|
![]() |
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে গেছে যে আমরা "মানবসত্তার মর্যাদা" বিষয়টা বুঝিনা। এটা আমাদের শেখানো হয়না কোথাও। না রাষ্ট্রে না স্কুল কলেজে, না সমাজে, না কোন রাজনৈতিক দলে, না পরিবারে। আমরা কখনো চিন্তাই করিনা, আরেকজন মানুষ, শুধু মানুষ হওয়ার কারণে আমার সাথে কিছু অবিচ্ছেদ্য মর্যাদা শেয়ার করে। সেই মানবসত্তা অপমানিত হলে আমি নিজেও অপমানিত হই।
.
অথচ আমাদের প্রোক্লেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্সে আমরা উঁচু গলায় ঘোষণা করেছিলেম স্বাধীন দেশে আমরা তিনটা জিনিস প্রতিষ্ঠা করবো ১/ সাম্য ২/ সামাজিক ন্যায়বিচার ৩/ মানবসত্তার মর্যাদা।
এই ওয়াদা আমরা রাখতে পারিনি। এই ওয়াদা রাখতে হলে স্বাধীনতার পরে যে সৌশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিঙের দরকার ছিল সেটা হয়নি।
.
আর এর ফল আমরা এখন প্রত্যেকদিন দেখছি। বাঙলা অনলাইন আর ফেইসবুকিং আমাদের মর্যাদাহীনতার বিষাক্ত ফল অহরহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
.
আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য এই কাজটাই হবে একটা বিশাল চ্যালেইঞ্জ।
|
![]() |
.
জামিন মানেই কি কারাগার থেকে মুক্তি ? বাংলাদেশে এটা কোন যুক্তি
।
১৮ দিন কারাভোগ শেষে গত ৩০ অক্টোবর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আজ কক্সবাজার আসেন তিনি। তাকে বরণ করতে বিশাল গাড়ীর বহর নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। প্রায় ১০০০ গাড়ীর বিশাল বহর নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন কর্মী-সমর্থকরা।
।
১০০০ গাড়ীর মালিক যারা সব হচ্ছে দুর্নীতির ভাগিদার, তাদের উদ্দেশ্যে এমপি বদি বলেন, সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে তিনি জনতার মাঝে ফিরে এসেছেন। মপি বদিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য উখিয়ার বিভিন্ন অংশে দলীয়ভাবে প্রায় ১০০টি তোরণ ও ৫টি মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও তোরণ তৈরী করেছেন।
.
সরকার প্রধানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বদি আরো বলেন, ‘সরকার প্রমাণ করেছে সে যেই হোক দুর্নীতি করলে এ সরকার কাউকে ক্ষমা করে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও সমাজ গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বদি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ১২ অক্টোবর এমপি আবদুর রহমান বদি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান। এসময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৮ দিন কারাভোগের পর গত ৩০ অক্টোবর বদি ৬ মাসের জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন।
|
![]() |
Akhon sotti money hochchey bichar niyey Awami League ar Jamaat-er modhdhey kono atat (compromise) hoy ni. Well done AL, at least for the time being!
.
এখন সত্যি মনে হচ্ছে বিচার নিয়ে Awami League আর জামাতের মধ্যে কোন আঁতাত হয় নি। এই সময়ের জন্য কমপক্ষে একটা ভালো কাজ করেছে। - Dr. Asif Nazrul।,
|
![]() |
কতো দিবি হরতাল
মানুষ করবে তোদের বেতাল
হবে নাকো পাকিস্তান
এবার হবে তোদের খান খান।
আসলো আবার ঈদের দিন,
তোমার আমার জয়ওগান।
|
![]() |
শহীদ মিনার! কথা কও, সাক্ষ দাও-
কে বিষ, কে মধু,
কে রাজাকার, কে সাধু?
কে করেছে মানুষ খুন, কে করেছে দেশ খুন,
কারা জ্বালিয়েছে রাতের আঁধারে হিন্দু বাড়িতে আগুন?
।
কার ইন্দনে পাহাড় হয়েছে মৃত্যুকুপ,
শত ধর্ষণ উপেক্ষা করে কারা থেকেছে নিশ্চুপ?
কে ছিলো সেদিন অস্ত্র হাতে, কে ছিলো সেদিন রণাঙ্গনে,
কারা এখন মিথ্যা বলে দাঁড়িয়ে তোমার প্রাঙ্গনে?
