ৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার ঘুষের লেনদেন হয়। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যখাতে যন্ত্রপাতি ক্রয়, জনবল নিয়োগ, হাসপাতালের ভবন নির্মাণ, ওষুধ সরবরাহসহ সেবাগ্রহণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘটে ভয়াবহ দুর্নীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে।
|
![]() |
.
এতো অর্থ আসে কোথা থেকে?
।
আবদুর রহমান বদি নানা সময়ে নানা কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তাঁর চরিত্রের বৈপরীত্যের দিকটি তুলে ধরা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ২০০৮ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তাঁর হাতে নানা সময়ে প্রহৃত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন কখনো মুক্তিযোদ্ধা, কখনো সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, কখনো বা ব্যাংক কর্মকর্তা। আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হওয়ার মানে যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া নয়, এ কথা কিছুতেই মানতে চাননি এই সাংসদ। অন্যদিকে, নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর নির্বাচনী এলাকার প্রায় ৭৭ হাজার মানুষের একটি তালিকা তৈরি করে তাঁদের দিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্রের আদলে অন্য একটি পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে এই দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে নিজের তহবিল থেকে প্রতি মাসে ২০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা নিয়মিত বিতরণ করে আসছেন তিনি। এ ছাড়া প্রতিবছর দুই ঈদে শাড়ি-লুঙ্গি ও লাখ লাখ টাকা বিতরণ করে রীতিমতো ‘দানবীরে’র মর্যাদা পেয়েছেন এলাকাবাসীর কাছে। জনশ্রুতি আছে, পাঁচ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা বিতরণ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, এই বিশাল অর্থ কোথায় পেলেন বদি?
|
![]() |
দিনাজপুরে পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা
.
মানিক সরকার মানিক, রংপুর ॥ মাত্র ২০ টাকা। আর এই ২০ টাকায় টিকেট কেটে পর্দার আড়ালে যেয়েই দেখতে পাবেন একে একে ৪ থেকে ৬টি জীবন্ত পুতুল। পুতুল, মানে নারী পুতুল। মিউজিকের তালে তালে একেবারেই উদোম দেহে নাচছে, করছে চরম অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী। চাইলে হাতিয়েও নিতে পারেন নারী দেহের স্পর্শকাতর বিশেষ কোন অঙ্গও। শুধু পর্দার আড়ালের মঞ্চে নয়, হালকা ও খোলামেলা পোশাকে দর্শক আকৃষ্ট করতে তারা ঘুরে ফিরছে প্যান্ডেলের বাইরে এবং মেলার মাঠজুড়েও। এসব কোন গল্প কিংবা ভাবাবেগের কথা নয়। একেবারেই বাস্তব চিত্র। পুতুলনাচের নামে প্রকাশ্যে এমন উদোম নৃত্য আর উচ্ছৃঙ্খল অবস্থা চলছে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কান্তজিউ মন্দিরের রাসমেলায়। এ যেন আদিম যুগকেও হার মানায়; যা কেবল চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
.
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজিউ রাসমেলা শুরু হয়েছে গত ৬ নবেম্বর। চলবে মাসব্যাপী। আর এই মেলাকে ঘিরেই চলছে পুতুলনাচ-সার্কাস। নিউ জনি পুতুলনাচ, টুকটুকি পুতুলনাচ অপেরা, গোলাপী সন্ধ্যা, লাবনী সার্কাস, দি নিউ রাকিব সার্কাস, দি নিউ সজীব সার্কাস, নিউ আর এস সার্কাসসহ বিভিন্ন নামের এসব সার্কাস আর পুতুলনাচের প্যান্ডেলে প্রকাশ্যেই চলছে অশ্লীলতা। আর এসবের দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ-কিশোর। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দিনরাত চলছে এই পুতুলনাচ আর সার্কাস। মাত্র ২০ টাকায় ১২ থেকে ১৫ মিনিটব্যাপী প্রতিটি শোতে শতশত দর্শক সমাগম হচ্ছে। শুধু যে পর্দার আড়ালের শোতেই চলছে এ অবস্থা তা নয়, প্যান্ডেলের বাইরে এবং মাঠজুড়ে তাদের অবাধ চলাফেরায় সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো পড়ছে চরম বিব্রতকর অবস্থায়। শুধু তাই নয়, শিশু-কিশোর তরুণ-যুবককে আকৃষ্ট করতে তারা প্রথমে বাইরের পর্দা খুলে রাখে।
.
