|
![]() |
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তি হতে হবে রাজাকারদের চেয়ে বেশি, কারণ রাজাকাররা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জালিয়াতি করতে পারেনি, মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করতে পারেনি, কিন্তু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গৌরবের মহান মুক্তিযদ্ধকে নিয়ে জালিয়াতি ও ব্যবসা শুরু করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে কলঙ্কিত ও হেয় করছে।
|
![]() |
যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি যদি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব মস্তিষ্কে ধারণ করে বাংলাদেশ-দর্শনবিরোধী রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করে, তবে তার কিংবা তার দলের অতীত ইতিহাসের স্খলনও তারুণ্য সমান ঘৃণার সঙ্গে লিখে রাখবে প্রজন্মের খেরোখাতায়। কারণ নতুন প্রজন্মই একমাত্র পারে, এতোকিছুর পরও দগ্ধ মৃত্তিকার উপর দাঁড়িয়ে সবুজ অরণ্যের স্বপ্ন দেখতে...
.
আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের কেউ নেতৃত্ব দিক। কেউই ভাবি না আমাকে নিজেকেই নেতৃত্ব দেবার যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠতে হবে.
|
![]() |
পথপ্রদর্শক নয় এরা পথধর্ষক বলা যেতে পারে।
.
জাতীয় নেতা/নেত্রি , যারা ১৬কোটি বাংলাদেশীর পথপ্রদর্শক , অথবা যাদের পথপ্রদর্শক হওয়ার কথা , তারা ই যখন ' গন্তব্য এবং গড্ডালিকা প্রবাহ ' এই দুইটা শব্দের মানে বোঝেনা অথবা বুঝতে চায় না , তখন আমার আপনার ' দেশাত্নবোধ এবং জাতীয় চেতনা' টাইপের ভাব-ধারনা গুলো শুধুমাত্র ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মধ্যেই গুমরে মরে ...
|
![]() |
অসুস্থ্ রাজনীতি
দেশের রাজনীতিতে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণ বলে কিছু নেই। মানুষকে, মানুষের সম্পদকে ব্যবহার করে বানিজ্য করার নাম রাজনীতি। তবে এর ঝুঁকি অত্যন্ত বেশী, বিস্তৃত, তীব্রতর। যারা ক্ষমতায় পৌঁছুতে পারে, তারা লক্ষ কোটি টাকার বানিজ্য করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য-পদ থেকে শুরু করে গ্রামের নৌকাঘাটের ইজারা দেয়া পর্যন্ত। আর যারা ক্ষমতায় পৌঁছুতে পারবে না, তাদের জন্য মামলা, জেল-হাজত, দেশ থেকে বিতাড়িত হবার বিধান। এই উঁচু-ঝুঁকির বানিজ্যে, এই অসুস্থ্ রাজনীতিতে দেশের মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই, কোন ভূমিকা নেই।
|
![]() |
অভিনন্দন শেখ হাসিনা। দুইবার নিজের মৃতপ্রায় দল কে জীবন দান করছেন।
================
.
আসলে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিন একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। ঠিক এক বছর আগের অবস্থা চিন্তা করেন ২৫শে আক্টোবর, ২০১৩। অধিকাংশ আওয়ামী লিডার রা তাদের বাসা বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে। বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট নাকে পাচ্ছে ক্ষমতার সুঘ্রান। ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে ভরে গেছে বিএনপির নানা নেতাদের পোষ্টারে। সারা দেশে ওই মুহুর্তে আওয়ামীলীগ বলতে শুধু ছিল শেখ হাসিনা। আওয়ামী নেতাদের বিদেশে যাবার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল।
.
ঠিক এক বছর পর ৩১ শে অক্টোবর ২০১৪। ২০ দল লন্ডভন্ড। বিএনপির অগুনিত সমর্থক থাকার পরো বিএনপির ভবিষ্যত অস্তিত্ত্ব নিয়ে সন্দিহান বিএনপির দলীয় কর্মীরা থেকে অগুনিত সাধারন মানুষ।
কোন প্রক্রিয়ায়, কিভাবে শেখ হাসিনা এটা করলেন সেটা যদি হিসাব থেকে বাদ দেন তবে যে পরিস্থিতি থেকে শেখ হাসিনা তার দল কে খাদের কিনারা থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে টেনে আনলেন তাতে উনাকে মাঝে মাঝে আমার অতিমানবী মনে হয়।
.