।
শহীদ মিনার কথা বলো-
আজ তোমায় যারা দখল করলো, কবে তারা দেশে ফিরলো?
বলো তুমি কোনটা সাদা কোনটা কালো,
কে বা মন্দ আর কে বা ভালো?
।
শহীদ মিনার, শহীদ মিনার-
নিশ্চুপ তুমি থেকোনা!
তুমিও যদি নিশ্চুপ থাকো
ভোর কখনো হবেনা।
|
![]() |
জাপান বানাইছে TOYOTA কার""
ভারত বানাইছে "TATA কার "
.
পাকিস্তান বানাইছে "রাজাকার"
প্যারাডে বানাইছে বিদ্যুতের থেলেছমিটার "
ব্রাজিল বানাইছে নেইমার R অঙ্কার"
জার্মান বানাইছে থমাস মুলার"""
.
R আমরা বানাইছি 2টা লেডিস সরকার""
তাইতো বাংলার জনগনের এত হা হা কার।॥
|
![]() |
লতিফ সিদ্দিকী মুখ ফসকে হঠাৎ কোন বোকার মতো কাজ করে বসেননি!
.
আবদুল লতিফ নিউইয়র্কে থেকেই কার্লোসের সাথে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ উঠেছে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড ট্রান্সফার হয়ে যায় লতিফ সিদ্দিকীর নির্দিষ্ট কয়েকটি একাউন্টে। এরপরেই লতিফ সিদ্দিকী মাথা ঠিক করে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল সমিতির বৈঠকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস না করলেও লতিফ সিদ্দিকী একা একাই কথা বলে ফেলেন হজ্জের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে, এমনকি রসুল (সঃ)কে অবমাননাকর উক্তি। এমনকি হাসিনার ছেলে জয়কেও একটু ছুয়ে দেন। উদ্দেশ্য ২৫ মিলিয়ন ডলারের দাওটা মেরে দেয়া, এবং অতপর আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার ক্ষেত্র তৈরী করা। এর আগেও আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও পাননি তিনি। এবারের ঘটনার প্রস্ততি হিসাবে লতিফ সিদ্দিকী তার ২ মেয়ে নন্দিনী ও রায়না ফারজিন প্রীতু, এবং পুত্র অনীক সিদ্দিকীকে আগেই পার করে দেন কানাডায়। অন্যদিকে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীকে সাথেই নেন। অতি বিশ্বস্ত সোর্স মারফত লতিফ সিদ্দিকী আগেই জানতে পেরেছেন, নভেম্বরে হাসিনার খেল খতম হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যরা পালাতে পারলেও হাসিনা সে সুযোগ নাও পেতে পারে। কাজেই শেষ সময়ে লতিফ সিদ্দিকী ২৫ মিলিয়ন ডলার ছাড়বেন কেনো?
.
লতিফ সিদ্দিকী হাসিনাকে হুমকি দিয়েছেন ভিওআইপি খাত থেকে জয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া সংক্রান্ত দুর্নীতির কথা ফাঁস করে দেবেন বলে। এজন্যই তিনি নিউইয়র্কে প্রকাশ করে দেন যে হাসিনার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রতিমাসে ২ লাখ ডলার বেতন দিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী নিজেই তার মন্ত্রনালয়ের কনসালটেন্ট দেখিয়ে। কমিশন মেরে দেওয়া এবং সরকারের নেয়া ব্যবস্থা ঠেকাতে লতিফ সিদ্দিকীর এ অবস্থান বেশ শক্ত বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।
.
বস্ত্রকল সংস্থার কোটি কোটি টাকার সম্পদ তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিনা মূল্যে দান করে দিয়েছেন। বাপের সম্পত্তি হলে যে কেউ দান করতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি কীভাবে তিনি দান করলেন?
।
একজন আওয়ামী নেতা লতিফ সিদ্দিকির বক্তব্য ভিডিও করেন লতিফ সিদ্দিকিরই নির্দেশে। সেই ভিডিও একজন দেশত্যাগী সাংবাদিক ইমরান আনসারি এডিট করে ETVতে প্রচারের ব্যবস্থা করেন।ইমরান দেশে সরকারের অত্যাচারে টিকতে না পেরে দেশত্যাগ করে নিউইয়র্কে রয়েছেন। দেশে তিনি এখন পুরটাই নিরাপত্তাহীন।
|
![]() |
অশিক্ষিতের ধর্ম বেবশা ছাড়া আর কোন সম্পদ নাই।
.