বাইরে থেকে সেই খোলা পর্দায় দূর থেকে দেখে টিকেট কেটে ভেতরে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শিশু-কিশোর-তরুণ- যুবকরা। সামাজিক অবক্ষয়ের এই চরম অবস্থা দেখে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ, প্রশাসনের নাকের কী করে এমন উলঙ্গ নৃত্য এবং অঙ্গভঙ্গি চলছে সেখানে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ শামীম আল রাজী এবং পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমীন উভয়েই জনকণ্ঠকে জানান, বিষয়টি তাদের মোবাইল ফোনে কেউ কেউ জানিয়েছেন। অচিরেই সেসব বন্ধ করার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তারা।
|
![]() |
এমন কোন সরকারী অফিস খুঁজে পাওয়া যাবে কি? যেখানে বিএনপি, আওয়ামিলীগ বা জামাতের সহযোগিতা ছাড়া নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে উচ্চ পদ থেকে কেরানী পর্যন্ত।
.
এমন কোন পুলিশ অফিসার পাওয়া যাবে কি যার নিয়োগ হয়েছে অর্থ ছাড়া? আবার একজন পুলিশ অফিসার হতে পারলেই সাথে সাথে কোটি টাকার চেয়ার তার দখলে। এক একটা থানা মানে এক একটা ব্যাংক যেখানে লেনদেন হচ্ছে রিসিট ছাড়া।
|
![]() |
কুশিক্ষার অন্ধকারে আলকাতরা ঝিলিক মারে!
.
এবার আলকাতরার ঝিলিকের বাস্তব কাহিনী। রিনা পারভীন নামের এক যুবতী মহিলা আইন পেশায় কাজ করেন বহুদিন ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করার পর একটি ল কলেজ থেকে এল এল বি পাস করে ওকালতি করছেন প্রায় ২০ বছর ধরে। বেশ ভালই ছিলেন। হঠাৎ করেই তার এক প্রতিদ্বন্দ্বী হাজির হলো। বেশ সুন্দরী, অল্প বয়স। আর রং ঢং করে কথা বলে পুরুষদের মনে কামনার আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মেয়েটি রিনার ক্লায়েন্টদের কাছে যায় আর বলে-রিনার চেয়ে সে অনেক শিক্ষিত । এল এল এম পাস অর্থাৎ আইন শাস্ত্রে এম এ। ক্লায়েন্টদের কয়েকজন ঘটনাটি রিনাকে বলে দিলো এবং জিজ্ঞাসা করলো - এল, এল, এম, টা কি? রিনা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো সেও এল এল এম টা করে ফেলবে।
.
একদিন কোর্টে বসে রিনা তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুন্দরী ঢোঙ্গী মেয়েটাকে কাছে ডাকলো। বললো - এই মেয়ে তুমি কোত্থেকে এল এল এম করেছো। মেয়েটি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বললো। সময় করে রিনা একদিন বিকেলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা শাখায় গেলো। ৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত একটি বিল্ডিং এর একতলা বা ২ তলা ভাড়া নিয়ে উত্তরা ক্যাম্পাসটি চালানো হচ্ছে। সব কিছুর শ্রী দেখে রিনার এমনিতেই বমি পেলো। তবুও সে এল এল এম এ ভর্তি, কোর্স ফি এবং কোর্সের সময়কাল জানতে চাইলো। ফ্রন্ট ডেস্কে থাকা চটপটে ছেলেটি বললো - যদি আপনি নিজে লিখে পরীক্ষার খাতা জমা দেন তবে সার্টিফিকেট পেতে ৭০ হাজার টাকা লাগবে। আর আপনার খাতা যদি আমরা লিখে দেই তবে লাগবে এক লক্ষ টাকা। জবাব শুনে রিনার চোখ ছানা বড়া হবার উপক্রম। সে বিষন্ন মনে ফিরে এলো এবং ততোধিক বিষন্ন মন নিয়ে একা একা বলতে থাকলো - গুষ্টি মারি তোর সার্টিফিকেটের!
|
![]() |
.
বিমানের দুর্নীতি -কমিশন নাই কোন খাতে।
.
গত ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া নেয়া হয় এ দু’টি উড়োজাহাজ। কিন্তু শুধু হজ মৌসুমেই এদু’টির শতভাগ ব্যবহার হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, বাকি সময় বসিয়ে রেখেই মাসে ২৪ কোটি টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। নয় মাসে ভাড়া-মেরামতসহ অন্যান্য খাতে এই ২১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা বিমানের কোনো কাজে আসবে না। এদ’টি উড়োজাহাজ ভাড়া নেয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। আর পাঁচ বছর পর আগের অক্ষত অবস্থায় ফেরত দিতে হবে। আর শর্ত অনুযায়ী, দুই বছরের আগে ফেরত দিলে জরিমানা গুণতে হবে।
.
