|
![]() |
ক্বূরআন শরিফ ও আমরা
-------------------------------
.
আরবির ক্বূরআন যখন তখন খুলে পড়ার সুযোগ পায় না নিষ্পাপেরা।
.
আরবিতে না আওড়ালে কোনোই লাভ নেই, অথবা আরবি আবৃত্তিতে এক হরফেই দশ নেকী, দশ হরফে একশ’, --অতএব নেকীই যেখানে একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য, ভাষার অর্থ না-বুঝলেও রসুল (দরূদ)-এর ভাষা, জান্নাতের ভাষা তথা আরবিতে আওড়ানোই যথাযৌক্তিক।
.
‘এত দরদ দিয়ে কী পড়লে?’
জিজ্ঞাসার জবাব ‘কেন!? দেখছোই তো! -- ক্বূরআন শরিফ..’। ‘এতক্ষণ যা কিছু পড়লে, দেখে দেখে নিজের ভাষায় বলতে পারবে কি?’ জানতে চাইলে ‘অর্থ জেনে কী লাভ’ অথবা ‘অর্থ তো জানি না, বলবো কীভাবে?
.
অনুসরণযোগ্য নতুন কোনো পথ পেলে কি খুঁজে? নাকি এতকাল যেভাবে যে পথে চলছিলে ঘরে বাইরে কর্মস্থলে, সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছ তোমার ধর্মকর্ম?’
.’
কী নিদারুণ তামাশা! এমন গ্রন্থ আওড়ানো হয় যার অর্থই জানা নেই। তাহলে! ‘ধর্মের নামে কাকে অনুসরণ করা হচ্ছে?’ আর এমন প্রশ্নের মুখোমুখী হলে, প্রশ্নকারীকে তো বেদ্বীন উপাধি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া কোনো ধার্মিকের কাজ হতে পারে না। অথচ এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে পৃথিবীতে।
|
![]() |
ধর্মে পরমতসহিষ্ণুতা
*****
সর্বকালেই ধার্মিকদের অবস্থান বিশৃঙ্খলতার বিপরীতে।
স্বেচ্ছায় নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে পারাটাই ধার্মিক ব্যক্তির ধর্ম ধারণ।
যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলতাকে অপছন্দ করতে পারাটুকুই ধর্মের লালন-পালন।
যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খলকে শৃঙ্খলায় বেঁধে ফেলার চেষ্টাটুকুই ধার্মিকের কর্তব্য।
শান্তিটাই মনুষ্যের লক্ষ্য তথা লক্ষ্যের ধর্ম।
.
সকল ধার্মিকদের জন্যে আরব্য ক্বূরআনেও পবিত্র পরম শান্তির অন্যতম অভিন্ন মতবাদটি হচ্ছে- পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা চালিয়ে যাওয়া, তথা নিজেদের ধর্মমতকে সুরক্ষার লক্ষ্যে নিজেদের কর্মে আচরণে ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত ক’রে দেখানোর সাথে সাথে অন্যদের ধর্মমতগুলোকে শ্রদ্ধাভরে সমর্থন ক’রে যাওয়া এবং কলহমুক্ত সার্বজনীন শান্তিকে সমুন্নত রেখে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানকে মানবসমাজে প্রতিষ্ঠা করা।
|
![]() |
ধার্মিকদের ধারণার নাগালের বাইরে
-----------------------------------------------
--‘অবৈধ উপার্জনে পুষ্ট দেহের জন্যে জান্নাত হারাম’- এই ধরণের কোনো বাক্য যদি পবিত্র ক্বূরআনে বা হাদিসে পাওয়া যায়!! তাহলে জেনে বুঝেও যারা হজ্জ্ব বা ওমরা পালন করতে যায় অবৈধ উপার্জনের অর্থব্যয়ে,-- তারা কি তবে সেখানে যাচ্ছে জ্বালাময় জাহান্নামে প্রবেশের উদ্দেশ্যে? না-কি অপচয়কারী হিসেবে কোনো সনদ বা খেতাব অর্জনের লক্ষ্যে? এ ছাড়া অন্য কোনো লাভজনক বাণিজ্যিক কারণ যদি থেকে থাকে,- থাকতেও পারে, তবে তা’ ধার্মিকদের ধারণার নাগালের বাইরে।
.
প্রতারকেরা মিথ্যাচারপ্রবণ, মিথ্যাকে সত্যের আবরণে জড়াতে পারঙ্গম, তাই তারা শয়তানের চেয়েও জঘন্য। মুনাফিকদের অনুকরণে অতিধার্মিকতা প্রদর্শন, প্রতারকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠা কখনোই ধার্মিকদের জন্যে শোভনীয় তো নয়-ই,- উচিতও নয়।
.
