|
![]() |
.
এমপি নামক ঐ হিংস্র প্রাণীকে সিংহাসনে বসানোর জন্য আমরাই দায়ী।
.
হরতাল বন্ধ, আন্দোলনের ধরন হবে রাজনীতির আসল ধরন। এবার দেখা যাবে এইট পাশ এমপিরা কিভাবে আন্দোলন করে সরকার নামায়। উন্নত বিশ্বএর মতো যোগ্যতা, মেধা ও যুক্তি দিয়ে রাজনীতি করলে, হরতালের কোন প্রয়োজন হয় না। যারা হরতাল নির্ভর করে রাজনীতি করে, তারা প্রকৃত অর্থে অনেক দুর্বল বলে জনগনের ইচ্ছার বীরুধে অজানা এক হাতিয়ার দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চেষ্টা করে, অথচ জনগনের এক বিশাল ক্ষতি সাধন করে ঐ এইট পাশ এমপিরা যারা সব সময় মাইকের সামনে দেখবেন ভয়ংক্কর চিৎকার করে দেশ উদ্ধার করছেন। এরা যুগ যুগ ধরে আছেন এবং তাদের গোঁড়া আরও শক্ত করার চেষ্টা করছেন যাদের মুল বেবশা ঐ অসহায় গরিব অশিক্ষিত জনগন।
.
একজন এমপির যোগ্যতা বিবেচনায় আমরা সবচেয়ে বেশী নেশাগ্রস্থ। সেই এমপি মানুষ হিসাবে সৎ ও যোগ্য কিনা সেটা আমরা কখনও বিবেচনায় আনি না। নিজের স্বার্থটাই এখানে বেশী কাজ করে। অথচ ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য যে আমি এক জালিমকে নিয়োগ দিয়ে গেলাম যেই বিবেচনা রাখি না।
.
সমাজের এমপি যদি ঐ সমাজের মাথা হয়, তবে সমাজের দুর্নীতি অবনতি কেন উন্নতি হয় না। কারন ঐ মাথায় হছে দুরনিতিগ্রস্থ। যারা আমরা ভাগ পাই, তারা মনে করি আমি তো সুখেই আছি, আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সে কি কখনও ভেবে দেখেছে, কেন তার ইস্কুলে তার ছেলে-মেয়েকে দিয়ে আসেতে হয়?, যখন তার সন্তান বাইরে যায়, তখন কেন তাঁকে চিন্তা করতে হয়? এরকম সব কারনের জন্য আমারা স্বয়ং ঐ হিংস্র প্রাণীকে সিংহাসনে বসানর জন্য দায়ী। এর অভিশাপ থেকে আমাদেরই বের হয়ে আসতে হবে?
|
![]() |
একটি রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শগতভাবে কতটা দেউলিয়া হতে পারে, কতটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এরশাদের জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টিতে বর্তমানে যে নেতৃত্বের সংকট, তার মূলে এরশাদের স্বৈরাচারী মনোভাব এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তাঁর দ্বৈত ভূমিকা। একটি দল বা একজন নেতা নির্বাচনের ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ভালো হোক মন্দ হোক, তাঁকে একটি সিদ্ধান্তই নিতে হয়। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল এরশাদ প্রথমে বললেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাব। তারপর বললেন, বিএনপি না গেলে সেই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। অতএব, আমরা নির্বাচনে যাব না। আমরা নির্বাচনে নেই।’ সেই না যাওয়া নির্বাচন থেকে কীভাবে তাঁর দল ৪০টি আসন পেল, আমজনতা বুঝতে অক্ষম। এত দিন জানতাম নির্বাচনে অংশ নিলে জয়-পরাজয় আছে। কিন্তু একজন সামরিক কাম রাজনৈতিক নেতা দেখিয়ে দিলেন, নির্বাচন না করেও নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়। সব সম্ভবের বাংলাদেশে সবই সম্ভব।
..
সোহরাব হাসান
|
![]() |
.
দশ হাজার কোটি নিউরন -মুহম্মদ জাফর ইকবাল
.
আমাদের দেশে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি কিংবা কে জানে হয়তো আরও বেশি হতে পারে। পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ছেলে-বুড়ো সব মিলিয়েও তিন কোটি দূরে থাক এক কোটি মানুষও নেই। আমাদের এই তিন কোটি ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ছে, তারা যদি শুধু ঠিক করে লেখাপড়া করে তাহলে এ দেশে কী সাংঘাতিক একটা ব্যাপার ঘটে যাবে কেউ কল্পনা করতে পারবে? এ সহস্রাব্দের শুরুতে পৃথিবীর জ্ঞানী-গুণী মানুষরা সম্পদের একটা নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছেন। তারা বলেছেন, জ্ঞান হলো সম্পদ। তার অর্থ একটা বাচ্চা যখন ঘরের মাঝে হ্যারিকেনের আলো জ্বালিয়ে একটা অঙ্ক করে, তখন আমার দেশের সম্পদ একটুখানি বেড়ে যায়। যখন একটি কিশোর বসে বসে এক পাতা ইংরেজি অনুবাদ করে আমার দেশের সম্পদ বেড়ে যায়। যখন একজন কিশোরী রাতের অাঁধারে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদটা কেমন করে বড় হচ্ছে বোঝার চেষ্টা করে তখন আমার দেশের সম্পদ বেড়ে যায়। মাটির নিচে খনিজ সম্পদ তৈরি হতে কোটি কোটি বছর লাগে, কল-কারখানায় শিল্প সম্পদ তৈরি করতে যুগ যুগ লেগে যায়। কিন্তু লেখাপড়া করে জ্ঞানের সম্পদ তৈরি হয় মুহূর্তে মুহূর্তে।
.
আসলে সেটি পারব না। কাজেই আমাদের স্বীকার করে নিতেই হবে শুধু পরীক্ষার রেজাল্ট কিংবা জিপিএ ফাইভ দেখে একজন ছেলে বা মেয়ের বুদ্ধিমত্তা যাচাই করাটা নেহাতই বোকামি। আমাদের চোখ কান খোলা রেখে দেখতে হবে একটা শিশুর মাঝে আর কোন্ কোন্ দিকে তার বিচিত্র বুদ্ধিমত্তা আছে। আমাদের নিজেদের ভেতর যদি বিন্দুমাত্র বুদ্ধিমত্তা থাকে তাহলে আমরা কখনোই শুধু পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে একটা ছেলে বা মেয়েকে যাচাই করে ফেলার চেষ্টা করব না। আমার সেসব ছেলেমেয়ের জন্য খুব মায়া হয়, যাদের বাবা-মা শুধু পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পাওয়ানোর প্রতিযোগিতায় নিজেদের সন্তানদের ঠেলে দিয়ে তাদের কৈশোরের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছেন! তাদের থেকে বড় দুর্ভাগা মনে হয় আর কেউ নেই!
|
![]() |
নারী বড় না পুরুষ বড়? এ যেন এক চিরকালীন দ্বন্ধ। পুরুষদের মধ্যে আছে অনেক উগ্রবাদী ( নাট-কেইস )!! নারীদের মধ্যে তেমনি অভাব নেই। কোনো কোনো পুরুষ দাবী করে, স্রষ্টার উৎকৃষ্ট সৃষ্টি হলো 'পুরুষ', নারীর অবস্থান অনেক নীচে। আবার ধর্মের ব্যাখ্যা-ও এসে যায়। যেহেতু ধর্মগুলো পুরুষ দ্বারাই পরিচালিত। এক্ষেত্রে সমগ্র পুরুষ, এই বৈষম্যের দায় এড়াতে পারে না।
.