বিমানের অসাধু কর্মকর্তারা বোয়িং ৭৭৭-২০০ সিরিজের এয়ারক্রাফট দুটি ভাড়া নেয়ার সময় অনৈতিক উপায়ে আয়ের (কমিশন) বিষয়টি মাথায় রেখেই চুক্তি সম্পাদন করে। চুক্তির সময় তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির লাভালাভের কথা বিবেচনায় নেয়নি।
.
প্রধানমন্ত্রীর একজন এপিএস জানিয়েছেন, বিমানের এই সিন্ডিকেট প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ওয়েট লিজে (এয়ারক্রাফট, ক্রু, মেনটেনেন্স, ইন্স্যুরেন্সসহ) উড়োজাহাজ ভাড়া নেয়ার অনুমতি নেয়। কিন্তু পরে তারা তথ্য গোপন করে ড্রাই লিজে (শুধু এয়ারক্রাফট) ভাড়া নিয়ে সরকারপ্রধানের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে।
|
![]() |
সচিব হচ্ছে ভয়ংকর শিক্ষিত ডাকাত।
.
রুলস অব বিজনেস অনুসারে সংসদীয় সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হচ্ছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী পর্যায়ে অনুমোদনযোগ্য যে কোন ফাইল নিষ্পত্তি করতে হলে মন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে। মন্ত্রী থাকে সাধারণত মূর্খ যেখানে সচিব থাকে খাতা কলমে শিক্ষিত। সাধারণত এইসকল সচিব সরকার পরিবর্তন হবার সাথে সাথে মন্ত্রীর দলের লোক হয়ে যায়। সরকার পরিবর্তন হবার সাথে সাথে মন্ত্রীর চেয়ার পরিবর্তন হয় কিন্তু সচিব তাঁর আগের চেয়ারেই থাকে। সমস্থ চুরি ও অপরাধের ভাগীদার হয়ে থাকে এইসব সচিবরা। এমন কি এরা একটা সরকারকে বেকাদায় ফেলতে পারে বিরোধীদলের চেয়েও বেশী। এরা ভয়ংকর শিক্ষিত ডাকাত.
|
![]() |
দুর্নীতির আখড়ার নাম 'সিলেটের গোলাপগঞ্জ ভূমি অফিস'
.
দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস। এখানে কোনো কাজই হয় না ঘুষ ছাড়া। খোদ সহকারী কমিশনার ভূমি'র বিরুদ্ধেই আছে টাকা নেয়ার অভিযোগ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, খুঁটির জোরে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশও অমান্য করেন।
.
লন্ডন প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সিলেট বিভাগের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জমির দাম সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ রয়েছে, ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না। প্রতি টেবিলে আলাদা আলাদাভাবে ঘুষের টাকা দিলে তবেই হয় জমি'র নামজারি। আর ঘুষ না দিলে বছর গড়ালেও ভূমি নামজারি ভাগ্যে জোটে না। ভুক্তভোগী এমন একজন ফুলবাড়ী ইউনিয়নের এলিম উদ্দিন। তার অভিযোগ, সহকারী কমিশনারের কথা মতো তিন লাখ টাকা না দেয়ায় নামজারি হচ্ছে না তার জমির।
.
এলিম উদ্দিন বলেন, 'ভূমি অফিসার তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করেছেন। তিনি টাকা দিচ্ছেন না বলেই তার জমিরও নাম জারি হচ্ছে না। অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও একই অভিযোগ করে বলেন, তাদের কাছে সব কাগজ-পত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের কাজ হচ্ছে না শুধু টাকা না দেয়ার ফলে।
.
তবে, সহকারী কমিশনার ভূমি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন।
.
গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, 'আমরা সবার কাজই করি, কেউ বলতে পারবে না যে আমরা তার কাজ করছি না। কিছু ক্ষেত্রে অনেক জমিতে জটিলতা থাকে সেক্ষেত্রে আমরা কাজ করতে পারি না। তাই মানুষ অনেক সময়ই অসন্তুষ্ট হয়।'
.
ভূমি অফিসের মতো একই অবস্থা উপজেলার এই সেটেলমেন্ট অফিসেও। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এখানেও টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না। ভুক্তভোগীরা বলেন, 'জমির খতিয়ান আছে কিনা তা চেক করতে গেলেও তাদের টাকা দিতে হয়। প্রত্যেক কাজেই তাদের টাকা দিতে হয়, টাকা ছাড়া এখানে কোন কাজই হয় না। টাকার কথা মুখে না বললেও কেউ টাকা দিলেই কেবল তার কাজ হচ্ছে, অন্যথায় কাগজ থাকলেও কাজ হয় না।'
.
