Nipun Services
  Toronto, Ontario, Canada
  A  House of  Quality & Trust

  Nipun  Services

  Provide accurate services

News and Views Post New Entry

Liaquat Ali Former MP

Posted by Nipunservices on November 20, 2014 at 3:55 PM Comments comments ()

এই বিধি! তুমিই বল, উনারা কী সত্য সততা সভ্যতার প্রতিনিধি?

--------- লিয়াকত আলী, প্রাক্তন সংসদ সদস্য।

.

ভোটে অংশ গ্রহন, ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই দ্বায়িত্ব থেকে সরে থাকা, দুরে থাকা, এই দ্বায়িত্ব পালন না করা নৈতিক অপরাধ। গনতান্ত্রিক দেশে গুলোতে নৈতিক অপরাধের জন্য সরকার, মন্ত্রনালয়, আলাদাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগের লক্ষ লক্ষ অনুপম নিদর্শন আছে।

.

গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে ভোট দিতে নির্বাচন কেন্দ্রে যাননি, ভোট দেননি ----

.

;) মহামন্য রাষ্ট্রপতি, ২;) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩;) প্রধান বিচারপতি ৪;) প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ৫;) হাইকোর্টের কোন বিচারপতি, ৬;) সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী পুলিশবাহিনীর কোন প্রধান।

.

নৈতিকতার অবক্ষয়ের প্রতীক, উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ কী ভাবে স্বাচ্ছন্দে নিজ নিজ পদে এখনো বহাল আছেন। জনগন বিবর্জিত এই ভোট দ্বারা গঠিত সরকারের আছেন এবং সকল সুযোগ সুবিধা উৎসাহের সাথে উপভোগ করছেন?

.

মনে বড় প্রশ্ন জাগে! এই বিধি, তুমিই বল উনারা কি সত্য সততা সভ্যতার প্রতিনিধি?

.

তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০১৪ইং। নিউ ইয়র্ক।

Mohammed Ali + K. Alam

Posted by Nipunservices on November 20, 2014 at 2:10 PM Comments comments ()

Mohammed Ali

সব সময় দেখি পুলিশের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ থেকে কেউ ঘুষ নিয়েছে এই রকম কোন খবর আছে? যারা পুলিশ থেকে ঘুষ নেন এরাই হলো আসল ঘুষ খোর ।

Khondaker Alam

যারা পুলিশ থেকে ঘুষ নেন এরা হলো হেদের বড় বস। বড় বসের বড় বস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বস প্রধানমন্ত্রী। হিসাব জটিল হয়ে গেলো।

Khondaker

Posted by Nipunservices on November 18, 2014 at 10:55 AM Comments comments ()

একটি দেশের কমপক্ষে ৪০ ভাগ নিরপেক্ষ জনগন দরকার সমাজের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনের জন্য।

একটা সরকার যখন ভালো ভালো কাজ করবে, তখন মনে রাখবেন সামনে আসছে নির্বাচন। আগের প্রতি নির্বাচনে বিএনপি কি আওয়ামিলীগকে ঠিক একই চরিত্রে দেখা গেছে। এ এক জনগনকে ধোঁকা দেবার নীতি। প্রতিবারেই দেখা গেছে অর্থমন্ত্রী বিশাল বাজেট নিয়ে বিশাল বক্তৃতা দিচ্ছেন আর বিরোধীদল ভালো খারাপ কিছু না বুঝার আগেই চিৎকার দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে এম্পি নির্বাচনের খেত্রে তাদের সম্পত্তির হিসাব দিয়ে সুন্দরভাবে চরিত্র সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাদের নির্বাচনের খরচ ঐ চরিত্র সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে না।

এতো সুন্দরভাবে বিজ্ঞ-অবিজ্ঞ সব মানুষকে মহহিত করে রেখেছে চলমান রাজনীতি সেই শুরুর থেকে। এক পক্ষ আর এক পক্ষকে কামড়ে ছিরে ফেলার চেষ্টা করছে আর মাঝখান থেকে সাধারণ জনগন নিরব দর্শকের মতো সব কিছু বন্ধ করে উপভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে। কামড়ে কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত হছে সমাজের সকল স্থর।

দুই বা ততোধিক পার্টি সমাজের সকল স্থরে এমনভাবে জাল ছিটিয়ে রেখেছে যারা মরে গেলেও মূলটানের কারনে তাদের হয়েই কাজ করতে বাধ্য বা নিরপেক্ষ হবার কোন উপায় নাই। দেশের কিছু লোক একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করতে পারে কিন্তু সমাজে যখন নিরপেক্ষ মানুষ কমে যাবে তখন আইন বা ভালো কিছুর নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে যাবে যা বাংলাদেশে এখন মূল সমস্যা হয়ে গেছে। একটি দেশের কমপক্ষে ৪০ ভাগ নিরপেক্ষ জনগন দরকার সমাজের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনের জন্য। এরাই নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনে প্রকৃত বেক্তিকে নির্বাচন করলে সৎ ও যোগ্য বেক্তি উক্ত সমাজের নেত্রিত্তে আসলে সমাজের চেহারার পরিবর্তন আসতে বাধ্য।

Khondaker

Posted by Nipunservices on November 16, 2014 at 10:55 AM Comments comments ()

.