অভিনন্দন শেখ হাসিনা।
শুধু যে এবার তা কিন্তু না, ১৯৮১ সালেও আর একবার এই জাদু শেখ হাসিনা দেখিয়েছিলন। প্রায় ধ্বংস হওয়া আওয়ামীলীগের ভেতর থেকে স্ফিংক্সের মত মাথা চাড়া দিয়ে বের হয় আওয়ামীলীগ। আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন নেতা বা নেত্রী উনার মত দুইবার নিজের মৃতপ্রায় দল কে জীবন দান করছে কিনা।
।
২০ দলীয় ঐক্য আজকে শুধু নামে মাত্র। অবিশ্বাস আর সন্দেহ যেভাবে ২০ দলের মুল দুই দল কে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাতে সামনে আর আওয়ামীলীগ কে না নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট হবে। বিএনপির তৃনমুল আর নেতৃত্বর মাঝে যেভাবে অবিশ্বাস আর শ্রদ্ধার অভাব তাতে আমি সিংহ ভাগ কৃতিত্ব দেব আওয়ামীলীগ কে।
।
অসাধারন লাগে যখন দেখি কত অবলীলায় ৪২ বছর আগের একটা ইস্যু সামনে টেনে এনে শুধু মাত্র সেই ইস্যু দিয়েই কারেন্ট সব ভয়াবহ সমস্যাকে নির্ধিদ্ধায় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। অথচ কারেন্ট এই সব ইস্যুর যে কোন একটা ইস্যু কিন্তু পূর্বের যে কোন সরকারকে গদী থেকে টেনে নামানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। উদাহরন ৯৬ র ইয়াসমীন ধর্ষন হত্যা।
।
আওয়ামীলীগের এই উত্থানের পেছনে অনেকেই বিএনপির নেতৃত্বর দূর্বলতাকে দায়ী করবেন, কিন্তু সেটা করতে যেয়ে আওয়ামীলীগের চতুর রাজনৈতিক চাল গুলোকে কেউ যেন ছোট না করে দেখেন। তাদের চালের কারনেই কিন্তু বিএনপি আজকে নেতৃত্ব শুন্য।
অসাধারন ক্ল্যাসিক্যাল একটা আমেজ পাই যখন দেখি বিএনপির সমস্ত দূর্বলতাকে সারা দেশের মানুষ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার পরও বিএনপি নেতৃবৃন্দ তা দেখতে পায় না।
।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কে যেভাবে চালাচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে কোন নারী কিন্তু এভাবে কোন দেশ শাষন করে নাই। অন্ততঃপক্ষে আমার জানা নেই।
|
![]() |
মাফিয়া চক্রের প্রভাব দেশের স্বার্থে বন্ধ করতে হবে।
।
শুধু শেয়ারবাজার নয়, বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মাফিয়া চক্রের প্রভাব খুব বেশি। সরকারের ওপরও এদের প্রভাব অনেক। অতীতে আমরা হাওয়া ভবন দেখেছি, এখন হয়তো হাওয়া ভবন নেই, কিন্তু কাজগুলো ঠিকই হচ্ছে। এখানে একটা উদাহরণ দিতে পারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর আমরা যখন তদন্তের কাজ করছিলাম, তখন একদিন শেয়ারবাজারে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি আমাদের কাছে এলেন। পুরো তদন্ত কমিটির সামনে তিনি বললেন, ‘স্যার, আমাদের ঘাঁটায়েন না। কিছু করতে পারবেন না।’ আমি তখন তাঁকে বললাম, আমরা ঘাঁটানোর কে, তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, তাই আমরা তুলে ধরব। ঘাঁটাবে তো সরকার। তখন তিনি বললেন, ‘স্যার, ওটা ঠিক আছে। আপনারা ঘাঁটায়েন না।’ তখন তিনি আরও বললেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমরা সামনে থাকি আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে অন্যরা সামনে আসবে, আমরা পেছনে থাকব।’
।
বিএসইসি শেয়ারবাজার কারসাজির দায়ে মোসাদ্দেক আলী ফালু ও গোলাম মোস্তফাকে যথাক্রমে এক কোটি ও তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হলো যে প্রভাবশালীরা যত শক্তিশালীই হোন না কেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে কেউ এসে তদন্ত কমিটিকে এ কথা বলার সাহস পাবে না যে আমাদের ঘাঁটায়েন না। সরকারের উচিত এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
।
তারা যদি সরকারি দলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে কেবল অভিযুক্ত বিএনপি ও অন্য দলের লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তবে শেয়ারবাজারের কারসাজিও যেমন বন্ধ হবে না, তেমনি ন্যায়বিচারও নিশ্চিত হবে না। আমরা চাই শেয়ারবাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি হোক।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: ব্যাংকার, সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।
|
![]() |
জামাত এমন একটি দল যারা জন্মলগ্ন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো ভুল নিয়েছে,অর্থনীতিক সচ্ছলতা এবং মধ্যপ্রাচ্চের সাহায্য না থাকলে এই দলটিকে দূরবীন দিয়ে খুজে পাওয়া মুশকিল হত।চারদিকে যখন আতাত জাতীয় কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে গোলাম আজমের ছেলে আমান আজমী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতায় আদখান, একটা গেদা পোলাও বুঝিতে পারিবে তলে তলে টেম্পু চলছে, জনতা জিগাইলে কয় হরতাল।
.