তেমনি কিছু নারী, নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন যুক্তি তোলে ধরে। আর 'মা' শব্দটিকে এমনি এক জায়গায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে, তা যেন নারী উগ্রবাদীদের বড় রকমের হাতিয়ার। মা সন্তান জন্ম দেয়, অতএব স্বর্গ নিয়ে দাবী করা, উগ্রবাদী নারীদের অধিকার। যেন উদর পূর্ণ হলেই, কারো চরণ-তলে স্বর্গ আপনাআপনি চলে আসে।
.
তাই যদি হয়, তবে বলব, একটি কুকুরী, একের অধিক সন্তান জন্ম দেয়। তার গর্ভ-যন্ত্রণা অনেক বেশী, তাই স্বর্গ বলতে কিছু যদি থাকে, তা কুকুরীর চরণ-তলে অধিক উজ্জ্বল। এই প্রসঙ্গে আরও লিখেছি ফেসবুকে, আবার-ও লিখছি, নারী-পুরুষ তর্ক শুধু মূর্খতার পরিচয় বহন করে। মানুষ নামের সত্বাটির আদিতে পৌঁছার জন্য চাই, জ্ঞান অন্বেষণ। মানুষ বড় হয় জ্ঞানে, লিঙ্গ পরিচয়ে নয়। জ্ঞান জেগে উঠলে, লিঙ্গ পরিচয় আপনা-আপানি দূরীভূত হয়। ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে, কেউ কেউ এখন সমগ্র পুরুষের দিকে আঙ্গুল তোলতে শুরু করেছে, সে সকল মূর্খদের জন্য। যারা বিচার করার ক্ষমতা রাখে না, সমস্যার উন্নতির বিপরীতে, যেন নতুন লিঙ্গ-বৈষম্য তৈরীর ব্রত গ্রহণ করেছে। ধর্ষণের জন্য, ধর্ষকের মা-ও সমভাবে দায়ী। সে তার পুত্র সন্তানকে, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখাতে পারে নি। যে জ্ঞান, হয়ত ধর্ষকের মায়ের-ও ছিল না। যেমনটি চতুষ্পদী কুকুরীর নেই। যদিও চতুষ্পদী কুকুরীর সন্তান-রা, কখনও-ই ঐ কলঙ্কের দায়ে, দায়ী হয় না !!
|
![]() |
.
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জেলখানায়, মুক্তিযুদ্ধে থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না, কারন চামচারা বুদ্ধি দেবার সুযোগ পায় নাই।
.
আমি বিশ্বাস করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৭মার্চের ভাষণে 'জিয়ে পাকিস্তান' বলেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৭মার্চের ভাষণে 'জিয়ে পাকিস্তান' বলেছিলেন- এই তথ্য অনেক পুরানো। আহমদ ছফাসহ অনেকে অনেক আগেই এই তথ্য প্রকাশ করছেন। ৯৬-এর লীগ সরকার ক্ষমতাসীন থাকাবস্থাতেও এই আলোচনা বারবার হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ 'জোছনা ও জননীর গল্প' এবং 'দেয়াল'- এই তথ্য সন্নিবেশিত করলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তবে বিষয়টি প্রথমে সামনে আনেন কবি শামসুর রহমান। জাষ্টিস হাবিবুর রহমান তার বিখ্যাত গ্রন্থের প্রথম সংস্করনে এই তথ্য প্রকাশ করলেও পরবর্তী সংস্করনে তা পরিমার্জন করে বাদ দিয়া হয়েছিল বা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেনের লেখাতেও এই তথ্য আছে। এ কে খন্দকার আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী থাকাবস্থায় প্রকাশিত 'মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর' গ্রন্থেও একই তথ্য প্রদান করেছেন। সুতরাং এ কে খন্দকার প্রথম বা নতুন করে এই তথ্য দেন নাই।
মনে রাখতে হবে, ৭মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার অফিসিয়াল ঘোষণা ছিলোনা। বঙ্গবন্ধু তখন অবিভক্ত পাকিস্তানের নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ট দলের প্রধান এবং ভাবী প্রধানমন্ত্রী পদের ন্যায্য দাবীদার ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে নিজ দায়িত্ববোধ এবং কৌশলগত কারনে "জিয়ে পাকিস্তান" বলা যৌক্তিকভাবে স্বাভাবিক। যেমন একই কারনে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে তার অবদান খাটো হয়ে যায় না, খাটো হয়ে যায় নাই।
.
বঙ্গবন্ধু সুপারম্যান ছিলেন না। তিনি রক্তমাংসের মানুষ ছিলেন। সুতরাং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালবাসতে হবে।
.
যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বানিজ্য করেন, বঙ্গবন্ধুকে বেচে জীবিকা নির্বাহ করে, যাদের শ্রদ্ধায় ঘাটতি আছে তারাই বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা। তাদের স্বার্থ আর মুনাফা অর্জনের কারনেই বঙ্গবন্ধুর সুপারম্যান হওয়াটা জরুরী, সুপারম্যান বানানোর প্রক্রিয়া চালু থাকাটা ভীষণ দরকারী। এই অবিবেচকের দল বঙ্গবন্ধুকে ৭মার্চের ভাষণ আর মুজিবকোটে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। এই বঙ্গবন্ধুজীবীদের কারনে ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি এই সিদ্ধান্তে পৌছায় যে "মুজিব কোট পড়িয়া একটা উজ্জিবিত ভাষণ দিয়া স্বাধীনতা অর্জন করা গেলে পৃথিবীতে পরাধীন বলিয়া কোন দেশ থাকিতো না" তবে দুঃখিত হলেও অবাক হবার অবকাশ থাকবেনা।
.
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন, তার সকল সীমাবদ্ধতা নিয়েই তিনি অবিসংবাদিত নেতায় পরিনত হয়েছিলেন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় তার সফলতা ব্যার্থতা লক্ষ-কোটিবার কঠোরভাবে সমালোচিত হতে পারে, সমালোচনা করার অধিকার সংবিধান দিয়েছে। তাতে বঙ্গবন্ধু খাটো হননা, তাতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা হয়না। বঙ্গবন্ধু খাটো হন যখন তাকে সুপারম্যান বানানোর চেষ্টা চলে, যখন তাকে ফ্যান্টাসির চরিত্রে পরিনত করার ধারাবাহিক কর্মজজ্ঞ চালমান থাকে। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে চামচা আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বানিজ্য করা গোষ্ঠী শুধু নয়, বঙ্গবন্ধুর পরিবার এবং উনার কণ্যাও বঙ্গবন্ধুকে ক্রমাগত ফিকশনের চরিত্রে পরিনত করে চলেছেন, পরিনত করার কাজে উতসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন।
|
![]() |
বিএনপি ও আওয়ামীলীগ ‘জনগণের’ নামে ও ‘রাজনীতির’ নামে লুটপাট করে চলেছে।
.