কিছুদিন পূর্বে সম্ভবতঃ ৩ বা ৪ সপ্তাহ পূর্বে বিএনপির তারেক রহমান, লন্ডনে এক আলোচনা সভায় ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতির সমালোচনা করেছিলে। তাতে করে, বিএনপির সাথে জোটে থাকা ইসলামী দলগুলোর সাথে কিছুটা হলেও, দূরত্ব তৈরী হয়েছিল। ধন্যবাদ তারেক রহমান-কে, লন্ডনে এত দিনের বসবাসে তার মধ্যে, কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। একটি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতি কতটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, কিছুটা হলেও তার চেতনাতে গিয়ে ছুঁয়েছে।
.
কিন্তু এই সত্য ভাষনের বিপরীতে, কিছু ধর্মীয় দল তাদের অসন্তোষ জানিয়েছে এবং তওবা করার পরামর্শ দিয়েছে। *** লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য, বিএনপির দুর্বল হওয়া ঐক্যকে ফিরে পাওয়ার জন্য, এক মোক্ষম সুযোগ হয়ে এসেছে। সুযোগটি বিএনপি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
.
বিএনপি কে, মাঠ গরম করার সুযোগ দেবে না সরকার। এক লতিফ সিদিকীকে বহিষ্কার করলে কি আর এসে যাবে? সরকারের হিসেবে বরং ভোট আরও বাড়বে বৈ কমবে না!! দেশের লোক-ও খুব খুশী, সরকারের সিদ্ধান্তে। *** যদি রাজনীতিকরা সত্যিই ধর্মপ্রাণ হয়ে থাকেন, তবে তাঁদেরকে ইমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। না কি? যদি বলা হয়, ইমানে দুর্বল হলেও চলে। তবে কিছু বলার নেই।
.
কেননা, ইমানের কোথায় যেন ঘাপলা আছে। তিন তিনবার বিশ্বশ্রেষ্ঠ বেঈমানী- সার্টিফিকেট মিলেছে, এবং বিএনপির আমলে-ও এসেছিল সেই পদক। ইতিহাস থেকে তা কি করে মুছে দেয়া যাবে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, তাঁর দলে তিনি ব্যতীত, বাকী সকলকে টাকা দিয়ে কেনা যায়। তাই যদি সত্যি হয়, তবে এদের ইমানের জোর কতটুকু, প্রশ্নের দাবী রাখে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্যব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, সে দলের কোনো ইমানী নেতাকে বক্তব্য বা প্রতিবাদ-সুলভ বিবৃতি দিতে দেখা যায় নি। সুতরাং ডালের মধ্যে যে কালো কিছু আছে, তা নিয়ে অধিক গবেষণার আবশ্যক কি? আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে কে বা কারা আছে, তাঁর উত্তম জানার কথা।
.
ইমানের কমতি যাদের আছে, তারা কি করে ধর্মের জন্য ব্যাকুল হবে, মাথায় ধরে না। তবে হ্যাঁ, ধর্ম চিরকালই বলির পাঁঠা হয়েছে। রাজনীতির জন্য ধর্ম হচ্ছে, তুরুপের তাস!! এই আচরণ চলবেই, কিছু মানুষ, তাতেই খুশী হবে। একটি জাতি অন্ধকারে না ডুবলে, অপর জাতি আলোর দিকে যেতে পারে না। তাই জগতের নিয়ম।
|
![]() |
এটা ধর্মীয় কারণে হোক আর জয়কে হেয় করার কারণেই হোক, ধরে নিচ্ছি লতিফকে বহিস্কার করা হলো। তার অপরাধ তিনি মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলেছিলেন, এক্ষেত্রে কোনো রক্তপাত বা প্রাণহানি ছিল না। অন্য দিকে ৩০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবে যায়, শামিম ওসমান খুন করেও সাংসদ থেকে যায়, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ..... এগুলোতে আমাদের মনে আঘাত লাগে না, আমরা প্রতিবাদও তেমন করি না, কারন কি?
|
![]() |
শোষনহীন শ্রেনীহীন রাষ্ট্রই মুক্তির একমাত্র পথ।
----------------- লিয়াকত আলী, প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
.