নিশ্চয়ই, মুনাফিকেরা লোকদেখানো ধোঁকাবাজিতে লিপ্ত। তাদের মুখ থেকে কোনো ধর্মের বুলি না-শুনে, বরং তাদের-ই হৃষ্ট-পুষ্ট দেহগুলোর জন্যে জান্নাত হারাম কি-না, তাদেরকেই জিজ্ঞেস ক’রে বুঝে নিয়ে, তাদেরকে ভদ্রভাবে ধর্মের দিকে ডাক দেওয়া সকল ধার্মিকের ধর্মীয় কর্তব্য।
.
গণকরণিক : আখতার২৩৯
|
![]() |
.
পাল্লার আবিষ্কারকও আল্লাহ - বিচার হবে ভাল-মন্দ হিসাব করে।
|
![]() |
.
ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় ত তসলিমা নাসরিনকে দিদি মেনেই নিয়েছে, তার কারণ একটাই সেটা হলো মুসলিম বিদ্বেষ। তসলিমা নাকি নিজেকে নাস্তিক দাবি করে, কিন্তু নাস্তিক হলে ত সব ধর্মের বিপক্ষেই লেখা উচিৎ! কিন্তু তাকে হিন্দু ধর্মের অনাচার, বৈষম্য নিয়ে আজ অবধি একটি কথাও বলতে শুনিনি। আর সে ত একজন ধান্ধাবাজ মহিলা, হিন্দুদের বিপক্ষে লিখলে ত তাকে ভারত থেকেও ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে দিবে।।
|
![]() |
নাস্তিকরা যখন আস্তিক হয় তা হয় জ্ঞান দিয়ে, অনেক আস্তিকরা যানেই না সে কোন ধর্মের।
.
নাস্তিক, শব্দটির সাধারণ অর্থ সকলেই জানে। ঈশ্বরে অবিশ্বাসী। কিন্তু তার আগে আমাদের জানা চাই বিশ্বাস মানে কি? বিশ্বাস-ও নানা রকমের হয়। ভূত আছে বলে যার বিশ্বাস রয়েছে, তার দাবী ও সঠিক। একপক্ষ বলল, ভূত নেই। অপর পক্ষ বলল, ভূত আছে? কে সঠিক? যারা আছে বলে দাবী করে, তাদের যদি ভূতে আস্তিক ভাবি, যারা নেই বলছে তাদের বলতে হয়, ভূতে নাস্তিক, তাই নয় কি? এর সমাধান কি? সত্য দু-প্রকার হতে পারে না। আছে-নেই, কোনো সত্য নয়। হয়ত আছে, নয়ত নেই।
** এখন ঈশ্বর প্রসঙ্গ যখন আসে, যারা ঈশ্বর আছেন বলে দাবী করে, এই গ্রুফে আছে ৯৯% মূর্খ আস্তিক।এরা প্রপিতামহের মাতামহের নিকট থেকে শোনা ঠাকুরমার ঝুলিকেই ধর্ম বলে। এরা বলে এদের বিশ্বাস, এ হচ্ছে মূর্খ বিশ্বাস। কিন্তু সংজ্ঞার দোহাই দিলে, আস্তিক বলতে হয়। যারা বলে নেই, তাদের দাবীতে এই আস্তিকতা কিছু করতে পারে না, দেখাতে পারে না, ব্যাখ্যা দিতে পারে না, বেশী পীড়াপীড়ি করলে উগ্রতা প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে নাস্তিকদের অবস্থান ঐ মূর্খ আস্তিকদের চেয়ে অনেক উন্নত। একটি বস্তুর স্বরূপ জানতে চাইলে, বস্তুটি কি এবং কি নয়, তা জানা চাই। তার একটি ভাব, অপর ভাবকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। সুতরাং ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভাব দুটো, জগতের মধ্যেই আছে, এবং অণু পরমাণু থেকে সর্বত্রই বিরাজিত। এই যে আছে ও নেই, নিয়ে দুটো পক্ষ, তারা কিন্তু উভয়েই একটি স্বরূপের দিকে ধাবমান। কিন্তু আলোচনা, সেদিকে না গিয়ে মধ্যিখানেই ঘুরপাক খায়। সে প্রধানতঃ জ্ঞানের স্বল্পতায়।
|
![]() |
আমরা নবি-রসুলের ইবাদত করি, না এক সর্বশক্তিমান খোদার ইবাদত করি?
.