কিছুদিন পরেই সব দলের অংশগ্রহণে আবার নির্বাচন হবে।’ (সূত্র: বিভিন্ন সংবাদপত্র, টিভি, বেতার)। মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই এখন এই বক্তব্য প্রকাশ্যে ও মিডিয়ায় অস্বীকার করছেন।
।
আমাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার, কথা বলে তা ফিরিয়ে নেওয়া, কথা অস্বীকার করা, ভুল স্বীকার না করা—এগুলো কোনো ‘অন্যায়’ বলে বিবেচিত হয় না। রাজনীতিবিদেরা নিজেরাই একটা ধারণা তৈরি করেছেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।’ এ কথার কোনো অর্থ হয় না। একমাত্র সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর রাজনীতিকেরাই এমন কথা বলতে পারেন। যাঁরা এ কথাটি বলেন, বুঝতে হবে, তাঁরা আদর্শের রাজনীতি করেন না, ধান্দার রাজনীতি করেন।
।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হলেও সরকারের এজেন্টরা বোমাবাজি করতে পারে, গাড়ি পোড়াতে পারে, সম্পত্তি ধ্বংস করতে পারে। এগুলো যে বিএনপি বা জামায়াতই করছে, তা প্রমাণ করা যাবে কীভাবে? সরকারই এ রকম ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে বিএনপি বা ২০-দলীয় জোটের প্রথম কাতারের নেতাদের সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। লোকের কাছেও তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হতে পারে। গত আন্দোলনের সময় সরকার যদি গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগে সেলিমা রহমানকে গ্রেপ্তার করতে পারে, তাহলে বিএনপির সব নেতাকেই গ্রেপ্তার করা যায়। সরকারের যে এ রকম নীলনকশা নেই, তা কে নিশ্চিত বলতে পারেন? এই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রস্তাব, বোমাবাজি, গাড়িতে বা বাসে আগুন দেওয়া, সম্পত্তি ধ্বংস করার কাজে যারা যুক্ত থাকবে, প্রথমত, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কারণ, প্রধানত তারাই প্রকৃত অপরাধী। অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা ও শাস্তি দেওয়াই হলো আইন। বাস্তবে দেখা যায়, সরকার তাদের গ্রেপ্তার না করে ‘পরিকল্পনাকারী’, ‘অর্থ জোগানদাতা’ অভিযোগে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করে।
।
আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কথা বলছি। সাধারণ ভোটারদের কথা বলছি না। তাঁরা যে গত সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি, তার কী হবে? বিএনপি ও আওয়ামী লীগের লাঠালাঠির জন্য তাঁদেরও কি আরও পাঁচ বছর ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে? ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে আবার প্রমাণিত হয়েছে যে সাধারণ মানুষ (ভোটার) রাজনীতিতে কোনো ফ্যাক্টর নয়। বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থই প্রধান ইস্যু। তারাই ‘জনগণের’ নামে ও ‘রাজনীতির’ নামে লুটপাট করে চলেছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন কবে হবে জানি না। আদৌ কি হবে?
।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: মিডিয়া ও উন্নয়নকর্মী।
|
![]() |
.
আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধা ছিলাম পাকিস্তানীরা ছাড়া।
.
গল্পের সেই ফেরিয়ালা মুক্তিযুদ্ধারই ছিল প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা, এদের অভিশাপেই ইতিহাস বার বার বিকৃত হছে। বাংলা ভাষাতে যাদের মায়া ছিল তারা সবাই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধাই ছিল। আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধা ছিলাম পাকিস্তানীরা ছাড়া।
|
![]() |
মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান কে অংশ নিতে নাও দেয়া হতে পারে,জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুইটি মামলা নিয়ে সরকার সেই ভাবেই এগুচ্ছে ।
.
দেশে এখন গনপ্রজাতন্ত্রী নয় গুমপ্রজাতন্ত্রী সরকার চলছে,আর যার নায়িকা শেখ হাসিনা,তিনি সাগর-রুনির পক্ষ না নিয়ে পক্ষ নিচ্ছেন শামীম ওসমানের মত গডফাদারের।!
.
---- তুহিন মালিক।
|
![]() |
‘আমার চোখের পানির দাম নাই’
.
বয়স হলে চোখের পানি কি শুকাতে থাকে? আমি জানি না অন্য কারও হয় কি না। কিন্তু আমার হয়।
গত ৩০ আগস্ট মৌলিক অধিকার রক্ষা কমিটি গুমের শিকার মানুষদের স্বজনদের নিয়ে একটি বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে তাঁরা একের পর এক হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিচ্ছেন। শুনে চোখের পানি ধরে রাখা অসম্ভব। তাকিয়ে দেখি, ড. কামাল হোসেনের দুচোখভরা পানি। যতবার তাকাই, দেখি চোখে অশ্রু তাঁর। আমার তবু চোখে পানি আসে না। শুধু রাগে-দুঃখে শরীর গনগনে হয়ে ওঠে। এত সস্তা মানুষের জীবন, এত অবলীলায় প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে উধাও করে দেওয়া যায় এ দেশে?
.
প্রথম আলো তার পরদিন শিরোনাম করেছে: ‘তারা কাঁদলেন, কাঁদালেন!’ হ্যাঁ, সেদিন আমার সবাই কেঁদেছি সেখানে। অবাক হয়ে এ-ও লক্ষ করেছি, কিছু মানুষ তাঁর স্বজনের হত্যাকাণ্ড বা গুমের বিচার পর্যন্ত চাইছেন না। তাঁরা শুধু জানতে চাইছেন, মেরে ফেলা হলে কোথায় পুঁতে (লক্ষ করুন, কবর নয়, একাত্তরের মতো পুঁতে রাখার জায়গা!) রাখা হয়েছে তাঁদের বাবা বা সন্তানকে! পাশে দাঁড়িয়ে প্রাণভরে শুধু দোয়া পড়তে চান তাঁরা! শুধু এটুকুর জন্য তাঁদের হৃদয়ছোঁয়া আকুতি জানাতে হচ্ছে দেশের সবচেয়ে পরাক্রমশালী মানুষটির কাছে!
.
আমি জানি, আওয়ামী লীগের অনুগতরা এটুকু পড়ে ভাবতে শুরু করেছেন, বিএনপির আমলে কি হত্যাকাণ্ড হয়নি? তখন গুম হয়নি? হ্যাঁ হয়েছে! হয়েছে বলেই তার তীব্র নিন্দা হয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ তখন বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল র্যাবকে বিলুপ্ত করার ও হত্যাকাণ্ডের বিচার করার। দলটির নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার।
.
