Nipun Services
  Toronto, Ontario, Canada
  A  House of  Quality & Trust

  Nipun  Services

  Provide accurate services

News and Views Post New Entry

Shakwat Hossain

Posted by Nipunservices on May 1, 2014 at 7:50 PM Comments comments (1)

অপহরণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাবে বলে আশংকা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও বিশ্লেষণ তাদের। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবমুক্ত রেখে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়ার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
 
একের পর এক অপহরণের পরও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে পুলিশ, র‌্যাব এবং প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হলেও পরদিনই মিলেছে অপহৃতদের লাশ। তাই জনমনে আশংকা বাড়ছেই।
 
এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'পুরো দেশেই একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে জন্য মানুষের মনে অতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, এটাকে সমর্থন বা অস্বীকার করার কিছু নেই। এসব কর্মকান্ড দিয়ে রাষ্ট্র ব্যর্থতার দিকে যায়।'
 
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আব্দুর রব খান বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। যত দ্রুত এখান থেকে ফিরে আসা যায় ততই মঙ্গল। তারা এ ধরনের কাজ করবে আর তার কোন বিচার হবে না, তাহলে অন্যান্য অপরাধ আরও উৎসাহিত হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল সক্টর আক্রান্ত হবে।'

 

.

অপহরণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাবে বলে আশংকা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও বিশ্লেষণ তাদের।

.

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবমুক্ত রেখে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়ার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

.

একের পর এক অপহরণের পরও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে পুলিশ, র‌্যাব এবং প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হলেও পরদিনই মিলেছে অপহৃতদের লাশ। তাই জনমনে আশংকা বাড়ছেই।

.

এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'পুরো দেশেই একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে জন্য মানুষের মনে অতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, এটাকে সমর্থন বা অস্বীকার করার কিছু নেই। এসব কর্মকান্ড দিয়ে রাষ্ট্র ব্যর্থতার দিকে যায়।'

.

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আব্দুর রব খান বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। যত দ্রুত এখান থেকে ফিরে আসা যায় ততই মঙ্গল। তারা এ ধরনের কাজ করবে আর তার কোন বিচার হবে না, তাহলে অন্যান্য অপরাধ আরও উৎসাহিত হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল সক্টর আক্রান্ত হবে।'

 

Shorab Hossain

Posted by Nipunservices on May 1, 2014 at 8:30 AM Comments comments (0)

 

নারায়ণগঞ্জে সবই আওয়ামী লীগ!

.

দেশের অন্যান্য স্থান থেকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির চালচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো মৌলবাদী দলের তেমন তত্পরতা নেই। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বহুদিন ধরেই নিষ্ক্রিয়। এমনকি অনেক সময় তাদের রুটিন কর্মসূচিও পালিত হয় না। তারা করতে সাহস পায় না।

.

সে ক্ষেত্রে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বা প্রধান বিরোধী দলের পক্ষে এখানে সাতটি মানুষকে ‘নাই’ করে দেওয়ার আশঙ্কা একেবারেই শূন্য। এমনকি সাত খুনের ঘটনার পর সে রকম অভিযোগ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও কেউ করেননি।

.

প্রকৃত প্রস্তাবে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাইরে কিছুই নেই। এখানকার প্রশাসন আওয়ামী লীগের অনুগত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের কথায় উঠবস করে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের নেতাদের দিনে-রাতে সালাম দেন। এখানে পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার তিনটিতে বিজয়ী আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে এরশাদের জাতীয় পার্টি। এখানে উপজেলা চেয়ারম্যানেরা সব আওয়ামী লীগেরই।

.

তাহলে নারায়ণগঞ্জে এসব গুম-খুন কারা করছে? আওয়ামী লীগের ভেতরেরই কোনো শক্তি বা অপশক্তি? নিহত সিটি কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা। আবার তাঁর হত্যার দায়ে যাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে, সেই নুর হোসেনও একজন কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতা। আবার এই কাউন্সিলরই সাংসদ শামীম ওসমানের শিষ্য। দুই শিষ্যের মধ্যে কে কতটা ভালো, কতটা খারাপ, সেটি তাঁদের রাজনৈতিক গুরুরই ভালো জানার কথা। শামীম ওসমান নজরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ও অত্যন্ত আদরের মানুষ বলে অভিহিত করেছেন। তবে অভিযুক্ত নুর হোসেন আদরের কি না, সে কথা তিনি বলেননি।

.

শোনা যায়, নারায়ণগঞ্জে মাঝেমধ্যে গায়েবি আওয়াজ আসে আগামী অমুক তারিখ জঙ্গি হামলা হবে। অমুক তারিখ অমুকের ওপর হামলা হবে। বিরোধী দলের নেতা নারায়ণগঞ্জে এলে ২০০ লাশ পড়বে। কিন্তু বিরোধী দলের কোনো নেতা বা পাতি নেতা নারায়ণগঞ্জে না এলেও লাশ পড়া বন্ধ হয় না। নদীতে মানুষের লাশ ভেসে ওঠা থামে না।

.

আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, নারায়ণগঞ্জে যাঁরা লাশ হন, তাঁরা যেমন আওয়ামী লীগার, তেমনি যাঁদের বিরুদ্ধে মানুষ খুন ও গুম করার অভিযোগ রয়েছে, তাঁরাও আওয়ামী লীগার। এখানে সবই আওয়ামী লীগ। খাঁটি দেশপ্রেমিক।

Shafiq Rahman

Posted by Nipunservices on April 26, 2014 at 10:05 AM Comments comments (0)

দাওয়াতের নামে দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের অপতৎপরতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য ইসলামী চিন্তাবিদের সঙ্গে কথা বলে এসব উদ্বেগজনক সব তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর বিকৃত তথ্য ছড়ানোর অপকৌশল বাস্তবায়নে দেশজুড়ে কাজ করছে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার নারী, যারা জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে এরা পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে আছে ‘ফুল টাইমার’ ও ‘পার্ট টাইমার’ নেতাকর্মী। এরা জামায়াতের নির্বাহী কমিটি, মসলিশে শূরা, রোকন ও শিবিরের সদস্য, সাথীর মতো মাসিক বেতন পায়। সারাদেশে দাওয়াতের নামে সারা বছর যারা কাজ করে তাদের বেতন ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে শিবিরের সাবেক ও বর্তমানের বেশ কয়েক নেতা। 

জামায়াত-শিবিরের দাওয়াত বিশেষত মহিলাদের দাওয়াতের নামে চলা জঙ্গীবাদী অপকর্ম চলে মূলত শিবিরের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ফুলকুঁড়ির আসরের অনুকরণেই। একই কৌশলে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে সুবিধা দেয়া আর একপর্যায়ে চলে মগজধোলাই করে দলে ভেড়ানো। এই মুহূর্তেও দেশজুড়ে দাওয়াতী কাজের নামে চলছে এ কার্যক্রম। বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ মুসল্লি, ছাত্রীদের টার্গেট করেই চলছে এ কার্যক্রম। ছাত্রী সংস্থার নেত্রীরা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কাছে বিভিন্ন বই ও দাওয়াতী কাজের নামে তাদের সংগঠনের লিফলেট বিতরণ করছে। 

এসব লিফলেটে সংগঠনের ইতিহাস, কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণাসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায়কে বিকৃত করে লক্ষ্য হাসিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সারাদেশের মসজিদে মসজিদে সরকারবিরোধী মিথ্যা আর বিকৃত তথ্য সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। সাধারণ মুসল্লিসহ সকল ইসলামী দলকে ক্ষেপিয়ে তুলতে এসব লিফলেটে রায়কে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে, কেবল আল্লার সার্বভৌমত্বের কথা বলার জন্য জামায়াতের বিরুদ্ধে রায়!, আল্লার সার্বভৌমত্বের কথা বলা কি অপরাধ? রায়ের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মসজিদ ছাড়াও নানা মাধ্যমে সরকারবিরোধী এসব লিফলেট ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে ‘মতিউর রহমান নিজামী সাহেব ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। প্রশিক্ষণ নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন 

তিনি’ ‘সাঈদী মুক্তিযুদ্ধের সময় নাবালক ছিলেন, বয়স সবে বারো কি তেরো বছর।’ সেই বয়সে লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্ষণ কাকে বলে, কিছুই তিনি বুঝতেন না।’ শুধু তা-ই নয়, ‘আলবদর-আলশামসরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেনি, আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্টরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বহির্বিশ্বে জামায়াতকে বিতর্কিত করছে।’ এমন উদ্ভট, বিকৃত ঔদ্ধত্যপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে দেশ-বিদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াত-শিবির। 