সত্যিই যদি ওরা রাজনৈতিক ভাবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির থেকে লীগকে বেশি আপন মনেকরে তাহলে বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে যাদের শহীদ বলে সম্বোধন করেছে তাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করবে, চরম বেঈমানি, তবে ৭১-এ নিজের জন্মভূমি মায়ের সাথে যতটা করেছে ততটানা। আর কত এবার তোরা মানুষ হ!!
|
![]() |
আমাদের দেশ থেকে প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ২০০০ নারী কর্মী ইউএই তে পাঠানো হবে। নতুন চুক্তি করেছেন শেখ হাসিনা আমানা নামক এক রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির সাথে। তো জানতে চান আমাদের দেশের এইসব নারী কর্মী ওই দেশে যেয়ে কেমন থাকবে? চলুন ওই দেশে কাজ করে এমন একজন নারী কর্মীর মুখের ভাষায় শুনিঃ
.
“আমার এখানে আসার দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমার মনিব আমাকে মারধোর শুরু করে। সে আমার বুকে ঘুসি মারে। আমার ঘাড়ে নখের আঁচড় আর মুখে চড় থাপ্পড় মারে। আমার ঘাড়ে গভীর ক্ষত করে ফেলে। কোন কোন সময় আমার চুল টেনে গোছা ধরে উপড়ে আনে।“
আর এই কথা গুলো যেই রিপোর্টে এসেছে তা বের হয়েছে আজ থেকে মাত্র ছয় দিন আগে।
.
ইউএই তে প্রায় এক লাখ ছেচল্লিশ হাজার নারী শ্রমিক আছে যারা বাসাবাড়িতে কাজ করে। জানতে চান এদের সাথে কেমন ব্যাবহার করবে তাদের মালিকেরা? হিউম্যান রাইটসের রিপোর্ট অনুযায়ী এই সব গৃহকর্মিরা তাদের মালিক দারা নানা প্রকারে প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হয় এবং মালিকেরা অনেক ক্ষেত্রেই এদেরকে টাকা দিয়ে কেনা দাসি হিসাবে গন্য করে। রীতিমত ক্রীতদাস বলতে যা বোঝায় সেরকম। সেই দেশে আছে কাফালা নামক এক ভিসা ব্যবস্থা, যার দারা কর্মীরা জোরপূর্বক এক শ্রম পরিস্থিতির মধ্যে আটকা পড়ে থাকে। সেদেশে এইসব কর্মীর জন্য এমন কোন শ্রম আইন নাই যা দিয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম, কম বেতন, আর খারাপ ব্যবহার থেকে এদেরকে রক্ষা করা যায়। এদের অবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের কাজের বুয়াদের চাইতেও অধম।
.
আমাদের দেশ থেকে এইসব কর্মীরা নিজের জায়গা জমি বিক্রি করে দুই পয়সা আয়ের উদ্দেশ্যে ওখানে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে যেই টাকা নিয়োগ করে তারা ওখানে যাবে সেই টাকাও উঠে আসবে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কে দেয়া ইন্টারভিউ তে এইসব গৃহকর্মীরা বলেছে তারা সহজে বেতন পায় না, কোন ছুটি অথবা বিশ্রাম পায় না, অতিরিক্ত কাজের চাপ এমনকি দিনে ২১ ঘন্টা পর্যন্ত তারা কাজ করে থাকে। দু বছর পর্যন্ত কাজ করেছে অথচ কোন বেতন পায়নি এমনও অনেক উদাহরন আছে। এরা নানা ধরনের দৈহিক, মানসিক, এমনকি যৌন নির্যাতনেরও শিকার হয়ে থাকে। অনেকে নালিশ করেছে যে তাদের মালিক তাদের সাথে পশুর মতন আচরণ করে এবং তাদেরকে নোংরা এবং অচ্ছুৎ হিসাবে দেখে যেন তারা ছুয়ে দিলে রোগ ছড়াবে। এটা নিশ্চিত যে আমাদের দেশ থেকে এসব নারী কর্মীদের এক বিরাট অংশ কোন না কোন প্রকার নির্যাতনের স্বীকার হবেই হবে।
.
