|
![]() |
হারামজাদা ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের জন্মই আজন্ম পাপ।
--------------------------- লিয়াকত আলী
.
ভোটে কথা মাথায় রেখে, চরম ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় লালন পালন তোষণের কৌশল নিয়ে শেখ হাসিনা বড় বেশী মারাত্মক ভুল করে যাছেন। এই ভুল, শোধরানো তার পক্ষে আর সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। পানি অনেক দুর গড়িয়ে গেছে।
.
স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু রাজাকার আলবদর আল-শামস এবং স্বাধীনতা বিরোধিদের ক্ষমা করে যে ভুল করে ছিলেন, স্বপরিবারে জীবন দিয়ে তার মাশুল তাঁহাকে দিতে হয়েছে। এমন মহানূবভতার জন্যও কিন্তু ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নেয়নি, বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন সহযোগিতা করেনি। অধিকন্ত বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর উল্লাসে ফেটে পড়েছিল, এখনও সেই উল্লাসের রেশ কাটেনি, তাহাদের ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজনেরাও তাহা স্বগর্বে সেই উল্লাস পরম তৃপ্তির সাথে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
.
শেখ হাসিনা তোমার পক্ষেও তারা কখনও আসবেন না, তোমাকে তারা কখনো ভোট দেবে না, তোমার কোন ভাল কাজকেও তারা সমর্থন দেবে না, দিতে পারে না। তোমার ধ্বংসই তাহাদের কামনা, বাসনা স্বপ্ন সাধনা। তুমি কি করে ভাব! তারা তোমাকে ছাড় দেবে! তোমার সহযোগী হবে!
.
না, কখনও না, তারা কখনও তোমার বন্ধু হবে না, হতে পারে না। যতই তোষন পোষন, আদর আপ্যায়ন, দুধ কলা কদু মধু খাওয়াও না কেন ওদের, তেঁতুল হাফেজীদের যতই উপটোকন, সালাম পাঠাও না কেন, জামাতীদের সাথে তলে তলে যতই সখ্যতার গড়ার মহড়া দাও না কেন!
.
হারামজাম]দা কুত্তা মৌলবাদীরা, সত্য সভ্যতা মানবতা,শান্তি প্রগতি অগ্রগতির পক্ষে কখনও আসবে না, আসতে পারে না। ওদের জন্মই আজন্ম পাপ, পাপের মাঝেই ওদের আজন্ম বসবাস। তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ইং নিউ ইয়র্ক।
UnlikeUnlike · · Share
|
![]() |
'আমি একজন জামাতের সমর্থক হিসেবে বলছি আওয়ামিলীগ বা বি এন পি কেউই জামাতের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করেনি তবে বি এন পির মত এমন অকৃতজ্ঞ দল বাংলার বুকে আর একটা ও নেই এর চেয়ে আওয়ামিলীগ অনেক অংশে কৃতজ্ঞবাদী দল. তা না হলে ইনুদের মত আওয়ামী বিরোধীদের মন্ত্রী বানাত না? (কৃতজ্ঞবাদী বলতে নিজের সহপার্টিদের বেলায় বলছি) বি এন পি হল দু মুখা সাপ ওরা নিজেদের সার্থে জামাত কে বিলুপ্ত করতে ও দ্বিধা করবে না!!! তাই এখনি সময় ওদের সংঘ ত্যাগ করার অন্তত আমি চাই ।'
.
............ Nurul Ameen Ruhul (জনৈক জামাত সমর্থক)
|
![]() |
.
ডঃ কামালের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে তৃতীয় শক্তির জন্য
.
সরকার বিরোধী বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বিকল্প ফ্রন্ট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে ৪ ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন বিকল্পজোটের উদ্যোক্তারা। বৈঠকে খুব শিগগিরই ১১ দফার ভিত্তিতে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে একটি কনভেনশনের মাধ্যমে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষে সারাদেশে যুগপৎ ও যৌথ গণসংযোগের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন। তবে নতুন ফ্রন্টের নাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
.
১১ দফার মূল দফাগুলো হচ্ছে একই ব্যক্তি দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে না যাওয়ার বিধান সম্বলিত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা। গতকাল বিকেল চারটার দিকে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
|
![]() |
.
আসছে নতুন ফ্রন্ট ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে
.
প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে হচ্ছে এ নতুন ফ্রন্ট।
.
নেতৃবৃন্দ দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ধারায় দেশ পরিচালনার লক্ষ্যে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার জন্য একযোগে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
.
সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে তৃতীয় রাজনৈতিক জোট গঠনের যে প্রক্রিয়া চলে আসছিল তা নানা সময়ে বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। কয়েকটি দলের কারণে এ প্রক্রিয়া বারবার থমকে যায়। এবার এসব দলের নেতাদের এড়িয়ে নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সূত্র জানায়, দুই জোটের অংশীদার কোন শরিকও যদি নতুন জোটে আসতে চায় তাহলে স্বাগত জানানো হবে। এছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সম্পৃক্ত হতে পারবেন এই রাজনৈতিক ফ্রন্টে। এর আগে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমন্বয়ে এনডিএফ নামে নতুন একটি জাতীয় ফ্রন্টের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। পরে এ জোটের কার্যক্রম আর এগোয়নি। এ জোটের অন্যতম শরিক গণফোরাম নয়া জোটে থাকলেও বাকি দু’টি দল নতুন জোটে অংশ নিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
|
![]() |
.
অাওয়ামিলীগ অামাকে রাজাকার বলে
তাহলে এই ছবিটা কি প্রমাণ করে?
|
![]() |
.
এরশাদ বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি ও জোট সরকার তিনবার সরকারে ছিল। কিন্তু তখন তারা জিয়া ও মঞ্জুর হত্যা নিয়ে কোনো কথা বলেনি। এখন তারা আমাকে জড়িয়ে কথা বলছে। তার মানে তারা এখন আমাকে ভয় পায়। বিএনপি আমাকে দালাল বলে। আমি দালালও নই, রাজাকারও নই। আমি যদি হত্যাকারী হতাম, তাহলে খালেদা জিয়া আমার কাছ থেকে জমি নিলেন কেন? টাকা নিলেন কেন? বাড়ি নিলেন কেন?’
|
![]() |
.
বড় নেতা হওয়ার শর্ত তো বড় দেশপ্রেমিক হওয়া, সৎ দরদী আত্দত্যাগী হওয়া।
.
সেদিন ইফতার পলিটিক্স নামে মুন্নী সাহার এক অনুষ্ঠানে শরিক হয়েছিলাম। জানতাম না অনুষ্ঠানটি অমন লম্বা হবে। তারাবি সেরে বাসায় এসে ক্যামেরার সামনে বসেছিলাম। সরাসরি প্রচারে স্টুডিও এবং বাইরে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধান হয়। তাই প্রচারটা তেমন ভালো লাগেনি। তবু প্রণব সাহার অনুরোধে রাজি হয়েছিলাম। মুন্নী সাহা বড় বাস্তববাদী মানুষ। আরেকটু সহনশীল দরদী হলে, শব্দ চয়নে একটু চিন্তা করলে তার যে উদ্যম ও দৃঢ়তা তাতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। মুন্নী সাহার প্রশ্ন ছিল, 'ইফতার পলিটিঙ্ েআপনার দলের লাভ ক্ষতি কতটা?
.
আমি তাকে স্পষ্ট করে তেমন কিছু বলতে পারিনি, বলার চেষ্টাও করিনি। ধর্মকে আমি ধর্মের জায়গায় রাখার চেষ্টা করি। ইফতার পার্টি কোনো পার্টি নয়। প্রচারের জন্য ইফতার, লোকদেখানো ইফতার অধার্মিক গুনাহর কাজ। ইফতার নিয়ে বসে থাকলে সওয়াব হয়। ইফতার আল্লাহকে দেখানোর, আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার। তাই ইফতার কোনো পার্টি নয়। মানুষ বানানোর সময় ফেরেশতাদের সঙ্গে আল্লাহর বাহাস হয়েছিল। আল্লাহ যখন ফেরেশতাদের বলেছিলেন, 'দুনিয়াতে আমার প্রতিনিধি মানুষ পাঠাইতে চাই। তোমরা কি বলো?' ফেরেশতারা বলেছিলেন, 'কেন প্রভু! আমরাই তো আপনার জন্য যথেষ্ট। মানুষ পাঠালে তারা অবাধ্য হবে। রক্তারক্তি খুনাখুনি করবে।' আল্লাহ বলেছিলেন, 'আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।' মানুষ নিয়ে আল্লাহ আর ফেরেশতার সেই জানাজানির বিতর্কের একটি হলো রোজাদারের ইফতার। রোজাদার যখন ইফতার নিয়ে বসে তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের ডেকে জমিনের দিকে তাকাতে বলে জিজ্ঞাসা করেন, 'কি দেখছ?' ফেরেশতারা জবাব দেন, 'রোজাদার ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করছে।' 'কেন ইচ্ছা করলেই তো খেতে পারে। খাচ্ছে না কেন?' ফেরেশতারা আবার জবাব দেয়, 'আপনার বেঁধে দেওয়া সময়ের আগে আপনার সন্তুষ্টির জন্য তারা ইফতার করছে না।' জবাব শুনে আল্লাহর গর্ব হয়। যারা মুসলমান, যারা আল্লাহ-রসুলকে মানেন-তাদের কাছে রোজা এবং ইফতারি যে কত বড় নিয়ামত, দয়াময় প্রভুর কত বড় দয়া তারা তা বুঝেন।
.