এক বিশাল মূর্খের জনসভা

কোন একটা নির্দিষ্ট দিনে রাজনৈতিক জনসভা হবে, সে এক বিশাল জনসভা, আপনারা দলে দলে যোগদান করুন। আগের থেকেই উল্লেখ করা হচ্ছে বিশাল জনসভা। এরা ভবিষ্যৎবাদী, সব কিছু আগের থেকেই দেখতে পারেন।

সেই ছোটবেলা থেকে বড়বেলা পর্যন্ত আমি কখনও মাঠের মধ্যে গাদাগাদি করে বসে খালেদা বা হাসিনার কোন মিটিং এ যোগদান করি নাই। আমার জানামতে আমার পরিচিত কোন বন্ধুও আমার মতো কোন রাজনৈতিক বিশাল জনসভায় যোগদান করেছে কিনা সন্দেহ।

অথচ দেখেছি ট্রাক ভরে ভরে অসহায় মানুষ জড় হচ্ছে জনসভায়। সন্ত্রাসী ও উঠতি মাস্তান মিছিলের সামনে সামনে চিৎকার করতে করতে মাঠের দিকে মঞ্চের সামনে এগুছে যেন এখুনি দেশ জয় করে ফেলবে। এভাবে বিভিন্ন পাড়া থেকে দলীয় নেতারা ৫০-৬০ জন করে বীর দর্পণে এগেয়ে আসছে মঞ্চের দিকে। সামনের দিকে কিছু মহিলা কর্মী দেখা যাবে যাদের রাস্তার মানুষ বলে মনে হবে। চারিদিকের চামচা ও তাদের ভাড়া করা যোদ্ধা দিয়ে পুরা মাঠ কানায় কানায় ভরপুর। এ এক বিশাল মূর্খের জনসভা।

Matiur Rahman

Posted by Nipunservices on November 12, 2014 at 2:35 PM Comments comments ()

হাসিনা ও খালেদা দু'জনকেই বলতে শোনা গেছে - "আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা"। বয়সের কারণে স্বাভাবিকভাবেই একসময়ে হয়তো তাঁরা দুজনেই প্রধানমন্ত্রীর পদ চাইবেন না। কিন্তু তার মানে এই না যে, অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। তাঁরা দু'জনেই দলের মধ্যে তাদের ছেলেদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ রিজার্ভ করে রেখেছেন। তারপর ওদের ছেলেমেয়রা....তারপর্ আবার ওদের ছেলেমেয়রা....তারপর... তারপর...ওদের ফেমিলিতেই।

Khondaker

Posted by Nipunservices on November 10, 2014 at 10:00 PM Comments comments ()

.

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বার্তা

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জনগণের সঙ্গে তাই তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়। কমিশন তাদের যে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। এই সমালোচনার অর্থ রাষ্ট্রকে খাটো করা কিংবা কোনো বাহিনীকে ছোট করা নয়। এর মূল উদ্দেশ্য ভুল-ত্রুটিগুলো সংশোধনের চেষ্টা করা। তিনি আরো বলেন, 'সমালোচনা শোনার মতো সহিষ্ণুতা থাকা দরকার। উনারা (ঢাকা মহানগর পুলিশ) তো আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য আমি কি রেগে ফেটে আদালতে দৌড়াব?'

.

দেশে আইনি শিক্ষার গলদ আছে। আইন শুধু অর্থ উপার্জনের মাধ্যম এটা ভাবা হয়। আইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন হতে পারে এ জিনিসটি সব সময় উপেক্ষিত থাকছে। দরিদ্র মানুষ চারপাশে আছে, তাদের আমরা দেখি। কিন্তু অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তাদের খুঁজে দেখি না। যার জন্য গরিব-দরিদ্ররা দেশের পলিসির বাইরে থেকে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময়ই আইন কিভাবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে_ সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করি। ওই সময় থেকে বিভাগের ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ে কাজ শুরু করি।

.

একজন ধনী গরিবের বন্ধু হতে পারে। সংগ্রামের সাথী হতে পারে। কিন্তু দারিদ্র্য দূর করতে পারে শুধু দরিদ্ররা নিজেই। তাই নেতৃত্ব থাকতে হবে দরিদ্র মানুষের হাতে। এভাবে সেই আশির দশক থেকে মানবাধিকারের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত হয়ে যাই। এ কাজের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিও পেয়েছি।

.

মানবাধিকার বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হলে বর্তমান আইন পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন। আইনে বলা আছে, পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরাসরি তদন্ত করার প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কমিশন তদন্ত করতে পারবে না। কমিশনে যত অভিযোগ আসে; তার সিংহভাগ অভিযোগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। যাদের বিরুদ্ধে প্রধানতম লঙ্ঘনের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষমতা কমিশনের নেই। এটি আইনের বিরাট একটি ত্রুটি। এক্ষেত্রে আইনের সংস্কার করা বাঞ্ছনীয়। কমিশনের কার্যক্ষেত্র আরো প্রশস্ত করা সম্ভব হলে সাধারণ জনগণ সুফল পাবে।

.

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ফৌজদারি দ-বিধি ৫৪ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনাও অমান্য করা হচ্ছে। এ নিয়ে কমিশন উদ্বেগ জানিয়েছে। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এমন অনেক আইন ইতোমধ্যে সভ্য ও আধুনিক সমাজ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দেশে এ ধরনের কিছু আইন প্রচলিত আছে। যেগুলো থেকে আমাদের মুক্ত হওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। একজন মানুষকে হয়রানি করার মতো অনেক অস্ত্র রাষ্ট্রের হাতে থাকে। সেগুলো অপরাধীদের ধরার জন্য প্রয়োগ করুক। শুধু প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে নয়।

.

তবে মত ভিন্নতা যতই থাকুক বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রতি ঐক্য থাকতে হবে। এ নিয়ে আপস হতে পারে না। যারা ধ্বংসযজ্ঞ, গণহত্যা, অগি্নকা-ে বিশ্বাস করে, মানুষের মুখ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দিতে শঙ্কা করে না, যারা রেললাইন উপড়ে ফেলে যাত্রীদের মৃত্যুমুখে ফেলে দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না, সেই মত ভিন্নতার সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সহমত পোষণ করতে পারে না। বিচার-বহির্ভূত হত্যাকা-, গুম, খুন এবং এর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে। এ ধরনের বিচ্যুতি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত। সেই জায়গাটিতে রাষ্ট্রকে সতর্ক করে মানবাধিকার কমিশন।

Asit Ray

Posted by Nipunservices on November 10, 2014 at 1:25 PM Comments comments ()

বাংলাদেশের নির্বাসিতা লেখিকা, তসলিমা নাসরিনের দেশে ফেরার পক্ষে, কিছুদিন পূর্বে আমি লিখেছিলাম। তার জন্মগত অধিকারের জন্যে অনেকের সাথে, তার পক্ষে এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যে বিষয়টি, আমাকে খুব আঘাত করে, তা যতটা না তসলিমা নাসরিনের কিছু বিতর্কিত লেখা, তার চেয়ে বেশী ঘেন্না জেগে উঠে, কিছু নিউজপেপার নামের টয়লেট-পেপারের বিরুদ্ধে। তসলিমার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে, কি ভাবে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন কাটাবেন। কি ভাবে খাবেন, শুবেন, স্নান করবেন, মল-মূত্র ত্যাগ করবেন, তিনিই জানেন।

.