’৮০র দশক থেকেই শহরের নতুন কেউ এলে কিছু ভদ্রগোছের ছেলে ও বোরকা পরা মেয়ে উন্মুখ হয়ে থাকে। এখনও চলছে একই কৌশল। পাড়ায় আগত নতুন পরিবারটিতে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়ে কজন আছে, তা জানার জন্য চেষ্টা চলে। সুযোগ বুঝে পাড়ায় আগত পরিবারটির কর্তাব্যক্তি বা অভিভাবককে (যার স্কুল-কলেজপড়ুয়া কিশোরী আছে) উৎসুক্য ঐ বোরকা পরা মেয়েরা আসা-যাওয়ার সময় অতি বিনয়ের সঙ্গে সালাম বিনিময় করেন। আগত নতুন প্রতিবেশীকে অতি আপন করে নেয়ার প্রচেষ্টা ও ভদ্রতার বহির্প্রকাশ অভিভাবকদের নজর কাড়া হয়। একসময় ঐ অভিভাবকগুলো ভাবতে শুরু, এই মেয়েরা মনে হয় পাড়ায় অতি ভদ্র, এরা তো ভালই আদব-কায়দা জানে। সাধারণত গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার এদের প্রধান টার্গেট। একই প্রক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরও চালাচ্ছে তার কর্মকা-। ছেলেরা সাধারণত আছর নামাজ পরে টুপি মাথায় তাদের ভালত্ব প্রকাশে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। অভিভাবরকের তুষ্টি করা চেহারা দেখে ছেলেগুলো তাদের প্রথম মিশন সফল হওয়ার কৃতিত্বে পুলকিত অনুভব করে। আর বাসায় কয়েক দফা গিয়ে অভিভাবকদের হাসিখুশি মুখ দেখলে জামায়াতের মেয়েরা তাদের প্রথম মিশন সফল বলে ধরে নেয়।

.

দাওয়াতের নামে দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের অপতৎপরতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য ইসলামী চিন্তাবিদের সঙ্গে কথা বলে এসব উদ্বেগজনক সব তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আর বিকৃত তথ্য ছড়ানোর অপকৌশল বাস্তবায়নে দেশজুড়ে কাজ করছে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার নারী, যারা জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে এরা পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে আছে ‘ফুল টাইমার’ ও ‘পার্ট টাইমার’ নেতাকর্মী। এরা জামায়াতের নির্বাহী কমিটি, মসলিশে শূরা, রোকন ও শিবিরের সদস্য, সাথীর মতো মাসিক বেতন পায়। সারাদেশে দাওয়াতের নামে সারা বছর যারা কাজ করে তাদের বেতন ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে শিবিরের সাবেক ও বর্তমানের বেশ কয়েক নেতা।

.

জামায়াত-শিবিরের দাওয়াত বিশেষত মহিলাদের দাওয়াতের নামে চলা জঙ্গীবাদী অপকর্ম চলে মূলত শিবিরের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ফুলকুঁড়ির আসরের অনুকরণেই। একই কৌশলে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে সুবিধা দেয়া আর একপর্যায়ে চলে মগজধোলাই করে দলে ভেড়ানো। এই মুহূর্তেও দেশজুড়ে দাওয়াতী কাজের নামে চলছে এ কার্যক্রম। বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ মুসল্লি, ছাত্রীদের টার্গেট করেই চলছে এ কার্যক্রম। ছাত্রী সংস্থার নেত্রীরা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কাছে বিভিন্ন বই ও দাওয়াতী কাজের নামে তাদের সংগঠনের লিফলেট বিতরণ করছে।

.

এসব লিফলেটে সংগঠনের ইতিহাস, কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণাসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায়কে বিকৃত করে লক্ষ্য হাসিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সারাদেশের মসজিদে মসজিদে সরকারবিরোধী মিথ্যা আর বিকৃত তথ্য সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। সাধারণ মুসল্লিসহ সকল ইসলামী দলকে ক্ষেপিয়ে তুলতে এসব লিফলেটে রায়কে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে, কেবল আল্লার সার্বভৌমত্বের কথা বলার জন্য জামায়াতের বিরুদ্ধে রায়!, আল্লার সার্বভৌমত্বের কথা বলা কি অপরাধ? রায়ের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মসজিদ ছাড়াও নানা মাধ্যমে সরকারবিরোধী এসব লিফলেট ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে ‘মতিউর রহমান নিজামী সাহেব ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। প্রশিক্ষণ নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন

.

তিনি’ ‘সাঈদী মুক্তিযুদ্ধের সময় নাবালক ছিলেন, বয়স সবে বারো কি তেরো বছর।’ সেই বয়সে লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্ষণ কাকে বলে, কিছুই তিনি বুঝতেন না।’ শুধু তা-ই নয়, ‘আলবদর-আলশামসরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেনি, আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্টরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বহির্বিশ্বে জামায়াতকে বিতর্কিত করছে।’ এমন উদ্ভট, বিকৃত ঔদ্ধত্যপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে দেশ-বিদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াত-শিবির।

.

’৮০র দশক থেকেই শহরের নতুন কেউ এলে কিছু ভদ্রগোছের ছেলে ও বোরকা পরা মেয়ে উন্মুখ হয়ে থাকে। এখনও চলছে একই কৌশল। পাড়ায় আগত নতুন পরিবারটিতে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়ে কজন আছে, তা জানার জন্য চেষ্টা চলে। সুযোগ বুঝে পাড়ায় আগত পরিবারটির কর্তাব্যক্তি বা অভিভাবককে (যার স্কুল-কলেজপড়ুয়া কিশোরী আছে) উৎসুক্য ঐ বোরকা পরা মেয়েরা আসা-যাওয়ার সময় অতি বিনয়ের সঙ্গে সালাম বিনিময় করেন। আগত নতুন প্রতিবেশীকে অতি আপন করে নেয়ার প্রচেষ্টা ও ভদ্রতার বহির্প্রকাশ অভিভাবকদের নজর কাড়া হয়। একসময় ঐ অভিভাবকগুলো ভাবতে শুরু, এই মেয়েরা মনে হয় পাড়ায় অতি ভদ্র, এরা তো ভালই আদব-কায়দা জানে। সাধারণত গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার এদের প্রধান টার্গেট। একই প্রক্রিয়ায় ছাত্রশিবিরও চালাচ্ছে তার কর্মকা-। ছেলেরা সাধারণত আছর নামাজ পরে টুপি মাথায় তাদের ভালত্ব প্রকাশে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। অভিভাবরকের তুষ্টি করা চেহারা দেখে ছেলেগুলো তাদের প্রথম মিশন সফল হওয়ার কৃতিত্বে পুলকিত অনুভব করে। আর বাসায় কয়েক দফা গিয়ে অভিভাবকদের হাসিখুশি মুখ দেখলে জামায়াতের মেয়েরা তাদের প্রথম মিশন সফল বলে ধরে নেয়।

Abu Sayeed Ahamed

Posted by Nipunservices on April 24, 2014 at 1:10 PM Comments comments (0)

বাঙ্গালীদের জাতীভিত্তিক একমাত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি আর এর সিংহভাগ বাঙ্গালী। কিন্তু পৃথিবীতে বাঙ্গালীর সংখ্যা ৩৫ কোটি। অর্থাত ৩৫ কোটি বাঙ্গালীর স্বার্থ রক্ষা আর অধিকার আদায়ের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব কিন্তু বাঙ্গালী জাতীর একমাত্র স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের উপরেই বর্তায়।

.

বাংলাদেশ সুবিধাবাদী কমিশনখোড় দালালীবান্ধব নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে অ-নতুজানু আপন স্বার্থবান্ধব দৃঢ পররাষ্ট্রনীতি প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি বাংলাদেশী বাঙ্গালী আর প্রায় ২০কোটি অবাংলাদেশী বাঙ্গালীর অভিভাবক রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারে। বিষয়টা সংবিধানের সাথেও সাংঘর্ষিক নয়।

.

অনেকের কাছে বিষয়টা কল্পনা মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের জীবিত অবস্থায় যদি নতজানু ও দালালী রাজনীতির আমূল অবসান আর ইতিবাচক রাজনীতির বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারি তবে আমাদের সন্তানেরা অল্পসময়ের মাঝেই বাংলাদেশী হিসাবে, বাংলাদেশী বাঙ্গালী হিসাবে এবং পৃথিবীর সকল বাঙ্গালীর অভিভাবক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে বিশ্বে দাপট নিয়ে বাস করবে, মাথা উচু করে চলবে।

.

মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুর নয়, একদিন বাংলাদেশ তার থেকেও বিশাল কিছু হবে। যে জাতীর নিম্ন শ্রেনীর মানুষেরা পশুর মত প্রতিনিয়ত লড়াই করে কিন্তু মনে স্বপ্ন বুনে, হৃদয়ে মানবিকতা ধারন করে, সুদিনের আশায় বেচে থাকে সে জাতী কয়েক'শো ক্ষমতাখোড় দালালের কাছে আজীবন জিম্মি থাকতে পারেনা।

 

Nirob Rat

Posted by Nipunservices on April 22, 2014 at 3:45 PM Comments comments (0)

সব কিছুতেই রাজনীতি, রাজনীতি এমন ঘৃনার পেশায় রুপ নিচ্ছে যে অদূর ভবিষ্যতে এ দেশ হয়তো রাজনীতি শূন্য হয়ে যাবে, কারন এই ঘৃণিত পেশায় আসতে আগামী প্রজম্ন আগ্রহ হারাচ্ছে ।

 

Elora Zaman

Posted by Nipunservices on April 19, 2014 at 9:25 AM Comments comments (0)

 

হেই ইয়্যু! দ্যা গ্রেট লুজার অফ বাংলাদেশ! আপনাকেই বলছি মিঃ সজীব ওয়াজেদ। সমালোচনা সহ্য করবার ক্ষমতা না থাকলে মাঠে নেমেছেন কেন জনাব অক্ষম? লজ্জা করেনা আপনার? আমার সাথে হেরে গিয়ে কমেন্ট মুছে দিয়ে ব্লক করতে? ছিহ! শেইম অন ইয়ু! আর এই আপনিই আর আপনার ভেড়ার পালেরা আপনাকে হবু লিডার বলে বাংলাদেশের। আসলে আপনি একজন লুজার। লুজার দ্যা গ্রেট! আমার নিজেরই এখন লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় যে, আমরা আপনাদের মত তরুন প্রজন্ম পেয়েছি।

.

ঘটনার শুরু গতকাল। আমি কখনই উনার পেইজে যাইনি গতকালের আগে। তাও কাল গিয়েছিলাম এক বড় ভাইয়ের অনুরোধে। মিঃ ওয়াজেদ তার ভুলে ভরা স্ট্যাটাস এ সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আমার অনেক বন্ধুরা আর হতভাগা চীরবঞ্চিত বাংলাদেশীরা সেখানে গিয়ে উনাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নিজেদের বঞ্চনার কথা শুনবার আকুল আবেদন করছিলেন উনার কাছে।

.

মায়া লেগেছিলো বাংলাদেশের দুঃখী ওইসব নাগরিকদের জন্য। ভুখা-নাঙ্গা মানুষগুলো যেন তীর্থের কাকের মত উনার পানে চেয়ে একটিবার শুনুন ওদের কথা। হাহ! ঘাটের মরা! উনি পুরদস্তুর ভারতের নাগরিক, ওখানেই বড় হয়েছেন, পড়াশোনা। এখন উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন বাংলাদেশের প্রিন্স হবার জন্য। সাথে নিয়ে এসেছেন আসামি মুলো- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

.

যাইহোক, আমি প্রথমবারের মত উনার ওয়ালে গিয়ে একটি নির্দোষ মন্তব্য করলাম। তুলে দিচ্ছি এখানেঃ “ডিয়ার মিঃ ওয়াজেদ, আপনাদের দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই। বাবা-মা ভালোবেসে আপনার নাম দিয়েছিলেন 'জয়'। বিজয়ের সময় জন্মেছিলেন বলে। লোকেও আপনাকে 'জয়' সম্বোধনেই ডাকে। কিন্তু আমি ডাকতে পারছিনা কারণ, আমি বিজয় দেখিনি। জন্মেছি চরম পরাধীন দেশে যেখানে আপনারা আমাদের শাসন করছেন, বঞ্চিত করছেন। আমাদের কথা গুলো শুনবার জন্য দুদণ্ড সময় হয়না আপনাদের। আপনারা সংসদে দাঁড়িয়ে চরম অশালীন ভাষায় খিস্তি খেউড় চালিয়ে যাচ্ছেন অহরহ। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হরদম দোষারোপ করে এই মুল্যবান সময়টি পার করে দিচ্ছেন।

.

আপনি আপনার ফেলো কমরেডসদের কি একবারের জন্য ও বলেছেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ! প্লিজ স্টপ দিজ’? আপনার মত তরুণের কাছে কেমন লাগে যখন একজন বয়স্ক মহিলা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছেন আপনার দলের লোকেরা? আপনি এঞ্জয় করেন এসব সজীব? যদি না করেন তবে প্রতিবাদ করুন, প্লিজ। আর বাকি সব দুর্দশার কথা অনেকেই বলে গিয়েছেন শুভেচ্ছার সাথে সাথে। তবুও একটি কথা বলতে চাই, আমরা কি বাঙ্গালী? বাঙালি ছাপিয়ে আজ বাংলাদেশি নই? আপনার স্ট্যাটাস এ বাংলাদেশী কথাটা থাকলে ভালো হত। যেহেতু আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। বঙ্গের নাগরিক নই আর। ধন্যবাদ”।

.

তার আগে ইনবক্স করেছিলাম। যেহেতু উনি কথা দিয়েছিলেন শুনবেন আমাদের কথা তাই মন্তব্য করেছি, নইলে আমি কখনই উনাদের ওপরে সময় নষ্ট করতাম না। আর তাছাড়া একই প্রজন্মের মানুষ আমরা, এই হিসেবেও একটি বাড়তি ভাবনা কাজ করেছিলো মানসিকতার উদারতা নিয়ে। ভেবেছিলাম, বুড়ো হাবড়া অন্য আওয়ামীদের মত হবেন না অ্যাটলিস্ট। কিন্তু উনিযে এতটা অপরিপক্ক মানসিকতার তা বুঝতে পারিনি। আমার কমেন্টে কোনও প্রকার কটু বাক্য কিংবা খিস্তিখেউর ছিলোনা। উনি গালি সম্বলিত অন্যদের মন্তব্য গুলো ঠিকই রেখে দিয়েছেন কিন্তু আমারটা হাপিশ করে দিয়েছেন। সহ্য ক্ষমতা এত কম!

.

জনাব নির্জীব, অথবা ওই পেইজের অ্যাডমিন হোয়াটেভার, আমার ওয়াল ঘুরে যেহেতু গিয়েছেন এবং দেখেছেন যে আমি আওয়ামীদের প্রতি দুর্মর ঘৃণা প্রকাশ করি, সেহেতু আপনি নিশ্চই জানেন যে, আমি নিজের আইডি থেকেই এসব লিখি, ফেইক আইডি নয়। আমি সাহস রাখি। কি আর ক্ষতি করবেন আপনারা? রেইপ করবেন? বাবা-মা ভাই বোন, আত্মীয় স্বজনকে খুন করবেন? এরকমতো অনেক করেছেন, তবুও আমরা আপনাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি। আর ভোট না দিলেও আপনারা স্বমেহনে সুখ পান। নিজের পিঠ নিজেরাই চাপড়ে নেবার এক অশ্লীল ক্ষমতা আছে আপনাদের।

.

হাও ডেয়ার আপনি আমার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেবার চেষ্টা করেন! আবার মুখে মুখে বাক স্বাধীনতার কথা বলেন? সামান্য একটা মন্তব্য যিনি সহ্য করবার ক্ষমতা রাখেন না তার কাছে এই দেশবাসী নির্লজ্জের মত দুঃখ প্রকাশ করতে যায় তাই দেখে আমার রাগ লাগে। এই আওয়ামী মোরোনেরা এইদেশের মানুষের আপন নয়, ওরা তখন মনে মনে হাসে আর বলে, ‘বলদা জাতি’। শেইম অন আস! আমরা ভারতীয় এই দলটিকে এখনও ক্ষমতায় রাখছি আবার তাদের পক্ষেও কথা বলছি বেশরমের মত।

.

এহ! কথা বলতে জানেনা, পেইজ খুলে বসেছে! লোকে আপনাকে খামোখা প্রতিবন্ধী বলেনা। কাপুরুষ কোথাকার! ভয়ের চোটে দরজা বন্ধ করে রেখে দিয়ে বীর পুরুষ সেজেছে নন্দলাল ব্যাটা। মানুষের রক্ত দিয়ে গোসল করতে অনেক মজা না? একবার অস্ত্র ছাড়া যুক্তি নিয়ে কথা বলতে আসুন, দেশের মানুষ বুঝিয়ে দেবে জিম্মি করে রাখার মজা।

.

ভয় পাইনা প্রতিবাদ করতে, আর করেই যাবো আজীবন। আপনার সাহস এবং হ্যাডম থাকলে আমার মন্ত্যব্যের জবাব দিন। জয়ী হয়ে দেখান। নইলে এফিডেভিট করে নিজের নাম জয় পালটে ক্ষয় কিংবা ভয় রাখতে পারেন। আপনারা তো এসেছেনই এই দেশের ক্ষয় করতে আর মানুষ গুলোকে ভয় দেখাতে। কি করেছেন এই দেশের মানুষের জন্য? অ্যাচিভমেন্টের তালিকা জিরো দেখে এভাবে মুখ লুকিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আপনারাই পারবেন, পৃথিবীর কোনও দেশে এর নজির নেই।

.