ধনিক বনিক লুটেরা শোষক বেনিয়া পুজিপতিদের স্বার্থ রক্ষাকারী, শোষন বৈষম্য শোষনের হাতিয়ার ধর্মের ধ্বজাধারী, ধারক, বাহক, রক্ষক, আজকে রাজনীতির চালক, চালবাজ ধোকাবাজ প্রতারক প্রতারনার দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, হেফাজত মৌলবাদী সব দলগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে, গনমানুষে মুক্তি জন্য গনমানুষের একটি দল গঠন করে, সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে, একটি শোষনহীন শ্রেনীহীন জনগনের রাষ্ট্র, জনগনের সরকার গঠনের মাধ্যমেই কেবল মাত্র এদেশের গনমানুষের মুক্তি সূখ শান্তি আসতে পারে। এর কোন বিকল্প নাই, হতে পারে না।
.
তারিখ: ১ অক্টোবর, ২০১৪ইং, নিউ ইয়র্ক।
|
![]() |
সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতা যেকোনোভাবেই পূরণ হবে।
.
বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কোনো দিনই গণতন্ত্র ছিল না। প্রায় সব সময়ই স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চলেছে। সার্বিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চাও হয়নি। আমাদের দুর্ভাগ্য, কোনো সরকারই স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। গণতন্ত্রের কথা মুখে বললেও কার্যত কোনো সরকারই তা চর্চা করেনি। পাশাপাশি গণতন্ত্রের চর্চার জন্য আবশ্যক সহযোগী যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তা প্রতিটি সরকার নিজেদের দলীয় স্বার্থে দুর্বল করে বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
.
বাংলাদেশের মতো জনবহুল সীমিত সম্পদের সমস্যাসংকুল দেশে জোর করে সরকারবিরোধী মনোভাব বন্ধ করা যায় না। ফলে সরকারবিরোধী কোনো রাজনৈতিক সংগঠন থাকবে না, এটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। সরকারবিরোধী প্ল্যাটফর্ম যাতে কার্যকর হয়, তা জনগণও উপলব্ধি করছে। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, সরকারের জবাবদিহিকরণ ও সরকার পরিবর্তনের সুযোগ জনগণের কাম্য। এ ইচ্ছার সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে সক্ষম হবে এ ধরনের রাজনৈতিক শক্তি জনগণের আকাঙ্ক্ষা। সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতা যেকোনোভাবেই পূরণ হবে।
|
![]() |
শেখ হাসিনার মত রাজনৈতিক নেত্রী বাংলাদেশে আগে আসেন নাই, ভবিষ্যতেও আসবেন না। রাজনীতির কূটচালে বাঙ্গালির ইতিহাসে তার সমান কেউ নাই, কেউ ছিলেন না।
.
শেখ হাসিনা নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা আর প্রজ্ঞায় আজ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জামাত, জাসদ এবং জাতীয়তাবাদী জাসদ তথা বিএনপির রাজনীতির প্রকৃত পরিচালক, গতি নির্ধারক, প্রকাশ্যে বা গোপনে অবিসংবাদিত নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধুর এই কৌশলী দক্ষতা থাকলে বাকশাল ব্যার্থ হত না।
.
খালেদা জিয়া তার চারপাশের সকলকে নিজের লোক মনে করলেও, শেখ হাসিন...া তার চারপাশে কে তার লোক আর কে তার নয় এটা ভালো করেই জানেন। সময়মত টাইট দেন, সাইজ করেন। উনি ভালো করেই জানেন খালেদার তীব্র আন্দোলন দমন অপেক্ষা জীবীত সাঈদী অনেক মূল্যবান।
............................................
Ripon Canada জীবীত সাঈদী থাকলে কিছু বেবসা হবে বিএনপিকে সাইজ করার জন্য ঠিকই কিন্তু এই ছারপোকা হাসিনার পুরা শরীর কামড়াইয়া খেয়ে ফেলবে এটাও ঠিক।
|
![]() |
.
বাংলাদেশের অর্জন তখনি হবে যখন থাকবে না কোন পুলিশী দুর্নীতি। এই অর্জন তোমার ও তোমার মায়ের, বাংলাদেশের না। সমস্ত জনগন তোমাদের এর চেয়েও বড় মেডেল দিবে যদি শুধু পুলিশী দুর্নীতি বন্ধ করতে পারো।
|
![]() |
সুন্দর কইরা মেকআপ আর ফুরফুরা শাড়ি দিয়া রাজনীতি হয় না, সেই দিন আর নায়, বাঙ্গালী স্মার্ট হয়ে গেছে। আমি আশাবাদী।
.