মানুষজন ভালো কাজ করলে তাদের হরহামেশাই ফেরেশতার সঙ্গে তুলনা করা হয়। আদতে আল্লাহর বিচারে ফেরেশতা মানুষের চেয়ে বড় নয়। আল্লাহ মানুষকে ফেরেশতাকে সেজদা করতে বলেননি, বলেছেন ফেরেশতাকে মানুষকে সেজদা করতে। ফেরেশতাদের দলনেতা আজাজিল সেজদা করেনি বলে শয়তান হয়েছে। তাই দেখানোর জন্য কোনো ইফতারি বা কারও পাশে বসতে ইফতারিতে যোগ দেওয়ার জন্য মন সায় দেয় না। তাই আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে লোক দেখানোর ইফতার পলিটিঙ্ করি না। জীবনে ভুল অনেক করেছি, যে ক'দিন বেঁচে থাকব হয়তো আরও ভুল করব। তাই বলে অকারণে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করব কেন? তেমন সাহস আমার নেই। রাস্তার ভিখারী দশ দুয়ারে হাত পাততে পারে, এক দুয়ারে না পেলে আরেক দুয়ারে পেতে পারে। কিন্তু মুসলমানের দুয়ার তো একটি- মহান প্রভু দয়াময় আল্লাহ। আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলে ফিরিয়ে দিলে একজন মুসলমানের দাঁড়ানোর জায়গা কোথায়? সে তো তখন ফকিরেরও অধম। তাই দেখানোর জন্য ইফতারের রাজনীতি গুণের চেয়ে গুনাহর কাজই বেশি। আল্লাহ যেন পবিত্র রমজানে এসব গুনাহ থেকে দূরে রাখেন।
.
সেদিন ইফতার পলিটিক্স নামে মুন্নী সাহার এক অনুষ্ঠানে শরিক হয়েছিলাম। জানতাম না অনুষ্ঠানটি অমন লম্বা হবে। তারাবি সেরে বাসায় এসে ক্যামেরার সামনে বসেছিলাম। সরাসরি প্রচারে স্টুডিও এবং বাইরে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধান হয়। তাই প্রচারটা তেমন ভালো লাগেনি। তবু প্রণব সাহার অনুরোধে রাজি হয়েছিলাম। মুন্নী সাহা বড় বাস্তববাদী মানুষ। আরেকটু সহনশীল দরদী হলে, শব্দ চয়নে একটু চিন্তা করলে তার যে উদ্যম ও দৃঢ়তা তাতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। মুন্নী সাহার প্রশ্ন ছিল, 'ইফতার পলিটিঙ্ েআপনার দলের লাভ ক্ষতি কতটা?'
.
ইদানীং যারা যত বেশি সাজিয়ে-গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারে সেই বা তিনিই বড় নেতা। তিনি যেভাবে কথাটি উচ্চারণ করেছিলেন তাতে আমার মন বিষিয়ে গিয়েছিল। আমি প্রতিবাদ করে বলেছিলাম, বড় নেতা হওয়ার শর্ত তো বড় দেশপ্রেমিক হওয়া, সৎ দরদী আত্দত্যাগী হওয়া।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
|
![]() |
.
এদের কি বাংলাদেশের জন্য কোন মায়া অাছে? *এরা কি মুসলমান পরিবার? এক কথায় কি বলা যায় এদের?
|
![]() |
.
গণতন্ত্রকে অল্প কিছু লোকের হাতে কুক্ষিগত হতে দেব না : ড. কামাল
.
প্রবীণ আইনবিদ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণ এ রাষ্ট্রের মালিক- সংবিধান থেকে এটা কেউ মুছে দিতে পারবে না। মানুষের মুক্তির জন্য এখনই আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। সঠিক সময় সঠিক উদ্যোগ নিতে পারলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যাবে। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জয়ী হতেই হবে। ১৬ কোটি মানুষের গণতন্ত্র অবশ্যই আমরা প্রতিষ্ঠা করব। এটাকে অল্প কিছু লোকের হাতে কুক্ষিগত হতে দেব না। তিনি বলেন, একটি গণবিচার দরকার। কুশাসন, শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের জোয়ারের মাধ্যমে গণবিচার করতে হবে।
.
শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইয়োথ মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘মানবাধিকার-গণতন্ত্র’ জেগে উঠো বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
|
![]() |
একদিন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বিচারকদের গ্রেফতার করা হবে’ -বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
.
পুলিশ-র্যাব দিয়ে দেশকে ধ্বংস না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন কৃষক-শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি বলেন, বর্তমানে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আইনজীবীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, একদিন আসবে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বিচারকদেরও গ্রেফতার করা হবে। হাইকোর্টের ত্রিসীমানায় পুলিশের ঢোকা উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে বাঁচান। দয়া করে হাইকোর্ট অঙ্গনে পুলিশ ঢোকাবেন না। তিনি আইনজীবীদেরও সংযত থাকার আহবান জানান। কাদের সিদ্দিকী সংবিধান ছুঁড়ে ফেলা বিষয়ে আমিনীর মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়াকে টেনে আনায় বিচারকদের সমালোচনা করে বলেন, যেখানে আমিনীর বিচার হচ্ছে, সেখানে খালেদা জিয়াকে টেনে আনলেন কেন? কাজটি আপনারা ভালো করেননি।
.
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যেনতেনভাবে ও অস্বচ্ছভাবে কাজ করছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এটা করা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীর দেশের সাধারণ মানুষকে কম খাওয়ার কথা বলায় সমালোচনা করে বলেন, এ কথা বলে তিনি মানবতাবিরোধী কাজ করেছেন। তাকে এখনই মন্ত্রী পরিষদ থেকে বের করে দেয়া উচিত। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী খেতে খেতে দেশের বারআনা খেয়ে ফেলেছেন। বিদ্যুৎ সেক্টরে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তার পেটে পাড়া দিলে দেশের মানুষের বেশিরভাগ খাবার বের হবে। তার এ বক্তব্য রাষ্ট্র, জনগণ, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মশকরা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ এমনিতেই কম খাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রমজান মাসে সাংবাদিকরা তাকে রয়কট করুন। সে মিডিয়ায় কথা বললেই ১০ টাকা দাম বাড়ে। সে চুপ থাকলেই আরও দাম কমবে।
.
কাদের সিদ্দিকী সংবিধান সংশোধনের সমালোচনা করে বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যার ঈমান নেই, সে মুসলমানই থাকতে পারে না।
.
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দেশে বর্তমানে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এ অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ মানবে না।
.
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঢাবি ছাত্র কাদেরের ওপর পুলিশি নির্মমতার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, পুলিশ তার পায়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে। এখন যদি ওই পুলিশের পায়েও একইভাবে কোপানো হয় তাহলে কেমন হবে। তিনি এ ঘটনায় ঢাবি ছাত্রদের কার্যত নীরব থাকার সমালোচনা করে বলেন, ঢাবির একজন মেধাবী, নিরপরাধ ছাত্র লাঞ্ছিত হওয়ার পরও তারা নিশ্চুপ কেন? তারা ঘরে বসে রয়েছে কিভাবে? যাদের আত্মমর্যাদা নেই তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
|
![]() |
রওশন এরশাদের যে বিষয়টি সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো তা হলো, তিনিই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র নারীনেত্রী, যিনি স্বামীর জীবদ্দশায় রাজনীতিতে স্বামীর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অধিকারী হলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়েই তাঁদের নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। শেখ হাসিনা যেমন তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর অনেক পরে দলের হাল ধরেছেন, তেমনি খালেদা জিয়াও তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বছর দুয়েক পর দলের দায়িত্ব নেন। এশিয়ার অন্যান্য দেশের দিকে তাকালেও দেখা যাবে ভারতে ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তানে বেনজির ভুট্টো, শ্রীলঙ্কায় শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে, ফিলিপাইনে কোরাজন অ্যাকুইনো, ইন্দোনেশিয়ায় মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী প্রমুখ দলের নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে, হয় বাবা নয়তো স্বামীর মৃত্যুর পর। এমনকি মিয়ানমারের অং সান সু চিও তাঁর স্বাধীনতাসংগ্রামী বাবার উত্তরাধিকার হিসেবে দলের নেতৃত্বে এসেছেন।
বিশেষ করে, সরকারিভাবে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বেগম রওশন এরশাদের আসীন হওয়ার বিষয়ে সরকারি ঘোষণা (গেজেট প্রকাশের পর থেকেই যেসব আলামত মিলছে, তাতে মনে হচ্ছে জাতীয় পার্টিতে ইতিমধ্যে একটি অভ্যুত্থান হয়ে গেছে এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এখন কার্যত ক্ষমতাহীন। ক্ষমতাধর এই দাপুটে জেনারেল এখন দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার স্ত্রীর করুণার ওপর নির্ভরশীল। সে কারণেই স্ত্রীর তদবিরে এখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
|
![]() |
এ আবার কেমন মন্ত্রীসভা?
