|
![]() |
.
পুলিশের অপরাধের তদন্ত ও বিচার করবে কে? সমাজের কে বড় সন্ত্রাসী?
.
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কিছু পুলিশ সদস্য। জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যাদের কাজ করার কথা তারা নিজেরাই জড়িয়ে যাচ্ছেন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। দিন দিন বেড়েই চলেছে এই অপরাধ প্রবণতা। ঘুষ-দুর্নীতির নিত্যদিনের অভিযোগ ছাপিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ আর ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা। দেড় লক্ষাধিক সদস্যের পুলিশের এ বিশাল বাহিনী কতিপয় সদস্যের জন্য ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। বিশেষ করে কনস্টেবল থেকে শুরু করে এএসআই, এসআই ও পরিদর্শকরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন বেশি। পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক বলয়ে থাকা মুষ্টিমেয় কিছু পুলিশ সদস্য পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। অপরাধ করে রাজনৈতিক প্রভাবে পার পেয়ে যাওয়ার কারণে তাদের দেখে অন্যরা উৎসাহিত হচ্ছেন। পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, পুলিশের সদস্যরা সাধারণ বা ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুপারভিশনের অভাব। ওপর থেকে যথাযথ সুপারভিশন না হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এটি বন্ধ করতে হলে অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। যাতে অন্য কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সাহস না পায়।
.
ছরে কমবেশি ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। অপরাধেল মাত্রা নির্ধারণ করে গুরু দন্ড ও লঘু দণ্ড দেয়া হয়। কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশের ডিসিপ্লিনারি ও প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড বিভাগ। আর এসআই থেকে পরিদর্শক পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরের সংস্থাপন শাখা। এএসপি থেকে উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই কর্মকর্তা জানান, পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্সে’র ঘোষণা দিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিটি সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়।
.
একই সঙ্গে পুলিশের সদস্যদের কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দেখাতে হবে। কারণ পুলিশ একটি শৃঙ্খল বাহিনী। পুলিশই যদি অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাহলে মানুষের আস্থা কমে যাবে। সমাজে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে।
.
পুলিশের অপরাধের তদন্ত বা অনুসন্ধান পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহানুভূতি লাভ করেন। একারণে অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নিয়ে লঘু দণ্ড দেয়া হয়। আর অন্য বাহিনী দিয়ে তদন্ত করালে পুলিশ তাদের তদন্তে সহযোগিতা করে না। চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে সারা দেশে দু’শতাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যে আটক বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেই ঘটনার তদন্তে র্যাকবকে দেয়া হয়। কিন্তু তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ রয়েছে।
|
![]() |
.
আলফ্রেড সরেন কে মনে আছে?
.
২০০০ সালের ১৮ই অগাস্ট ,নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার ভীমপুর নামক আদিবাসী গ্রামে এই আদিবাসী নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে চাইনিজ কুড়াল,বল্লম,রামদা দিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে ভূমি দস্যুরা। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল আদিবাসীদের শেষ আশ্রয় গুলো।তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় গদিতে ছিল চেতনার আড়ৎদার আওয়ামীলীগ সরকার।আদিবাসী নেতা হত্যার কারনে জেগে উঠেছিল সমগ্রদেশের আদিবাসী পল্লী গুলো।প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গিয়েছিলো সারা দেশে। নানা নাটুকে সংলাপ, বহু দৃশ্যর অবতার হলো।এবার ফলাফল ........।
.
না কিছুই হয়নি।সরেন হত্যার ১৪ টি বছর কেটে গেছে বিচার হয়নি।সেই প্রতিবাদের ঝড়ও নেই।গদিতে বিএনপি আসলো,কেয়ারটেকারের বোরখাই আর্মি আসলো এখন আবার সেই আওয়ামীলীগ। সেই ভূমি দস্যুরা বুঝে গেছে তাদের টুটি চেপে ধরার মত মুরোদ রাষ্ট্রের নেই,যেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক ,যমুনা গ্রুপের মালিক পরম পূজনীয়।।
.