এসব কারনে এবং ইউএই ফিলিপিনো লেবার অফিসিয়ালদের তাদের দেশের নারী কর্মীদের কন্ট্র্যাক্ট ভেরিফাই করার কোন উপায় না থাকার কারনে সম্প্রতি ফিলিপাইন ইউএই তে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। কারন তারা তাদের দেশের নারীদের ব্যাপারে সচেতন হোক না সে সামান্য একজন নারী শ্রমিক।
.
অপরদিকে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো আমাদের দেশের নারী শ্রমিকদের বেলায়। দেশের সর্বপ্রধান নিজে নারী হয়েও কার্পণ্য করেননি নিজ দেশ থেকে নারীদের এমন অমানবিক পরিবেশে পাঠানোর চুক্তিতে সই করতে। ভালো মতই বাংলাদেশ সরকার জানে এসব নারী কর্মীদের কন্ট্র্যাক্ট ভেরিফাই করার কোন উপায় সরকারের নেই যা দ্বারা রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশ কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, ইউএই থেকে নিরাপত্তা আর কন্ট্র্যাকচুয়াল এগ্রিমেন্টের গ্যারান্টি নিবে, বা কর্মীদের প্রয়োজনে সহায়তা দিবে। দুর্ভাগ্য এদেশের গরীব নারীর, যাদের অস্তিত্বের আর নিরাপত্তার কোন গ্যারান্টি তারা নিজ দেশের সরকারের কাছ থেকে পায় না।
|
![]() |
.
পরবর্তীতে কিন্তু আপনিও এর শিকার হতে পারেন।
.
দেখুন জামাত-শিবিরের কাণ্ড। কি অপরাধ এই সাধারণ মানুষটির - ধর্মের কোন জায়গায় নিরপরাধ মানুষের উপর অত্যাচার করতে হবে লিখা আছে? জামাত-শিবির এরা মূর্খ ধর্ম পালন করে, এরা জানেও না, এরা কিসের পিছনে দোর দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এদের কে সমূলে উৎখাত করা অতি জরুরী।
|
![]() |
আমরা সাধারণ জনগন
.
স্বাগতম- সম্ভাষন প্রিয় হরতাল।
.
হরতালের বিরুদ্ধে কিছু বললে রাজাকারের দল আমাকে বলবেন, আমি বুঝি অবৈধ সরকারের দালাল। তাই হরতালকে গ্রহন করলাম সর্বোচ্ছ সম্মান এবং শ্রদ্ধা দেখিয়ে। বলতে পারেন আমি গ্রহন করার কে? আরে, আমাকেইতো গ্রহন করতে হবে, আমি না জনগন। হরতালতো জনগনের জন্যই দেয়া হয়।
.
জামায়াত ঘৃনিত দল না জনপ্রিয় দল তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। সরকার ন্যায় বিচার করছে নাকি অবিচার করছে সেটা নিয়েও কোন ভাবনা নেই। শাহবাগের নর্তন কুর্দনরত নাট্য শিল্পিরা নাটকের মঞ্চকে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির মানকে কোন ডাষ্টবিনে নিয়ে ফেলছে তাও আমাদের চিন্তার বিষয় নয়।
.
আমরা জনগন। আমাদের চিন্তার বিষয় আগামীকাল আমি খাবো কি? আগামীকাল আমার সংসার চলবে কিভাবে? আগামীকাল আমার সন্তানের স্কুলের ভেতন দেবো কিভাবে? না আগামীকাল এগুলোর কোনটাই ঠিক ভাবে চলবেনা, কারন আগামীকাল হরতাল। আগামীকাল নিজামীকে অবৈধ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেয়া রায়ের প্রতিবাদে হরতাল। নিজামীর রায়ের পরে হরতালের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম । সবাই জানে হরতাল দিবেই জামায়াত।
.
কি দারুন পরিসংখ্যান দেখুন- রায়ের পরে হরতাল আসবে যেমন আমরা জানতাম, রায়ে নিজামীর ফাঁসির আদেশ আসবে তাও আমরা জানতাম। গোলাম আজমের মৃত্যু পরবর্তি সরকারের অবস্থান জামাতকে সরকারের প্রতি একটু ইতিবাচক করেছে।এমতবস্থায় নিজামীকে ফাঁসির রায় দিয়ে এ সুযোগটা সরকার কাজে লাগাবে বুঝাই যাচ্ছিলো। জামায়াতও সবসময় দুদিন হরতাল দিলেও এবার দিয়ে দিলো তিনদিন। জামায়াত সরকারকে বুঝাতে চায়, সরকারের চালাকি তারা ঠিকি বুঝে।
.