কোরবানির কথা কিন্তু বাইবেলও আছে, ঠিক কোরআনের মতনই। ইসা, মুসা, এব্রাহিম যেমন আমাদের নবী, এরা ক্রিস্টিয়ান্দেরও নবী। অনেক ক্রিস্টিয়ান কিন্তু ইসাকে আল্লাহর পুত্র বলে না, এদের মধ্যেও ভাগ আছে যেমন আমদের মধ্যে সিয়া-সুন্নি। কথা হল ওদের খোদা আর আমদের খোদা কিন্তু একই। যেই খোদা সব নবীকে সৃষ্টি করছেন আমরা সবাই তাঁরই এবাদত করি। অথচ এই নবি-রসুলদেরকে নিয়েই আমাদের বিভক্তি। ক্রিস্টিয়ান ও মুসলিম এর খোদা যদি একই হয়, আমরা কেন বিভক্ত? আমারা নবি-রসুলের ইবাদত করি, না এক সর্বশক্তিমান খোদার ইবাদত করি?
|
![]() |
.
কোরবানী বলিদান
------------ লিয়াকত আলী
.
প্রতিবাদে প্রতিরোধে আত্মরক্ষায় অক্ষম
নিরীহ অবুঝ প্রাণী, ধরে ধরে জবাই করে,
রাম দা’র কোপের মস্তক ছিন্ন করে
হয়ে গেলে তো বেহেশতের পাক্কা দাবীদার
পেয়ে গেলে তো একছত্র স্বর্গের পূর্ণ অধিকার।
.
মস্ত বীর পুরুষ স্বদম্ভে তৃপ্তিতে মার হাঁক
আল্লাহু আকবর, জয় কালী জয় ভগবান
তুমি বড় দয়াল, বড় মেহেরবান,
প্রভু তুমিই কর সৃষ্টি, তুমিই কর জীবন দান!
আহা কি সুখ! খুশীতে আত্মহারা,
আকাশের দিকে চেয়ে বুক পুরে নিঃশ্বাস নিয়ে
দলে বলে স্বউল্লাসে চিৎকার দিয়ে কর
মহাপ্রভু খোদা, জগৎ স্বামীর গুনগান।
.
আত্মতৃপ্তিতে ভাব, পূণ্য লাভের সহজ পথ,
হয়ে গেছ স্বর্গলাভে যোগ্য, মহা পুণ্যবান
তুমিই সনাতনী হিন্দু, তুমিই খাঁটি মুসলমান
কি অদ্ভুৎ মিল, একবারে জানের জান
ভিতরে লালন কর খাঁটি কসাইয়ের প্রান।
.
রচনা: লিয়াকত আলী
তারিখ: ৭ অক্টোবর, ২০১৪ইং
নিউ ইয়র্ক।
|
![]() |
'ধর্ম যার যার উতসব সবার'-ধর্ম যার যার, স্বাধীনতা আমার। উৎসবে সামিল হওয়াটাও ইছা আমার।
.
এটা খুবই সুন্দর একটা চেতনা। এখন কেউ বা কেউ কেউ যদি এর মুল চেতনাকে নষ্ট করে তবে দোষ তাদের আমাদের নয়। পূজার দিনে হিন্দু বাড়ি শুধু কচ্ছপের মাংস, ঈদে মুসলমানদের বাড়িতে গরুর মাংস কিংবা ক্রিসমাসে খৃষ্টানদের বাড়িতে শুধু শুকুরের মাংস রান্না হয়না আরও অনেক কিছু রান্না হয় যা আমরা খেতে পারি বা খাই।
.
দুর্গা পূজার উৎসবে যোগ দিলে বা ঈদে যোগ দিলে বা ক্রিসমাসে বা বুদ্ধ পূর্ণিমাতে সব ধর্মের লোক যোগ দিলে তাতে দেশের ও সমাজের মঙ্গল। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে হয়তো আমাদের বাংলাদেশীদের অনেক কিছুতেই মিল আছে কিন্তু সব ধর্মের মানুষের মিলন ও উৎসবের সার্বজনীনতা বোধহয় আমাদের এখানে সবচেয়ে বেশি।
.
এর অন্যতম কারণ হল আমরা আমাদের ঐতিহ্যে সবসময় থাকার চেষ্টা করি। পাল আমলে প্রায় ৪০০ বছর বৌদ্ধ শাসনের অধীনে ছিলাম, এদেশের মানুষের একটা বড় অংশ ২০০ বছর আগেও হিন্দু ছিল। আর ইসলামের সুফি মতবাদ হিন্দু মুসলিম সবার মধ্যে জনপ্রিয় হয় এবং এখনো জনপ্রিয়।
.