.
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম |
.
প্রবাদ আছে, যত গর্জে ততো বর্ষে না। সেটাই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রমাণ হলো। আমাদের বহুকালের একটা গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ছিল, যা ভেঙ্গে চুরমার, খানখান হয়ে গেছে। এখন আর কোন গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ, মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বালাই নেই। নেতা নেত্রীদের ইচ্ছা অনিচ্ছাই গণতন্ত্র। দেশের জন্মের বেদনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলাম তারা সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে গিয়ে অন্য মেরুতে পড়ে আছে। এখন যখন যেমন তখন তেমনের পালা। একে একে দুই বা দুইয়ে দুইয়ে চার হয় না। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে ঘাতকের বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। সে সময় যারা খুনীদের দালালী করেছে, পক্ষ নিয়েছে তারাই বরং ভাল, ফুলে ফেপে বটগাছ হয়েছে। আমরা প্রতিবাদকারিরা চিকন হতে হতে একেবারে শুটকি। একটানা ১৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। দেশে ফিরে একদিন দেখলাম ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কি অপরাধ, তিনি পাকিস্তানি এ্যাম্বাসির দাওয়াতে গিয়েছিলেন? এ্যাডভোকেট আনিসুল ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করে করে অবস্থা। লজ্জার খাতিরে তিনি নিজেই ইস্তেফা দিয়েছিলেন। সিরাজুল ইসলাম আর বঙ্গবন্ধু একই সাথে কলকাতার বেকার হোস্টেলে ছিলেন। শুনেছি, জননেত্রীর জন্মের খবরে বঙ্গবন্ধু বেশ মনমরা ছিলেন। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন, কি বলি ভাই? বাড়ীতে বউ রেখে এসেছি। ক’দিন হলো একটি সন্তান হয়েছে। হাত খালি, কি যে করি? তখন বঙ্গবন্ধুর বন্ধু সিরাজুল ইসলাম নেত্রীর জন্যে ফতুয়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনেছিলেন। তা নিয়ে বহু পরিশ্রম করে মেয়ের মুখ দেখতে বঙ্গবন্ধু টুঙ্গীপাড়ায় গিয়েছিলেন। তখন এখনকার মতো এতো সুবিধা ছিল না, এতো স্বাচ্ছন্দ্য ও ক্ষমতাও ছিল না। সেই এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাদ পড়েছিলেন। ’৯০-এর গণঅভ্যত্থানের পর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পক্ষে আইনজীবি হওয়ায় এক সময় আওয়ামী লীগ করতে পারেননি। কিন্তু এখন সেই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং তার জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের গলার মালা। এক সময় ভাবাও যায়নি, যে আওয়ামী লীগ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে গলায় গামছা দিয়ে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে টেনে নামিয়েছিল, সেই এরশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে উঠাবসা করতে পারে। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যেদিন আওয়ামী লীগের সাথে জোট করে সেদিন নিশ্চয়ই নুর হোসেন, ডা. মিলন কবর থেকে হাততালি দিয়েছে। নুর হোসেনর বাবা-মা, ডা. মিলনের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনের দোয়ায় আওয়ামী লীগ ফুলে ফেঁপে উঠে নেত্রীর রাজনৈতিক পরিপক্কতা বিশ্বজোড়া প্রসার পেয়েছে। রাজনীতিতে শেষ কথা নেই- এই প্রবাদ এমন ন্যাক্কারজনক রূপ নিতে আর কেউ কখনো দেখেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে নিয়ে মহাজোট করে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে ছিলেন সৎ-অসৎ, ভাল-মন্দ, ন্যায়- অন্যায়ের মহা মিলন হলে কি হয়। বিশেষ করে স্বৈরাচার আর