এবার আসি নাচোল থানার নাসিরাবাদ গ্রামের নয়নতারায়।তাকে কেউ চেনেনা।সামান্য কিছু জমি আছে।সেটার উপর নজর পড়েছে সামন্ত সমাজের শেষ বংশধরদের,মুনাফা লোভীদের।গত মাসের ১৮ই অক্টোবর ভূমি দস্যু আমিনুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিকেল ৪ টা থেকে রাত্রি ৮টা অবধি নয়নতারার উপর করেছে পাশবিক নির্যাতন। ঘর থেকে টেনে নামিয়ে বিবস্ত্র করে যৌনাঙ্গে মরিচের গূড়া ,গুলের গূড়া ঢুকিয়ে দিয়েছে ভূমি দস্যুরা।লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে তার যৌনাঙ্গে।ভেঙে ফেলেছে তার ডান পা।বিচার নেই।রাষ্ট্রীয় সেবক বাহিনী পুলিশের নাচোল থানার ওসি কোথায় আসামি ধরবে তা না করে গিয়েছে মিমাংসা করতে । ১লাখ টাকা দিয়ে চুপ থাকতে বলেছে।যদিও এটাই পুলিশের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।বিচার আশা করা এখন অন্যায়।তার জন্য অর্থ থাকতে হয়।করতে হয় দলাদলি,দালালি। সেটা জাতীয়তাবাদীর হোক বা চেতনার আড়ৎদারের হোক।হুমায়ুন আজাদের কথাটা আবার বলতে হয়, এই দেশে দলালি ছাড়া ফুলও ফোটেনা।বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে এ মাথা নিচু করে বেঁচে থাকতে হয় আলফ্রেড সরেনের পরিবার কে,মুখ লুকিয়ে থাকতে হয় নয়নতারাদের।
|
![]() |
.
মন্ত্রী হয়েও তাঁরা কোম্পানির পরিচালক –এটা বাংলাদেশই সম্ভব
।
তাঁরা চারজন। মোশাররফ হোসেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও জাহিদ মালেক। প্রথম দুজন মন্ত্রী আর শেষের দুজন প্রতিমন্ত্রী। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাঁরা ‘সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের’ শপথ নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
.
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরও এই চারজনই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত লাভজনক কোম্পানি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রথম আলোর তথ্যানুসন্ধানে এর সত্যতাও মিলেছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর লাভজনক কোনো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। কেউ যদি এটি করে থাকেন, তাহলে তা ‘সংবিধানের লঙ্ঘন’।
.
সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সরকারের কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী পদে নিযুক্ত বা কর্মরত ব্যক্তি কোনো লাভজনক পদ কিংবা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় বহাল হইবেন না কিংবা মুনাফালাভের উদ্দেশ্যযুক্ত কোন কোম্পানি, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বা পরিচালনায় কোনোরূপ অংশগ্রহণ করিবেন না।’
.
সুজয় মহাজন
|
![]() |
.
রাস্তা পরিস্কার নয়, এইভাবে মামারা যদি নিজেদের দুর্নীতি ঝাড়ু দিতে পারত - জাতি কৃতজ্ঞ থাকতো।
|
![]() |
যতো অবৈধ লাইন ততো ইনকাম তিতাসের - নতুন লাইন এর দরকার নাই
.
গ্যাস সঙ্কটকে বিবেচনায় রেখে আবাসিক খাতে সরকার নতুন করে আর কোন সংযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন আবেদনকারীরা। তাদের মতে, যেসব আবেদন করা আছে; সরকার চাইলেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এসব আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারে। এ জন্য খুব বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হবে না বলেও ভুক্তভোগি আবেদনকারীদের অভিমত।
.
পেট্রোবাংলার তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের মাত্র ১২ শতাংশ ব্যবহৃত হয় আবাসিক খাতে। আর গ্যাস সংযোগের জন্য যেসব আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে তা যদি সংযোগ দেয়া হয় তাহলে অতিরিক্ত আরও ৩ থেকে ৪ শতাংশ গ্যাস বেশি লাগতে পারে। এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদিন নামে মিরপুরের এক আবেদনকারী জানান, তার আবেদনটি পড়ে আছে গত দুই বছর ধরে। সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকায় তিনি এখনও গ্যাস পাননি। তার মতে, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং শিল্পে ও বিদ্যুতে গ্যাসের অপচয় কমিয়ে যে পরিমাণ গ্যাস সরকার সাশ্রয় করতে পারবে; তার অর্ধেক গ্যাসও লাগবে না আবাসিক খাতের জন্য যত আবেদন রয়েছে তা নিষ্পত্তি করা হলে।
.
রাজধানীর অধিকাংশ এলাকাতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় নতুন আবাসন গড়ে উঠেছে, সেখানেই অবৈধ সংযোগ সংখ্যা বেশি। তিতাস গ্যাসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, বাড্ডা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর প্রভৃতি এলাকায় অবৈধ সংযোগ বেশি। এমনকি মিরপুর ডিওএইচএসের বেশিরভাগ গ্যাস সংযোগ অবৈধ। এছাড়া বেশিরভাগ বস্তিতেই অবৈধ সংযোগে গ্যাসের চুলা ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য অঞ্চলেও গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
|
![]() |
.
খোকার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
.
ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে চুক্তি সম্পাদন করায় সিটি করপোরেশন ৫ ভাগ মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়। এই অভিযোগে আজ সকালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক।
|
![]() |
মন্ত্রী এমপির স্ত্রীদের সব সম্পদ বাপের আমলে পাওয়া
.
কারও স্বামী ছিলেন মন্ত্রী। কারও বা স্বামী সংসদ সদস্য। জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে কতটুকু কী করেছেন তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও রাতারাতি যার যার স্ত্রীর ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন তারা। বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছেন বিগত মহাজোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের স্ত্রী।
|
![]() |
.
সরকারি হাসপাতাল দালালের দখলে
.
আগে টাকা তার পরে চিকিৎসা। এ নিয়েই রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চলে দর কষাকষি - নিজস্ব ছবি দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে রসিদ ছাড়া টাকা লেনদেন না করার নোটিশ। বিনামূল্যে সেবা দেয়া হয় এমন ধারণা নিয়েই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আসছেন গরিব রোগীরা। কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেবা অবশ্য মেলে কিন্তু বিনামূল্যে নয়। হাসপাতালের গেট থেকে ওয়ার্ডের বেড পর্যন্ত যেতে দফায় দফায় টাকা দিয়েই মেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা। ঘুষখোর ও দালালচক্র আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে রাখে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের। ঠিক যেন তাদেরই স্বর্গরাজ্য এটি। চিকিৎসা সেবা সবই হাতের নাগালে। জরুরি বিভাগ চালু ২৪ ঘন্টা। তবে টাকা ছাড়া সেবা মিলছে না। ঘুষখোর ও দালালের পকেট ভর্তি করেই সেবা নিতে হচ্ছে। এক প্রকার জিম্মি হয়েই টাকা দিচ্ছেন তারা। অবৈধ টাকা না দেয়ার জন্য কেউ কেউ বাক-বিতণ্ডায়ও জড়িয়ে পড়ছেন চিকিৎসাকর্র্মীদের সঙ্গে। হাসপাতালের লোকবল কম থাকার অজুহাতে দিয়ে নার্স ও আয়াদের সঙ্গে কাজ করেন দালালরা। সবই ঘটছে হাসপাতালে ডিউটিরত চিকিৎসা সহকারীর যোগসাজশে। আর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রবেশমুখে রয়েছে দালালদের বিশাল সিন্ডিকেট। তারা কোন রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ভিড় জমিয়ে লুফে নিচ্ছে রোগীদের। পাঠিয়ে দিচ্ছে অন্য হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামলীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিশন (পঙ্গু হাসপাতাল) ঘুরে দেখা গেছে এসব দৃশ্য।
.
রোকনুজ্জামান পিয়াস
|
![]() |
.
কিছু পুলিশ এবার নিজেরাই দেহব্যবসায় নেমেছে
.
শ্যামলীর আশা টাওয়ারের পেছনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই এস কবীরের বাসা থেকে ৫ যৌনকর্মীকে আটক করেছে র্যাব। তাদের আটক করে র্যাব ২ এর একটি দল। এসময় মোহাম্মদ হাসান (৩২) নামে আরেক ভুয়া ডিবি পুলিশকেও আটক করা হয়।
.
ভুয়া ডিবি পুলিশ হাসানের বরাত দিয়ে র্যাব ২ এর অ্যাডিশনাল সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান জানিয়েছে বাসাটিতে দেহব্যবসা চালানো হতো। সে এখানে থেকে চাঁদা তুলতে এসেছিলো।’
|
![]() |
.
খালি ক্যাপসুলে আটা ও লবণ ভরে ওষুধ বানিয়ে কোটি টাকা কামাই...
.
খালি ক্যাপসুলের ভেতর আটা ও লবণ। সেই ক্যাপসুল ফয়েল ও প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করা হয়। সাধারণ ভোক্তার পক্ষে ধরার উপায় নেই। দেখতে স্কয়ার কিংবা বেক্সিমকোর মতো ক্যাপসুলের হুবহু। একবার-দু’বার নয়, বছরের পর বছর এভাবেই নকল ওষুধ তৈরি করে নকলবাজরা কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের সেই সেন্ট্রাম, ভায়াগ্রা, ক্যালবিন্টা কি নেই তার ভাণ্ডারে? মূল্যবান সব ওষুধই তিনি তৈরি করেন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই।
.
এমন ওষুধ যিনি তৈরি করেন, তিনি রাসেল, মনে করেন-এটা তেমন কোন অপরাধ নয়। তার যুক্তি এতে ভেজাল কিছু নেই। আটা আর লবণ খেলে কি মানুষের কোন ক্ষতি হয়? একে তো চুরি তার ওপর বাহাদুরি। বুধবার র্যাবের সাঁড়াশি অভিযানে ধরা খেলেন এমনই এক কুখ্যাত ভেজাল ওষুধ নির্মাতা ও সরবরাহকারী।
.