তাই ঠিক এক মাস পর ঢাকার হুসনি দালান থেকে যে মোহারমের মিছিল হবে তাতে শিয়া মুসলিমদের পাশাপাশি অনেক সুন্নি মুসলিম এবং হিন্দু থাকবে। কয়েকদিন আগে শেষ হয়ে যাওয়া দুর্গা পুজাতে হিন্দুদের পাশাপাশি অনেক মুসলিমও বিভিন্ন পুজা মণ্ডপে গেছে পুজা দেখেছে। ঠিক তেমনি ঈদে ও শবে বরাতে অনেক হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ তাদের মুসলিম প্রতিবেশি ও বন্ধুদের বাড়িতে খেতে যায়।
|
![]() |
যে ব্যাক্তির সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ন্য বা সমপরিমান অর্থ সম্পদ অথবা যেকোন প্রকার সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকে তার উপর কুরবানী “ওয়াজিব”,পশুর জন্য নয়। মানুষ পশুকে কুরবানী দিবে,পশু পশুকে নয়। পশু পশুকে কুরবানী দিলে তা কি আদৌ কুরবানী হয়? তাইতো মানুষের উচিত নিজের ভিতরের পশুত্বকে আগে কুরবানী দেওয়া।কোন মানুষ যদি মনের ভিতর পশুত্বকে জিইয়ে রেখে পশু কুরবানী দেয়,উহা পশু দ্বারা পশু কুরবানীর শামিল।
|
![]() |
একমাত্র তোমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা আমাদের হক ও হালাল উপার্জনের এই ক্বোরবানীকে তুমি কবুল কর। আর তা না হলে এটাকে অভিশাপ এ পরিনত কর। আমিন।
|
![]() |
আসুন প্রতিদিন একবার করে চিন্তা করি, আমাকে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে যে কোন সময় । মরে গেলেই সব শেষ যা এক বিরাট ঘুমের তুল্য । এই ঘুম কবে ভাঙবে আল্লাহই যানেন। যখন আমি মনে করি, আমাকে এই মায়ার পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে, তখন আমার অনেক অনেক কষ্ট ও কান্না পায়। কিছুই করার নাই, একদিন চলে যেতে হবে সবাইকে ছেড়ে যার জন্য আমরা প্রতিদিন অভিনয় করে চলছি । আমাদের চলে যেতে হবে এক বন্ধ ঘরে ।
|
![]() |
রক্তাক্ত উৎসবঃ গরুগর্দানী ও মহিষমর্দিনী
.
বাংলাদেশে দু'টি ধর্মীয় উৎসব সহ-সংঘটিত হচ্ছে - ঈদুল আজহা ও দূর্গাপূজা। দু'টিতেই রক্তারক্তি। একটিতে জীবন্ত ও অন্যটিতে চিত্রিত। একটি গরু-গর্দানীর অন্যটি মহিষমর্দিনীর। এ-প্রসঙ্গে দু'টি বাস্তব ঘটনা মনে পড়ে গেলো, যা বন্ধুদের সাথে সহভাগ করতে চাই।
.
(১) আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখন আমাদের বাসা 'গুলবাগে' প্রতি বছর কুরবানী ঈদে একটা বড়ো গরু কুরবানী দেওয়া হতো। একবারের ঈদে আমাদের গরু-খাওয়া খুব সুখের ছিলো। এর কারণ হচ্ছে আমার ছোটো ভাই ঝিলামে (নদীর নামে নাম) গরু-প্রীতি।
.
কুরবানীর গরুটি আনা হয়েছিলো আমাদের গ্রামের বাড়ী থেকে। আনা হয়েছিলো ঈদের বেশ আগে। আমার ছোটভাই গুরুটি পায় খেলার সাথী হিসবে। তাই সে যত্নের সাথে সকাল-বিকাল গোসেবা করতে শুরু করে এবং ক্রমশঃ গরুটিকে ভালোবেসে ফেলে।
.
ঈদের দিন যখন গরুটিকে কাটা হয়, সেদিন সে চিৎকার করে কেঁদেছিলো। আমার ভাই গরুটির শোকে কাতর হয়ে পড়েছিলো। ওর বয়স তখন পাঁচ-ছয় বছর। যে-'হুজুর' গরুটি জবাই করেছিলেন, ঝিলাম তাঁকে দেখলেই ভয় পেতো।
.