এবারের নির্বাচনে এসব প্রতিশ্রুতির ধারেকাছেও আর যায়নি আওয়ামী লীগ। বরং নির্বাচনের মাধ্যমে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার যে অধিকার ছিল বাংলাদেশের মানুষের, তা এড়িয়েছে ৫ জানুয়ারির বিদঘুটে নাটক সাজিয়ে। এই নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য ঘটেছে অনেক গুমের ঘটনা, হয়তো ঘটবে আরও।
.
র্যাব এখন কিছুটা নিরস্ত। পুলিশকে দিয়ে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল কাজ। পুলিশের তাতে হয়েছে পোয়াবারো। সন্ত্রাসীর সাহস বেড়েছে কয়েক গুণ। গুম কমেছে, বেড়েছে খুন। নদীতে ভেসে এসেছে লাশের পর লাশ! কার লাশ, কোথাকার লাশ, জানার উপায় নেই কারও।
.
এ দেশে এমন রহস্যময় ঘটনাই ঘটছে। এবার অবশ্য কিছু বেরসিক পত্রিকা প্রশ্ন তুলেছে র্যাবের অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা নিয়ে। কেউ কিছু টের পেল না, কোথাও কোনো উদ্ধার অভিযানের আলামত নেই, কীভাবে হঠাৎ এত অস্ত্র উদ্ধার হলো দেশে! আর ভারতের কর্তাব্যক্তিদের সফরের আগে আগেই কেন বারবার অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে?
.
গুমের শিকার একটি পরিবারের চোখের পানির দাম হয়তো নেই। কিন্তু এমন অসংখ্য চোখের পানি এক হলে সেই স্রোতে ভেসে যায় সবচেয়ে নির্মম শাসকগোষ্ঠীও। দেশে না হলেও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হয় সেনানায়ক, গোয়েন্দাপ্রধান এমনকি সরকারপ্রধানের। আমাদের বর্তমান সময়েই ঘটছে এসব।
চূড়ান্ত বিচারে কেউ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়। এই ইহকালে বিভিন্নভাবে বিচার হয়েছে অসংখ্য পরাক্রমশালী মানুষের। কখনো দেশের মানুষের আদালতে, কখনো সৃষ্টিকর্তার অপঘাতে, কখনো আন্তর্জাতিক বিবেকের মানদণ্ডে।
আমাদের পরাক্রমশালীরা কত দিন অবজ্ঞা করতে পারবেন এসব বাস্তবতা!
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
|
![]() |
জন্মের মিথ্যা অহংকারে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত বা মূর্খে কোনোই তফাৎ নেই।
.
একটি সুন্দর সমাজ, দেশ তৈরীর জন্য, একটি মতাদর্শ হয়ত জগতের সর্বত্র সমানভাবে সমাদৃত হবে না। ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ধর্মীয় অবস্থান ইত্যাদি - - - -প্রতিবন্ধকতার কারণ। আর সর্বত্র একই মতবাদ কায়েম হোক, তা কাম্য নয়। পৃথিবী হারাবে তাঁর বৈচিত্র্য। সে যাই হোক, যে কোনো মতাদর্শই হোক রাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র, কোনো কিছুই মানুষকে উন্নত-মানব করে তোলে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে দেশের মানুষ আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান্ না হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত সে সমাজের অধিকাংশ মানুষ, বিবেকের অনুশীলনে দয়াবান না হচ্ছে।
.
আমরা স্বীকার করি বা না করি ( যারা শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে, তাদের নিকট ), এখনও কি সকল মানুষ-কে, মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য, মন-প্রাণে প্রস্তুত হয়েছি। আমরা সকলেই জানি, কিছু কিছু সময়ে আমরা ঢাহা মিথ্যা কথা বলি। সে মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ হওয়া তো দূরের কথা, মিথ্যার সাফাই-ও গাওয়া হয়। যেমন ধরুন, কোনো এক ধর্মীয় পরিবেশে, জনৈক বক্তা মানুষ-কে সাবধান করে দিলেন এই মর্মে, মানুষ যেন অপর মানুষকে বিত্তের ভিত্তিতে হেয় চোখে না দেখে। দেখা যাবে, উপস্থিত সকলেই এত উত্তম জানে বা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে যে, ঐ মানুষেরা কেউই আর দরিদ্রকে, হেয় চোখে দেখবে না। কিন্তু বাস্তব-সত্য হচ্ছে, ওই অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই, পুরনো চরিত্রে ফিরে যাবে। কেননা, একই কথা এর আগে প্রতিটি মানুষ, বহুবার শুনেছে। আর এখানে অধিকাংশ-ই যে, মিথ্যাবাদী তা কিন্তু পরষ্পরে জানে। তথাপি, কেউ কারোর অভিনয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। আহা! বললেই তো অপর পক্ষ বিদ্রোহ করে, যে পক্ষ দোষ ধরেছে, ঐ পক্ষ-কে ঘায়েল করবে। এ জন্য আমরা, মিথ্যার অভিনয় করে করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এবং গরীবের সম্মান কিছু টাকার বিনিময়ে বিকায় কিংবা দয়া-করুণাতেও বিকায়, ইত্যাদির উপর অলিখিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
.
নৈতিক ধ্বংসের জন্য, এ রকমের মিথ্যাচার যথেষ্ট দায়ী। কেন আমরা এত মিথ্যা কথা বলি? কেনই বা আমাদের পূর্বপুরুষ, এই বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিল, সমাজে? যার ফলশ্রুতিতে দেখতে পাই, মিথ্যার চর্চা যেন মানুষের সার্বিক উন্নতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়েছে। যেখানে অধিকাংশ-ই মিথ্যাবাদী, সেখানে কারো সাফল্যের জন্য, মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, সহজে জিতে নেয়া যায় না। তাই কারো কারো সত্য বলার ইচ্ছা-টাও কখনও ক্ষেত্রবিশেষে চরম বাধার সম্মুখীন হয়। এই যে আমরা, মানুষে মানুষে ভেদাভেদকে জিইয়ে রেখেছি, অথচ বড় বড় মনীষিদের জন্ম বা প্রয়াণ দিবসে, কত না অর্থপূর্ণ কথা বলি কিংবা শুনি। কিন্তু নিজের মানুষকেই যদি আমরা ভালো না বাসতে পারি, নিজের দেশের ভিতরে যদি সাম্যকে স্থান দিতে না পারি, তবে আমরা কি করে আশা করি, আমাদের মতামত অনুসারে বিশ্ব-সমস্যা উন্নতির মুখ দেখতে পারে? আর আমাদের এই যে জাতিভেদ বা বিত্তভেদ তা কেবল আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে বলে কেউ ভাববেন না। জগতের অনেক মানুষই আমাদের এই নোংরামো নিয়ে খুব জানে!! ইউরোপের যে-সকল দেশে আমরা বসবাসের সুযোগ পেয়েছি, সেখানে যদি আমরা কোনোভাবে হেয় প্রতিপন্ন হই, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট বিষয়-টি তোলে ধরতে বিলম্ব করি না। এবং সুবিচার-ও দাবী করি। কিন্তু আমরা সেই সুবিচার বা সাম্য-দর্শন নিজের মাটিতে প্রতিষ্ঠা দিতে, একত্রিত হতে পারি না কেন?