কিন্তু তিনি যদি মনে করেন, এ সবের-ও লাইভ দেখানো উচিত বা ধারণ-কৃত ছবি দেখানো উচিত। তখন স্বাধীনতার নামে, এই নারী বর্বর হয়ে যান। তার ব্যক্তিগত জীবনে, তিনি ক'বার বিয়ে করবেন, বা আদৌ করবেন কি না তার পছন্দ। কোন্‌ বয়সের পুরুষ বা নারীকে পছন্দ, বা ক'জন পুরুষ নিয়ে আনন্দ করবেন, কিভাবে আনন্দ করবেন, না কি আনন্দের জন্য পশুর সাথে মিলিত হবেন, সে-ও তার ব্যক্তিগত পছন্দ। কিন্তু এসবের ধারা বিবরণী কি লিখে জানাতে হবে?

.

আর কিছু টয়লেটপেপার এসব ঘটনাকে, বড় বড় করে সংবাদ তৈরী করে। বিষ্ঠার পোকারা রয়েছে, অমৃত মনে করে কেউ কেউ পান করে। তসলিমার ব্যক্তিগত বর্বরতা নিয়ে, সমাজের কি হবে? এই টয়লেট-পেপার গুলোই তসলিমা নাসরিন-দের তৈরী করে। অবশ্য নিজেরাও উপকৃত হয়। এখন প্রকাশ্যে চুমুর দাবী উঠেছে, আগামীতে লাইভ-সেক্স এর দাবী-ও আসার পথে। দোষটা আগামী প্রজন্মের-ই নয়। বর্তমান প্রজন্ম, আগামী প্রজন্মের জন্য এই দাবীকে , এগিয়ে রাখছে, ওরা শুধু উত্থাপন করবে।

Pinaki Bhattacharya

Posted by Nipunservices on November 10, 2014 at 10:15 AM Comments comments ()

গতকাল বিকেলে বগুড়ায় বড়গোলা থেকে বাসায় ফিরছি রিক্সায়; সাথে বাল্য বন্ধু স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের শীর্ষ নেতা মিশু। এমন সময় উল্টো দিক থেকে একটা বিশাল মিছিল গর্জন করতে করতে আসছে। মিশু বলল, আজকে বি এন পির বিক্ষোভ দিবস, এটা সেই মিছিল। বগুড়ার বিএনপির মিছিল বলে কথা, হাজারের উপরে মিছিলকারী। আমি হঠাৎ শ্লৌগানের কথা শুনে চমকে উঠলাম। মিছিলের মুল শ্লৌগান “জবাই কর- জবাই কর”। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রকাশ্য রাজপথে জবাই করার শ্লৌগান দিয়ে নিজেদের মহিমা জারি করছে। এর মধ্যেই দেখলাম দুয়েক জন মিছিলের সামনে থেকেই মিশুকে দেখে সালাম দিল, মিশুও হেসে সালামের জবাব দিল। নিজেরা তো ঠিকই সৌজন্য বিনিময় করছেন, কিন্তু কর্মীদের শেখাচ্ছেন কী? এরা তো রাজনৈতিক কর্মী, জল্লাদ বা খুনি নয়। এদের মুখে এই ধরণের অসভ্য আর বর্বর শ্লৌগান তুলে দেয়ার দায় কার? আর এই বিশাল মিছিল মৃত্যুক্ষুধায় গর্জন করতে করতে একবিংশ শতকের একটি নগরের রাজপথ প্রদক্ষিণ করবে? এটা মেনে নেয়া যায়?

.

শাহবাগে ঠিক এই ধরণের শ্লৌগান দেয়া হয়েছিল, “একটা দুইটা শিবির ধরো, ধইরা ধইরা জবাই করো”। আমি শিউরে উঠেছিলাম; এটা কী? পরদিন বাকী বিল্লাহ নতুন শ্লৌগান আবিষ্কার করলো, “একটা দুইটা শিবির ধরো, ধইরা ধইরা মানুষ করো”।

.

যখন রাজশাহীতে ছাত্র ছিলাম, আমি বিএনপি, জাসদ আর মৈত্রী তিন দলকেই দেখেছি হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়াল এমন সব প্রাগৈতিহাসিক অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করতে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কোন অর্থেই রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি, হয়ে উঠেছে ইনডেমনিটি পাওয়া মাস্তান বাহিনী।

.

আপনি চিন্তা করে দেখুন, দলের ব্যানার না নিয়ে এই শ্লৌগান দিয়ে কেউ রাজপথে আসলে তাকে কি ছেড়ে দিত পুলিশ, রাষ্ট্র? না দিত না। দলের ব্যানার থাকলেই সব ধরণের ফ্যাসিস্ট আর অসভ্য ফ্যান্টাসি বৈধ হয়ে যায়। আফসোস।

Imran Sami

Posted by Nipunservices on November 10, 2014 at 9:15 AM Comments comments ()

শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়াকে হত্যা করা হলে যদি দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, আমার বিশ্বাস উনারা দেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত আছেন। দেশের জন্যেতো উনারা রাজনীতি করেন, দেশের জন্যে সর্বোচ্ছ ত্যাগে উনাদের পিছপা হবারতো কথা নয়। দেশপ্রেমিকরা যুগেযুগে এমন ত্যাগের সাক্ষর রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবন দিয়েছেন, জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছেন, ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালি জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য জাতির জন্য।

.