দাবা খেলছে তারা তারা,আর দাবার বোর্ডটা হচ্ছে জনগনের পিঠ। খেলা চলাকালিন একটু নড়বেন চড়বেনতো আপনার বেইল সেখানেই শেষ করবে দুপক্ষই। বেইল কেমনে শেষ করবে তার উদাহারনের প্রয়োজন নেই, গতদিনগুলোকে একটুখানি স্বরন করলেই শরীরটা কেঁপে উঠবে আমাদের।
.
রাজাকাররা স্বাধিন বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রী হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অংশিদার হয়েছে। এর অর্থ তারা স্বাধিন বাংলাদেশকে মেনে নিয়েছে।
.
মুক্তিযুদ্ধে একক নেতৃত্বের দাবীদার আওয়ামীলীগ তাদের নিয়ে অতিতে রাজনীতি করেছে। এখন আবার তাদেরকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়ার মত প্রলাপ বকার অর্থ কি?
.
এগুলো আসলে কিছুই না! ক্ষমতার সিংহাসনকে পোক্তা করতে হলে এমন নোংরা খেলা খেলতে হয়। আর ক্ষমতালিপ্সু জনবিরোধী সরকারকে দমানোর নামে, তাদেরকে প্রতিরোধ করার নামে জনগনের জৈবিক চাহিদায় লাথিমারা হরতালেরও প্রয়োজনীয়তা দেখাচ্ছে জামায়াত।
.
পরিশেষে মানবতাবাদীদের প্রতি দুটো প্রশ্ন;
এক. যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য আগামী তিনদিন যারা না খেয়ে পেটে পাথর বেঁধে থাকবে, চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে, কুটিকুটি টাকা লোকশান দিয়ে রাস্তায় নামবে তার দায়টুকুন কার?
দুই. মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে গিয়ে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটছে সে সবের বিচার করবে কে?
|
![]() |
এই রায় আনন্দের নয়, এই রায় গ্লানি মুক্তির একটি ধাপ। নিজামির বিচারের একটি ভিন্ন মাত্রা আছে। নিজামি সত্যিকার অর্থে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কম্যান্ডার ছিল।
.
জামাতের এবং তাদের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের দিয়ে গঠিত রাজাকার, আলবদর, আল শামস প্রথমে বেসরকারি বাহিনি হলেও পরবর্তীতে হয়ে যায় সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অংশ। তাই তারা শুধু সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিল না; বরং তারাই ছিল সেনাবাহিনী। ১লা জুন ১৯৭১, রাজাকার অর্ডন্যান্সের মাধ্যমে প্রথম দিকে স্থানীয়ভাবে এই সব বিশেষ বাহিনী গঠিত হলেও ৭ ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অর্ডন্যান্স জারি করে রাজাকার, আল বদর, আল শামস কে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয়। এই বাহিনীগুলো সামরিক বাহিনীর মতো মাসিক বেতন, রেশন এবং ইউনিফর্ম পেত। রাজাকার, আল বদর,আল শামস পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে সামরিক বাহিনীর কমান্ডের অধীনে চলে যায় এবং যুদ্ধকালীন সময় অভিন্ন সামরিক কমান্ডে সামরিক বাহিনী এবং জামাতের বাহিনী গুলো (রাজাকার, আল বদর, আল সামস) পরিচালিত হতো। নিজামী এবং মুজাহিদ দুজনেই ৭ই সেপ্টেম্বরের অর্ডান্যান্স অনুসারে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কম্যান্ডার।
.
এর পরের জরুরী কাজ হচ্ছে; আপীলে যেন এই দণ্ড লঘুতে পরিণত না হয় এবং যেই ধর্মবাদ তাদের যুদ্ধাপরাধে উদ্বুদ্ধ করেছিল, সেই ধর্মবাদকে পরাজিত করে স্যেকুলার বাঙলা তৈরি করা। তাহলেই হবে চূড়ান্ত বিজয়।
|
![]() |
১. মিসেস হাসিনা মিয়া বলেছেন তার গণতন্ত্র বিশ্ব জয় করেছে। হায়রে পোড়া কপালের গণতন্ত্র!! ইন্টার পার্লামেন্টারি ও কমনওয়েলথ এ যে সিস্টেমে বাংলাদেশ এই পদগুলো পেয়েছে সেজন্য ভারতীয় আনুকুল্য কতটুকু ছিল তা ওপেন সিক্রেট হলেও সেটাকেই পুঁজি করতে সক্ষম হলো হাসিনা। কিন্তু বিরোধীরা কি করছে? বিদেশ বিদেশ করতে গিয়ে রাজনৈতিক নাবালকদের হাতে দিয়ে যা করাচ্ছে তাতে আক্কেল গুড়ুম হওয়া ছাড়া জাতি কিছুই পাচ্ছে না।
.