.
একটি মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আসার পূর্ব শর্ত হচ্ছে, সমাজ কতৃক তার মানবাধিকার নিশ্চিত হওয়া। সে যদি নিজের এই অবস্থান নিয়ে সংশয় রাখে, আমি মানুষ কি না? সে যদি ভাবে, আমি তো দরিদ্র, আমি ছোটো জাত, আমার সর্ব-বিষয়ে কথা বলার অধিকার নেই। আমার কথায় সমাজের ধনী বা শিক্ষিত অপরাধ নিতে পারে। তা হলে কি করে, সে-রকমের মানুষ-কে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা যাবে? এবং কখনও কি আমরা, আমাদের মানুষকে অস্বীকার করতে পারি, যদি একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি? মুখে মুখে সমৃদ্ধশালী উচ্চারণ করলেই কি হওয়া যাবে, দেশের যে স্থানে যে-ই রয়েছে, প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা কাম্য। এখন একটি মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিজের মূল্যায়ন নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না, সে তো দেশের জন্য একটি শক্তি বলে, সামগ্রিক-শক্তির সাথে পূর্ণভাবে একাত্ম হতে পারছে না। সুতরাং নিজের জন্য যেমন সে বোঝা, তেমনি দেশের জন্য-ও। চিন্তাশীল মানুষ মাত্রেই সহজে বুঝতে সক্ষম হবেন যে, যে-কোনো মূল্যে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। যার প্রথম বিশেষ দিক্-টি হচ্ছে, শিশু-শিক্ষাতে। যত সময়ই লাগুক না কেন, এর বিকল্প কিছু নেই। উন্নত দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, বিত্তহীন বলে কেউ কোথাও অবহেলার শিকার হয় না।
.
আমাদের জন্ম নিয়ে একটি চিন্তা করা যাক। কেউ ধনীর ঘরে, কেউ মধ্যবিত্তের ঘরে, কেউ দরিদ্রের ঘরে, আর কারো অবস্থা অবর্ণনীয়। এখানে ধনীর ঘরে জন্মানো মানুষটি, যদি নিজেকে উন্নত মনে করে, তা হবে তার মূর্খতা। যদি প্রশ্ন করা হয়, সে কি ইচ্ছে করে, ধনীর ঘরে জন্ম নিয়েছে, কি প্রমাণ আছে? যার জন্ম হয়েছে ফুটপাতে, সে কি অপরাধ করেছিল? বা ধনীর ঘরে জন্মানো মানুষটি, কি ব্যখ্যা দিয়ে নিজের অবস্থান উঁচু স্থা্নে রাখতে পারে? জন্মের কোনো কিছুই ব্যাখ্যার দাবী রাখে না, অন্ততঃ পঞ্চ-ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য মানুষের সে ব্যাখ্যা করার যোগ্যতা নেই। সে তো ইন্দ্রিয়াতীত ( অতীন্দ্রিয় ) জ্ঞান। মানুষকে মনে রাখতে হবে, তার জন্মের পিছনে নিজের কোনোই কৃতিত্ব ছিল না, জন্ম তার ইচ্ছাকৃত নয়, মৃত্যূ-ও ইচ্ছাকৃত নয়। তবে অজ্ঞানতার দাসত্বে থাকা বা না থাকা, নিজের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। জন্মের জন্য কেউ দায়ী নয়, জন্মদাতাকে দোষারোপ চলে, ভূমিষ্ঠ শিশুকে নয়। সকল কথার বড় কথা, মানুষ বলে স্বীকৃতি নিশ্চিত করা। কিন্তু জন্মের এই মিথ্যা অহংকারে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত বা মূর্খে কোনোই তফাৎ নেই।
|
![]() |
.
তোমাদের যার যা ফোতোয়া আছে তাই মারো , সমস্ত গ্রামবাসী কে মসজিদে আনো।
জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, বাংলাদেশটা আমার চাই।
|
![]() |
মুজিবের দুঃশাসন, জিয়ার দুঃশাসন, এরশাদের দুঃশাসন, সব মেনে নিলাম।
.
হে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা আর আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া, ১৯৯০-এর পর থেকে আপনারা পারিবারিক স্বৈরশাসন দ্বারা কোন গনতান্ত্রিক সুশাসনের প্রতিষ্টা করেছেন!! ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই দলদাস আর অযোগ্য তাবেদারদের নিয়ে সংঘবদ্ধ লুটতারাজে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাবার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া, লিপ্ত থাকা কোন সুশানের নমুনা!! বাবর, মোহসীনদের মন্ত্রী বানানো কোন গনতন্ত্রের চর্চা!! কোন আইনের শাসন রক্ষায় শামীম ওসমান, সালাহৌদ্দিন কা...দের চৌধুরীদের হেফাজত করতে হয়!!
.
হে নেতৃদ্বয়, লুটপাট'তো অনেক হলো। গত চব্বিশ বছরে নিজেদের পরিবার-পরিজন আর সন্তানদের যতটা সহায় সম্পত্তির মালিক বানিয়েছেন তা চৌদ্দপুরুষেও শেষ হবেনা। এবার সিন্দাবাদের ভুতের মত দেশ এবং পার্টির কাধে চেপে না থেকে নামুন।
.
আপনাদের বয়স'তো আর কম হলনা। আপনারা অমর নন। দেশের কথা বাদ দিন, একবার ভেবেছেন কি আপনাদের মৃত্যুর পরে পার্টির কি হবে!! কত ভাগে বিভক্ত হবে লীগ আর দল!! দেশের জন্য স্বার্থ ত্যাগ না করতে পারেন, পার্টিকে বাচিয়ে রাখার জন্য ব্যাক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করুন। পার্টির গনতন্ত্রায়ন করুন। যোগ্যদের যোগ্য পদে বসান। পারিবারিক বলয় ভেঙ্গে পার্টিকে জনগনের পার্টিতে পরিনত করুন।
.
এই কথা শুধু আমার নয়, বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ আজ এমনই ভাবে। একজন সচেতন পন্ডিত থেকে শুরু করে নিরক্ষর দিনমজুরের ভাবনা এই একটা বিন্দুতে মিলে যায়। অবশ্য আপনাদের তাতে কিছু যায় আসেনা। কারন আপনাদের সাথে আছে গৃহপালিত একপাল দলদাস কর্মী আর অন্ধ সমর্থক। এই একপাল দলদাস অন্ধ কর্মী-সমর্থকের কারনেই সাধারন দেশ ও জনতার কল্যানে আপনাদের ব্যাক্তিস্বার্থ ত্যাগ করার ইচ্ছা হয়না, ব্যাক্তিস্বার্থ ত্যাগের মহত্ববোধ জাগেনা।
.
হে মহান নেতৃদ্বয়, আপনাদের দোষ নাই, দোষ আপনাদের চরিত্রের, আপনাদের সীমাহীন লোভের; আর দোষ আমাদের নিয়তির।
.