এসকেএফ কোম্পানির ওস্টোক্যাল ডি, বেক্সিমকো কোম্পানির বেক্সট্রাম গোল্ড, স্কয়ার কোম্পানির নিউরো বি, কেলবোন্ডডি এবং ফিলওয়েল ওষুধের হুবহু নকল করছিলেন রাসেল। রাসেল স্বীকার করেন প্লাস্টিকের কারখানা থেকে তিনি এগুলোর কৌটা ও মুখ বানিয়েছেন। প্রেস থেকে হুবহু একই রকম স্টিকার ছেপে নেন। এই ওষুধগুলো বিভিন্ন ধরনের উচ্চমানের মিনারেল, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম হলেও সে সব ওষুধের কৌটার ভেতর ২০ পয়সা দামের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ভরে দেন। সিল করা ওষুধের কৌটা বাইরে থেকে দেখে আসল ওষুধ মনে হলেও ভেতরে সস্তা ক্যালসিয়াম থাকায় রোগী না বুঝে প্রতারিত হচ্ছে। দেড় থেকে দু’শ’ টাকার ওষুধগুলো সে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করেন।
|
![]() |
.
৬৭তে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
।
কারন - যা মাল কামাইছে তা পরবর্তী বংশধর না খাইলে কে খাইব এই দুঃখে ।
|
![]() |
মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়েই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা
.
পাঁচ সচিবের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সুপারিশ করেছে দুদক-
.
মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল চাওয়া হয়েছে তারা হলেন, মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (ওএসডি) সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, একই মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি হওয়া যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদার, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব একেএম আমির হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব নিয়াজউদ্দিন মিঞা ও বিনিয়োগ বোর্ডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান।
.
এই মন্ত্রানালয় বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ, এটাকে সবসময় সবাই ব্যাবহার করে নিজের স্বার্থে এবং চলছে সেই মজিব আমল থেকে।
|
![]() |
টাকায় মেলে সার্টিফিকেট - শিক্ষা খেত্রেও দুর্নীতি
.
ক্লাস, টিউটোরিয়াল পরীক্ষা কোনো কিছুরই প্রয়োজন নেই। টাকা দিলেই মিলছে যে কোন বিভাগের অনার্স-মাস্টার্সের সার্টিফিকেট। ভর্তিও দেখানো হবে নির্ধারিত সময়েই। থাকবে প্রতিটি সেমিস্টারে পরীক্ষার পৃথক পৃথক নম্বর। আর এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে গুনতে হচ্ছে ৩০ হাজার থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত। উচ্চ শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে এক শ্রেণির শিক্ষা বেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে খুলে বসেছেন ডিগ্রি বিক্রির দোকান। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চটকদার বিজ্ঞাপন শোভা পাচ্ছে সর্বত্রই। রাজধানীর অলিতে-গলিতে ভবন ভাড়া করে খোলা হয়েছে অফিস ও ক্লাসরুম। ব্যতিক্রম নয়, দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোও। কিন্তু এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হয় না নিয়মিত, ভালোমানের ও যোগ্য শিক্ষক নেই, পরীক্ষাও দিতে হয় না। কিন্তু মিলছে সনদ। বিধান অনুযায়ী অনার্স সার্টিফিকেটের জন্য চার বছর এবং মাস্টার্স সার্টিফিকেটের জন্য এক বছর পড়াশোনা করতে হয়। এরপরই মিলে উচ্চশিক্ষার কাক্সিক্ষত সেই সার্টিফিকেট।
|
![]() |
সন্ত্রাসী গদফাদার এমপিরাই এর জন্য দায়ী - সমস্তকিছু উক্ত অঞ্ছলের এম্পি অবগত। সন্ত্রাসীরা আবার এমপির দখলে, এমপিরা আবার দলের দখলে ।
.
১৫ সন্ত্রাসীর দখলে রেলের শত বিঘারও বেশি জমি। তাদের কাছে জিম্মি এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। এদের পরিচয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বিভিন্ন মামলার দাগী আসামি। জমি দখল করে ভাড়া দেয়া, ছিনতাই, রাহাজানি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সকল অপরাধের নিয়ন্ত্রক এরা। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিশ প্রশাসনও তাদের পকেটে। সরকারের এক ব্যক্তিদের পরিচয়ে এরা অপকর্ম করে বেড়ায়। অভিযোগ রয়েছে তাদের নেতৃত্বে মালিবাগ রেলগেট থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় তিন সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা। যেখানে রয়েছে দোকান আর বস্তি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে ৫০টির বেশি স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে গত ৬ মাসে। বছরে এসব স্থাপনা থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ভাড়া তোলা হচ্ছে। এদিকে স্থাপনা মাদকেরহাট আর অপরাধীদের আশ্রয়কেন্দ্র। মালিবাগ রেলগেট বস্তির দক্ষিণ যুবলীগের কার্যালয়, টর্চার সেল হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে।
|
![]() |
.