২. রাজনৈতিক মিত্র জামায়তের সাবেক প্রধানের মৃত্যুতে একবার ইন্নালিল্লাহে ...... রাজেউন পড়ার মানসিকতা দেখালে বিএনপি ও এর মহাসচিবের রাজনীতি কি শেষ হয়ে যেতো? সম্ভব না হলে জোট না ভেঙ্গে জাতির সাথে প্রতারনা কেন?
.
৩. আচ্ছা বলেন তো সরকার বিরোধীদের মধ্যে বেআক্কলের সংখ্যাই কি বেশি? নাকি বেআক্কলেরা বেশি ক্ষমতাধর? এইটা ভাবতে ভাবতে আমি নিজেই বেআক্কল হয়ে গেছি।
|
![]() |
বন্ধুরা আজ বেলা ১১ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি মনে পরলো। বঙ্গবন্ধুর উক্তিটি তার জামাতা ড. ওয়াজেদ সাহেব জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনষ্ঠানে বেলিছেলন। উক্তিটি হচ্ছে ১৯৭৪ সালে দেশে যখন খাদ্যের খুব অভাব তখন বঙ্গবন্ধু ১৭৪ সালের কোন একদিন বঙ্গবভন থেকে ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের বাসায় যান। ওইদিন পত্র পত্রিকায় র্দুিভক্ষের বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। বঙ্গবন্ধু সংবাদ পড়ে কেদেছিল।তাই তিনি বঙ্গবভন থেকে সরাসির ৩২ নম্বর বাসায় গিয়ে তার পত্নিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ' কামালের মা কামালের মা--! এই কথা বলতে বলেত বঙ্গবন্ধু সরাসরি রান্না ঘরে চলে যান। তখন চুলায় ভাত রান্না হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে ভাতের পাতিল নামিয়ে রেখে পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দেন এই বেল' বাংলার মানুষ না খেয়ে মরছে মুজিবের ঘরে-তো রান্ন হতে পারে না! আজ থেকে ঘরে দু বেলা সবাইকে উপাস থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ওই নির্দেশের পর বঙ্গবন্ধুর ঘরে সকল দু বেলা না খেয়ে থাকতো।
.
বন্ধুরা অথচ আজ মুজিব সেনা নামে পরিচিত এমপি মহাদয়রা হেলিকাপ্টার যোগে একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যোগ দিতে যাচ্ছেন। আর হেলি কাপ্টারের সকল খরচ বহন করছেন একজন মন্ত্রীর এপিএস। আর এই এ পি্এস হচ্ছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর। এপি্্রস- এর নাম মহারাজ। এমপি সাহেব হলেন পিরোজপুুরের আউওয়াল সাহেব। আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে মহারাজ এত টাকার মালিক হলেন কী কর? ওদের বাড়ীতে কী টাকার গাছ আছে? ও দাদা ছিলেণ শান্তি কিমিটর চেয়ারম্যান। ওর বাবা ছিলেন রাজাকারদের দোষর। এসব থেকে আমার স্পষ্ট ধারনা হয়েছে আজ আওয়ামী লীগের যত বদনমা সব হাইব্রিড আওয়ামী লিগরাই করছেন। তাই আমি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধরকদের অনুরোধ করবো সজাগ দৃষ্টি রেখে হইব্রিডদের শায়েস্তা করুন। ওরা ক্যান্সার।
|
![]() |
পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে কটুক্তির দায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর মাইনুল হাসানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অথচ ফেসবুক এবং ফেসবুকের মালিক জুকারবার্গকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে।
.
পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তিতে সহযোগিতার দায়ে অবিলম্বে ফেসবুক এবং জুকারবার্গের গ্রেফতার ও ফাসী চাই।
.
|জাতির পক্ষ হতে জুকারবার্গকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো|
|
![]() |
ছাত্র রাজনীতি
-----------------------------------
(যে মানবসন্তানটি আজ তার দায়িত্ব কর্তব্যের দাসত্বকে এড়িয়ে কোনো দলের দলীয় ক্রীতদাসত্বকে বরণ করছে, আগামীতে নিশ্চিতভাবে তাকে তার জীবদ্দশাতেই দেখা যাচ্ছে আবর্জনার স্তুপে অপ্রয়োজনীয় জঞ্জাল হিসেবে পরিত্যক্ত অথবা বর্জ রূপে নর্দমার স্রোতে ভাসমান।)
.
ছাত্রদেরকে রাজনীতিতে জড়ানোর পক্ষে যারা, তারা নিদর্শন দেখিয়ে বলতেই পারেন,-- `-ভাষা আন্দোলনের মূল ক্রেডিট তো শিক্ষক বা রাজনীতিকদের নয়, --ছাত্রদের!' --নিঃসন্দেহে, তবে, তা সেই সব আদর্শবান ছাত্রদের, যারা সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, শিক্ষার্থী-ভর্তি-বাণিজ্য, ছাত্রাবাসের আসন বাণিজ্য এবংবিধ কীর্তিকলাপে শিক্ষাঙ্গনকে অপবিত্র করেননি।
.
আমাদের চিরস্মরণীয়দেরকে ইদানিং কালের কুলাঙ্গারদের সাথে তুলনা করলে সচেতন ছাত্র আর ঘৃণ্য দলীয় ক্রীতদাসের মধ্যে পার্থক্য থাকে না। দেশের সন্তান আর দেশের শত্রুর মধ্যেকার তফাৎটাকে আমরা কোনোভাবে অস্বীকার করতে পারি না। রাজনীতি আর দলীয় বাণিজ্য যে সমার্থক নয়, তা যেন আমরা ভুলে না-যাই, এটাই কাম্য।
.
গণকরণিক : আখতার২৩৯
|
![]() |
ইসরাইলী সোসাইটিকে সে দেশের প্রেসিডেন্ট যেভাবে অসুস্থ বলেছেন, তেমনি আমিও মনে করি আমাদের বাংলাদেশ সোসাইটিও একটি অসুস্থ সোসাইটি? দেশে আইন নেই, বিচার নেই, ঘুষ-দুর্নীতি সোসাইটির অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, মাদক ব্যবসার টাকার উপরে সমাজ ও রাজনীতি চলে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের হত্যা করে গুম করে, সত্য বলা যায় না, নতুন প্রজন্মের নামে অসুস্থ কিছু প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, কোন দলে গণতন্ত্র নেই আছে সামন্ত ব্যবস্থা আর গোলামী, গ্রামীণ টাউটদের দাপট বেড়েছে বৈ কমেনি, অবৈধ পয়সা এখন মসজিদ মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যয় হয়। হটাৎ করে কথা থেকে রাষ্ট্রে দাদাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেড়ে গেলো, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধংস হল; এরপরেও রাজনীতি এখন দাদা মুখী সব দলে। এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ সোচ্চার নয়, সবাই ক্ষমতা আর গোলামী একটু সুদৃষ্টির আশায় নিচ থেকে উপর পর্যন্ত চাতক পাখির মত বসে আছে। এটা কি কোন সুস্থ সমাজের লক্ষ্মণ?
|
![]() |
.
বিদ্যুতের রাজনীতি ও অবনতি
।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৯৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭৫টি কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি হলেও ৪০টি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এসেছে মাত্র ৩ হাজার ৫৯১ মেগাওয়াট। বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৩৫টি এখন পর্যন্ত উৎপাদনে আসেনি। যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৭ হাজার ৩০৮ মেগাওয়াট। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা কাগজ-কলমে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে এর কোনো অগ্রগতি নেই।
.
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান)’ আইনের ধারা-উপধারায় বলা আছে, পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্য কোনও দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি অথবা কুইক রেন্টালের বিষয়ে কোনও কার্যক্রম, গৃহীত কোনও ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনও আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনও আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। একই সঙ্গে এসব কাজের জন্য কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনও প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।
.
এদিকে, বিদ্যুৎ ঘাটতি জনজীবনকে দুর্বিষহ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় অনেক এলাকায় কৃষক জমিতে সেচ পর্যন্ত দিতে পারছে না। বিদ্যুতের কারণে অনেক এলাকায় বিশৃঙ্খলা পর্যন্ত দেখা দিয়েছে। টানা লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন এবং স্বাভাবিক কর্মকা- চালাতে পারছে না দেশের শিল্প-কারখানা, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে একদিকে যেমন শ্রম ঘণ্টার অপচয় হচ্ছে, তেমনি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো লোকশানের কবলে পড়েছে।
.
রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ খাতে চলছে শুভঙ্করের ফাঁকি। একদিকে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সরকারকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাদের ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ খাতে সরকার ডিজেলে ২৫ টাকা ও ফার্নেস অয়েলে লিটার প্রতি ১২ টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে। অন্যদিকে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার শর্ত ছিল তা তারা করতে পারছে না। নিম্নমানের যন্ত্রপাতি এনে ব্যবহার করার কারণে শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না-এমন লিখিত অভিযোগ রয়েছে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে।
|
![]() |
.
রাজনীতিতে ঐ ঘোমটা বেবসা বন্ধ হবে কবে?, থাকেন লন্ডনে, বাংলাদেশের মানুষকে আর কতো ভুল বুঝাবেন? সৎ সংগে সর্গে বাস - অসৎ সংগে নরকে বাস। বিশ্ব চোর জামায় আপনার, লজ্জা লাগে না আপনার, মানুষ বলে চোরের বও?
|
![]() |
পলিটিক্সে যাওয়া যাবেনা, পলিটিক্স খুব নোংরা। পুলিশে চাকুরী করা ঠিক নয়, জায়গাটা ঘুষখোরদের অভয়ারণ্য। কাষ্টমসে চাকুরী করা মানে কালো টাকার পাহাড় বানানো। বিসিএস পরিক্ষা দিয়ে সময় নষ্ট করার মানে নেই, দশ লক্ষাধিক নগদ ঘুষ ছাড়া হবেনা। মেয়েকে উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে পাঠানো মানে ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্ধকার জগতে ঠেলে দেয়া।
.
আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত অনেকগুলো নেগেটিভ ধ্যান ধারনার কয়েকটি এখানে বললাম। কোন মিথ্যাকে বারংবার রিপিট করলে যেমন অযাচিত সত্যে পরিনত হয়, একি ভাবে ৪৩ বছর ধরে অপরিবর্তনীয় এই নেগেটিভ চিন্তাগুলো শেওলার আবরন থেকে আজ কঠিন পাথরে পুর্নতা পেয়েছে।
.
তবে অত্যান্ত আশার বিষয় হচ্ছে আমাদের তিল পরিমানও দুঃচিন্তা নেই এ বিষয়গুলো নিয়ে । পলিটিক্স নোংরাতো- নোংরাই চলুক, এটাই পলিটিক্সের এদেশী রীতি । ঘুষখোরদের অভয়ারণ্যে রমরমা ঘুষের লেনদেন চোখের সামনে হচ্ছে, হবেইতো! হয়ে আসছে যেটা অতীত থেকে। এভাবে দিনের পর দিন ক্রমাগত প্রেক্টিসের মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি অগ্রগতির গতিরোধক, তিলেতিলে জমেজমে কঠিন পাথরে পরিনত হওয়া হাজারো ধ্যান ধারনার। শুধু তরল পানি ঢেলে এগুলোর ক্ষয় করা কখনোই সম্ভব নয়। বৃহৎ এই জনগোষ্ঠীর ভিতর থেকে এগুলোর মুলৎপাটন করতে চাইলে স্বয়ং রাষ্ট্রযন্ত্রকে হাতে তুলে নিতে হবে পাথর ভাঙ্গার যন্ত্রপাতি। অবশ্য বর্তমানে এমন স্বপ্ন দিবা স্বপ্নকেও লজ্জা পাইয়ে দিয়ে টালমাতাল নাচানাচি করবে বৈকি।
.
উপরোক্ত ফিরিস্তির মুলে যে কথাটি বলা মুখ্য সেটা হচ্ছে, আমরা পজিটিভ হতে শিখছিনা কেন। পজিটিভিজমের চর্চা যে জাতির মধ্যে নেই সে জাতির উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়, এই উপলুব্ধি টুকুন আমাদের জাগছেনা কেন। সকল নাগরিকের চিন্তা চৈতন্যে সর্ববিষয়ে পজিটিভ থাকার প্রেক্টিস করে কতটা উন্নত হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আমরা তা দেখছিনা কেন। যে কোন সমস্যায় হতাশাবাদী না হয়ে উত্তরনের পথ বের করাই সঠিক পদ্ধতি।
.
এ সহজ সমীকরনটুকু কেনা বুঝে। বুঝেনা শুধু 'আপা' আর 'ম্যাডামরা'। আমাদের আফসোস ছাড়া আর কিবা আছে কষ্ট নিবারনের?
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.