এমন আজগুবি কথাগুলো বলার কারন দুটোঃ প্রথমত, সম্প্রতি পশ্চিম বঙ্গে বাংলাদেশী দুজন পুরুষ জঙ্গি এবং আসামে একজন নারী জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে যারা কিনা হাসিনা খালেদাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলো। জঙ্গিরা কি উদ্দেশ্যে হত্যা করতে চায় তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে এ কারনটি ভাবনায় তেমন একটা গুরুত্বপুর্ন ঠেকেনি, দ্বিতীয় কারনটাই হচ্ছে ভাবনার মুলে!

.

দ্বিতীয় কারনটি পড়তে গিয়ে আশাকরি কারো ধৈর্যচ্যুতি ঘটবেনা। প্রথমে শেখ হাসিনার কথা বলিঃ

একজন গুরুজনের কিছু প্রশ্ন দেখুন-

____শেখ হাসিনার চাইতে বড় 'ক্ষমতালোভী স্বৈরাচারী' আর কেউ কি আছেন বা ছিলেন?

____শেখ হাসিনার চাইতে বড় 'মুক্তিযুদ্ধ' ব্যাবসায়ী আর কেউ কি আছেন বা ছিলেন?

____শেখ হাসিনার চাইতে বড় 'রাজাকার' ব্যাবসায়ী আর কেউ কি আছেন বা ছিলেন?

____শেখ হাসিনার চাইতে বড় 'ধর্ম' ব্যাবসায়ী আর কেউ কি আছেন বা ছিলেন?

____তবে, এটা প্রমানীত সত্য শেখ হাসিনার চাইতে বড় 'মুক্তিযুদ্ধ ব্যাবসায়ী স্বৈরাচারী বকধার্মিক রাজাকার' আর কেউ নাই এবং ছিলেন না।

.

প্রকৃতপক্ষে কথাগুলো আজ সর্বজনের মুখেমুখে সর্বময় বিস্তৃত।

.

এবার আসি খালেদা জিয়ার বিষয়েঃ

____খালেদা জিয়াকে আপনারা বলেন আপোসহীন নেত্রী, প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ঘাড়তেড়া নেত্রী।

____ খালেদা জিয়ার মত নেত্রীরা শুধুমাত্র রাজকীয় পরিবেশে বসবাসকারীদে মানুষ মনে করেন, বাকিরা সব নর্দমার কীট।

____খালেদা জিয়ারা শহীদ জিয়া স্বপ্নের জাতিয়তাবাদী দলটিকে জনগনের দলের পরিবর্তে পারিবারিক দলে রুপান্তর করতে পারেন।

____খালেদা জিয়া দল পরিচালনায়, জনগনের আশা আকাঙ্খায় এবং জাতিয় বিহত্তর স্বার্থ গুলোতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও নেতৃত্ব ছাড়েন না।

____চোর চাট্টারা খালেদা জিয়ার চতুর্পাশে ঘুরঘুর করলেও যোগ্য ব্যাক্তিদের তিনি দলে ঠাই দেননা।

.

শেখ হাসিনার ন্যায় এটাও প্রমানিত সত্য যে, খালেদা জিয়ার মত ঘাড়তেড়া, অহংকারী, অযোগ্য এবং জনগনের হতাশার মুর্তপ্রতীক আর কেউ নেই।

.

শেখ হাসিনার যেমন মানুষ এখন পতন চাইছে, তেমনি খালেদা জিয়াকে দিয়েও জাতিয়তাবাদী শক্তির মুক্তি সম্ভব নয় বলে জনগন বিশ্বাস করে। এমতবস্থায় জঙ্গিদের সাথে তাল মিলিয়ে বলবোনা দুজনকে হত্যা করা প্রয়োজন, প্রকৃতার্থে দুজনের পতন প্রয়োজন; দেশের স্বার্থে এবং দেশ জাতির কল্যানার্থে। যেহেতু উনারা দুজনই দেশপ্রেমিক, দেশের জন্য রাজনীতি করেন, জনগনের জন্য রাজনীতি করেন সেহেতু নিজে থেকেই যদি নিজেদের পতন তরান্বিত করতেন তবে বেশ হতো।

Abdul Halim Miah

Posted by Nipunservices on November 7, 2014 at 11:10 AM Comments comments ()

 


বিশেষ করে বাংলাদেশে যে কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা তা স্বয়ং আল্লাহর ফেরেশতারা এসে না বললে বিশ্বাষ করাটা খুবই মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সত্য ও মিথ্যাকে পৃথক করতে রাষ্ট্রীয় একটা নিরপেক্ষ মেশিনারীজ থাকে, প্রক্রিয়া থাকে, যার উপর দলমত, সাধু, ক্রিমিনাল নির্বিশেষে ভরসা করে, সেটা বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। যার ফলে বাংলাদেশের দুটো বৃহত দল যারা মুলত জনসংখ্যার সিংহভাগ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করে তারা তাদের সুবিধামত ও ইচ্ছেমত সম্পুর্ন বিপরীত মুখী ইতিহাস, তথ্য ও বটিকা জনগনকে সেবন করাতে সচেষ্ট হয়। যেমন একদল বঙ্গবন্ধুকে যখন বলছেন, জাতির জনক, আর এক দল বলছে তিনি ছিলেন দেশদ্রোহী! স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এরকম ঘটনা মনে হয় পৃথিবীর আর কোন দেশে নেই। এই রকম একটা ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত মুখী অবস্হানে থেকে দু দলই আবার বলছে যে তারা নাকি জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে গড়ে তুলতে চান। এখন পাঠক বিচার করুন, ষোল কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব কিনা? আর তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাওয়ার কি এই নমুনা?

সেই সাথে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর মিজানুর রহমানকেও জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ তার সাম্প্রতিক সাহসি ভুমিকার জন্য। এ মুহুর্তে সারা বিশ্বের রাজনীতিতে যে জংগীবাদের জঘন্য ট্রাম কার্ড খেলা হচ্ছে, তারই যেন কিছুটা প্রতিধ্বনি করেছেন, বলেছেন, "ন্যায় বিচার সম্পর্কে বললেই আমাকে জংগীবাদের উস্কানীদাতা বলা হয়"। জানি তিনি কোন প্রসংগে বলেছেন, তবে শুধু বলবো, শুধু জংগীবাদ নিয়ে নয়, ক্ষমতার নোংড়া স্বাদ গ্রহন করতে ব্যাস্ত ও উদগ্রীব উন্মাদেরা যখন যে খেলাটা দরকার সেটাই করে থাকে, কখনো নাস্তিক, কখনো জংগীবাদ, কখনো নকশাল, কখনো সন্ত্রাসী, কখনো কম্যুনিষ্ট, কখনো সাম্প্রদায়িকতা!