বিষয়টি আমার হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করেছিলো। ঝিলাম তো মাংস খায়ইনি, আমিও ওর কথা ভেবে অনেক দিন গরুর মাংস খাইনি।
(২) আমার কন্যা আশাদীপ্তির বয়স যখন তিন, তখন আমি ওকে আমাদের নিউবারী পার্কের অনুষ্ঠিত একটি দূর্গা-পূজোতে নিয়ে গিয়েছিলাম মঞ্জু চৌধুরী নামে আমদের এক সহকর্মীর নিমন্ত্রণে। আমার ছোট্ট মেয়েটি প্রথমে আনন্দিত হলেও পরে বিষন্ন হয়ে পড়েছিলো। সে ভয়ও পাচ্ছিলো। কিন্তু আমি বুঝিনি কেনো।
.
আমি যখন ওকে বললাম অন্য ছেলেমেয়েদের মতো ফুল দিতে, তখন সে আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো "দূর্গা একটা অসভ্য"। মঞ্জুদি'র সামনে আমি যারপরনাই বিব্রত হলাম। কিন্তু মঞ্জুদি যখন ওকে জিজ্ঞেস করলেন কেনো বলো তো? কেনো দূর্গা একটা অসভ্য?
.
আশাদীপ্তি বললো, "ঐ যে ঐ কালো লোকটাকে (অসুরকে) মেরে রক্ত বের করেছে, ও ব্যাথা পাচ্ছে না? ওর মেয়েটা কাঁদবে না?" এ-কথা বলে আমার তিন বছরের মেয়ে নিজেই কাঁদতে শুরু করলো।
.
এই বিষয়টিও আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। আমার মনে হয়েছে, দূর্গা-পরিবেশে বড়ো হয়েছি বলে কোনোদিন 'কালো মানুষ' মারা হচ্ছে এবং ওঁর 'মেয়ে কাঁদবে' বলে মনে হয়নি। কিন্তু আমার ছোট্ট মেয়েটি আমার চোখে নতুন দৃষ্টি এনে দিলো!
.
আজও ভাবি, দৃশ্যমান রক্তারক্তি ছাড়া এমনভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করা যায় না, যেখানে সবাই নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারে ঝিলাম ও আশাদীপ্তির মনে ভয়ের সঞ্চার না করে? সেই বোধ থেকে আমি উৎসবকে ব্যাখ্যা করে এর সর্বজনীনতা নিশ্চিত করার প্রকৌশল হিসেবে লিখেছিলাম 'উৎসব-জাতি-সম্প্রদায়-সম্প্রীতি'।
|
![]() |
শুনেছি শেষ বিচারের দিনে আজাব দিয়ে কুরবানি দেওয়া গরুরা যারযার গরু তারতার মালিককে নাকি চোয়ালে লাথি মারবে ,অর্থাৎ সাবধান কোরবানির গরু যেন আজাব না পায় , গরু যত বড় লাথি তত জোরে হবে , সকলকে ঈদের শুবেচ্ছা যারা আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন ।
|
![]() |
.
শিশুমনে কুসংস্কার ঢুকিয়ে দেয়া, জোর করে কিছু চাপায় দেয়া অন্যায়, এই ছবিটার মাঝে যে সাবটেক্সট সেটাই আমাদের শিক্ষা দেয়, শিশু বয়স ছুটে বেড়ানোর, খেলে বেড়ানোর, জোর করে তাকে দিয়ে ধর্ম, অধর্ম আর অপরাধ যেটাই করানো হোক সেটাকে তাকে তথা মানবজাতিকে কলুষিত করে, এই ভয়ার্ত শিশুটি যেন সকল চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে ডুকরে কাদতে চাইছে, মাথা নত না করে ছুটে বেড়াতে চাইছে, তার সমস্ত পবিত্র সত্তা যেন অন্যদের ব্যাংগ করছে, আপনারা ধর্ম করুন, যা খুশী করুন, শিশূদের রেহাই দিন, তাদের মুক্তভাবে বেড়ে উঠতে দিন.
|
![]() |
.
.
দয়া করে শিশুদের কোরবানি জবেহ করার দৃশ্য থেকে বিরত রাখুন। চিন্তা করুন বিবেক দিয়ে।
.
উল্লাস করতে করতে আমরা সবাই গরু-ছাগল কোরবানি দিতে বেস্ত থাকব। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে প্রকাশে জীবন্ত পশুকে কোরবানি দিয়ে হিংস্রতাকে সহজলভ্য করে তুলবো। প্রকাশে কোরবানি দিয়ে আমরা প্রকৃত অর্থে হিংস্রতাকে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করছি। এটা নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার সমাজের কারনেই। এ দেশে এ রকম দৃশ্য দেখলে অনেক শিশু অজ্ঞান হয়ে যাবে আমি নিশ্চিত ।
|
![]() |
কোরবানীই জান্নামের একটা মাধ্যম হতে পারে .................................... !