পদোন্নতি জন্য দরকার রাজনৈতিক আশ্রয় - পদোন্নতি দুর্নীতি সমাজ বেবস্তাকে ভেংগে দিয়েছে।
.
পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে পদ-পদবি সংখ্যার মাত্রাতিরিক্ত বেশি। আবার সে পদোন্নতি বিবেচনায় রাজনৈতিক প্রেক্ষিতকে ব্যতিক্রমহীনভাবে সামনে রাখা হচ্ছে।
.
সব দেশেই যেকোনো ধরনের সরকারব্যবস্থায় একটি বেসামরিক প্রশাসনিক কাঠামো থাকে। সে কাঠামোটি যত মজবুত আর কার্যকর হয়, তত বেশি দক্ষ হয় সে সরকার। সুফল ভোগ করে জনগণ। আর তা করতে প্রয়োজন নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পদায়ন ও পদোন্নতিকালে মেধা ও উপযুক্ততার যথার্থ মূল্যায়ন। তদুপরি আবশ্যক উপযুক্ত বেতনকাঠামো। আরও প্রয়োজন আইনানুগ দায়িত্ব সম্পাদনে তাদের ওপর অকারণ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। দুর্ভাগ্যবশত আমরা কয়েক যুগ ধরে এর কোনোটিই যথার্থভাবে করতে পারছি না। এখানে রয়েছে নিয়োগে কোটার বিবেচনাহীন বৈষম্যমূলক অনুপাত। ফলে সূচনাতেই মেধাবীদের একটি অংশ হয় নির্বাসিত। নেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণব্যবস্থা। বেতন-ভাতাদিও অপ্রতুল। পদায়ন ও পদোন্নতিতে চলছে যথেচ্ছ দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি।
.
পদোন্নতি দেওয়ার সময় কারও রাজনৈতিক আনুগত্য ‘যাচাই’ আর প্রতিকূল মনে হলে তাঁকে বঞ্চিত করা আজ অন্তত দুই দশকের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে ‘যাচাই প্রক্রিয়াও’ অনেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও যথার্থ নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তাদেরই একটি অংশ প্রতিটি সরকারের সময়ে ‘আমাদের লোক’ হয়ে যায়। তারাই তালিকা বানায় ‘ওদের লোকদের’। ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাদ পড়ে যান নিছক ছাপোষা কর্মকর্তারা। বিশেষ করে নিরপেক্ষ ও অনমনীয় চরিত্রের অধিকারী বেশ কিছু কর্মকর্তা সব সরকারের সময়েই চিহ্নিত হচ্ছেন ‘ওদের লোক’ বলে। ফলে ওঁরা আজ জনপ্রশাসনে বিপন্ন প্রজাতি হতে চলছেন। অধিকতর দক্ষ, মেধাবী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে তুলনামূলকভাবে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা বেশ কিছু কর্মকর্তা পদোন্নতির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।
.
এ ধরনের পদোন্নতিতে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড। যুগবাহিত ঐতিহ্যে আজ ধস নেমেছে। অকারণে পদোন্নতিবঞ্চিত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাজ করতে হচ্ছে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের অধীনে। ক্ষেত্রবিশেষে অধীন কর্মকর্তারা মেধা ও মননে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেয়ে উঁচু মানের।
|
![]() |
.
বাংলাদেশের ডাক্তারও দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই।
.
বিপুল অর্থ উপার্জন করলেও বছরের পর বছর অতি সামান্য কর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন কয়েক হাজার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। রাজস্ব বিভাগের একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নানা কৌশলে তাদের সহায়তা করে নিজেদের পকেট ভারি করছেন। ওপেন সিক্রেট এ বিষয়টি নিয়ে এতদিন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলেও এবার নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর ফাঁকিবাজ ৫০০ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে চিহ্নিত করেছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই তাদের কাছ থেকে উপযুক্ত কর আদায় করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
|
![]() |
.