তাই বলে সময়ের সাহসী সন্তানেরা থেমে থাকেন না, তারা তাদের কথা বলেই যান, সত্যের উপর অবিচল দাড়িয়ে থাকেন।

 

Khugesta Nur E Naharin

Posted by Nipunservices on November 7, 2014 at 9:25 AM Comments comments ()

মাঝে মাঝে মনটা খারাপ হয়ে যায়। মানুষ এত স্বার্থপর কি করে হয় ? সারাদিন মসজিদে যেয়ে নামাজ পরে ,মাথায় টুপি পরে থাকে,সারাক্ষণ আল্লাহ্‌- বিল্লাহ করে , হাতে তসবিহও থাকে কিন্তু এতিম অসহায়দের ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর হয়। এদের মধ্যে অনেকে আবার রাজনীতিবিদ। এরা আরও খানিকটা এগিয়ে। মুখে বড় বড় কথার ফুলঝুরি কিন্তু নিজের স্বার্থের বাইরে এক পা রাখতেও রাজী নয় । এরা সবাই অন্যের অসহায়ত্বে নিজের ফয়দা খুঁজে। ওদের সুন্দর চেহারার আড়ালে কুৎসিত মনটা লুকিয়ে রাখে। এদের দেখে আমার ভালো লাগে। নিজেকে বড় মনে হয়। বিশেষ করে কেউ যখন আমায় ঈর্ষা করে তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। কাউকে ঈর্ষা করার অর্থ তাকে বড় মনে করা। তখন মনে হয় আমি ভালো আছি, অনেক ভালো, অনেকের চাইতে ভালো। এই ভাবনা আমাকে কষ্টের পরিবর্তে সুখ এনে দেয়। পৃথিবীতে সব কিছুই আপেক্ষিক। তাই অন্যের নিচুতা দেখলে তখন আমরা নিজেদের বিশালতাকে মূল্যায়ন করতে পারি। পৃথিবীটা কয়দিনের ! আমাদের সব কিছুই পিছু ফেলে যেতে হবে শুধু সঙ্গে রবে আমাদের মন আর কীর্তি । এই অল্প সময়ের জন্য এত কিছু ! এত স্বার্থপরতা, এত নিচুতা, এত অন্যায়, এত হিংসা, এত লোভ ? মৃত্যুর পর কি হবে জানিনা কিন্তু এগুলো আমাদের সাথে গেলে কষ্ট সুনিশ্চিত ! পৃথিবীতে আমরা সরল আর অসহায় মানুষদের ঠকাতে পারি সহজেই। টাকা আর ক্ষমতা থাকলেই পুরো পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় । কিন্তু প্রকৃতির প্রায়শ্চিত্ত ----- এরাবো কি ভাবে ?

Khondaker

Posted by Nipunservices on October 25, 2014 at 9:15 AM Comments comments ()

.

পাকিস্তানের চর গোলাম আজমের জানাজা হছে পাকিস্তানেও - দুগা দুগা

৭১ এ যুদ্ধের সময় যেসব উক্তি গোলাম আজম করেছিলঃ

গোলাম আযম বলেছিল: পাকিস্তান যদি না থাকে তাহলে জামাত কর্মীদের দুনিয়ায় বেঁচে থেকে লাভ নাই।

Asit Ray

Posted by Nipunservices on October 22, 2014 at 8:00 AM Comments comments ()


অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী নেতাকে যদি কেউ গালি দেয় বা তাঁদের পরিবার নিয়ে কেউ কটূ মন্তব্য করে, হয়ত রেডিও-টেলিভিশনে সংবাদে বড় বেশী হলে, এক/দুবার বলতে পারে। রাস্তায় কেউ দা বা কূড়াল নিয়ে আসবে না ,পালটা গালি কেউ দেবে না। একেই তো বলে গণতন্ত্র ।

.

বাংলাদেশ বা ভারতে, প্রকাশ্যে গালি দিয়ে কেউ শান্তি পাবে না। কারণ, দাসরা রয়েছে 'মনিবের' সম্মান রক্ষায়, প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেবে। এখনও দাস-তন্ত্র চলছে। ঐগুলো যারা বেশী অপমানিত বোধ করে, হানাহানিতে লিপ্ত হতে পিছিয়ে থাকবে না, এগুলোর জন্ম হয়েছে দাসত্ব করার জন্য।

Khondaker

Posted by Nipunservices on October 21, 2014 at 7:15 PM Comments comments ()

.

খুনের মামলা - যোগ দিন সরকারী দলে, মুশকিল আহসান

.

সোমবার রাতে আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদি বাজার মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রায় কয়েক শ’ নেতাকর্মী নিয়ে আবুল বাশার কাশু ফুলের তোড়া ও স্বর্ণের তৈরি নৌকা প্রতীক সংবলিত কোট পিন এমপি নজরুল ইসলাম বাবুকে পরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় মাইকে ঘোষণা দেয়ায় নৌকা প্রতীক সংবলিত কোট পিনে তিন ভরি স্বর্ণ রয়েছে।

.

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আলোচিত আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে দিনে দুপুরে হত্যার মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা ও গোপালদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার কাশু নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুকে নৌকার প্রতীক সংবলিত সোনার কোট পিন উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এছাড়া ওই যোগদান অনুষ্ঠানে আরও যোগ দেন চার খুন মামলার আসামি সদাসদি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মেম্বার, বিএনপির উপজেলা কমিটির সদস্য বদরুদ্দিন আহম্মেদ, শামসুল হক ও নাজমুল হক।

.