.
দুই শ্রেনীর মুসলমান কোরবানী দেয় ।
১ । ট্র্যাডিশনাল মুসলমান ।
২ । ধার্মিক মুসলমান ।
.
মূলত আমাদের সমাজে ট্র্যাডিশনাল মুসলমান বেশি । আমাদের কাছে কোরবানী একটা সামাজির স্ট্যাটাসের মত । কে কার থেকে বড় গরু , কত বেশি দাম , কত সুন্দর , কয়টা গরু দিতে পারে , এটাই আমাদের আলোচনার বিষয় ।
.
আরেক শ্রেনী ধার্মিক মুসলমান । ধার্মিক মুসলমান কি উদ্দেশ্য কোরবানী দেয় , সেটা কম বেশি আমরা সবাই জানি । তবে যারা ধার্মিক তাদের বলতে চাই , আপনারা একটা বিষয় খুব লক্ষ্য রাখবেন , যেন আপনার এই কোরবানী আপনাকে জাহান্নামে না নিয়ে যায় ।
.
সমস্যা = >> আমারা কোরবানীর দিন হাতে লিষ্ট নিয়ে মোল্লাদের পিছনে ঘুরি । কার কার নামে করবানী দিচ্ছি । গরুর জন্য সাত নাম , ছাগলের এক নাম । যেমন আমারা বলি ; এইবার আম্মা , আব্বা , ভাইয়া , দাদা ,দাদি ইত্যাদির নামে কোরবান দিচ্ছি । এটাই শির্কই আকবার । শির্কই আকবর মানে সব থেকে বড় শির্ক । মূলত আল্লাহর নাম ব্যতিত কারো নামে কোরবান দেওয়াই হারাম । সূরা মায়িদার ৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ পার বলেছেন " তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত পশু, রক্ত ও শুকরের মাংস, আল্লাহ ভিন্ন অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশু, ............"
.
প্রতিকার =>> আমরা প্রথমে নাম নির্ধারন করবো ,এর পর এই ভাবে বলবো " উমুকের পক্ষ থেকে আল্লাহর নামে কোরবানী দিচ্ছি " । এখানে "পক্ষ থেকে " আর " নামে " শব্দ দুইটি অধিক গুরুত্বপূর্ন ।
.
যারা আল্লার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানী দেয় , আল্লাহ তাদের কোরবানী কবুক করে নিক ।
|
![]() |
যে আল্লাহর ক্ষমতাকে স্রধা করে, সেই ভালো মানুষ। যে আল্লাহকে চিনে সেই ভালো মানুষ। আল্লাহকে চিনলেই ভালো মানুষ হতে বাধ্য।
.
মানুষ কি মানুষ হিসাবে জন্ম গ্রহন করে না? মানুষ যদি মানুষ হিসাবে জন্ম গ্রহন করেই থাকে, তবে কেন ছোটবেলায় প্রতিটি মানুষকে শুনতে হয় লেখাপড়া করে ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে? তারমানে লেখাপড়া করে শিক্ষিত না হলে মানুষ হিসাবে জন্ম গ্রহন করলেও ভালো মানুষ হওয়া যায় না। শিক্ষিত হলেই কি মানুষ ভালো মানুষ হতে পারে? মানুষ লেখাপড়া করলেই ভালো মানুষ হতে পারে না। ভালো মানুষ হতে হলে মানুষের বিবেককে শিক্ষিত হতে হবে। বই পুস্তক পড়লেই মানুষ তার বিবেককে শিক্ষিত করতে পারে না। কারন শিক্ষিত বিবেক হল অাল্লাহুর নিয়ামত, যা সবাই অর্জন করতে পারে না। অাল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন, তাকেই শুধু শিক্ষিত বিবেক দান করেন। মানুষ মিথ্যা অভিনয় করলেই ভালো মানুষ হতে পারে না। ভালো মানুষ হতে হলে নিজের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। কারন বিবেকবান মানুষ মানুষের ক্ষতির উদ্দেষ্যে প্রতারনা বা মিথ্যা অভিনয় করতে পারে না। শুধু বই পুস্তক বা কুরাআন হাদিস পড়ে শিক্ষিত মানুষ হলেই ভালো মানুষ হওয়া যায় না। আমরা অনেক শিক্ষিত পন্ডিত বুদ্ধিজীবী বা শিক্ষিত মানুষকে মানুষের সাথে প্রতারনা বা অভিনয় করতে দেখি। অাবার অনেক অশিক্ষিত মানুষ আছে যারা মানুষের কল্যানে জীবন দিতেও পিছু হটে না। আসলে মানুষ যতই অভিনয় করে ভালো মানুষ হতে চেষ্টা করুক না কেন, তা সে কখনো হতে পারবে না। যার প্রতি অাল্লাহুর রহমত অাছে সেই শুধু বিবেকবান ভালো মানুষ হতে পার।
.