একটা শক্তি ভেংগে গেলেই তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হবে, যেটা বাংলাদেশের জন্য অতি জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে । দুর্বল শক্তির অবসান চাই, যা খালি হালকা ঝড়ের মাধ্যমে অশান্তি সৃষ্টি করছে কোন আউটপুট ছাড়া। এরও অবসান চাই।
|
![]() |
.
ফর্মুলা -১ ধর্ম + রাজনীতি = অশান্তি
.
ফর্মুলা -২ আমাদের দরকার সমস্ত পুরানো ইতিহাস ছুড়ে ফেলে নতুন ইতিহাস গড়ার। আমরা পুরান ইতিহাস এর গন্ধে নতুন ইতিহাস গড়তে পারছি না।
.
ফর্মুলা – ৩ বিএনপি-জামাত ধ্বংস না হলে, নতুন হিরো আসবে না। নতুন হিরো না আসলে হাসিনা যাবে না।
|
![]() |
.
কষ্ট সয়ে হাজার হাজার মানুষ আটকে আছে , আর এইসব অফিশিয়াল তথা সরকারের কর্তাব্যাক্তিরা উল্টো পথ দিয়ে যাচ্ছে !!! আর এই কর্মকর্তারা , আমলারাই বলবে ... দোষ নাকি মানুষের , বলবে মানুষের জন্যে জ্যাম লাগে । বলবে দেশে জ্যাম জট কিছুই নাই !!! ট্যাক্স বসাবে গাড়িতে , ১২ লাখ টাকার গাড়ি কিনতে হবে ৪৫ লাখ টাকায় ।
.
আরে শুয়োরের পাল , এক দিন একটু জেনুইন জ্যামে আটকে দেখিস !
.
এসি করা পাজেরো কি তোর বাপ দিয়েছে কিনে ? কাদের টাকায় চলিস , বেজন্মার ঘরের বেজন্মা ... তোদের মত মানুষের মনে হয়না কোন রকমের পিতৃ পরিচয় আছে । বাপের বেটা হলে এই ভাবে মানুষকে কষ্ট দিয়ে তাদের নাকের ডগা দিয়ে যেতে পারতি না ।
.
আর এই কথা কি ভেবেছিস , হাজার হাজার জনতা তোদের দেখছে । সবাই বদদোয়া দিচ্ছে , অভিশাপ দিচ্ছে ... সেগুলো কি সব বিফলে যায় ... দেখবি বাচ্চা অল্প বয়েসে মরে গেছে , মেয়ে ভেগে গেছে , ছেলে নেশায় বুদ , বৌ আরেকজনের সাথে লটর পটর করছে ...
.
ভালো থাকতে পারবি না ...
এই জীবনেও না , পরেরটা তো পড়েই আছে ।
|
![]() |
বাহ রাষ্ট্র, বাহ। কতটুকু দেউলিয়া চরিত্রের হলে এবার অনশনে আঘাত হানার প্রস্তুতি নিতে পারে একটি মালিকের পা চাটা রাষ্ট্র। তোবা গার্মেন্টে তালা লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বাইরে মাইকিং করে বলছে কালকে বিজেএমইএ কাছ থেকে দুই মাসের বেতন নিয়ে আসতে, বলে অনশন প্রত্যাহার করতে। যেন তারা বিজেএমইএ'র পোষা কুত্তা। মালিকের জন্য জান কুরবান, তাদের গু-মুত নিজ হাতে পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছে। বাহ বাহ পুলিশ, বাহ রাষ্ট্র। এইজন্যই প্রতিদিন মালিকের নগ্ন শোষণ আইনের চোখ এড়িয়ে যায়। বেআইনী বিজেএমইএ ভবন ঠিকই দাড়িয়ে থাকে। দুর্দান্ত রাষ্ট্র!!
.
আর যারা শ্রমিকের আন্দোলনে সহিংসতা দেখেন, তারা এবার বলেনতো শ্রমিকদের আসলে কি করা উচিত। বিক্ষোভ করলে পুলিশ মারে, মিছিল করলে পুলিশ মারে, এখনতো অনশনেও ওদের গা জ্বলে। তাহলে কি উপায়ে নিজেদের পাওনা চাইবে ওরা? নাকি ওদের জন্মই আপনার চোখে আজন্ম পাপ?
.
শ্রমিকরাও নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে নিজের রাষ্ট্র কায়েম করতে না পারলে এভাবেই ভাতে আর পানিতে মরতে হবে ওদের। এর চেয়ে মেরে মরবে না কেন ওরা?