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্বাচনী এলাকা গোলাপগঞ্জ। আর মন্ত্রীর এলাকায় সরকারী অফিসগুলোর এমন দুর্নীতি কিছুতেই মানতে পারছেন না উপজেলার সাধারণ মানুষ।
|
![]() |
ভুয়া ৫,০০০ পিএইচডি ডিগ্রিধারী – আজব দেশ বাংলাদেশ
.
গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী তিনি সহকারী অধ্যাপক। অথচ তিনি নিজেকে অধ্যাপকের পাশাপাশি ডক্টরেটধারী বলে প্রচার করছেন। এমনকি তার রুমের সামনে টাঙানো নামফলকে নামের আগে ‘ড.’ লিখে রেখেছেন। বিষয়টি ওই কলেজে কৌতূহল তৈরি করে। তার পিএইচডি ডিগ্রি তদন্ত করে ষোল আনাই ভুয়া বলে প্রমাণ পায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
.
শুধু এই অধ্যক্ষই নন, এরকম ভুয়া এমফিল, পিএইচডি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছেন প্রায় ৫ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। পর্যায়ক্রমে সব ভুয়া পিএইচডিধারীদের ডিগ্রি যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
.
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ইউএসএ (বাংলাদেশ স্ট্যাডি সেন্টার)সহ অন্তত ৫৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায় পিএইচডি ডিগ্রি বিক্রি করছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেশির ভাগই মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া কেন্দ্রিক বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে। আর ভুয়া ডিগ্রি নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি আমলা, কর্মকর্তা ও আইনজীবীর সংখ্যা বেশি। সমপ্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) এ রকম কয়েকজন ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীকে চিহ্নিত করেছে। তাদের ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, যারা ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি নেয়, তাদের ডিগ্রিকে সমতা করাতে আমাদের কাছে আসে না। তবে এ ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি সংখ্যা সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে না থাকলেও ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছেন এ সংখ্যা ৫ হাজারের কম নয়।
|
![]() |
কিশোরগঞ্জ জেলার সরারচর রেল স্টেশনে টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম চরমে।। টিকেট কাউন্টারের সামনে প্রকাশ্যে কালোবাজারিরা চেঁচিয়ে বলছে ঢাকা দুশো টাকা, ঢাকা দুশো টাকা।কাউন্টারের সামনে যারা লাইনে দাঁড়ানো তারা সিটসহ টিকেট পায় না।স্টেশন মাষ্টারের সাথে যোগসাজসেই এরকমটি হচ্ছে বলেই রেল যাত্রীরা জানায়।ট্রেন আসার সামান্য আগে লোক দেখানোর জন্য কাঊন্টার খুলে বসে টিকেট বিক্রেতা জসিম। শুরু হয় টিকেট প্রত্যাশিতদের ঠেলাঠেলি।কাউন্টারে সিট না পেয়ে মানুষ বাধ্য হয়ে একশ টাকার টিকেট কালোবাজারিদের কাছ থেকে দুশ টাকা দিয়ে কিনতে বাধ্য হয়।জনৈক রেল যাত্রি বলেন তার চেয়ে কালোবাজারিদের জন্য একটি আলাদা কাউন্টার খুলে দিলেই হয়।দায়িত্বরত স্টেশন কর্মকর্তা চন্দন বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন ,রাজনৈতক সেল্টারে এসব কালোবাজারি চলছে এদের বিরুদ্ধে কথা বললে মার খেতে হবে।স্থানীয় সংসদ সদস্য কালোবাজারিদের প্রশ্রয় দাতা এদের পুলিশে দিলেও কাজ হবে না।এমপি থানায় ফোন করে বলবে এরা আমার লোক ছেড়ে দেন।উল্টো আমার জীবনের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।
|
![]() |
সরকারী চাকুরিজীবি - আমলা থেকে কামলা পর্যন্ত !
।
বাংলাদেশে ন্যাতাদের নেতাগিরি ফলানোর মেয়াদ বড়জোর ৫ বৎসর যদিও বর্তমান সরকার গ্রেস টাইম নিয়ে চলছে ! তারপরও ন্যাতাদের নেতাগিরি একসময় শেষ হবেই ; কিন্তু থেকে যাবে দুর্নীতি !
.
কারন - নেতা বদল হলেও নীতি বদল হয় না !
কারন - যারা নীতি নির্ধারক তারা বদল হন না !
.
এরা কারা ?
-সরকারী চাকুরিজীবি - আমলা থেকে কামলা পর্যন্ত !