ক্যামনে পারেন ম্যান, এত মানুষের ঘৃণা নিয়ে পথ চলতে? বোকা জনগণগুলোকে ভুলিয়ে ভালিয়ে হাড়জিরজিরে অবস্থায় রেখে নিজেরা নাদুস নুদুস হয়ে উঠতে। ঘৃণা জানাতেও ঘৃণা হয়। কি যোগ্যতা আছে আপনার এই দেশের নেতৃত্ব দেবার? আপনার সাথে নিজের তুলনা করতেও খারাপ লাগে কারণ, আপনি যখন আমায় ব্লক করেছেন তখনি প্রমান হয়ে গিয়েছে, ইউ লস্ট দ্যা ব্যাটেল। আর যোগ্যতার মাপকাঠিতে আমরা আপনাদের চাইতে অনেক উন্নত আলহামদুলিল্লাহ্‌! কেবল মাত্র আপনাদের মত খুনি হতে পারিনা এটাই অযোগ্যতা আমাদের।

.

মাই ডিয়ার ফেলো কান্ট্রিম্যান, আপনারা এদের ভন্ডামির চক্রান্তে আর নিজেকে সোপর্দ করে দেবেন না দয়া করে। ওদের কাছে হাসির পাত্র হবেন না। এই আওয়ামীলীগ সরকার সোজা কথায় খুনি এবং মানসিক অসুস্থতা সম্পন্ন রোগীতে ভরপুর। এরা আমাদের কখনই ভালো চায়না। এদের হাতে আমাদের সোনার বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। এদের প্রতিহত করুন। একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে এটি আমার অ্যানালাইসিস। বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।

Zatir Nana

Posted by Nipunservices on April 18, 2014 at 4:30 PM Comments comments (0)

হাসিনার আদেশে এবি সিদ্দিকী মুক্তি পায় গত রাত ২টায়। তার মুক্তি দাবীতে মানব বন্ধন হয় আজ সকাল ১০টায়!!!! 
পুনঞ্চঃ হে আবালরা, তোমরা নাটক মঞ্চস্ত করার আগে ভালো করে রিহার্সাল করবা। নাটকের সকল কুশীলবদের ভালোভাবে নাটকের অঙ্কগুলোর সময় ও ধাপগুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবা। 'রিজওয়ানা হাসানের স্বামী গুম' নাটকের গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা খুবই দুর্বল ছিলো। ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল আর না হয়। নায়ক ভিলেনের ডেরা থেকে ফিরে আসার পর তার মুক্তির জন্য মানব বন্ধন করলে নাটক ফ্লপ !!!!!!!!!???????

 

.

হাসিনার আদেশে এবি সিদ্দিকী মুক্তি পায় গত রাত ২টায়। তার মুক্তি দাবীতে মানব বন্ধন হয় আজ সকাল ১০টায়!!!!

.

পুনঞ্চঃ হে আবালরা, তোমরা নাটক মঞ্চস্ত করার আগে ভালো করে রিহার্সাল করবা। নাটকের সকল কুশীলবদের ভালোভাবে নাটকের অঙ্কগুলোর সময় ও ধাপগুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবা। 'রিজওয়ানা হাসানের স্বামী গুম' নাটকের গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা খুবই দুর্বল ছিলো। ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল আর না হয়। নায়ক ভিলেনের ডেরা থেকে ফিরে আসার পর তার মুক্তির জন্য মানব বন্ধন করলে নাটক ফ্লপ !!!!!!!!!???????

 

Sojib Hasan

Posted by Nipunservices on April 16, 2014 at 10:25 AM Comments comments (97)

সমকামীদের যুক্তি যেখানে দুজন ব্যক্তি রাজি সেখানে সরকার বা সমাজ বাধা দেওয়ার কে ? এখানে যুক্তি যদি তাই হয় তাহলে আমার প্রশ্ন দেশে যখন বাল্য বিবাহ সংঘটিত হয় তখন সেখানে যদি ছেলে মেয়ে উভিয়ে রাজি থাকে তাহলে সরকার বা সমাজ বাধা দেওয়ার কে ?

.

প্রগতিশীলরা বললেন যে, না না বাল্য বিবাহে ছেলে এবং মেয়ের শারীরিক অনেক ক্ষতি হয় তাই বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ । এই যুক্তিতে আমার আরো একটি প্রশ্ন, পুরুষে পুরুষে সমকামী যৌনাচারে কি শারীরিক ক্ষতি হয় না ? প্রকৃতি মানুষ কে এই রকম যৌনাচারের উপযুক্ত করে তৈরি করেনি । এটা একটি প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ । সমকামী যৌনাচারের ফলে এইডস সহ বিভিন্ন যৌন রোগের সম্ভাবনা হাজার গুন বেড়ে যাই । আমেরিকা ইউরোপের মতো দেশ গুলো এই সত্যতা কে যেনেও অধিকাংশ জনগনের মতামত কে উপেক্ষা করে সামান্য কটা ভোট বেশী পাবার জন্য সমকামিতা কে অনুমোদন দিচ্ছে । আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাই সরকারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই গোপনে গোপনে এই বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত থাকে এবং তাদের কামনা কে অনুমোদন দিতেই তারা সমকামিতা কে সাপোর্ট করে ।

Meherunnesa Jharna

Posted by Nipunservices on April 13, 2014 at 1:15 PM Comments comments (53)

ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী!
===========

ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী। গণজাগরণ মঞ্চের অব্যাহতিপ্রাপ্ত মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে এ শিরোনামে একটি অ্যালবাম আপলোড করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। জনৈক ডা. আইজূ শনিবার রাতে তার ফেসবুকে এ অ্যালবামটি আপলোড করেছেন। যুদ্ধাপরাধ বিচার ও রায় কার্যকরের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। কিন্তু নানা ঘটনায় গণজাগরণ মঞ্চ বিভক্ত হয়ে পড়লে সম্প্রতি মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান তিনি। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিনই তার ব্যাপারে প্রকাশ করা হচ্ছে নানা তথ্য। বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ পাঞ্জাবী পরেন। বামপন্থি রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে একটি প্রবাদ আছে, ‘তারা একই ধরনের একাধিক পাঞ্জাবী কেনেন। কিন্তু লোকজন মনে করেন সৎ জীবনযাপন করতে গিয়ে তারা একই পাঞ্জাবী পরেন দিনেরপর দিন।’ তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনায় ঢেউ তোলা ডা. ইমরান এইচ সরকারও পাঞ্জাবী পরেন। কিন্তু তিনি ব্যতিক্রম। গণজাগরণ মঞ্চের মাত্র ১৪ মাসের আন্দোলনে তার পরনে দেখা গেছে নানা রঙের নিত্যনতুন পাঞ্জাবী। তার পরনের বাহারী পাঞ্জাবীর ছবি নিয়ে ফেসবুকে প্রকাশিত ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ অ্যালবামে দেখা গেছে, নানা রঙের পাঞ্জাবী পরে তিনি গণজাগরণ মঞ্চের অনুষ্ঠান ও কর্মকা-ে অংশ নিচ্ছেন। ছবিতে দেখা যায়, কেবল লাল রঙেরই পাঞ্জাবী পরেছেন ১০টির বেশি। সাদা পাঞ্জাবী পরেছেন অন্তত ১৫ ডিজাইনের। ছবিতে দেখা যায় শুধু পাঞ্জাবি নয় সঙ্গে ম্যাচিং করে পরেছেন বাহারি চাদরও। সাদা-কালো স্টেপের ডজনখানেক। সবুজ এবং নীল রঙেরও আছে একাধিক। সে অ্যালবামে নানা তীর্যক মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এদিকে ডা. আইজূ তার ফেসবুকে ‘৫০দিনে ২২টি পাঞ্জাবী মাহমুদুল হক মুন্সীর’ শীর্ষক আরেকটি অ্যালবাম আপলোড করেছেন। ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ অ্যালবামে কোন স্ট্যাটাস না লিখলেও ‘৫০দিনে ২২টি পাঞ্জাবী মাহমুদুল হক মুন্সীর’ অ্যালবামের সঙ্গে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। সেখানে লেখা হয়েছে- ‘না শাহবাগের রাস্তায় রাস্তায় টাকা উড়তেসে-আমি এই মাত্র মাহমুদুল হক মুন্সী-যিনি কিনা ইমরান সরকারের বাজার সরকার তার ছবি কালেকট করলাম গত তিন মাসের এবং বার করলাম তিনি ২২টা পান্জাবী পড়সেন ৫০ দিনে। এখন একুশটা পান্জাবীর দাম যদি হয় ৫০,০০০ টাকা তাহলে সেটা কই থেকে আসল? শাহাবাগে কি টাকার গাছ না টাকার গাছে শাহবাগ!’

.

 

ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী!