হাওলাদার এমপির মতো সব এম্পি টাকার কুমির’
।
ক্ষমতার দাপট, ভীতি প্রদর্শন, সরকারি জমি আত্মসাৎ যার কাজ তিনি হচ্ছেন পটুয়াখারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-উপমন্ত্রী হয়ে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও কুয়াকাটায় গড়ে তুলেছেন অট্টালিকা। নির্মাণ করছেন কুয়াকাটা গ্রান্ড হোটেল ও রিসোর্টস এবং ডাকবাংলোসহ স্থাপনা। ঢাকার অভিজাত এলাকায় বাড়ি, ফ্লাট, প্লট, বিভিন্ন মার্কেটে দোকান রয়েছে তার। মন্ত্রী-এমপি হয়ে অবৈধভাবে দু’হাতে কামাই করেছেন টাকা। স্ত্রী-সন্তানসহ নামে-বেনামে অর্জন করেছেন অবৈধ সম্পদ। এলাকার মানুষ তাকে টাকার কুমির হিসেবেই চিনে। দিয়েছেন নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার উল্লেখ করেছেন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকানভাড়া থেকে তার বার্ষিক আয় এক কোটি ৬২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। যা ২০০৮ সালে এই খাত থেকে ছিল মাত্র ১৩ লাখ আট হাজার ৯৩৮ টাকা। সাংসদের পারিতোষিক হিসেবে তার বার্ষিক আয় ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬২৫ টাকা। গত পাঁচ বছরে রুহুল আমিন ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ টাকা দামের একটি ও স্ত্রী ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩০ টাকা দামের আরেকটি গাড়ির মালিক হয়েছেন। দুটিই ল্যান্ডক্রুজার ব্র্যান্ডের। স্ত্রীর ১০০ ভরি স্বর্ণসহ অন্যান্য অলঙ্কার আছে। তার আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে নাইন এমএম পিস্তল, ২২ বোর রাইফেল, দোনালা বন্দুক, রিভলবার ও একটি শটগান আছে। হলফনামায় উল্লেখ আছে, তিনি ধার দিয়েছেন ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। স্ত্রীকেও অর্থ ধার দিয়েছেন তিনি। রুহুল আমীনের অকৃষি জমির মধ্যে গুলশানে নিজের নামে রয়েছে ১২ দশমিক ৭ কাঠা; যার মূল্য দেখানো হয়েছে অর্জনের সময়ে নয় লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৯ টাকা। স্ত্রীর নামে এবার পূর্বাচলে সাড়ে সাত কাঠা জমি দেখিয়েছেন; যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁর নগদ টাকা ছিল ১৭ লাখ ৬৮ হাজারের কিছু বেশি। পাঁচ বছর পর এসে এখন তাঁর নিজের নগদ টাকাই আছে ছয় কোটি ৬৬ লাখের বেশি। গতবার যেখানে কোনো শেয়ার বা বন্ড ছিল না, সেখানে এবার স্বামী-স্ত্রীর সাড়ে আট কোটি টাকার শেয়ার, দুটি ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি, প্লটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পদ বেড়েছে।
|
![]() |
দূরনীতির বিরুদ্ধে
.
এই দেশের ধ্বংস কেউ চাই না । সবাই চাই এই দেশটা সিংগাপুর মলেশিয়ার মত হউক । কিন্তু কি ভাবে ? এক বার ফিরে দেখা যাক মালেশিয়ার দিকে । এক সময় ছিল ঐ দেশটা খুব গরীব । কারন সে দেশে ছিল দূরনীতি, ওদের ইচ্ছা উন্নত দেশের মত ওরা ও হতে । বিজ্ঞ ব্যাক্তিরা দেখলেন দূরনীতীর কারনে এই দেশের দূর অবস্থা । শুরু হলো দূর নীতির প্রতিরোধ । সমস্ত মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে সরকারী সব প্রতিষ্টান পর্যন্ত । ধীরে ধীরে দূর নীতি কমতে শরু হলো । বাড়তে শুরু হলো উন্নতি । সেই উন্নতির ধারা অব্যহত থাকায়, আজ মলেশিয়া পৃথিবীতে উন্নয়নের শেষ সীমায় এসে দাড়িয়েছে । আমাদের দেশে এত আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু দূরনীতি প্রতিরোধের আন্দোলন হয়নি । চলুন আজ থেকে সবাই দুরনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে লিপ্ত হই । এই দেশকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করি । এই দেশে আমরা সবায় বাঙ্গালী, হিংসা বিদ্ধেষ বাদ দিয়ে দেশকে বাঁচাই ।
বিঃদ্রঃ আমার সাথে এক মত হলে লাইক দিয়েন । আজ থেকে সমালোচনা নয়, আলোচনা দূরনীতির বিরুদ্ধে । আন্দোলন রাষ্টের বিরুদ্ধে নয়, দূরনীতির বিরুদ্ধে ।
|
![]() |