আমি দুর্নীতিবাজ এমপি - মন্ত্রীদের সাফাই গাইছি না -
একজন নেতা ২০/৩০/৪০ বৎসর মাঠ পর্যায়ে রাজনীতি করে হয়তো একবার ক্ষমতা ভোগ করার সুযোগ পান (উত্তরাধিকারী সুত্রে প্রাপ্তদের হিসাব আলাদা) ! সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বুভুক্ষু ন্যাতা কি থুয়ে কি খাবেন , মুখে দিতে গিয়ে গালে মাখাবেন এম্ন অবস্থা হয় ! প্রথমেই তারা দামী গাড়ি- বাড়ী করেন যা সহজেই চোখে পরে ! ক্ষমতা থেকে চলে গেলেই শুরু হয় নানা কেচ্ছা কাহিনী !
.
অন্যদিকে সরকারী চাকুরি করে একজন পিয়ন হতে সচিব পর্যন্ত কি পরমান দুর্নীতি করে থাকে তার কি কোন খুঁজ আমরা রাখি ?
একজন সিনিয়র সহকারী সচিব লেভেলের কর্মকর্তা যে পরিমান বেতন ভাতা পান তা দিয়ে ঢাকা শহরের কথা বাদই দিলাম , মফঃস্বল এলাকাতেও সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব নয় ; নিজস্ব গাড়ি -বাড়ী তো বহুদূরের কথা ! অথচ এই লেভেলের প্রতিটি কর্মকর্তার রয়েছে একাধিক বাড়ি- ফ্ল্যাট -প্লট -গাড়ি ! এর উৎস কি ?
.
এরা সবাই কি পৈত্রিক সুত্রে জমিদারির মালিক ?
.
চাকরীতে যোগদানের আগে যাদের বাড়ীতে টিনের ঘর খুঁজে পাওয়া যেত না , এখন সেখানে রাজপ্রাসাদ !
.
পিয়ন - লাইনম্যান - মিটার রিডার যেখানে শত কোটি তাকার মালিক হয় সেখানে বড় বড় আমলারা কি পরিমান অর্থ -বিত্তের মালিক হতে পারে তা অনুমান করাও কষ্টকর !
.
আর আমরা যারা চুচিল ? কোন প্রকার চাকুরি -ব্যবসা না করেই ঢাকা শহরে বাড়ি/ ফ্ল্যাট - গাড়ি নিয়ে থাকি ! ছেলে-মেয়েদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে / প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই ! বউ এর ড্রেসআপ - মেকআপ এর পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করি ! কোথায় পাই ? বুদ্ধিমান হলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন !
.
|
![]() |
মামলার তদন্তের নামে দফায় দফায় ঘুষ গ্রহণের ভয়াবহ তথ্য।
।
ঘুষ ছাড়া মামলার তদন্ত এগোয় না। ফলে সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, অপহরণ, গুম এবং ডাকাতিসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের বিপুলসংখ্যক মামলা বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে। আসামিদের ধরতে বা চার্জশিট দেয়ার জন্য বিশেষ কারো তদবির না থাকলে নিজেদের দায়ের করা অস্ত্র-মাদকসহ অন্যান্য মামলার তদন্তেও গা করে না পুলিশ। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরে থাকা অধিকাংশ চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত চলে দায়সারা গতিতে। উৎকোচ বাণিজ্য না হওয়ায় সিআইডির তদন্তাধীন সহস্রাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলাও পড়ে আছে হিমাগারে।
।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুষ দিলেই তদন্তে ঝড়ের গতি; আর না দিলে মাসের পর মাস তা একই জায়গায় আটকে থাকছে। এমনকি আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্যও পুলিশকে টাকা দিতে হচ্ছে। চাহিদামতো ঘুষ না দিলে খুনসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের আসামিকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে আনা হলেও প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন না করেই জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বাদীর কাছ থেকে আর্থিক ফায়দা না পেলে আসামির কাছ থেকে তা পুষিয়ে নিয়ে মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেয়ারও অসংখ্য নজির রয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে খোদ তদন্তকারী কর্মকর্তাই মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে নানাভাবে চাপ দিয়েছেন_ এ ধরনের বিস্তর অভিযোগও রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে।
।
মামলার তদন্তের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে সময় বেঁধে দেয়া না থাকলেও ধারা ১৬৭(১) অনুযায়ী দফা (১)-এ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকাজ সমাপ্ত না হলে মামলার বিষয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। যদিও ফৌজদারি কার্যবিধিতে যে সময়সীমার কথা বলা হয়েছে, তা উপদেশমূলক। কোনো আইনে উপদেশমূলকভাবে কোনোকিছু বিবৃত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা পালনে সচেষ্ট হতে হয়, তবে পালন করা না গেলে আইনের কোনো লঙ্ঘন হয় না। আর যদি কোনো আইনে আদেশমূলকভাবে কোনোকিছু নির্দেশ দেয়া হয়, তা আদেশ পালন না করা গেলে সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার উল্লেখ থাকে আদেশমূলক বিধানে। যদিও এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে তদন্ত শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধের সব মামলার তদন্ত ৬০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। যদি এ সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় আরো ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। আর যদি তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হন, তাহলেও তিনি আরো ৬০ দিন সময় পাবেন। এতে করে একটি মামলা তদন্তের জন্য সর্বমোট সময় পাওয়া যাবে ১৫০ দিন। খসড়ায় বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
।
তদন্তটা থানা পুলিশের জন্য এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। ইচ্ছা করেই অনেক মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত করা হয়। এমন অনেক মামলা আছে, যেগুলোয় তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলেই যান না।
|
![]() |
কারাবন্দী আসামিকে কেন পলাতক দেখানো হচ্ছে?