.
সর্বহারার হারাবার কি আছে আর?
|
![]() |
.
পারলে বিএনপির সমস্ত চামচারা রাস্তাই শুয়ে পরে দেখাক, তারা কতো বড় নেতা।
আন্দলনে কোন রকম জনগনের ক্ষতি চাই না।
কাঁদানে গ্যাস, জল কামান চামচারা সহ্য করবো, জনগন কেন বাবা??
|
![]() |
যে জাতি ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারে না, ভোটারবিহীন নির্বাচনে যে জাতির নির্বাচিত সরকার গঠিত হতে পারে, সে জাতিকে নানা ধরনের গ্লানি বহন করতেই হবে।
.
বহুদিনের ‘শুধু নির্বাচনই গণতন্ত্র’ এখন তা ‘নির্বাচনবিহীন গণতন্ত্রের’ পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। এখন জনগণের শক্তি সরকারের ক্ষমতার ভিত্তি নয়; বরং কিছু লোকের সমষ্টিগত দুর্নীতিই ক্ষমতার উৎস।
.
বর্তমানে বাংলাদেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত একটা সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এককথায়, এখন দেশের সরকার যদি দম্ভের সঙ্গে নির্বাচিত বলে নিজেরাই নিজেদের বৈধতা দাবি করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত না হয়েও কোনো সরকারকে বৈধতার জন্য নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। এরূপ অশুভ দৃষ্টান্ত সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়।
.
যারা রাজনৈতিক সমাধানের চিন্তা বাদ দিয়ে কেবল ক্ষমতার জন্য ব্যস্ত এবং ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত, তাঁরা জানেন না যে তাঁরা নিজেদের অজান্তে অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছেন।
.
মইনুল হোসেন: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
|
![]() |
গডফাদার আর ফরমালিন
.
১২ জুনের প্রথম আলোর নবম পৃষ্ঠায় একটা খবরের শিরোনাম ছিল, ‘শতভাগ জাম ও ৯৫ ভাগ লিচুতে ফরমালিন’।
কৃষ্ণকলির সাঁওতাল ও ঝুমুর গান-এর যে সিডিটা এখন চেম্বারের গানের কলে বাজছে, সেই সিডির শেষ গানের প্রথম কলি এ রকম, ‘সানতাল করেছে ভগবান, মানুষ করেনি ভগবান’।
.
মানুষ কি প্রায় প্রতিটি খাবারে জেনেশুনে বিষ দিতে পারে? আমাদের সানতাল করেনি, সৃষ্টিকর্তা মানুষই করেছে। কিন্তু আজকাল আমরা এক আজব প্রজাতির মানুষ হয়ে পড়ছি। এই ফলের মৌসুমে সেই ছোট বাচ্চারা জাম অতটা না খেলেও মিষ্টি লিচু খাবে, মা-বাবা তাদের আদর করে আম খাওয়াবে। একটু বেশি টাকার জন্য ব্যবসায়ীদের বদৌলতে এই শিশুরা এখন বিষ খাচ্ছে, ফলের সঙ্গে। বলা বাহুল্য, শুধু ফল ব্যবসায়ীদের কথা হচ্ছে না। মাছে বিষ এসেছে অনেক আগে। দিন কতেক আগে টেলিভিশনের খবরের বিশেষ রিপোর্টে দেখলাম, ফার্মের গরু যে ঘাস খাচ্ছে, তাতেও গুরুতর বিষ, যে বিষ রয়ে যাচ্ছে গরুর দুধে আর সেই দুধ থেকে বাচ্চাদের শরীরে। সেই গুরুতর বিষ থেকে দুরারোগ্য ভীষণ ভীষণ ব্যাধি হতে পারে। ফার্মের মুরিগকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেটা নাকি আমরাও খাচ্ছি মুরিগর মাংসের সঙ্গে। ফিরিস্তিটা অনেক পৃষ্ঠা চালাতে পারবেন পাঠককুল, অধমের চেয়ে অনেক বেশি পারদর্শিতায়।
.
এমনটা কেন হলো, কীভাবে হলো?
.