Ripon Canada: বাংলার মানুষ এতই বিরক্ত যে এদের জনগনের হাতে ছেড়ে দিলে এদের কোন অংশই হইতবা খুঁজে পাওয়া যাবে না, এটা কি তারা জানে?
|
![]() |
তারেক রহমান ছিলেন মাস্টারমাইন্ড - ২১ আগস্ট
.
গ্রেনেডের আওয়াজ। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন৷ চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষের চিৎকার ও আর্তনাদ শোনা যায়। রক্তের স্রোতে রাজপথ ভেসে যায়। কারও পা নেই, কারও হাত নেই; কারও শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেছে স্প্লিন্টারের আঘাতে। কর্মীরা কেউ রিকশায়, কেউ হেঁটে মুমূর্ষু ব্যক্তিদের কাছাকাছি কোনো ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিয়ে ছুটেছেন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য রেহাই পেলেও আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং কয়েক শ আহত হন। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের সদস্যরা নির্বিকার। কারও গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি।
.
এই নৃশংস ঘটনার পর থেকেই বিএনপি নেতারা বলতে লাগলেন, এটি আওয়ামী লীগের কাজ। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দাবি করলেন যে সরকারের সাফল্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভীত হয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরানোর উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতারা সংসদের ভেতরে ও বাইরে বক্তৃতা-বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের ওপরই দায় চাপাতে থাকলেন।
.
অথচ গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা, তিনি তখন বিরোধী দলের নেতা। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরই তাঁর অবস্থান। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। প্রথমত, সরকার সেই দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, তদন্তের নামে সরকার যা করেছে, তা কেবল কল্পকাহিনি নয়, আজগুবি গল্প। তদন্ত কর্মকর্তারা জজ মিয়া নামে এক যুবকের মুখ দিয়ে মনগড়া জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। জজ মিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখের সঙ্গে তিনি সেদিনের গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু গ্রেনেড কী বস্তু, তা তিনি জানেন না।
.
এই জবানবন্দির বিনিময়ে সিআইডি পুলিশ জজ মিয়ার মাকে প্রতি মাসে ভরণপোষণের টাকা দিত। মামলার তদন্তে ছিলেন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ও মুন্সী আতিকুর রহমান। তাঁরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই কাজ করেছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, এই পৃষ্ঠপোষকের পৃষ্ঠপোষক কে ছিলেন? বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তদন্তকাজ এভাবেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলাটি পুনঃ তদন্ত করলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে যে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সহায়তায় হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলা চালায় এবং সেই হামলায় নেতৃত্ব দেন উপমন্ত্রীর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন।
.
তিনিই পাকিস্তান থেকে গ্রেনেডগুলো নিয়ে আসেন। আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনার পর তাজউদ্দিন ও অন্য জঙ্গিদের বিদেশে পার করে দিতে সহায়তা করেছেন।
.
ঘাতক বা হামলাকারীদের সব সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এ অক্ষমতা ক্ষমা করা যায়। কিন্তু জেনেশুনে যদি কোনো সরকার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে ভুয়া ঘাতক ও ভুয়া হামলাকারী আবিষ্কার করে, তাদের দিয়ে মুখস্থ জবানবন্দি দেওয়ায়, সেটি অমার্জনীয়। ২০০৪ সালে ক্ষমতাসীন খালেদা জিয়ার সরকার সেই কাজটিই করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিএনপির কোন কোন নেতা জড়িত ছিলেন, সেটি হয়তো প্রমাণসাপেক্ষ। কিন্তু তৎকালীন সরকার যে ঘাতকদের বাঁচাতে নানা ফন্দিফিকির করেছে, মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে, সেসব মোটেই মিথ্যা নয়। মিথ্যাচারের এই প্রকল্পের দায় সরকারের প্রধান খালেদা জিয়া এড়াতে পারেন না।
.
তারেক রহমান ছিলেন মাস্টারমাইন্ড। হাওয়া ভবনে ঘাতকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে প্রমাণিত হবে, কার দাবি সঠিক।
.
বিএনপি নেতারা তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলেও নিশ্চয়ই এ কথা বলতে পারবেন না যে এই মামলার অন্যতম আসামি মাওলানা তাজউদ্দিনকে তাঁরা পার করে দেননি। তাঁরা এ কথাও বলতে পারবেন না যে সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় তাজউদ্দিন একাধিকবার সহযোগীকে নিয়ে বৈঠক করেননি। তাঁরা এ কথা বলতে পারবেন না, ঘটনার পরপরই আলামত নষ্ট
করা হয়নি। তাঁরা বলতে পারবেন না যে সরকারের অধীনে কোনো সংস্থার কর্মকর্তারা হত্যাকারীদের সাহায্য করেননি।
.
নিজের এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য খালেদা জিয়াকে অবশ্যই সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। দলের বা সরকারের যাঁরা ২১ আগস্টের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যাঁরা অপরাধীদের বাঁচাতে চেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে, দল থেকে বের করে দিয়েই সেটি সম্ভব। তাঁকে মনে রাখতে হবে, ১৫ আগস্টের মতো ২১ আগস্টের ঘটনা রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
.
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
|
![]() |
উদ্যোগ সন্দেহজনক, উদ্দেশ্যও সন্দেহজনক- সাংসদ যাহা বলিবে বিচারক তাহা করিবেন।
.
সংসদের কাছে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরে এলে ভবিষ্যতে কোনো বিচারককে চাকরিচ্যুত করতে চাইলে বর্তমান সরকারের কোনোই সমস্যা হবে না।
এ রকম একটি বাস্তব আশঙ্কা সামনে রেখে উচ্চ আদালতের বিচারকদের পক্ষে কি স্বাধীনভাবে কাজ করা সম্ভব? বিশেষ করে, সেসব মামলায় যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির অভিযোগ থাকে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে?