তাই আমাদের উচিত অাল্লাহুর অাদেষ্য মেনে, অাল্লাহুর পথে চলে, অাল্লাহুর ইবাদত করে, নিজের স্বার্থে মানুষের মত মানুষ হবার জন্য অাল্লাহুতালার সাহায্য কামনা করা।
|
![]() |
বাংলাদেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি
.
আমরা ধর্মভীরু মানুষরা যারা সপ্তাহের বাকী ছয়দিন নামাজ পড়িনা তারাও শুক্রবারের জুম্মা নামাজ মসজিদে যাই গুনাহ মাফ পাওয়ার আশায়। এবং বড় জামাত দেখে ঐ মসজিদে যাওয়া হয় যে মসজিদের জামাত বড় হয় বেশী সোয়াবের আশায়। এটাই ঠিক কারণ সোয়াবের আশায় নামাজে এসে যেখানে বেশী সোয়াব সেখানেই যাওয়া উচিত। আর এই সুযোগটা মসজিদের মিম্বরে বসা খতিব সাহেব ছেড়ে দেন না। মিম্বরে বসে খতিব সাহেব বলেন আপনারা আল্লাহর ঘর মসজিদের জন্য বেশী বেশী দান করুন। কোন কোন মসজিদে খুতবার সময় দানের টাকা উঠানো শুরু করেন। খতিব সাহেবও বাধা দেন না। যদিও জুম্মার খুতবা শুনা ওয়াজিব। দান করা কোন ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত কিছুই নয়। যে সব মসজিদে খুতবার সময় টাকা উঠায় সেসব মুসল্লিদের একবারের জন্যও কেন মনে হয় না। নফল নামাজ পড়ার সময়ও যদি কেউ সালাম দেয় সে সালামের উত্তর দেওয়া নিষেধ। এটা সবাই জানেন। তবে ওয়াজিব তরক করে দান করা তো কোন ক্রমেই ঠিক হচ্ছে না। আমি কোন মন গড়া কথা বলছি না, মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের ঈদগাহ মাঠের সাথে যে মসজিদটা আছে সেটাতে খুতবা শুরুর সাথে সাথে প্রত্যেক লাইনে কাপড়ের থলি হাতে নিয়ে সবার কাছে একজন করে যাবে দানের টাকা উঠাবে। এবং অধিকাংশ মানুষই টাকা দিবেন কথা বলবেন ভাঙ্গতি টাকা খুজবেন। টাকা দেওয়ার জন্য উতসুক কারণ পকেটে যে অবৈধ টাকা তার সামান্য কিছু আল্লাহর ঘর মসজিদে দিয়ে অবৈধ রোজগারের ভাগ আল্লাহর ঘর মানে আল্লাহকে দিয়ে কিছু গুনাহর ভাগ যদি কমে। আমাদের চাওয়াই তো হচ্ছে কিভাবে গুনাহ কমানো যায়। দানের টাকা চাওয়ার জন্য অধিকাংশ মসজিদেই বলবেন আল্লাহর ঘর মসজিদের জন্য দান করুন। রাস্তাঘাটে মাইক দিয়ে মসজিদের জন্য টাকা উঠানো হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে সাথে ২/১ জন বড় হুজুরও থাকেন। ছোট বেলা থেকেই অসত্য কথা বলে এই রোজগার করা শিখালে বড় হয়ে কি করবে এই ছেলেগুলি। আমরা সব সময়ই আল্লাহর কাছেই চাই সব কিছুর দাতা একমাত্র আল্লাহ স্বয়ং। তাহলে আল্লাহর দোহাই দিয়ে চাওয়ার মানে কি?
.
আল্লাহ বলেছেন কাবা ঘরটাই মানুষের জন্য যে ঘরটি নবী দ্বারা নির্মিত। আর পাড়া মহল্লার মসজিদ অধিকাংশই অবৈধ টাকায় নির্মিত ঘরকে আল্লাহর ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন বিজ্ঞ আলেমগন।
.