গণতন্ত্রের আচার একসাথ হলে কি হয়। সে এক দুর্দান্ত সাদের বহিঃপ্রকাশ। এক কথায় ২০০৮ সালে তিনি যে রাজনৈতিক চমক দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী প্রহসনের নির্বাচনে সারা পৃথিবীতে এমন ব্যর্থ দ্বিতীয় কোন রাজনীতিক পাওয়া যাবে না। পৃথিবীতে বহু স্বৈরাতন্ত্র, রাজতন্ত্র ছিল, এখনো আছে কিন্তু এমন জগাখিচুরী কেউ কোথাও দেখেনি। শুনেছি, ঝি মেরে বউকে বুঝানো। জজকোর্ট, হাইকোর্টে দেখেছি, অনেকে শত্র“কে বা অন্যকে নাজেহাল করতে নিজের সন্তানকে হত্যা করে। কিন্তু মহাজোট সরকারের আমলে দেখলাম, সরকার হত্যা করে বিরোধী দলের উপর দোষ চাপায়। গত কয়েক বছর অন্যায়ভাবে সরকার হত্যা গুম করে অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করেছে। চোরের মা’র বড় গলা শুনেছিলাম ইদানীং তাও দেখলাম। মানুষ মারা, জ্বালাও পোড়াও এসবের অনেকটাই করেছে সরকার বা সরকারী দলের সমর্থকেরা। কিন্তু চালিয়ে দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের উপর। দারুন দুর্বল বিরোধী দল তার জবাব দিতে পারেনি। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন- গণ মানুষের এই দাবীটাও আদায় করতে সঠিক ভুমিকা রাখতে পারেনি। এখনো দেশের শতকরা ৯০ জন কলুষমুক্ত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। দুই-তিন শতাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে যায়নি, তারপরও মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন ৪০ শতাংশের হিসেব দিচ্ছে। ছাত্র নকল করলে শিক্ষক ফেরায়, কিন্তু শিক্ষকরা করলে কে ফেরাবে? পরিচালনা পরিষদ, গভর্নিং বডি? তারাও যদি দুর্নীতি পরায়ন হয় তাহলে উপায় কি? আসলে খুব একটা উপায় নেই। রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আর অসততা জমাট বেধেছে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন কাজে কত ম্যাজিষ্ট্রেট অংশ নিয়েছিল, তারা যখন বিচার করবে, তখন তাদের বুকে বাধবে না জাতীয় নির্বাচনে ভোট চোরকে তারা সহায়তা করেছে? পুলিশ, বিডিআর, আনসার ভিডিপি যাদের চোর ডাকাতের হাত থেকে দেশের ধন-সম্পদ রক্ষা করার কথা, তারা যে জাতীয় নির্বাচনে চোরের সাথী হয়েছে, তাদের বিবেক কি একটুও নাড়া দেবে না? যদি তাদের বিবেক নাড়া নাও দেয় স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে ভাল থাকতে, সৎ থাকতে, সত্য কথা বলতে ঐ সমস্ত লোকেরা বলবে কি করে বা উপদেশ দেবে কি করে? নিজে অন্যায় করে অন্যকে অন্যায়ে বাধা দেয়া যায় না।
.
গতবার স্বৈরাচার সাথে নিয়ে তারা জোট করেছিলেন। জোট করে ভোট করেছেন, সেজন্যে আল্লাহর বিচারে যা হবার তা হবে। জনতার বিচারেও যে কমবেশী কিছুই হবে না তা নয়। নুর হোসেন, ডাঃ মিলনের আত্মার অভিসম্পাত আর তাদের পরিবার পরিজনদের হুতাশ নিশ্চয়ই আল্লাহর আরশ কেঁপে কেঁপে উঠবে এবং পরিণতি যা হবার তা অবশ্যই হবে। কিন্তু এবার নির্বাচন নিয়ে যে বাহানা হয়েছে তার কোন মানে হয়না। মহাজোট একসাথে নির্বাচন করবেন, সিট ভাগাভাগি করবেন তা নিয়ে কার কি মাথা ব্যথা? কিন্তু এতো নক্সা কেন? এটা তো কোন নির্বাচন নয়। মহাজোট আগেও ছিল, এখনো আছে। তাদের থাকতে কে মানা করেছে? যে যাই বলুন, বাধা বা নির্বাচন বয়কট করার কারণে ভোট কেন্দ্রে যে ভোটার যায়নি এটা শাশ্বত সত্য। ভোটার থাকলে পত্র-পত্রিকায় টেলিভিশন ক্যামেরায় উপচে পড়া ভোটারের ছবি থাকতো। কেন জাতীয় পত্রিকায় কুকুরের ছবি আসবে? কেন মন্ত্রীর ছেলের ৪৭৫ ভোট দিতে আঙ্গুল ব্যথা করবে? কেন প্রিজাইডিং অফিসারকে সরকারের পক্ষে সিল দিতে হবে? এসবই তো নৈতিকতার পতন। সিডিউল ঘোষণার পরপরই বর্তমান সরকার নির্বাচনে হেরে গেছেন। ১৫৩ বা ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচন পৃথিবী কখনো দেখেছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংল্যান্ডের ত্রানকর্তা উইনস্টন চার্চিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে পারেনি। এমনকি নির্বাচনে জয়ী হতেও পারেননি। শুনছি মহাজোটের বা জননেত্রীর প্রধান খুটি ভারত। সেখানে লোকসভার ৫৪৫ সিট। আগামী মে তে নির্বাচন। খোজ নিয়ে দেখবেন ক’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়? ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন একেবারে তুলার মতো হালকা করে দিয়েছে ১৫৩ বা ১৫৪ জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচন। পাঠকরা খেয়াল করবেন, ভবিষ্যতে এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ১৫৩ জনের ১৫০ জনই ফেল করবে। তার মধ্যে জামানত হারাবে সোয়া’শ। এটা কোন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নয়, কেয়ামত পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন আবার আরেক বাহানা শুরু হয়েছে। জাতীয় পার্টি একসাথে নির্বাচন করেছে, একসাথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে। এখন একসাথে সরকারে থাকবে। হঠাৎ জননেতা শেখ হাসিনার খেয়াল হয়েছে সংসদে একটা বিরোধী দলও থাকতে হয়। পাতানো সরকার, পাতানো নির্বাচন, শেষ পর্যন্ত পাতানো বিরোধী দল। জনাব আ.স.ম. আব্দুর রব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গৃহপালিত বিরোধী দল হয়েছিলেন। এখন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার গৃহপালিত সরকার এবং বিরোধী দলে সামিল হলেন- এতে দোষের কি? কতটা শরম লেহাজহীন হলে বলা যায়, আমরা সরকারেও থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো। মানে তারা যা করবেন জনগণ সব মেনে নেবে। হ্যা, এমনটা হয়, হতভম্ব বিরোধী দল থাকলে। দেশের মানুষ কখনো সখনো এরকম হতাশ ও দিশেহারা হলে লোভী চতুররা অমনটাই ভাবে। মুল কথা অবৈধ সংসদে প্রকৃত বিরোধী দল নেই। রওশন এরশাদ সরকারের সেবাদাস হিসেবে সরকারের অনুগ্রহে তথাকথিত সংসদ সদস্য হয়েছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার মার্কা না থাকায় জাতীয় পার্টির কেউ সঠিক অর্থে নির্বাচিত নন। নানা বর্নের, রঙের ফানুস হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তার যদি কোন বিবেক বিবেচনা ও বিচারবোধ থাকতো তাহলে আর সবাই শপথ নিলেও সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নিতেন না। কারণ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি। তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালা সবই দেখেন এবং জানেন তার আর এই ভাঙ্গা হাটে রঙ করে শপথ নেয়ার মানে ছিল না। কেন তিনি শপথ নেবেন? তার কথায় যারা পাতানো নির্বাচন করেননি তাদের কি হবে? যে এরশাদকে রংপুরের মানুষ বুকে তুলে নিয়েছিলেন, তার চরম দুঃসময়ে রাজনীতিতে বাঁচিয়ে রেখেছিল, সেই জীবনদাতাদের সারা দেশ এবং পৃথিবীর সামনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যতখানি ছোট করেছেন, জল্লাদ হায়েনারাও তার দেশের মানুষকে এভাবে অপমান অপদস্ত করে না। জাতীয় পার্টি সরকারেও থাকবে, বিরোধী দলেও থাকবে- এ যেন মামা বাড়ীর আবদার? জাতীয় পার্টিকে সরকারী দলে থাকতে হবে, বিরোধী দলে যাবার কোন সুযোগ নেই। দেশের অবস্থা ভাল না, তাই যা খুশী তাই করছেন। এরকম করলে আগামীতে রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের খেতের আইলে পেশাব করতেও দিবে না, ঝাটা মেরে বিদেয় করে দেবে। রাস্তাঘাটে চলা মুশকিল হয়ে পড়বে। বিশ্ব পন্ডিত সুরঞ্জিৎ সেন ইতিমধ্যেই বলেছেন, মাছের মুড়াও খাবেন, লেজও খাবেন- এটা চলতে