===========

বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ পাঞ্জাবী পরেন। বামপন্থি রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে একটি প্রবাদ আছে, ‘তারা একই ধরনের একাধিক পাঞ্জাবী কেনেন। কিন্তু লোকজন মনে করেন সৎ জীবনযাপন করতে গিয়ে তারা একই পাঞ্জাবী পরেন দিনেরপর দিন।’ তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনায় ঢেউ তোলা ডা. ইমরান এইচ সরকারও পাঞ্জাবী পরেন।

.

কিন্তু তিনি ব্যতিক্রম। গণজাগরণ মঞ্চের মাত্র ১৪ মাসের আন্দোলনে তার পরনে দেখা গেছে নানা রঙের নিত্যনতুন পাঞ্জাবী। তার পরনের বাহারী পাঞ্জাবীর ছবি নিয়ে ফেসবুকে প্রকাশিত ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ অ্যালবামে দেখা গেছে, নানা রঙের পাঞ্জাবী পরে তিনি গণজাগরণ মঞ্চের অনুষ্ঠান ও কর্মকা-ে অংশ নিচ্ছেন। ছবিতে দেখা যায়, কেবল লাল রঙেরই পাঞ্জাবী পরেছেন ১০টির বেশি। সাদা পাঞ্জাবী পরেছেন অন্তত ১৫ ডিজাইনের। ছবিতে দেখা যায় শুধু পাঞ্জাবি নয় সঙ্গে ম্যাচিং করে পরেছেন বাহারি চাদরও। সাদা-কালো স্টেপের ডজনখানেক। সবুজ এবং নীল রঙেরও আছে একাধিক। সে অ্যালবামে নানা তীর্যক মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

.

এদিকে ডা. আইজূ তার ফেসবুকে ‘৫০দিনে ২২টি পাঞ্জাবী মাহমুদুল হক মুন্সীর’ শীর্ষক আরেকটি অ্যালবাম আপলোড করেছেন। ‘ইমরানের ১০০ পাঞ্জাবী’ অ্যালবামে কোন স্ট্যাটাস না লিখলেও ‘৫০দিনে ২২টি পাঞ্জাবী মাহমুদুল হক মুন্সীর’ অ্যালবামের সঙ্গে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। সেখানে লেখা হয়েছে- ‘না শাহবাগের রাস্তায় রাস্তায় টাকা উড়তেসে-আমি এই মাত্র মাহমুদুল হক মুন্সী-যিনি কিনা ইমরান সরকারের বাজার সরকার তার ছবি কালেকট করলাম গত তিন মাসের এবং বার করলাম তিনি ২২টা পান্জাবী পড়সেন ৫০ দিনে। এখন একুশটা পান্জাবীর দাম যদি হয় ৫০,০০০ টাকা তাহলে সেটা কই থেকে আসল? শাহাবাগে কি টাকার গাছ না টাকার গাছে শাহবাগ!’

 

Abdul Kaium

Posted by Nipunservices on April 12, 2014 at 10:55 PM Comments comments (0)

Photo: গত কয়েক মাস শান্তিতে আছি। শান্তিতে থাকতে চাই। সরকার ও দেশের প্রধান বিরোধী জোট, যার নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি, তাদের উভয়ের দায়িত্ব মানুষকে বিরক্ত না করা। যারা গণ-অভ্যুত্থানের কথা ভাবছেন, তাঁদের বুঝতে হবে, আগের দিন আর নেই। সরকার যদি মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত চালায়, তাহলে নিশ্চয়ই মানুষই রাস্তায় নামবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার নিচের দিকেই আছে। আর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথা থাকলেও এবং গুম, ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’ প্রভৃতি থেমে থেমে চলতে থাকলেও, যতক্ষণ পর্যন্ত না সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর আঘাত না আসছে, ততক্ষণ মানুষ ঘরেই থাকতে চাইবে। শুধু বক্তৃতায় ওদের মাঠে নামানো যাবে না। 

দেশে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু ‘পেটে খেলে পিঠে সয়, এ তো কভু মিছে নয়’ কথাটা যে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বেশ খাটে, তা বুঝতে কারও বাকি আছে কি? কিন্তু কত দিন এই সয়ে যাওয়ার মতো ‘পেটে খাওয়া’ জুটবে, সেটাই প্রশ্ন। সরকার ভাবছে, বেশ ভালোই তো চলছে। কিন্তু প্রতিদিন পত্রিকায় যেসব খবর বেরোয়, তা সরকারের জন্য সুখকর নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রাণহানি ঘটেছে। এর চেয়ে ভীতিকর আর কী হতে পারে। আমরা যখন ভাবছিলাম নির্বাচন নিয়ে খুনোখুনি, ভোটের বাক্স ছিনতাই প্রভৃতির দিন শেষ, তখন আবার ভোট নিয়ে হত্যা-আতঙ্কের দিন শুরু হয়ে গেল। এ অবস্থায় সরকার কত দিন মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে বলে আশা করে? 

প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ যেমন গণতন্ত্রের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তেমনি কোনো না কোনো ফাঁকফোকর বের করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ না করে বিএনপিও দেশের জন্য এক সংকটজনক অবস্থা ডেকে এনেছে। বিএনপি যদি নির্বাচন করত, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত। অন্তত সংসদ নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল বিজয় যে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, বিএনপি কৌশলে তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। 

প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির পথটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের মতো সরল সড়কের মতো নয়। আঁকাবাঁকা পথে, সময় বুঝে দ্রুত বাঁক নিতে না পারলে খেসারত দিতে হয়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান-উত্তরকালে এখন আমাদের দেশ যে পর্যায়ে এসেছে, তাতে নির্বাচন বর্জন কোনো রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে না। গণ-অভ্যুত্থানের চিন্তার চিরবিদায়ের দিন এসেছে। 

আমাদের পাশের দেশ ভারতে তো কত সমস্যা। দুর্নীতির অভিযোগ তো কম নয়। কত মন্ত্রীর জেল হয়ে গেল শুধু দুর্নীতির অভিযোগে। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশে ঝড় বয়ে গেছে। তেলেঙ্গানায় পৃথক রাজ্য গঠনের বিল নিয়ে ভারতের লোকসভায় একজন সাংসদ মরিচের গুঁড়া পর্যন্ত ছিটিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড করলেন। কিন্তু সেখানে কি কেউ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবতে পারে? 

নির্বাচন বর্জন একুশ শতকের এই আধুনিক যুগের সঙ্গে বেমানান রাজনীতি। বিএনপি নিজেকে আধুনিক দল বলে দাবি করে, কিন্তু রাজনীতি করে সেকেলে। একদিকে বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের হুমকিও দিচ্ছে। আলোচনায় সমাধান করতে হলে তো গণ-অভ্যুত্থান হয় না। একটা গন্ডগোল চাই। সে জন্যই হয়তো এই সময়ে হঠাৎ করে জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ওয়েবসাইটে এত দিন জিয়াউর রহমানকে দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি বলে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে তাঁকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করার পর থেকে সেই ওয়েবসাইট আর দেখা যাচ্ছে না। 

আব্দুল কাইয়ুম

গত কয়েক মাস শান্তিতে আছি। শান্তিতে থাকতে চাই। সরকার ও দেশের প্রধান বিরোধী জোট, যার নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি, তাদের উভয়ের দায়িত্ব মানুষকে বিরক্ত না করা। যারা গণ-অভ্যুত্থানের কথা ভাবছেন, তাঁদের বুঝতে হবে, আগের দিন আর নেই। সরকার যদি মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত চালায়, তাহলে নিশ্চয়ই মানুষই রাস্তায় নামবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার নিচের দিকেই আছে। আর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথা থাকলেও এবং গুম, ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’ প্রভৃতি থেমে থেমে চলতে থাকলেও, যতক্ষণ পর্যন্ত না সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর আঘাত না আসছে, ততক্ষণ মানুষ ঘরেই থাকতে চাইবে। শুধু বক্তৃতায় ওদের মাঠে নামানো যাবে না।

.

দেশে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু ‘পেটে খেলে পিঠে সয়, এ তো কভু মিছে নয়’ কথাটা যে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বেশ খাটে, তা বুঝতে কারও বাকি আছে কি? কিন্তু কত দিন এই সয়ে যাওয়ার মতো ‘পেটে খাওয়া’ জুটবে, সেটাই প্রশ্ন। সরকার ভাবছে, বেশ ভালোই তো চলছে। কিন্তু প্রতিদিন পত্রিকায় যেসব খবর বেরোয়, তা সরকারের জন্য সুখকর নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রাণহানি ঘটেছে। এর চেয়ে ভীতিকর আর কী হতে পারে। আমরা যখন ভাবছিলাম নির্বাচন নিয়ে খুনোখুনি, ভোটের বাক্স ছিনতাই প্রভৃতির দিন শেষ, তখন আবার ভোট নিয়ে হত্যা-আতঙ্কের দিন শুরু হয়ে গেল। এ অবস্থায় সরকার কত দিন মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে বলে আশা করে?