২:১৭৪# ‘নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।’ এবং আল্লাহ নবীকে বলছেন সূরা শুরার ২৩ নং আয়াতে ৪২:২৩# ‘হে নবী আপনী বলুন, আমি আমার দাওয়াতের বিনিময়ে আত্নীয়ের ভালবাসা ব্যতীত অন্য কোন বিনিময় গ্রহন করবো না।’
.
রাছুল সা. এক হাদিসে বলেছিলেন সেটি আমি নিম্নে উল্লেখ করছি।
.
শীঘ্রই মানুষের উপর এক জামানা (সময়) আসবে যখন নাম ব্যতীত ইসলামের আর কিছুই বাকী থাকবে না, এবং কুরআনের রীত-রছুম ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। মসজিদ সমূহ আবাদ হবে কিন্তু আবাদকারীরা হবে হেদায়াত শূন্য (বিপথগামী) তাদের আলেমগন হবে আকাশের নীচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি, তাদের নিকট থেকে ফেৎনা ফাছাদ সৃষ্টি হবে এবং তাদের মধ্যে উহা ফিরে যাবে।
|
![]() |
আসলে ইহুদীরা হচ্ছে আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি। বনী ইসরাইলদেরকে আল্লাহ তায়ালা সম্মান দিয়েছিলেন যখন তারা বিশ্বাসী বা মুমিন ছিলো। ছিলো পয়গম্বরদের অনুগত এবং নাজিলকৃত শিক্ষার বাহক। তারা কুটিল পন্থায় জটিলভাবে জড়িয়ে পড়ে। তারা ইব্রাহীম, যোসেফ এবং মূসা (আ এর পবিত্র শিক্ষাকে মিথ্যায় কলুষিত করেছে। অসংখ্য পয়গম্বরকে হত্যা করেছে। সন্ত্রাস এবং কলুষতা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ছলনা ও সুদীকারবার ব্যবস্থায় মানুষদেরকে তাদের ধন সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছে। এজন্য আল্লাহ বলেন-হে ঈমানদারগণ! ইহুদী ও খৃস্টানদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কেউ তাদেরকে বন্ধু হিসেবে পরিগণিত করে তাহলে সেও তাদের মধ্যেই গণ্য হবে। অবশ্যি আল্লাহ জালেমদেরকে নিজের পথনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত রাখেন। (৫:৫১) অসংখ্য নবীর স্মৃতিধন্য ও মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস-এর পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন আজ ইহুদীদের কবজায়। ১৯১৪ সালে শুরু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মুসলমান শাসকদের অদূরদর্শিতা এবং ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে তুরস্কে মুসলিম খিলাফত ভেঙ্গে যায়। শুধু তাই নয় ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৭ সালে ইরাক, সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিন ও পবিত্র জেরুজালেম দখল করে নেয়। তারা ফিলিস্তিন বিজয়ীবীর সুলতান সালাহ উদ্দীন আইয়ুবীর মাযার শরীফ এ পদাঘাত করে উচ্চস্বরে বলতে থাকে “হে সালাহ উদ্দিন উঠে দেখ আমরা তোর সিরিয়া জয় করে এসেছি”। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের দখলে। পৃথিবীর কোন দেশ তাদের ভূখন্ডে ইহুদীদের বসাতে রাজী হয়নি। শেষ পর্যন্ত বেলফোর ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রে গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুলত মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ কুক্ষিগত করা ও বিভিন্ন স্বার্থ অক্ষুণœ রাখার প্রয়োজনেই এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে লালন করা হচ্ছে। ইসরাইলের বর্তমান জনসংখ্যা ৭৪ লক্ষ ৬৫ হাজার। আমেরিকার মদদে ইসরাইল এখন এতটাই শক্তিশালী যে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। মুসলমানদের শক্তি হিসেবে বর্তমানে ইসরাইলকে চোখ রাঙ্গিয়ে আসছে ইরান। আর তাই ইরান-ইসরাইল এখন এক রণাঙ্গনের নাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যেদিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরাইলের নাম আবার মুছে যাবে। রাসূল (সাঃ) সেই ভবিষ্যদ্বাণীই করেছেন ইহুদীদের সম্পর্কে। তবে সেটির জন্য দরকার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে একতা। গোটা মুসলিম এখনো নিরব থাকা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। মুলতঃ ইহুদী চক্র গোটা পৃথিবীর মুসলমানদের বিভক্ত করে রেখেছে। এ জন্যই মুসলমানরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেনা। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, অনৈক্য সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে এই বীরের জাতি। অথচ মুসলমানদের ইতিহাস অনেক গৌরবের, অনেক সাফল্যমন্ডিত। মুসলমানরা আজ যেন সব হারাতে বসেছে।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.