২
সম্প্রতি অতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবলা দুর্বল, সহায়-সমর্থহীন, চতুর্দিক থেকে অকাতরে ও নির্বিচারে এবং তদুপরি সম্পূর্ণ বিনা কারণে আক্রান্ত ‘ওসমান পরিবার’কে রক্ষা করার অত্যন্ত প্রশংসনীয় গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন, আবেগঘন কণ্ঠে জাতীয় সংসদে সবাইকে জানান দিয়ে।এখন বেচারা নিজাম হাজারীর দায়িত্বও নিশ্চয় অতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। বিশেষত নচ্ছার প্রথম আলোর মতো বদজন যখন িনজাম হাজারীর পেছনে লেগেছে, তাঁর জেল না-খাটার খবর ফাঁস করে দিয়ে।
.
অবশ্য নিজাম হাজারীকে ‘ক্রেডিট’ না দিয়ে উপায় নেই। খুনখারািব, ডাকাতি আর অস্ত্র মামলায় জেলখাটা অনেক রাজনীতিবিদের জন্য কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু সাজার পুরো মেয়াদ না খেটে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো কৃতিত্ব কয়জনই-বা দেখাতে পেরেছেন। পাবলিক সেয়ানা। ভাববেন না সবে জাতে উঠেছে, অর্থাৎ অস্ত্র ও আনুষঙ্গিক ভালো কাজে হাতেখড়ি হয়েছে সবেমাত্র। ভদ্রলোকের অস্ত্র মামলা বছর বিশেকের পুরোনো। অস্ত্র মামলায় সাজা হয়েছে এক যুগের বেশি আগে। পুরো সাজা না খেটে আগেভাগেই বেরিয়ে গেছেন জেল থেকে।
.
অবশ্য এসব কিছু প্রথম আলোর কেচ্ছা বা সংবাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে দেশবাসীকে সাংসদ হিসেবে উপহার দিয়েছেন। তাই নিজাম হাজারীকে রক্ষার দায়িত্বও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হতে পারে৷ বিশেষত নিজাম হাজারী এমপি যদি মহান সংসদে দাঁড়িয়ে আরেক মাননীয় এমপির মতো নিহত হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে আগাম মাফ চেয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
.
রাজনীতিতে এখন গডফাদারের ছড়াছড়ি৷ মনে হয় আমরা জাতে উঠছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে গডফাদার তথা মাফিয়াদের প্রচণ্ড দাপট ছিল ১৯২০-১৯৩০-১৯৪০-এর দিকে। আমাদের ফেনসিডিল ‘ব্যবসা’ নিয়ন্ত্রণ করে যেমন বিভিন্ন অপরাধচক্র, ঠিক তেমনি চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ এক দল অপর দলকে টেক্কা দেয়—দরকার হলে মেশিনগান দিয়ে গুলি করে ইত্যাদি ইত্যাদি করতে করতে যে অপরাধী দলগুলো দাঁড়িয়ে গেল, তারাই বিখ্যাত হয়ে গেল বিভিন্ন মাফিয়া গ্রুপ নামে।
.
ফেনসিডিল থেকে চাঁদাবািজ, তারপর সন্ত্রাসী ব্যস্ততা। আস্তে আস্তে জমি দখল, মার্কেট দখল। মাঠ দখল (এখন যেমন আস্ত ধানমন্ডি মাঠটাই খেয়ে ফেলছে ইত্যাদি করতে করতে অবশেষে রাজনীতিতে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী বাদ দিয়ে তাঁরাই আস্তে আস্তে হয়ে পড়লেন গডফাদার-রাজনীতিবিদ।আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলের শেষের দিকে ফেনী, বরিশাল ও ঢাকায় দুিট আসনসহ কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় গডফাদারের একচ্ছত্র আধিপত্য ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির সবচেয়ে প্রধান না হলেও অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। তখনকার সরকারের শেষ আমলে জননিরাপত্তা আইন পাস করে সেই আইন দিয়ে বিরোধীদের ঠ্যাঙানো, গণভবন নিজেদের নামে লিখিয়ে নেওয়া—এসব ছিল অন্যান্য কারণ।
.
৩
গত বিএনপি সরকারের সময়ে প্রথমে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে এবং তিন মাস পরে আইন করে মানুষ হত্যা বৈধ করা হয়েছিল। তারপর ২০০৪ থেকে র৵াবের ক্রসফায়ারে মানুষ মারা। এই মানুষ মারা শুরু হয়েছিল ২০০৪-এর জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে। তারপর ২১ আগস্টের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের হত্যাযজ্ঞ।পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটছি এ লেখার আসল শিরোনামের যৌক্তিকতাটা দাঁড় করানোর জন্য, আসল শিরোনামটা—রাজনীতিতে গডফাদার আর ফলে ফরমালিন। অর্থাৎ রাজনীতিতে যত দিন গডফাদার থাকবে, ফলে-মাছে-অন্যান্য খাদ্যে তত দিন বিষ থাকবে।
.