.

প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ যেমন গণতন্ত্রের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তেমনি কোনো না কোনো ফাঁকফোকর বের করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ না করে বিএনপিও দেশের জন্য এক সংকটজনক অবস্থা ডেকে এনেছে। বিএনপি যদি নির্বাচন করত, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত। অন্তত সংসদ নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল বিজয় যে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, বিএনপি কৌশলে তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি।

.

প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির পথটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের মতো সরল সড়কের মতো নয়। আঁকাবাঁকা পথে, সময় বুঝে দ্রুত বাঁক নিতে না পারলে খেসারত দিতে হয়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান-উত্তরকালে এখন আমাদের দেশ যে পর্যায়ে এসেছে, তাতে নির্বাচন বর্জন কোনো রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে না। গণ-অভ্যুত্থানের চিন্তার চিরবিদায়ের দিন এসেছে।

.

আমাদের পাশের দেশ ভারতে তো কত সমস্যা। দুর্নীতির অভিযোগ তো কম নয়। কত মন্ত্রীর জেল হয়ে গেল শুধু দুর্নীতির অভিযোগে। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশে ঝড় বয়ে গেছে। তেলেঙ্গানায় পৃথক রাজ্য গঠনের বিল নিয়ে ভারতের লোকসভায় একজন সাংসদ মরিচের গুঁড়া পর্যন্ত ছিটিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড করলেন। কিন্তু সেখানে কি কেউ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন বর্জনের কথা ভাবতে পারে?

.

নির্বাচন বর্জন একুশ শতকের এই আধুনিক যুগের সঙ্গে বেমানান রাজনীতি। বিএনপি নিজেকে আধুনিক দল বলে দাবি করে, কিন্তু রাজনীতি করে সেকেলে। একদিকে বলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের হুমকিও দিচ্ছে। আলোচনায় সমাধান করতে হলে তো গণ-অভ্যুত্থান হয় না। একটা গন্ডগোল চাই। সে জন্যই হয়তো এই সময়ে হঠাৎ করে জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ওয়েবসাইটে এত দিন জিয়াউর রহমানকে দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি বলে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে তাঁকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করার পর থেকে সেই ওয়েবসাইট আর দেখা যাচ্ছে না।

Moloy Vhowmic

Posted by Nipunservices on April 12, 2014 at 9:45 PM Comments comments (0)

আন্দোলন, না নতুন তত্ত্বকৌশল?
 

ঢাকায় খালেদা জিয়া যখন উপজেলা নির্বাচন শেষে নতুন করে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিচ্ছেন, তখন একই সময় লন্ডনে বসে তারেক রহমান ‘প্রথম রাষ্ট্রপতিতত্ত্ব’ হাজির করেন। প্রশ্ন হলো, আন্দোলনের কথা বলে স্বাধীনতার প্রায় সাড়ে চার দশক পর মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি—এমন তত্ত্ব বয়ান করা হলো কেন?

এই ‘কেন’র জবাব তারেক রহমান নিজেই দিয়েছেন ৯ এপ্রিল ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রীতত্ত্ব’ নামে আরেকটি তত্ত্ব হাজির করে। অর্থাৎ, প্রথম তত্ত্বের পর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে যে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল, দ্বিতীয় তত্ত্বের মাধ্যমে সেই সন্দেহ দূর করে দেওয়া হলো। সহজ কথায় এই দাঁড়াচ্ছে যে বিএনপি আপাতত আন্দোলনে যেতে পারছে না। এখন নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকলেও তত্ত্ব দুটি অন্তত বেশ কিছুদিন মাঠে থাকবে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ কি না বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ‘প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ কি না—মীমাংসিত এসব বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। অনেকেই মনে করছেন, আন্দোলনের ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্য এ ধরনের তত্ত্ব আসলে একটা আত্মরক্ষামূলক কৌশল। এ কৌশল বর্তমানের অগোছালো সময় পার হতে বিএনপিকে সহায়তা করবে।

নানা যৌক্তিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও বিএনপি কেন আন্দোলনে কর্মী-সমর্থক বা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারছে না, তা বিএনপিকেই তলিয়ে দেখতে হবে। এটাই শোভন ও সরল পথ। সে পথ পরিহার করে ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য যদি নতুন তত্ত্বকৌশল খোঁজার চেষ্টা করা হয়, তার পরিণতি শুভ হতে পারে না। নিকট অতীতেও আমরা বিএনপিকে আন্দোলনের সরল পথ পরিহার করে নানা ধূম্রজালে জড়াতে দেখেছি। এতে মানুষ সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিএনপির কোনো লাভ হয়নি। ইতিহাসের পাটাতনে দাঁড়িয়েই জাতি এগিয়ে যায়। বারবার সেই পাটাতন নিয়ে টানাহেঁচড়া দায়িত্বশীল কোনো পক্ষের কাছ থেকেই কাম্য নয়।

মলয় ভৌমিক: অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; নাট্যকার।

 

আন্দোলন, না নতুন তত্ত্বকৌশল?

.

ঢাকায় খালেদা জিয়া যখন উপজেলা নির্বাচন শেষে নতুন করে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিচ্ছেন, তখন একই সময় লন্ডনে বসে তারেক রহমান ‘প্রথম রাষ্ট্রপতিতত্ত্ব’ হাজির করেন। প্রশ্ন হলো, আন্দোলনের কথা বলে স্বাধীনতার প্রায় সাড়ে চার দশক পর মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি—এমন তত্ত্ব বয়ান করা হলো কেন?

.

এই ‘কেন’র জবাব তারেক রহমান নিজেই দিয়েছেন ৯ এপ্রিল ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রীতত্ত্ব’ নামে আরেকটি তত্ত্ব হাজির করে। অর্থাৎ, প্রথম তত্ত্বের পর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে যে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল, দ্বিতীয় তত্ত্বের মাধ্যমে সেই সন্দেহ দূর করে দেওয়া হলো। সহজ কথায় এই দাঁড়াচ্ছে যে বিএনপি আপাতত আন্দোলনে যেতে পারছে না। এখন নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকলেও তত্ত্ব দুটি অন্তত বেশ কিছুদিন মাঠে থাকবে।

.

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ কি না বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ‘প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ কি না—মীমাংসিত এসব বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। অনেকেই মনে করছেন, আন্দোলনের ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্য এ ধরনের তত্ত্ব আসলে একটা আত্মরক্ষামূলক কৌশল। এ কৌশল বর্তমানের অগোছালো সময় পার হতে বিএনপিকে সহায়তা করবে।

.

নানা যৌক্তিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও বিএনপি কেন আন্দোলনে কর্মী-সমর্থক বা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারছে না, তা বিএনপিকেই তলিয়ে দেখতে হবে। এটাই শোভন ও সরল পথ। সে পথ পরিহার করে ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য যদি নতুন তত্ত্বকৌশল খোঁজার চেষ্টা করা হয়, তার পরিণতি শুভ হতে পারে না। নিকট অতীতেও আমরা বিএনপিকে আন্দোলনের সরল পথ পরিহার করে নানা ধূম্রজালে জড়াতে দেখেছি। এতে মানুষ সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিএনপির কোনো লাভ হয়নি। ইতিহাসের পাটাতনে দাঁড়িয়েই জাতি এগিয়ে যায়। বারবার সেই পাটাতন নিয়ে টানাহেঁচড়া দায়িত্বশীল কোনো পক্ষের কাছ থেকেই কাম্য নয়।

.

মলয় ভৌমিক: অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; নাট্যকার।

 

Rosni Sayed

Posted by Nipunservices on December 15, 2013 at 10:35 PM Comments comments (0)

Rosni Sayed 
---------------

মা তোমার ভয় নেই মা, তোমার সব সন্তান অমানুষ হয়ে যায়নি। তাদের অনেকে এখনও প্রতিবাদ করতে জানে, তোমার জন্য আজো জীবন বাজি রাখতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। তারা তোমাকে ধ্বংস হতে দিবেনা মা। মাগো আমরা আজো তোমাকে ততটাই ভালবাসি যতটা ১৯৭১ এর তোমার মুক্তযোদ্ধা সন্তানরা ভালবাসতো। আমাদের শুধু দরকার একটা সঠিক নেতৃত্বের। আল্লাহ তুমি আমাদের পথ দেখাও যেন আমরা আমাদের মা কে আবার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে পারি। আমাদের মা যেন আবার তার সন্তানদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। এটাই হোক আজকের দিনে আমাদের সবার অঙ্গীকার।

মা তোমার ভয় নেই মা, তোমার সব সন্তান অমানুষ হয়ে যায়নি। তাদের অনেকে এখনও প্রতিবাদ করতে জানে, তোমার জন্য আজো জীবন বাজি রাখতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। তারা তোমাকে ধ্বংস হতে দিবেনা মা। মাগো আমরা আজো তোমাকে ততটাই ভালবাসি যতটা ১৯৭১ এর তোমার মুক্তযোদ্ধা সন্তানরা ভালবাসতো। আমাদের শুধু দরকার একটা সঠিক নেতৃত্বের। আল্লাহ তুমি আমাদের পথ দেখাও যেন আমরা আমাদের মা কে আবার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে পারি। আমাদের মা যেন আবার তার সন্তানদের নিয়ে গর্ব করতে পারে। এটাই হোক আজকের দিনে আমাদের সবার অঙ্গীকার।

Chintito Mon

Posted by Nipunservices on December 14, 2013 at 3:40 AM Comments comments (2)

কাদের মোল্লার শাস্তি ও অপরাধঃ

.