পারে না, এটা নৈতিকতা বিবর্জিত। পন্ডিতদের পান্ডিত্য শুনে বড় হাসি পায়। মহাজোটের কার নৈতিকতা আছে? সত্যকে সত্য বলার সাহস কে রাখে? এ জগতের বাইরেও যে জগৎ আছে, যেখানে আমাদের সবাইকে যেতে হবে, জবাব দিতে হবে মহান আল্লাহর কাছে- কে মনে রাখছে সে কথা? সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানাবার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে কেউ কেউ মনে করছে বেশ সফল হয়েছেন। সফলতা ব্যর্থতা চোখের সামনে নয়, আরো একটু দুরে তাকাতে হয়। সামান্য একটু সময় অপেক্ষা করতে হয়। যেভাবে নেতানেত্রীরা দেশের সর্বনাশ করেও উন্নতির কথা বলছেন, তারা কোনদিন উন্নতি চোখে দেখেননি। দিনাজপুরে কর্নাই গ্রামে কত শত শত সংখ্যালঘু হিন্দু এই শীতের রাতে উন্মক্ত আকাশের নিচে পড়ে পড়ে কাতরাচ্ছে আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি উন্নতি করেছেন। কে অশান্তি সৃষ্টি করছে, কে ধ্বংস করছে তাকে ধরুন, বিচার করুন। অতি সাধারণ দ্বিমত পোষন করলে যেখানে ব্যরিষ্টার মাহবুব হোসেনের মতো একজন নির্বাচিত আইনবিদকে মুহুর্তে জেলে ঢুকানো যায়, এমনকি রিমান্ডে নেয়ার সাহস দেখায়। তারপরও বলতে হবে দেশে আইন বলে কিছু আছে? লম্ফ ঝম্প করে একের পর এক বলেছেন যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে তাদের ছাড়া হবে না। ছাড়া তো হবে না বুঝলাম কিন্তু কবে ধরা হবে? কোন বস্তিতে আগুন লাগানোদের ধরতে গিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ধরা পড়ে- এই তো সমস্যা। যেখানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজনৈতিক ফায়দা লুটার আশায় নেতানেত্রীদের নির্দেশে নিজের স্কুলে আগুন দেয়, সেই শিক্ষকের কাছে কমলমতি ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়তে দেয়ার কোন মানে হয়? জেলখানার জল্লাদ যে ফাঁসি দেয়, সেও ঐ জল্লাদ হেড মাষ্টারের চাইতে অনেক ভাল। কোন জল্লাদ কখনো তার ছেলের গলায় ফাঁসির রজ্জু লাগিয়ে টেনে ধরেনা। তাহলে হেড মাষ্টার কেন, অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্যে নিজের স্কুলে আগুন দিল? এমন ঘটনা তো আরো অনেক ঘটেছে। ধরা পড়েছে মাত্র দু’একটা। কত জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকেরা বস্তিতে আগুন দিয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় আগুন দিয়েছে। গত বছর রামুতে যে বৌদ্ধ মহল্লায় সর্বনাশা অগ্নিকান্ড হয়েছে সেখানে থানার ওসিসহ বহু আওয়ামী নেতাদের যোগসাজস ধরা পড়েছে। আমার কথা নয়, একজন মন্ত্রীর কথা। নির্বাচন পরবর্তী যে ক’টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটাতে প্রশাসনের লোকজন দুই-তিন ঘন্টা পরে গেছে। তবে কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর জ্বালাও পোড়াও করে সরকার তাদের প্রতি মানুষের সিমপ্যাথী অর্জনের চেষ্টা করছে? ব্যাপার মোটেই ভাল নয়। তাই সময় থাকতে তথাকথিত নির্বাচন বাতিল করে কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কে করলো না, জনগণ অংশগ্রহণ করলো কিনা সেটা বিবেচনায় এনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নির্বাচন করুন। বিদেশী প্রেসক্রিপশন অনুসারে দুই দল বা দুই নেতার দেশ নয়। দেশের মালিক ১৬ কোটি জনগণ। আজ তারা ঘুমিয়ে আছে অথবা নির্বিকার। সেইজন্যে হঠাৎ বাবুদের এতো দাপট। দেশের মালিক জনগণ একবার গা ঝাড়া দিয়ে সোজা হয়ে দাড়ালে তথাকথিত নেতানেত্রীদের দুরবীন দিয়েও খুজে পাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মন্ত্রীসভায় অংশগ্রহণ জননেত্রীর জীবনের সব থেকে বড় রাজনৈতিক কলঙ্ক।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.