থানায় এক রাত -টাকায় ছাড়া পায় আসামি, ভাগ হয় মাসোহারা – আমাদের সৎ পুলিশ বিভাগ
রাত বাড়ার সঙ্গে জমজমাট হয় মিরপুর থানা। বাড়ে লোকজনের আনাগোনা। কেউ যান তদবিরে। কেউ যান আড্ডা দিতে। আবার কারও যাওয়া বিপদে পড়ে। রাতে অপরাধী হিসেবে ধরে আনা ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয় টাকার বিনিময়ে। আসে মাসোহারাও। সরজমিন বৃহস্পতিবার রাতভর থানায় অবস্থান করে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
রাত ১টা। থানার প্রধান ফটক লাগিয়ে দেয়া হয়। প্রবেশের... জন্য একটি অংশ খোলা রাখা হয়। ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল আসাদ। ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন এসআই কামাল ও শহীদ। গারদখানার সামনে পাহারারত কনস্টেবল আবদুল কাদের। ডিউটি অফিসারের রুমে প্রবেশ করতেই এসআই শহীদ জিজ্ঞাসা করলেন, পরিচয়। পরিচয় দেয়ার পর তিনি জানতে চাইলেন, এতো রাতে কি প্রয়োজন। ওসির কাছে তদবিরে আসার কথা জানালে তিনি বলেন, রাতে ওসি হয়তো আর আসবেন না। এরপর তিনি তার কাজে মন দেন। রাত সোয়া ১টায় মিরপুর গোল চত্বরের ফায়ার সার্ভিসের প্রধান গেটের সামনে থেকে একটি প্রাইভেটকার সহ দুই তরুণকে ধরে আনে একটি টহল দল। ওই প্রাইভেটকারে পাওয়া যায় দুইটি মদের বোতল। ওই দুই তরুণ রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা রাতের বেলায় রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলের একটি পার্টিতে অংশগ্রহণ শেষে মিরপুরের স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন।
.
পুলিশের দাবি, তারা মাতাল হয়ে প্রাইভেট কার চালাচ্ছিল। তাদের গাড়ির ধাক্কায় আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। রাখা হয় গারদ খানায়। এর মধ্যে ওই দুই তরুণ তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশের সামনে কান্নাকাটি শুরু করেন। বিভিন্ন কথা দিয়ে করছেন কাকুতি মিনতি। থানার ওসি (তদন্ত) মইনুল ইসলাম ওই দুই তরুণের উদ্দেশে বলেন, ‘ওই হারামাজাদারা এই বয়সে মদ খাস। প্রস্তুতি নে। কঠিন মামলা দিচ্ছি। তোদের জেলের ঘানি টানাবো।’ এ সময় ওই দুই যুবক চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। তারা বিষয়টি তাদের পরিবারের লোকজনকে জানায়। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি লাল প্রাইভেট কারে করে তাদের পরিবারের সদস্যরা থানায় যান। দুই তরুণের একজনের অভিভাবক আশরাফ হোসেন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ছেলে। পরে আশরাফ ওসি (তদন্ত) মইনুল ইসলামের কাছে যান।
.
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফকে বলেন, আপনার ছেলের মদের লাইসেন্স নেই। অবৈধভাবে মদের বোতল গাড়িতে পাওয়া গেছে। তাদের নামে মামলা দেয়া হবে। রিমান্ডের জন্য প্রেরণ করা হবে আদালতে। কঠোর শাস্তি হবে। এখন কি করবেন করেন। আমার ডিউটি আছে বাইরে। থানার ওসি আসবেন তার সঙ্গে কথা বলেন। ছাড়াতে চাইলে তদবির করেন। একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে রাত ঠিক পৌনে ২টায় ওসি সালাউদ্দীন খান থানায় আসেন। গাড়ি থেকে নেমেই তিনি চলে যান তার নিজ কক্ষে। ওই দুই তরুণের পরিবারের লোকজন তার কাছে যান কথা বলার জন্য। আশরাফ ওসিকে জানান, তার ছেলের পার্টি ছিল একটি হোটেলে। সেখানে মদ পান করে মাতাল হয়েছে। তাদের ছেড়ে দেন। ওসি উত্তর দিলো, ‘মদ খাওয়া মাতাল হওয়া এই সব কিছু ব্যাপার না। আপনি আমাদের খুশি করে দেন। তখন আশরাফ ওসির হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, তাদেরকে ছেড়ে দিন। তখন ওসি আশরাফকে বলেন, বলেন এখানে কতো টাকা আছে। উত্তরে আশরাফ বললেন, ২০ হাজার টাকা। তখন ওসি বলেন, এই টাকা নিয়ে যান। আপনার ছেলেকে মামলা দেয়া হবে। আশরাফ বলেন, রাতের বেলায় ব্যাংক বন্ধ। আপনি তাকে ছাড়েন। আমি এখন ২০ হাজার টাকা দিচ্ছি আর দিনের যে কোন সময় আরও ৩০ হাজার টাকা দিয়ে যাবো। তাদের ছেড়ে দিন।
.