গডফাদার থাকা মানে আইনের শাসন না থাকা। কর্তাব্যক্তিরা যদি আইন না মানেন, তাহলে বেচারা ক্ষুদ্র ফলবিক্রেতা আইন মানবে কোন দুঃখে। বা আইন মানার অনুপ্রেরণা কোথায় পাবে? সে তো দেখছে আশপাশের আতিনেতা-পাতিনেতা থেকে শুরু করে বড় নেতা, জাতীয় নেতা কেউই আইন মানছে না। ২০ একর জমি নিয়ে মিন্ত্রত্ব শুরু করে পাঁচ বছরে জমির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার একর। আরও দেখল—ভীষণ বড়লোক হয়ে গেলে বড়জোর দুদক দু-এক দিন দাওয়াত দিয়ে মিডিয়াকে দেখানোর জন্য ‘ইন্টারভিউ’ নেবে, ওই পর্যন্তই।
.
আর ভীষণ গডফাদার হলে পাশে তো আছেন খোদ অতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
.
বিরোধী দলে থাকলে গডফাদার স্বভাবতই কম থাকে। বিরোধী দলে থেকে তো নিজের জান-মাল বাঁচানোই মুশকিল, গডফাদারদের প্রটেকশন দেবেন কীভাবে। বিরোধীদের তাই আপাতত কিছুটা ধোয়া তুলসীপাতা-পাতাভাব।
.
জনসমর্থন কমতে থাকলে দুটো জিনিস বাড়তে থাকবে। প্রথম—নির্বাচন দেব না। এ কথা বলার স্বর ও মাত্রা তীব্রতর হতে থাকবে প্রতিনিয়ত। যারা নির্বাচন চাইবে, তাদের বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দেশের ভাবমূর্তি হননকারী ইত্যাদি বিশেষণ এবং ক্ষেত্রবিশেষে এসব বিশেষণপ্রসূত আইিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, গডফাদার-র৵াব-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকবে।
.
ফলে আইনের শাসন দুর্বল থেকে হবে দুর্বলতর। বাড়বে ফরমালিন, বিষ। ওষুধে ভেজাল, এখন কেবল ইন্টার্নি কিন্তু অচিরে খোদ ডাক্তারদের মারামারি, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের অহরহ হানাহানি, একটা সড়ক দুর্ঘটনার পর অনেক অনেক গাড়ি ভাঙচুর, আশপাশের যানবাহনের নিরীহ যাত্রী-বাচ্চাদের রক্তাক্ত হওয়া, সাংবাদিকদের ব্ল্যাকমেল আর আইনজীবীদের জোচ্চুরি সবকিছু মিলিয়ে ভালো ঠেকছে না। ঢাকার আটটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে এক সপ্তাহের জন্য ফলে ফরমালিন কমানো সম্ভব কিন্তু রাজনীতি থেকে পুরো সমাজে যে বিষ ছড়িয়ে পড়ছে, তার বিরুদ্ধে চেকপোস্ট কোথায়?
.
এই চেকপোস্ট বসাতে হবে এখন আমাকে-আপনাকে। দলগুলো থেকে যদি গডফাদাররা বিতাড়িত না হয়, তাহলে দলগুলোকে বিতাড়িত করতে হবে।
গত শতাব্দীর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে চার্লস ফেগল আর আয়াতুল্লাহ খোমেনি নিজ নিজ দেশের বাইরে অর্থাৎ অন্য দেশে থাকা অবস্থায় হয়ে উঠেছিলেন বিরাট নেতা। তাঁরা দেশত্যাগী হয়েছিলেন নীতির কারণে, রাজনীতির কারণে। আইনকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য নয়।
বিষদাঁত উপড়ে না ফেললে বিষ দিয়ে যাবে সারা শরীরে। বলা বাহুল্য, সবই করতে হবে আইনের মধ্যে থেকে আইনি পন্থায়। সবাইকে নামতে হবে রাজনীতিতে, যে যেভাবে পারেন।
.
ড. শাহদীন মালিক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট অধ্যাপক, স্কুল অব ল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.