।
উচ্চ আদালতের কোনো কোনো বিচারপতি কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন (যেমন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জামিন প্রদান), যা কিছুটা হলেও সমস্যা তৈরি করেছিল সরকারের জন্য। বিশেষ করে, উচ্চ আদালত নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলায় র্যাবের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় বেশ বিপাকে পড়ে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী এ নিয়ে উচ্চ আদালতের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন প্রকাশ্যে।
।
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে আনার পক্ষে সবচেয়ে জোরালো যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এই একই রকম ব্যবস্থা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাসহ পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে অনুসৃত হচ্ছে। এই যুক্তি আলোচনার আগে আমি কলেজজীবনের একটি অভিজ্ঞতা বলি। ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের প্রিয় একটি বিষয় ছিল যুক্তিবিদ্যা। সেখানে অবরোহ পদ্ধতিতে যুক্তি দেওয়ার একটি উদাহরণ ছিল এ রকম: মানুষ মরণশীল, বানর মরণশীল, অতএব মানুষ হচ্ছে বানর।
এটি অনুসরণ করে মানুষকে গাধা, খচ্চর ও জিরাফও বানিয়ে দেওয়া সম্ভব। এই পদ্ধতির গলদ হচ্ছে, এতে শুধু একটি সাদৃশ্যের ওপর নির্ভর করে অন্য বহু বৈসাদৃশ্য উপেক্ষা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়। আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করেছি, এই পদ্ধতি বহু লেখক, আলোচক ও বুদ্ধিজীবী অনুসরণ করে সরকারের উদ্দেশ্যমূলক কোনো কাজের পক্ষে ওকালতি করে থাকেন। বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা উন্নত গণতন্ত্রে সংসদের কাছে আছে, এটি সত্যি; কিন্তু সেখানকার সংসদ বা আইন বিভাগ বাংলাদেশের মতো প্রশ্নবিদ্ধভাবে গঠিত নয়। সেখানে বিরোধী দলের কার্যকর ভূমিকা রাখার অবকাশ আছে, সংসদে আলোচনা এবং নিয়োগ শুনানিকালে সাংসদেরা নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন, সেখানে সংসদ, মন্ত্রিসভা ও সরকারি দল এক ব্যক্তির একচ্ছত্র কর্তৃত্বাধীন নয় এবং বিচারকসহ সব জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে দলীয়করণের সুযোগ অবারিত নয়। সেসব দেশের তুলনা তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রাসঙ্গিক হবে?
।
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
|
![]() |
শামসুজ্জোহার মুক্তি চাই।
.
শুনলাম তথ্য প্রযুক্তি আইনে গতকাল আরেকজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামসুজ্জোহা নামের এই ভদ্রলোক আমার ফেইসবুক বন্ধু ছিলেন। একসময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। র্যাবে প্রেষণে থাকা অবস্থায় শায়েখ আব্দুর রহমানের গ্রেপ্তার অভিযানে একজন কমান্ড্যার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে জানতাম। তিনি ফেইসবুকে কয়েকবার আমার সাথে নানা বিতর্কে লিপ্ত হলেও সেনাবাহিনীর গ্রুমিং থাকার কারণে তিনি কখনো আমার সাথে অসৌজন্য প্রকাশ করেননি। বি ডি আর বিদ্রোহে তাঁর প্রিয় কমান্ড্যার কর্নেল গুলজার নিহত হওয়ায় সে সবসময় একটা কালো ব্যাচ নিজের প্রো পিক হিসেবে ব্যবহার করতো।
.
আমার জানা মতে, শামসুজ্জোহা কোন রাজনীতি করতো না, সেনাবাহিনী ছাড়ার পরে চাকরি করতো গ্রামীণ ফৌনে। শুনেছি তাকে নাকি রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে।
.
আমি সবসময় তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিরোধিতা করে এসেছি। আমি এই আইন বাতিল চাই। এই আইনে যেই গ্রেপ্তার হোক, আমি তার প্রতিবাদ করে যাবো। আমি আশা করবো সকল সেক্যুলার, প্রগতিশীল এবং মুক্তমনারা এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করবেন।
|
![]() |
"রাষ্ট্রের সব শক্তি ব্যবহার করেও এতদিনে ডুবন্ত লঞ্চ উদ্ধার করতে পারলো না।
তাহলে কদিন পর যখন নৌকাডুবী হবে তা উদ্ধারে কয়েক যুগ লেগে যাবে । " -
.
ড. তুহিন মালিক।
|
![]() |
আমাদেরও একজন সঞ্জয় মিত্র চাই - তাহলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শত দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মুখেও বুক চিতিয়ে বলতে পারবে, ‘এ আমার দেশ। এ দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’
কোনো দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা সহিংসতা হলে সেটি যে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের চেয়ে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের জন্য বড় লজ্জার বিষয়, এই সত্যটি দেশবাসীকে জানান দিলেন সঞ্জয় মিত্র নামের একজন মহান ভারতীয় নাগরিক।
.
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্রপন্থী হিন্দুদের হাতে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার প্রতিবাদে সঞ্জয় মিত্র ২১ বছর ধরে রোজা রেখে চলেছেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার সঙ্গে ব্যক্তি সঞ্জয় মিত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। সে সময়ে ভারতের অনেক স্থানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলেও সঞ্জয় মিত্র যে শহরের বাসিন্দা, সেই কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে কোনো অঘটন ঘটেনি। তার পরও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে তিনি মনে করেন, এই ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কীভাবে প্রতিবাদ হবে? একসময় সঞ্জয় মিত্র বামপন্থী রাজনীতি করতেন। তখন প্রতিবেশী মুসলিম পাড়ায় গিয়ে সদলবলে তাদের পাহারা দিতেন, যাতে দুর্বৃত্তরা কোনো ক্ষতি করতে না পারে। বর্তমানে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে। তাই ব্যক্তিগতভাবে ব্যতিক্রমী এক প্রতিবাদের ভাষা বেছে নিলেন রমজান মাসের ৩০ দিন রোজা রেখে। প্রতিবেশী মুসলমানদের সঙ্গে সময় মিলিয়ে তিনিও রোজা রাখেন, তাঁদের সঙ্গে ইফতার করেন। তাঁর মতে, এটি হলো প্রতিবেশী মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি নিজ সম্প্রদায়ের পাপমোচনের উপায়। রোজা রেখে তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষকে সংযমী হতে বলেন, হিংসা ও দ্বেষ থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দেন। সঞ্জয় মিত্র আপনাকে অভিনন্দন। অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি আপনার এই সহমর্মিতা অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
.
সঞ্জয় মিত্র ভালো করেই জানেন যে তাঁর রোজা রাখার কারণে ভেঙে যাওয়া বাবরি মসজিদটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে না। কিন্তু উগ্র হিন্দুরা মসজিদটি ভেঙে যে অন্যায় করেছেন, তার প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে। ব্যক্তিগত ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। ভারতে সে সময় অনেকেই বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদ করেছিলেন, এখনো করছেন। পশ্চিমবঙ্গের একজন বুদ্ধিজীবী বলেছিলেন, ‘ওরা বাবরি মসজিদ ভাঙেনি, ভারতের হৃদয় ভেঙেছে।’
.
মসজিদ যেমন মুসলমানদের কাছে পবিত্র, তেমনি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে মন্দিরও পবিত্র। খ্রিষ্টানদের কাছে গির্জা ও বৌদ্ধদের কাছে প্যাগোডা। ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে একজন সঞ্চয় মিত্র ২১ বছর ধরে রোজা রেখেছেন আর বাংলাদেশে যে হিন্দুদের শত শত মন্দির ভাঙা হচ্ছে, তার প্রতিবাদে সংখ্যাগুরু মুসলমান সম্প্রদায় কী করছে? রুটিন মাফিক প্রতিবাদ ও মৌখিক সহানুভূতি ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ে না।
.