প্রশ্ন একটাই, আজ যদি কাদের মোল্লার দল বিএনপির সাথে যুক্ত না হয়ে চেতনার পাইকারি বিক্রেতা আওয়ামী লীগের সহযোগী হতো, তার ভাগ্য কি এভাবেই লেখা হতো? এ প্রশ্নের উত্তরের ভেতর হয়ত লুকিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর। ৭১'সালের কাদের মোল্লার অপরাধের বিচার হয়নি, বিচার হয়েছে ২০১৩ সালের কাদের মোল্লার অপরাধের। এবং তা আওয়ামী লীগের পার্টনার না হওয়ার অপরাধ। বাকি সব ইতিহাস।

Backlog Mehedi

Posted by Nipunservices on December 2, 2013 at 4:40 PM Comments comments (164)

.

কেউ স্বীকার করুক আর না করুক আমরা সবাই রাজনীতি করি । সবাই আমরা কোন না কোন দলকে মানসিক কিংবা মিনিমাম ভোট দিয়ে সাপোর্ট করে থাকি ।

সে দল অন্যায় করুক আর ভাল করুক । আমরা সেই দলের খারাপ দিকগুলো আরাল করি আর ভাল দিকগুলো প্রচার করি ।বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে গভীরভাবে জড়িত । নিউজ ব্যাবসা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লাভজনক ব্যবসা এই জন্যই । আর কোন দেশে এমন আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে ।

.

আমরা এই সব দলের সাপোর্টার হই দুইভাবে ।

একঃ পারিবারিকভাবে । আমাদের বাবা-মার কথা-বার্তা কিংবা কোন দলকে ভোট দিচ্ছে সেটা দেখে আমরা অন্ধভাবেই সেই দলকে সাপোর্ট করা শুরু করি ।

দুইঃ সামাজিকভাবে । কোন নেতার বা বড়ভাইয়ের সংস্পর্ষে এসে । এই রাজনীতির বেশিরভাগ জনই মাঠের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয় ।

.

এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে সবাই যদি রাজনীতি করে তবে ৫বছর পর পর সরকার বদল হয় কেমনে ?

আসলে আমরা রাজনীতিক দলকে সাপোর্ট করি সবাই শুধু একটা গোষ্টি বাদে ।

সেটা হল গরীব গোষ্টি । দিন আনে দিন খায় যে গোষ্টি ।

৫বছর পর পর এদের ভোট দিয়েই সরকার পরিবর্তন হয় ।

.

কিন্তু আমরা সেই সমর্থক যারা ভাল মন্দ বিবেচনা না করে অন্ধভাবে সেই দলকেই ভোট দেয় । যদিও আমরা বেশিরভাগ জনই এতে কোন লাভ পাই না তাও ভোট দেই সেই দলকেই ।

.

যেমন একজন লোক বাসে দেওয়া আগুনে তার শরীরের ৪০ ভাগ পুড়িয়েছেন কিন্তু তাও তিনি বিএনপিকেই ভোট দিবেন ।

আবার একজন অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সরকারের নেতাদের হাতে মার খেয়েছেন তাও তিনি আওয়ামিলীগকেই ভোট দিবেন ।

.

আসলেই আমরাই নীচু মন-মানসিকতার রাজনীতিবিদের দোষ দিয়ে কি লাভ ।

S.M. Oronno

Posted by Nipunservices on November 27, 2013 at 8:50 AM Comments comments (0)

গোপালগঞ্জের চার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা ষষ্ঠবারের মতো স্থগিত !! গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামে ১৯৭৩ সালের ১০ মার্চ দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কমরেড ওয়ালিউর রহমান ওরফে লেবু, ন্যাপের নেতা ও সাংসদ প্রার্থী কমলেশ বেদজ্ঞ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিষ্ণুপদ এবং মানিক। এই চারজনই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। চার দশক আগে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত চার মুক্তিযোদ্ধা হত্যার মামলাটি ষষ্ঠবারের মতো হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্থগিত করেছেন। গত সোমবার গোপালগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই মামলাটি শুনানির নির্ধারিত দিন ছিল। এর আগেও উচ্চ আদালত এমন পাঁচবার আদেশ দিয়েছিলেন। এই মামলায় ১৯৭৩ সালে দেওয়া অভিযোগপত্রে পুলিশ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করেছিল। তবে বর্তমানে মামলার প্রধান আসামি হেমায়েত উদ্দিনসহ মাত্র ১০ জন বেঁচে আছেন। কিন্তু এরা সকলেই প্রভাবশালী এবং সরকার দলীয় পান্ডা। তাই এসব হত্যা মামলার বিচার হয়না, হবে না। এসব মামলায় জীবিত ঐ ১০জনের সাজা হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা জেলায়। তাই!! যাই হোক ৪০ বছর তো গেছে আর কিছুদিন পরে ঐ ১০ জন মারা গেলে তাদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে সরকার।।

Shottho Valobasha

Posted by Nipunservices on November 22, 2013 at 11:55 PM Comments comments (0)

 

আমি খালেদা জিয়া বলছি.... আমার সাথে, আমার পরিবারের সাথে, আমার দলের সাথে অনেক বড় অন্যায় করা হয়েছে। এই জন্যে আমার মনে কোন ক্ষোভ নেই। আমি সকল দোষী ব্যক্তি- বর্গকে ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু- আমি আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া, আইভি রহমান, হুমায়ূন আজাদ হত্যা, ২১শে আগস্ট বোমা হামলা, ১৭ আগস্ট বোমা হামলার জন্যে ক্ষমা চাইতে পারবো না।

.

আমার বড় সন্তানের হাজার কোটি টাকা আত্মসাত, পুলিশের ইউনিফর্ম, সিএনজি মিটার, কেরোসিনের নীল রঙ করা, দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বিদ্যুৎ না দিয়ে তাঁর বন্ধু মামুনের কোম্পানীর খাম্বা গেঁড়ে দেওয়া, পেট্রোল পাম্পে স্বচ্ছ পাইপ আনা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটা খাতে অর্থ দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না।

.

আমার ছোট ছেলের শ'খানেক লঞ্চ কোত্থেকে এলো, সে লঞ্চ ডুবিতে যতো হাজার লোক মারা গেলো... তার জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না। আমি বাসে করে লোক ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফালুকে নির্বাচনে জিতিয়ে দেবার জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না। আমি দেশে দশ ট্রাক অস্ত্র ঢুকানোর জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না। আমি উত্তর বঙ্গে মঙ্গায় আক্রান্ত হয়ে শেয়াল- কুকুরের মতো মানুষ মরে যাওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না।

.

আমি সার চাইতে আসা আঠারো জন কৃষককে মেরে ফেলার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে পারবো না। শিশু নওশীনকে বাবার কোলে হত্যার পর 'আল্লাহর মাল আল্লাহ্ নিয়ে গেছে' বলার জন্য, বুয়েট ছাত্রী সনি হত্যার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে পারবো না। ঢাকা প্রেস ক্লাবে পুলিশ ঢুকিয়ে বেধড়ক সাংবাদিক পেটানোর জন্য, ঝালকাঠিতে বোমা মেরে সাংবাদিক হত্যা, শিবির কর্মী সালেহীনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে রাখা, গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে নিজ ঘরে মাথায় গুলি করে হত্যার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে পারবো না।

.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে পুলিশ ঢুকিয়ে মাঝরাতে ছাত্রীদের বিবস্ত্র করা, লাঠিপেটা করার জন্য, ২০০১ এ নির্বাচনে জেতার পর আমার ছাত্রদলের ক্যাডারদের দিয়ে অসংখ্য হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ, আর না পেরে পূর্ণিমা শীলের মা ''বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট। মরে যাবে। তোমরা একজন একজন করে আসো" বলতে বাধ্য হবার জন্য আমি ক্ষমা চাইতে পারবো না। আমি রাজাকার নিজামীর গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেস কনফারেন্স থেকে শিবিরের ক্যাডার দিয়ে লাথি মেরে বের করে দেয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না।

.