সূত্রমতে, ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ভাইসহ ৪ জনকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ছিলেন আবুল কাশেম ওরফে কাশু চেয়ারম্যান।

Sheikh Mohiuddin Ahmed + Sohel Biplob

Posted by Nipunservices on September 16, 2014 at 9:00 AM Comments comments ()

মোচওয়ালা গাফফার চৌধুরীর মত মানুষ পুরো জাতিকে খালি পায়ে গান ধরিয়ে দিয়ে প্রভাত ফেরিতে পাঠিয়ে নিজের সন্তানদের ইংরেজি শিক্ষার মানুষ বানাতে বিলেতটাই ছাড়তে পারলো না। বাংলা ভাষার নামে পুরো জাতিকে এমন মূর্খ বানিয়ে দিলো যে আজ ইংরেজি জানা কয়েকজন ছাড়া প্রশাসনে আমলাও পাওয়া যায় না। আমাদের জাতিকে বাংলায় ডুবিয়ে রেখে, কল্পনার ফানুস দিয়ে ভারতীয়দের হাতে ইংরেজি বিদ্যা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আজ ভারতীয়রা ইংরেজি শিখে পুরো দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হায়রে জ্ঞান পাপি জাতীয় দুশমন গাফফার গং!

.

এই লোক নিজেকে নির্বাসিত দাবী করে। মিডিয়ার কিছু দালালও তাকে নির্বাসিত লেখক কলামিস্ট হিসেবে উল্লেখ করে। কেন সে নির্বাসিত? কে তাকে বাংলাদেশে আসতে বাধা দিয়েছে? মাঝে মাঝেই তো আসে। কই, কেউ তাকে ভেংচি কাটতে তো দেখিনি কিংবা খোচা মেরে তাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে এমনটা তো দেখিনি! এই লোক আওয়ামী অপপ্রচারের মেশিন। যা-ই ঘটুক, এই মিথ্যার বাকসোর কলমের মুখ দিয়ে মিথ্যা ছাড়া সত্য বের হয় না। লেখায় এমন সব রেফারেন্স দেবে যা যাচাই করার কোন সুযোগই নেই। ঢাকা থেকে একজন কিংবা দিল্লী থেকে একজন আমাকে টেলিফোনে বলেছেন, অমুক আমাকে বলে গেছেন (যিনি অলরেডি মৃত, কিংবা বন্ধুদের একজন (নাম উল্লেখ না করে ইত্যাদি জবড়জং রেফারেন্স দিয়ে এই লোক অহর্নিশি মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে। এত কিছুর পরও কেউ তার নাকে সুড়সুড়ি দিয়ে হাচি বের করে পরিবেশ দুর্গন্ধ করতে চায়নি। তবু সে নির্বাসিত! আমার তো মনে হয় বিলেতি লাল পানির সহজলভ্যতা তাকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না। কিন্তু নির্বাসন নাম ভাঙিয়ে খেয়ে যাচ্ছে!

..

http://www.sheikhnews.com/2014/09/13/sheikhmohiuddin-26/

 

Sayeed Tareq

Posted by Nipunservices on June 30, 2014 at 11:55 PM Comments comments ()

ঈদের পরই সরকার পতনের আন্দোলন’

.

বহুবার শোনা কথা। শুধু ঈদের পর নয়, এসএসসি পরীক্ষার পর বর্ষা মওসুমের পর স্বাধীনতা দিবসের পর বিজয় দিবসের পর এই বছরের পর- সরকার পতনের এই টার্গেটের কথা শুধু গত পাঁচ বছরেই নয়, এর আগের পাঁচ বছর তার আগের পাঁচ বছর তার আগের পাঁচ বছর অর্থাৎ যেদিন থেকে দুই নেত্রীর মধ্যে ক্ষমতার মিউজিক্যাল চেয়ার রেস শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই আমরা শুনে আসছি। এই ধরনের বচন আমরা শেখ হাসিনার মুখে শুনেছি, অতীতে বেগম খালেদা জিয়ার মুখে শুনেছি, এখনও শুনছি। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে এতবার শুনেছি যে নেত্রী আ উচ্চারণ করলেই পাবলিক বুঝতে পারে তিনি কখন আম খেতে চাইছেন আর কখন আমড়া পাড়তে বলছেন! এই সমস্ত হুংকার এখন আর দেশের মানুষকে নাড়া দেয়না উদ্বেলিত করেনা।

 

Sheikh Mohiuddin Ahmed

Posted by Nipunservices on June 30, 2014 at 3:00 AM Comments comments ()

রাজনীতিতে আমাদের সকল বিজ্ঞ ও অজ্ঞ জনেরা কেবলমাত্র ব্যক্তিকে নিয়েই যুদ্ধে লিপ্ত। হয় শেখ মুজিবুর রহমান নয় জিয়াউর রহমান, না হয় খালেদা জিয়া নতুবা শেখ হাসিনা অধুনা তারেক রহমান, বা সজীব জয়। কিন্তু এই রাজনৈতিক ক্যাচাল আর মিডিয়ার যুদ্ধের কোথায়ও আমজনতার দুর্ভাগ্য নিয়ে বা আমজনতার চলমান সমস্যা নিয়ে কোন দল বা কেউই যুদ্ধ করে না। সত্যিই আফসোস। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তদের এই অপমানসিকতাকে আমরা কিভাবে মুল্যায়ন করতে পারি? এ হিপক্রেসি (বলি এক করি আর এক থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার কোন পথ কি আমাদের জানা নেই?

.......................................

কয়েক লাখ ধান্দাবাজ, ভণ্ড শিক্ষিত, পেশাজীবী আর বুদ্ধিজীবীদের হাতে পুরো ১৬ কোটি আমজনতার ভাগ্য খাবি খাচ্ছে। এরাই রাজনীতির নিয়ন্তা আর এরাই এখনও রাজনীতির নামে নিজেরদের একবার ভালো মানুষ আর একবার ত্রান কর্তা বানাচ্ছে আর ধর্মকেও ব্যবহার করছে প্রয়োজন মত। সাথে আছে ড্রাগ ডিলার ও কালোটাকার মিডিয়া। এদের বিপরীতে ১৬ কোটি মানুষের মাঝে ১০০ জন সৎ ও দুঃসাহসী রাজনৈতিক আদর্শ সচেতন নীতিবোধ সম্পন্ন নেতা/কর্মী পাওয়া কষ্টকর হলেও জুমার নামাজে মসজিদগুলোতে ঠাই পাওয়া দুঃস্কর।

Bodiul Alam Mozumder

Posted by Nipunservices on June 3, 2014 at 12:35 AM Comments comments ()

ক্ষমতার রাজনীতি ও তার পরিণতি

.