.
চট্টগ্রাম র্যাব-পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর ২০০২ সাল থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাসহ দুই মামলায় তাঁর ফাঁসি হয়েছে।
অথচ একটি অস্ত্র মামলায় তাঁকে পলাতক দেখাচ্ছে পুলিশ।
.
কারাবন্দী আসামিকে কেন পলাতক দেখানো হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী আলমগীর কবিরকে ওই মামলা থেকে পার পাইয়ে দিতে তাঁর কারাগারে থাকার তথ্যটি গোপন করে পুলিশ। জানতে চাইলে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বর্তমানে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক এনায়েত কবীর বলেন, ‘অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে আসামির অবস্থান জানতে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে প্রতিবেদন নিই। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।’ বাইট্টা আলমগীর এখন কারাগারে—এ তথ্য জানালে তিনি বলেন, ‘সেটা আমার দেখার কথা নয়, সংশ্লিষ্ট থানা এ খবর রাখবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, এই পরিস্থিতির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ও পুলিশ দায়ী। এখানে আদালতের কিছুই করার নেই। এখন অস্ত্র মামলায় সাজা হলেও পুলিশ তাঁকে খুঁজে পাবে না।
|
![]() |
.
বাংলাদেশে মাদক হয়েছে সমাজের খাদক -
এখানেও পুলিশই হচ্ছে ঘাতক।
.
শুধু তানহা ও তানহার পরিবার নয় । মাদকের ছোবলে জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের সন্তানের। মাদকাসক্ত সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার। আর সেই সন্তান যদি হয় মেয়ে তার যন্ত্রণা তো দ্বিগুণ!চিকিৎসা সেবার সীমাবদ্ধতা, সামাজিক মূল্যবোধ নানা কারণেই মাদকাসক্ত মেয়েকে নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অভিভাবকদের।
.
রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশা্নের বিভিন্ন এলাকা ওসমানী উদ্যান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমণ্ডি লেকসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বসয়ী নারীদের প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণের দৃশ্য চোখ পড়ে। এদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্করাও আছে।
.
বেসরকারি জরিপের হিসাবে, সারাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। এর মধ্যে নারী মাদকাসক্ত ৫ লাখ।
.
সারা দেশে অনুমোদিত ৯০টি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র আছে। এছাড়া চিকিৎসার নামে বাণিজ্য চলছে এমন প্রতিষ্ঠান আছে ৫০০। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী মাদকাসক্তদের নিরাময়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
.
মাদক বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীদের মাদকাশক্তি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশ ও সমাজের জন্য তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। কারণ নারীরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধারণ করেন। নারীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে এর প্রভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পঙ্গু হয়ে যাবে। নারীরা মা, তার সন্তান থাকলে বা না থাকলেও লালন পালন করেন। এজন্যে নারীদের মা রূপে মূল্যায়ন করতে হবে । তিনি যদি নিজে নষ্ট হয়ে যান তাহলে তার সন্তান, পরিবারের বাকি সদস্যরা ও একটি সংসার নষ্ট হয়ে যাবে।’
.
এই ভয়াবহ প্রবণতা থেকে বাঁচতে অভিভাবকদের প্রতি তিনি বলেন, ‘মেয়েদের মাদক থেকে দূরে রাখতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সন্তানদের সময় দিতে হবে। সন্তান কী করছে কার সঙ্গে মিশছে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। যদি দেখেন আপনার মেয়ে উগ্র আচরণ করছে বা তার আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন এসেছে তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে তার কাছ থেকে কথা বের করার চেষ্টা করুন। মেয়ে বলে অবহেলা করবেন না। একজন সুস্থ নারীই পরে একটি সুস্থ জাতি নির্মাণ করতে পারে।’
.