মি গোল্ড মেডালিস্ট শ্যুটার আসিফ, শারমিন সহ অন্য এথলেটদের পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে দীর্ঘ দিনের জন্য পঙ্গু করে দেয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে পারবো না। আমিই খালেদা জিয়া... আমি কখনোই ক্ষমা চাইতে পারবো না।

Arif Siddiq Rahman

Posted by Nipunservices on November 22, 2013 at 10:00 PM Comments comments (0)

জয় সাহেব, আপনার ইংরেজি বাংলা status দেখে মনে হয় দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিদের মাঝেও আপনার মেসেজ পৌঁছাতে চাচ্ছেন। ঠিক আছে। আপনি যহেতু আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি সে বিচারে এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়াটা বুদ্ধিমত্তার কাজ। আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি। তবে একটা ছোট বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার প্রথম পক্ষ যেহেতু আমরা (বাঙ্গালী / বাংলাদেশি সেহেতু আপনি বাংলা লেখাটা প্রথমে দিয়ে পরে ইংরেজি অনুবাদটা দিতে পারেন। দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি মমত্ববোধ দেখাবেন এই বিনীত অনুরোধ রইল। আপনি যেহেতু দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে ছিলেন বা আছেন তাই ইংরেজি ভাষা আপনার প্রথম পছন্দ, দোষের কিছু নাই। কিন্তু দেশের রাজনীতির দিকে পা দিতে চাইলে নিজের দেশকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিবেচনা করবেন।

Last See

Posted by Nipunservices on November 22, 2013 at 10:00 PM Comments comments (0)

জয়, তুমি যে সবার সামনে ওভাবে আবেগ ভরা গলায় বক্তৃতা দিলা, যে ৭১ এর পরে আর কোন রাজনৈতিক দল দেখ নাই যারা নাকি এতটা বর্বর... আহারে, বাছা এইতো সেদিনের কথা কি ভুলে গেছে !!!

.

১/১১, এরপর তোমাদের ছাত্রলীগের গত ৫ বছরের কীর্তি কাহিনী !!!

বিশ্বজিতরে দিনের আলোয় কুপিয়ে মারল সেই সময় কই ছিলা, সাগর রুনির সময় কই ছিলা !!! নরসিংদীর সেই কমিশনার লোকমানরে কেবিনেটে এক প্রতিমন্ত্রীর ভাই হত্যা করল সেই সময় কই ছিলা !!! বাসে আগুন দেয়ার শিক্ষা বিএনপি কে দিয়েছে কারা !!!

.

সেই যে কোন এক সময়ে ডবল ডেকারে গান পাউডার দিয়ে আগুন দেয়া !!! এসব মনে থাকেনা !!!

Syed Jafor Ahamad Rajib

Posted by Nipunservices on November 21, 2013 at 11:55 AM Comments comments (0)

মানুষের মৃত্যু অবশ্যই দুখ জনক... আর এটাকে কখনোই লীগের হরতালে মরসে... বা দলের হরতালেও তো মরসে টাইপের যুক্তি দিয়ে হালাল করা যাবে না... কিন্তু তারপরেও ক্ষেত্রবিশেষে ইদানিং আমি এই যুক্তি গুলা দেই... মাঝে মাঝে ভাবতে নিজের কাছেই অবাক লাগে বেশি হিংস্রতা থেকে বাচতে আমি ইদানিং কম হিংস্রতাকে সাপোর্ট দিলেও হিংস্রতা কে সাপোর্ট তো ঠিকই দিচ্ছি...

.

কারন তো একটাই... ওদের কে যে একবারে আর পুরাপুরি মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার কোন উপায় নাই...

Chintito Mon

Posted by Nipunservices on November 18, 2013 at 8:20 AM Comments comments (0)

তারেক জিয়া দুর্নীতি করেনা। করতে পারেনা। কারণ ওরা আদর্শের সৈনিক। কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, কেউ জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমের, কেউ আবার খোদ সৃষ্টিকর্তার। দেশ ও জাতির সেবায় ওরা নিবেদিত প্রাণ। ওরা দুর্নীতি করবে এমনটা ভাবাই এক ধরণের দুর্নীতি। শেখ মুজিবকে যারা জাতির পিতা মানে, সহস্রাব্দের সেরা সন্তান হিসাবে স্বীকৃতি দেয় তাদেরকে দুর্নীতির সাথ জড়ানো মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া। ’ওরা জিয়ার সন্তান, ওরা দুর্নীতি করতে পারেনা’, মনে আছে সহস্রাব্দের সেরা বাক্য দুটির কথা? যে জিয়া অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করল, জাতিকে একনায়কতন্ত্রের অভিশাপ হতে মুক্ত করে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিল তার সন্তানরা দুর্নীতি করবে এমনটা ভাবা মানে রনাঙ্গণকে অস্বীকার করা, গণতন্ত্রকে কাঠগড়ায় ঠেলে দেয়া। আসলে দুর্নীতি বলতে কিছু নেই আমাদের দেশে। এর সবটাই বাংলা ভাই কায়দায় মিডিয়া ও ভার্চুয়াল দুনিয়ার কিছু সব হারানোদের সৃষ্টি। দুর্নীতি নিয়ে বিদেশীদের হাউকাউ আমাদের জাতীয় সম্পদ লুটপাটের বেদবাক্য মাত্র। মাটির ঠিক ছয় ইঞ্চি নীচে লুকানো সোনা-দানা, হীরা-জহরত, তেল-পানি আর অতিমানব-মহামানবদের কংকাল চুরির বহুজাতিক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এই দুর্নীতির মাহফিল। ইউনুস আর আবেদ নামের রক্তচোষা অপদার্থদের সামনে রেখে ওরা লুটে নিতে চায় আমাদের রত্ন ভান্ডার। আর এই কাজ ত্বরান্বিত করতে ওরা মিথ্যা অভিযোগ আনছে আদর্শ সৈনিকদের বিরুদ্ধে। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের সাথে এ অশুভ কাজে যোগ দিয়েছে জাপানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্র। চেতনার হস্তমৈথুনকারী আবুলের দুর্নীতি খুঁজে পেতে বিশ্বব্যাংকের সময় লেগেছে ছয় মাস, আর আমাদের গোলাম হোসেনের দুধের নহবত দুদকের লেগেছে মাত্র ছয় দিন। এই ছয় দিনেই প্রমাণ হয়ে গেছে আবুল হোসেন নির্দোষ। না বললেও আমরা বুঝতে পারি দুদু মিয়ারা প্রমাণ করেছে আবুল মিয়া দুর্নীতি করতে পারেনা। চেতনার সৈনিক আবুল হোসেনের ঘাড়ে অশ্বারোহী বনে জাতির জামাতা বিশ্বব্যাংক নামক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রতিষ্ঠানের কাছে কমিশন দাবী করেছেন এমন অভিযোগ কেবল ভূয়া ও বানোয়াট-ই নয়, বরং আমাদের তীব্র, তীক্ষ্ণ আর ধারালো দেশপ্রেম নিয়ে তামাশা মাত্র।

.

চাইলে জাতি হিসাবে আজ আমরা গর্ব করতে পারি। সুরুঞ্জিত বাবুর ৫৬ বছর ধরে গড়ে তোলা মহামানব খ্যাতি কোন এক আজম ড্রাইভার, ইলিয়াস আলী আর সৌদি কূটনীতিকের যৌথ মিশনে মাটির সাথে মিশে যাবে এমনটা হতে দেননি দুধে ভাতা সাদা দুধু মিয়ার দল। ওরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেও বাংলাদেশে ৫ কোটি টাকা নগদ জমানো যায়। আর এই নগদ দিয়ে আরও ৩০ কোটি বিনিয়োগ করা যায়। সুরু বাবুর সন্তান সৌমেন সেন এখন ফুলের পতন পবিত্র । কোন দুর্নীতি তার গায়ে স্পর্শ করেনি। আর করবেই বা কি করে, বাবুদের গায়ে যে লেপ্টে আছে চেতনার ১২ ইঞ্চি ষ্টেইন লেস স্টীলের বর্ম!

.

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মোজাফফর সাহেব ইহকাল হতে বিদায় নিয়েছেন। আসুন আজ আমরা বজ্র শপথ নেই, বাংলার মাটিতে মোজাফফরের মত দ্বিতীয় কোন মীরজাফরকে জন্ম নিতে দেব না। প্রয়োজনে জননীর ওম্ব হতে ভবিষৎ মোজাফরদের টেনে হিঁচড়ে বের করে আনব। তারপর তুলে দিব বিশ্ব বিচার ব্যবস্থার পথিকৃৎ, ইশ্বরের মহান সৃষ্টি, পেয়ারের আশরাফুল মুখলুকাত আমাদের বিচারকদের হাতে।


Oops! This site has expired.

If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.