৪৩ বছর ধরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটছে। কখনো কম, কখনো বেশি। পাকিস্তান আমলে প্রণীত কুখ্যাত শত্রু সম্পত্তি আইন বাতিল হলেও হিন্দু সম্প্রদায় তাদের অপহৃত সম্পত্তি ফিরে পাচ্ছে না। আইনের মারপ্যাঁচে আটকে আছে। এখনো অনেকের ঘরবাড়ি দখল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সঞ্জয় মিত্রের মতো সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কেউ সেটিকে নিজের অপরাধ মনে করে ‘রোজা’ রাখেননি। নিজ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাননি। সবাই মনে করছেন, ঝামেলা বাড়িয়ে লাভ কী? এটি সংখ্যালঘুদের জন্য নয়, বরং সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের জন্যই নিদারুণ লজ্জার ও অপমানের। একটি সমাজ গণতান্ত্রিক কি না, তা নির্ধারিত হয় সেই সমাজে বসবাসকারী প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু মানুষগুলোর নিরাপত্তাবোধের ওপর।
.
তাই বাংলাদেশেও একজন সঞ্জয় মিত্র চাই, যিনি সমাজকে পথ দেখাবেন। কেবল উপদেশ দেবেন না, নজির সৃষ্টি করবেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনের ব্যথাটি বুঝবেন এবং অন্যকে বোঝাতে সচেষ্ট থাকবেন। তিনি হয়তো অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচারণ পালন করবেন না। তবে সেই আচার পালনে যাতে কেউ বাধা না দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করবেন। তাদের এই বলে অভয় দেবেন যে, পুলিশপ্রহরা ছাড়াই আপনারা আপনাদের ধর্ম পালন করুন। কেউ বাধা দেবে না। বাধা দিলে আমি জীবন দিয়ে তাদের রুখে দেব। তাহলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শত দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মুখেও বুক চিতিয়ে বলতে পারবে, ‘এ আমার দেশ। এ দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’
|
![]() |
স্বার্থবাদী ও সংকীর্ণ রাজনীতি
.
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘রাজনীতির একটি পক্ষ এখনো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মনে-প্রাণে পাকিস্তানের অংশ হয়ে যেতে চায়। যারা জয় বাংলা বলতে লজ্জা পায়, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের সেখানেই চলে যাওয়া উচিত। (সমকাল, ১২ জুলাই ২০১৪)।
কারও নাম উল্লেখ না করলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে বিএনপিকে উদ্দেশ করেই তিনি এসব কথা বলেছেন। কোনো দলের নীতি ও আদর্শের সমালোচনা করা আর সেই দলকে পাকিস্তানের বা অন্য কোনো দেশের এজেন্ট বানানো এক কথা নয়। এখন বিএনপি বা তার সহযোগী কোনো দল ক্ষমতায় নেই। সজীব ওয়াজেদ যে দলের সদস্যপদ নিয়েছেন, সেই আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আছে মহাপ্রতাপ নিয়ে। অতএব, যাঁরা বিদেশি এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ও জনগণের স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বটা সরকারেরই। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও যারা মনে-প্রাণে পাকিস্তানের অংশ হয়ে যেতে চায়, তাদের ঠিকানা তো হওয়া উচিত জেলখানা। কিন্তু সরকার এ পর্যন্ত এই অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে বলে জানা নেই।
.
সজীব ওয়াজেদ জিন্দাবাদের বিরোধিতা করতে গিয়ে বলেছেন, এটি যেহেতু উর্দু শব্দ (আসলে এটি ফারসি শব্দ), সেহেতু বাংলাদেশে চলতে পারে না এবং যারা জিন্দাবাদ বলবে, তাদের পাকিস্তানেই চলে যাওয়া উচিত। তাঁর এই যুক্তি মেনে নিলে বাংলা ভাষাকেই নতুন করে লিখতে হবে। বহু বিদেশি শব্দের সমাহারে হাজার বছর ধরে বাংলা ভাষার ভিত তৈরি হয়েছে। উর্দু শব্দ বলে যদি জিন্দাবাদ পরিত্যাজ্য হয়, তাহলে ‘আওয়ামী’ শব্দটি কেন হবে না? এটিও উর্দু শব্দ। ‘আওয়াম’ শব্দের অর্থ গণ বা জনগণ। সেই ‘আওয়াম’ থেকেই আওয়ামী লীগ নামের দলটির সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৪৯ সালে (প্রথমে নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ)। নামের অপরাংশ ‘লীগ’ও নেওয়া হয়েছে ইংরেজি থেকে। আওয়ামী লীগের পুরো নামে কোথাও ‘বাংলা’ নেই বলে কি আমরা এটিকে বিদেশি দল হিসেবে চিহ্নিত করব? একেবারেই না।
.
আর জিন্দাবাদ স্লোগান যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁরাও এটিকে অন্যায্যভাবে জয় বাংলার বিপরীতে ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে মুসলমানি জোশ আবিষ্কার করছেন। কিন্তু অভিধান অনুযায়ী জিন্দা মানে বেঁচে থাকা, জয়ী হওয়া। সেদিক থেকে জিন্দাবাদ ও জয় বাংলার মধ্যে বড় ফারাক দেখি না। ফারাকটি করেছে স্বার্থবাদী ও সংকীর্ণ রাজনীতি। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাবহির্ভূত কোনো দলই এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এমনকি নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও নন। একজন ইতিমধ্যে পরীক্ষায় ফেল করেছেন। আরেকজন বাছাই পরীক্ষায় আছেন। দেখা যাক কী করেন?
.
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net
|
![]() |
বঙ্গবন্ধুর বংশধর সাদা চামড়ার উপর নির্ভরশীল : ড. তুহিন মালিক
.
বঙ্গবন্ধুকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বলা হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সমস্থ পরিবার সাদা চামড়ার প্রতি আসক্ত এবং তারা সবাই বিদেশে থাকেন। উনার সমস্থ বংশধর সাদা চামড়ার উপর নির্ভরশীল এবং পুরো বংশই হল খ্রিস্টান, ইহুদির বংশধর। বাংলাদেশে বাসিন্দা হয়ে যদি ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দুকে বিবাহ করা তবে রোহিঙ্গাদের বিবাহ করা যাবে না কেন? রাজার জন্য একআইন আর প্রজার জন্য অন্য। বাংলাদেশে এটা কেমন আইন?
.
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইরজীবী ড. তুহিন মালিক চ্যানেল আইয়ের ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো: ইসরাফিল আলম এমপি।
.
ড. তুহিন মালিক বলেন, ২৬ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাত বার্ষিকীর দ্বিতীয় দিন এক সমাবেশে একশ লোকও আসেনি। ঐ সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয় ঐ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না কম লোক হওয়ার কারণে। যে ব্যক্তি (সজীব ওয়াজেদ জয়) একশ লোক উপস্থিত করতে পারেন না অথচ যারা ‘জিন্দাবদা’ শব্দ উচ্চারণ করে তাদের তিনি পাকিস্তান পাঠানো কথা বলেন।
|
![]() |
ফিলিস্তিনের শিশুদের বুলেটবিদ্ধ ছিন্ন ভিন্ন লাশের খবর ইন্টারনেট ফেসবুকে স্থান পেলেও এদেশের মিডিয়াতে এতটুকু জায়গাও পায়নি।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.