‘আজকাল রাস্তাঘাটে সহজে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। এমনকি স্কুলের দারোয়ানরা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী মাদক সরবারহ করছে। এছাড়া নিউমার্কেটে কিছু দোকানে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। এছাড়া পারিবারিক অশান্তি, যে কোনো ধরনের হতাশা, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, প্রেমঘটিত ব্যাপার,ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব,মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গ- এসব কারণেই আজ তরুণরা এই মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে।’
এভাবে চলতে থাকা মাদকের আগ্রাসন বন্ধ করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে ঐশীর মতো ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি দেখার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে বলে সতর্ক করে দেন বিশেষজ্ঞরা।
|
![]() |
.
বিরোধীদল দরকার নাই – দরকার সৎ পুলিশ প্রশাসন
।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, পুলিশ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। তাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে। সমাজ বিশ্লেষকরা বলেছেন, ছোট পদমর্যাদার কতিপয় পুলিশ সদস্যের মধ্যে দেশপ্রেম লক্ষ্য করা যায় না। তারা নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন নয়। পুলিশ আজ মানুষের রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আগে পুলিশ ছিল আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার। এখন পুলিশের ওপর জনগণ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের কারণে এর কলঙ্কের দায়ভার নিতে হচ্ছে গোটা বাহিনীকে।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে, ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি। চাঁদা না পেলে থানা হাজতে রেখে নির্যাতন, কখনো কখনো হত্যা, নিরীহ লোকদের ধরে গুলি করা, স্বর্ণ চোরাচালান, মাদক, এমনকি নারীদের দিয়ে অনৈতিক ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত কেউই এক শ্রেণীর বেপরোয়া পুলিশ সদস্যদের হাত থেকে নিরাপদ নয়। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় গোটা সমাজ ব্যবস্থা হুমকির মুখে।
।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবদুল কাদেরের ওপর অমানবিক নির্যাতন, সাভারে ৬ ছাত্রকে ডাকাত অভিযোগে পুলিশের ছত্রছায়ায় পিটিয়ে হত্যার পর উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই ডাকাতির মামলা, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিরপরাধ কিশোর মিলনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে জনতার হাতে তুলে দিয়ে গণপিটুনিতে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। এছাড়া গত বছর রাজধানীর সন্নিকটে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার ব্যবসায়ী শামিম সরকারকে আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দাবি করা ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে থানা হাজতে নির্যাতনে হত্যা। প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ধানম-ি থেকে ধরে নিয়ে পল্লবী থানা হাজতে আটকে রখে নির্যাতনে ঝুট ব্যবসায়ী সুজনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ।
।
গত ১৩ মার্চ রামপুরা ব্যাংক কলোনি বালুর মাঠ এলাকায় প্রাইভেটকার আটকের পর স্বর্ণবার উদ্ধারের পর তদন্তে জানা গেছে পুলিশ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। শ্যামলীর একটি বাসা থেকে খদ্দেরসহ তরুণীদের গ্রেফতারের পর জানা গেল পুলিশ কর্মকর্তার মদদেই দেহ ব্যবসার ঘটনা। আসলে এখন অনেকাংশে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। পুলিশ দেশ ও জনগণের কাজে ব্যবহৃত না হয়ে নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে।
|
![]() |
বেঁচে গেছি, এটাই যথেষ্ট...।
.
আড়াই বছর পর কানাডা থেকে ফিরেছে আমার ছোটো বোন, সাবা। দেশে থাকাকালীন ও ঢাকা ইউনিভার্সিটির আইবিএর স্টূডেন্ট ছিলো। গতকাল বিকালে আমরা ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম। আমার বোনটা তার প্রিয় ভার্সিটি ঘুরে দেখতে চাইলো। আমরা রিকশা নিলাম। আমার মামা, ইমতিয়াজ আলম বেগ, আমাদের সাথেই ছিলেন। মামা বেগআর্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফির প্রিন্সিপাল, ফটোগ্রাফার হিসেবেও নামডাক আছে।
।
ছাত্রাবস্থায় সাবা আর তার বন্ধুরা কার্জন হলের আশেপাশে আড্ডা দিতো। মামাও প্রায়ই তাঁর ইন্সটিটিউটের ছাত্রদের নিয়ে ওখানে আসেন, ওরা ছবি তুলতে লেগে যায়। আমার আম্মা, ষাটের দশকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা, তাঁর মুখেও কার্জন হলের কথা অনেক শুনেছি। আম্মারা সেই সময় সন্ধ্যার পরে কার্জনের ভেতরের রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে ফিরতেন, কারণ ঐটা সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা ছিলো।
।
গতকাল বিকাল চারটার দিকে, আমি রুবাইয়া, আমার মামা ইমতিয়াজ, এবং আমার ছোটো বোন সাবা, আমরা রিকশাভ্রমণ শেষে কার্জন হলের পুকুর পাড়ে বসে ছিলাম। চারজন তরুণ আমাদের দিকে এগিয়ে এলো। ওরা মামাকে জিজ্ঞেস করলো আমরা ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট কি না। মামার উত্তর ছিলো "না"। ওদের একজন বললোঃ "এইটাকে ঘুরাঘুরির জায়গা মনে হয়?"