এ নিয়ে ওসির সঙ্গে আশরাফের দর কষাকষি হয়। পরে আশরাফ গাড়ি নিয়ে বাসায় যান। ফিরে এসে ওসি সালাউদ্দীনকে একটি চেক ধরিয়ে দেন। তখন গারদখানায় দায়িত্বরত কনস্টেবল কাদেরকে ডেকে ওসি বলেন, ‘ওই দুইজনকে ছেড়ে দাও। আশরাফ চলে যাওয়ার পরেই ওসি সালাউদ্দীন তার কক্ষে অখ্যাত কিছু পত্রিকার কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে আড্ডায় বসেন। এ সময় হাজির হন সোর্স মনির হোসেন। ওসি সালাউদ্দীন তার সোর্সকে তার রুমে ডেকে নেন। মনিরের সঙ্গে ওসির কথা বলার সময় তাকে অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল। তিনি ওই সোর্সকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘রহমতের কাছে যাসনি কেন। গত মাসেরওতো নেয়া হয়নি। আমার কাজ করার জন্যই তো তোকে বেতন দিয়ে রেখেছি। কান ধরে বিদায় করে দিবো। এরপর তাকে ধমক দিয়ে তার রুম থেকে বের করে দেন। কিছুক্ষণ পর আবার ওসি সোর্সকে তার কক্ষে ডাকেন। পরে জানতে চান ঝুট ব্যবসায়ী রহমত কেন টাকা দিচ্ছে না। উত্তরে মুনির বলেন, ‘রহমতের টাকার অসুবিধা। দিতে পারছে না। তখন তিনি বলেন,‘এই মুহূর্তে তার বাসায় যা। ঘুম থেকে ওঠাবি। তারপর তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসবি।
|
![]() |
.
এমপি মানেই উক্ত এলাকার প্রধান দুর্নীতিযুক্ত মানুষ
.
ব্যবসায়ী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এরপর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) এমপি নির্বাচিত হন। বেড়ে যায় তার ক্ষমতার দাপট। নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, জমি দখল এর কোনটিই বাদ রাখেননি তিনি। এমপি হওয়ার পর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কামিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ, জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশন ও অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ২০০৮ সালে যাদুকরের মত স্থানীয় বড় বড় নেতাদের বোকা বানিয়ে এমপির মনোনয়ন বাগিয়ে এনে সবাইকে চমক দেখান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। খুব ঠা-া মেজাজের মানুষ। সব কিছু হজম করেন নীরবে। নির্বাচনের আগে কেউ টের পায়নি তিনি মনোনয়ন পাবেন। উচ্চস্তরে গভীর লাইন থাকায় সহজেই পেয়ে যান মনোনয়ন নামক সোনার হরিণটি। ব্যবসায়ী মানুষ হিসেবি তো বটেই। অকাতরে যেমন বিনিয়োগ করেছেন। তেমনি সুদে আসলে উশুল করে নিচ্ছেন। তার কর্মকা- নিয়ে বেরিয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র। বিশেষ করে তার এনা প্রোপার্টিজের কাজ কারবার নিয়ে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে লাইম লাইটে চলে আসেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ আর জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। তার নেতিবাচক কর্মকা- নিয়ে নিজ দলের নেতারা হাইকমান্ডকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উল্টো চমক দেখিয়েছেন তার নির্বাচনী এলাকায় প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ বাঘা বাঘা মন্ত্রী, উপদেষ্টাদের নিয়ে এসে।
.
বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের নামে একটা ভবন বানিয়ে সবাইকে এনে তার কর্মতৎপরতার কথা জানান দেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। স্থানীয়দের দেখান তার কত ক্ষমতা। এলাকায় রয়েছে তার ক্যাডার বাহিনী। যারা এক সময় ট্রাক শ্রমিক ও ভবঘুরে ছিল এমপির বলয়ে এসে তারা বনে গেছে কোটিপতি। অনেকের কাছে এমপি যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। তার স্পর্শ পেলে জিরো থেকে হিরো হওয়া কোন ব্যাপার নয়। এলাকায় যত অনিয়ম-দুর্নীতি হয় এই ক্যাডারদের মাধ্যমে। নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, জমি দখল সবই হয় এমপি বলয়ের মাধ্যমে।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.