বাংলাদেশের রাজনীতির যেকোনো নিবিড় পর্যবেক্ষকই দ্বিমত করবেন না যে আমাদের রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতার রাজনীতিতে বিভোর৷ তাঁরা যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যেতে বদ্ধপরিকর৷ দলে গণতন্ত্রচর্চার মতো যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য, সেগুলো থেকে তাঁরা বহু দূরে৷ কিন্তু কেন? তার পরিণতিই বা কী? রাজনীতির যেসব গুরুতর সমস্যার কথা অধ্যাপক রওনক জাহান হাজির করেছেন, তার অধিকাংশই রোগের উপসর্গমাত্র৷ তবে রোগের চিকিৎসার জন্য রোগের কারণ চিহ্নিত করা জরুরি৷ আমাদের ধারণা, দুর্নীতিই আমাদের বিরাজমান ক্ষমতার রাজনীতির প্রধান কারণ৷ জনকল্যাণের পরিবর্তে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কল্যাণই ক্ষমতায় যাওয়ার প্রধান আকর্ষণ৷ তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সর্বস্তরে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের মূলোৎপাটন করা আমাদের অন্যতম জাতীয় অগ্রাধিকার৷

.

ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা যায় এবং সেই লুটপাটের ফসল প্রায় নির্বিঘ্নে ভোগ করা যায়৷ আনুগত্য ‘ক্রয়’ বা অব্যাহত রাখার জন্য ফায়দা হিসেবে তা ব্যবহারও করা যায়৷ এ কারণেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এবং ক্ষমতার আশপাশে থাকা ব্যক্তিরা, সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, বৈধ আয়ের উৎস ছাড়াই অঢেল অর্থবিত্তের মালিক৷

.

লুটপাট করার ও অন্যায় ফায়দা বিতরণের জন্য শাসক শ্রেণির কাউকে সাধারণত জেলে যেতে হয় না৷ অর্থ ও তদবিরের বিনিময়ে তাঁরা পার পেয়ে যান৷ কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধের মামলা ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ প্রত্যাহার করা হয়৷ রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও এসব দুর্বৃত্তের তেমন কোনো মাশুল গুনতে হয় না৷ তাই লুটপাটতন্ত্র কায়েম এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ভোগই ক্ষমতায় যাওয়ার উম্মত্ত প্রতিযোগিতার প্রধান কারণ বলে আমাদের বিশ্বাস৷

.

৪৩ বছরের ইতিহাসে একমাত্র সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাধর ব্যক্তিকেই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল খাটতে হয়নি৷ তবে দুর্নীতির অভিযোগে জেল খাটলেও এরশাদ রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে নির্বাসিত হননি; বরং তিনি আমাদের রাজনীতিতে ‘কিং-মেকারে’ পরিণত হয়েছেন৷ আমাদের প্রধান দুটি দলই—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এরশাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য এখনো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত৷ প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের প্রাক্কালে প্রণীত তিন জোটের রূপরেখায় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য প্রধান দলগুলো এরশাদের দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সমঝোতা না করার অঙ্গীকার করেছিল৷

.

দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক কাঠামোতে ছলে-বলে-কলে-কৌশলে ক্ষমতা ‘দখল’ করলেই হয় না, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়৷ আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রয়োজন পড়ে৷ সে কারণেই দল ও সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আমাদের দেশে দুই ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবার বা একান্ত অনুগতদের হাতে কুক্ষিগত৷ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোয় ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের অনপুস্থিতি এ ব্যবস্থারই প্রতিফলন৷

.

রাষ্ট্রীয় বৈধ ক্ষমতা অবৈধভাবে ব্যবহার করা গেলে দুই ক্ষমতাকেন্দ্রের মধ্যে বিরাজমান ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়৷ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দলীয়করণের মাধ্যমে এ ভারসাম্য নষ্ট ও ক্ষমতা অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়৷ আর ভারসাম্য নষ্ট হলে সমঝোতা ভেঙে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার পাঁয়তারা করেন, যা ঘটেছিল ২০০৬ সালে৷

.

রাষ্ট্রীয় বৈধ ক্ষমতা অবৈধভাবে ব্যবহার করা গেলে সে ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়, এমনকি নিশ্চিহ্ন করার প্রচেষ্টাও চালানো যায়৷ র্যাবকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার এর একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত৷ ২০০৪ সালে র্যাব সৃষ্টি করা হয় মূলত ফায়দা প্রদান ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট সন্ত্রাসীদের শায়েস্তা করার লক্ষ্যে৷ কিন্তু দলীয়করণের কারণে র্যাব ক্রমাগতভাবে দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হতে থাকে, যার নগ্নতম প্রতিফলন ঘটে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ে৷ অন্যায়ভাবে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের মাধ্যমে র্যাবের শৃঙ্খলা বহুলাংশে ভেঙে পড়ে এবং এ বাহিনীর কিছু সদস্যের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা সৃষ্টি হয়৷ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা এ প্রবণতারই প্রতিফলন বলে আমাদের ধারণা৷

.

রাজপথে সহিংসতা সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো মাস্তান পোষে, সরকারি দলের পক্ষে যা করা অপেক্ষাকৃত সহজ৷ অনেক দিন থেকেই আমাদের রাজনীতিতে তা চলে আসছে৷ ফায়দাতন্ত্রের সম্প্রসারণের ফলে মাস্তানের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আর এ মাস্তানদের অনেকেই বর্তমানে মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন এবং নির্বাচনী অঙ্গনে প্রবেশ করছেন৷ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলদারত্ব ইত্যাদি অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে যাওয়া এসব মাস্তানের অনেকেই এখন তাঁদের পুরোনো রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করছেন৷ এসব মাস্তানের কেউ কেউ টাকা ও পেশিশক্তি খাটিয়ে এখন মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইত্যাদি পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন৷ ফলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে রাষ্ট্র আজ, প্রয়াত বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায়, ক্রমাগতভাবে ‘বাজিকরদের’ হাতে চলে যাচ্ছে, যা এক ভয়াবহ অশনিসংকেত৷

.