।
মামা উত্তর দেবার আগেই, ছেলেগুলোর একজন প্রচন্ড শক্তিতে ঘুষি মারলো মামার মুখে। এরপর চারজন মিলে জন্তুর মতো পেটাতে শুরু করলো ইমতিয়াজ মামাকে। আমি আর সাবা, মামাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেই, ওরা এবার শুরু করলো সাবার উপরে। সাবাকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি লাথি মারা শুরু হলো। আমার ছোটো বোনটা, আমার বোনটা, আমার সামনে, পড়ে পড়ে মার খাচ্ছিলো।
।
ওখানে আরও স্টুডেন্টরা ছিলো, ঘুরতে আসা আরও মানুষ ছিলো। ওরা জমায়েত হয়ে নীরবে দেখছিলো। আমরা একটু সাহায্যের জন্য প্রাণপণে চিৎকার করছিলাম, একজনও এগিয়ে এলো না।
।
মামার চেহারা ভেসে যাচ্ছিলো রক্তে, সাবা বেহুঁশের মতো মাটিতে পড়ে ছিলো, পরনের কাপড় শতছিন্ন। মাত্র তিন চার মিনিট যে কত দীর্ঘ যন্ত্রণার আর ভয়ঙ্কর হতে পারে, গতকালের আগে আমার জানা ছিলো না।
ইমতিয়াজ মামা আর সাবাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে গেলাম, মামার ছয়টা সেলাই দিতে হলো। এরপর আমার মামী শারমিন মুরশিদের ধানমন্ডির অফিসে গেলাম হেল্পের জন্য। সেখান থেকে শাহবাগ থানায় এলাম, কেস ফাইল করলাম, সেখানে খবর পেয়ে আমাদের কিছু মিডিয়ায় কাজ করা বন্ধুরাও চলে এসেছিলো। আজকের প্রথম আলোর বক্স নিউজে খবরটা ছাপা হয়েছে, সেখানে বলা হচ্ছে আক্রমণকারীরা শহিদুল্লাহ হলের।
।
আমরা বেঁচে গেছি। বেঁচে গেছি এইজন্য যে জানোয়ারগুলোর কাছে কোন অস্ত্র ছিলো না। আমরা বেঁচে গেছি কারণ আমার মামাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয় নি। আমরা বেঁচে গেছি কারণ, জানোয়ারগুলো আমার বোনটাকে জনসম্মুখে ধর্ষণ করে নাই। হ্যাঁ, মানুষ হিসেবে আমরা এই পর্যায়ে নেমে গেছি যে, প্রাণে বেঁচে যাওয়াটাই এখন আমাদের কাছে অনেএএক...। বেঁচে গেছি, এটাই যথেষ্ট...।
।
আজ ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভিসির সাথে দেখা করতে যাবো। আইনি ভাবে যা যা করতে হয় আমরা তাই করবো। কিন্তু আমার ফ্রেন্ডলিস্টের সবার সহায়তা চাই। আমার সব বন্ধুদের বলছি, আমাদের প্রিয় ঢাকা ইউনিভার্সিটিকে এরকম জানোয়ারদের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করুন।
।
আমাদের এই ঢাকার শহরেই বাস করতে হবে, কারণ এই শহরকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু, এই শহরে আমি এমন ভাবে বাঁচতে চাই না। আমি চাই না, চারজন হৃষ্টপুষ্ট নরপশু মিলে একজন মেয়েকে নির্দয় ভাবে লাথি মেরে যাচ্ছে, আর সেটা একটা স্বাভাবিক দৃশ্যের মতো আশেপাশের সবাই দেখছে। আমরা শুধু দেখেই যাবো, কিচ্ছু করবো না, শুধু নামে আর গায়েগতরে মানুষ বলে পরিচয় দেবো, এটা বিশ্বাস করতে আমার ঘেন্না হয়।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.