রাজনৈতিক দলে ব্যক্তি ও পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসার ফলে এমনিতেই রাজনীতিতে মেধাবী ব্যক্তিদের প্রবেশের পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে৷ রাজনীতিতে ক্রমাগতভাবে মাস্তানতন্ত্রের বিস্তারের কারণে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিরা এ অঙ্গন থেকে ভবিষ্যতে সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত হবেন৷ এর ফলে দেশে ক্রমবর্ধমানহারে অযোগ্য ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, যা জাতির জন্য কোনোভাবেই কল্যাণ বয়ে আনবে না৷ এমন পরিস্থিতিতে আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য ভবিষ্যতে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে৷ এ ছাড়া চাঁদা-টেন্ডার তথা ফায়দা প্রাপ্তির প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে এবং সরকারি দলের অভ্যন্তরে খুনখারাবি আরও বাড়বে৷

.

আর দেশে অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিবাজ ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এর মাশুল পুরো জাতিকেই দিতে হবে৷ কারণ, অপরাধীদের শাসন দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, যা ভবিষ্যতে উগ্রবাদী শক্তির উত্থানের পথকে সুগম করবে৷ ধর্মাশ্রিত শক্তি এরই মধ্যে এই উপমহাদেশে তাদের কুৎসিত চেহারা প্রদর্শন করা শুরু করেছে৷ বিরাজমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উগ্রবাদের বিস্তারকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলেই আমাদের আশঙ্কা৷

ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন৷

shapon

Posted by Nipunservices on May 24, 2014 at 10:45 AM Comments comments ()

 

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে পথমেই প্রয়োজন চাকরী, প্রমোশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, টেন্ডার, নির্বাচনে জয়ী, প্রভৃতি প্রাপ্তিলাভের সকল অবৈধ পন্থা বাতিল করে বৈধভাবে যোগ্য ব্যাক্তিদের তা প্রদানের ব্যাবস্থা করা, সুধ, ঘুষ, সেলামী নিষিদ্ধ করা । ইসলামে আমাদের জীবন চলার যে সুন্দর ব্যাবস্থা করে দিয়েছে, তা থেকে দূরে সড়ে গেলে বিপদ প্রতি মুহূর্তেই সামনে আসবে । আল্লাহ ও আল্লাহর রসুল (সাঃ আঃ) আমাদের মংগলের জন্যই কুরআন হাদিসে আমাদের সহজ সরল পথ দেখিয়েছেন । আমরা সেই পথ থেকে দিন দিন দূরে সড়ে যাচ্ছি । কাউকে দোষারোপ না করে আমাদের সংশোধন আমাদেরই করতে হবে । আমাদের ভূলে গেলে চলবেনা যে, জীবন ক্ষণস্থায়ী, পরকালে প্রতিটি কাজের জবাব দিতে হবে । কারো ধন সম্পদ, অধিকার ছিনিয়ে নিলে আল্লাহ কখনোই তা ক্ষমা করবেন না । অর্থ, বিষয় সম্পত্তি, ক্ষমতা, যশ এই সবের জন্যই কি মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে ? অবৈধ সকল পথ পরিহার করে আমাদের প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহর নিকট চাইতে হবে । আল্লাহ আমাদের রিযিকদাতা, তিনিই আমাদের মান সম্মান বৃদ্ধিকারী । অবৈধ সকল পথ ছেড়ে আসুন আমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য চাই । তিনি পরম দয়ালু ও অসীম ক্ষমতাবান ।

আল্লাহ আমাদের সহায় হউক (আমিন)

Abu Sayeed Ahamed

Posted by Nipunservices on May 8, 2014 at 8:55 PM Comments comments ()

Ripon Canada's photo.

পয়েন্ট এইটা না যে, নারায়নগঞ্জের সাত অপহরণ-খুন-গুমের ঘটনায় র‍্যাব হতে প্রত্যাহারকৃত তিন কর্মকর্তাকে স্ব স্ব বাহিনী থেকে অবসরকালীন সকল সুযোগ সুবিধাসহ অবসর প্রদান করা হয়েছে।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের দ্বারা অভিযুক্ত বর্তমান মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র আর স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয় নাই।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, এই ঘটনায় সম্পৃক্ত হিসাবে নিজ পুত্রের নাম আসায় নৈতিক কারনে মায়া এখনো পদত্যাগ করেন নাই বা তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হয় নাই।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপহরনের দশ মিনিটের মধ্যে সব জানার পরেও ব্যাবস্থা নিতে ব্যার্থ হয়েছেন বা এই ঘটনার বেনেফিশিয়ারীরা উনার ঘনিষ্ট আর ক্ষমতার স্টেক হোল্ডার হওয়ায় তাদের বাচাতে ব্যাবস্থা নেন নাই।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, এই ঘটনায় শেখ হাসিনা ক্ষুব্দ হয়েছেন অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পূর্ন মন্ত্রী হিসাবে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির প্রধান দায় তার।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, সাগর-রুনীর হত্যাকান্ডের তদন্ত শেখ হাসিনা নিজে তদারকি করেছিলেন আর ফলাফল সবার জানা।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, সাত খুনের ঘটনায় আই ওয়াশের জন্য বলির পাঠা কেউ না কেউ হবে। বলির পাঠাকে বিচার বহির্ভূতভাবে ক্রস ফায়ারে হত্যা করা হবে।

.

পয়েন্ট এইটা না যে, রাষ্ট্র সাত খুনের প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করবে। কারন এই অপরাধীরা রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালকদের খুব ঘনিষ্ট। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অংশীদার।

.

পয়েন্ট হলো, রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসী, তখন সন্ত্রাসকে উপভোগ করাই শ্রেয়।


Oops! This site has expired.

If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.