|
![]() |
সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক জিয়া এমন একদিনে জন্মগ্রহণ করেছেন যেদিন সারাবিশ্বে স্যানিটেশন দিবস হিসেবে পালিত হয়। সহজ বাংলায় বললে টয়লেট দিবসে তারেক জিয়া জন্মগ্রহণ করেছেন।
|
![]() |
.
বড় মামার কাছে একটি আবেদনপত্র
.
বরাবর
বড় মামা
বাংলাদেশ
.
বিষয়: সব পরীক্ষায় ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর ‘বিশেষ সুনজর’ রাখা প্রসঙ্গে।
.
জনাব
.
সবিনয় নিবেদন এই যে আমি ছাত্রলীগের একজন উঠতি কর্মী। কদিন আগে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। তার পরে আমরা দেখব।’ কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, লিখিত পরীক্ষায় ভালো করা আমাদের জন্য কতটা কঠিন! কারণ, আমরা তরুণসমাজকে সামলাব, নাকি পরীক্ষা! একসঙ্গে তো দুটো চলতে পারে না।
.
আপনি জানেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আমরা প্রায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। ছারপোকার কামড় আর টলটলে ডাল খেয়ে কতটুকুই বা পুষ্টি মেলে! তার পরও আমরা কিন্তু ওসব খেয়েই অন্য গ্রুপের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি, দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছি। পালন করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুরোপুরি ঠান্ডা রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব। আপনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন, এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের পর পড়াশোনার সময় বের করা কতটা কঠিন। আর এর ফলে আমাদের অধিকাংশ মেধাবী কর্মীই লিখিত পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারছে না।
.
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে, কেবল ভাইভাতে নয়, লিখিত পরীক্ষাতেও বিশেষ সুনজর রেখে আমার মতো হাজার হাজার মেধাবী ছাত্রলীগের কর্মীর উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গঠনে সহযোগিতা করতে আপনার মর্জি হয়।
.
নিবেদক
আপনার একান্ত বাধ্যগত
ছাত্রলীগের একজন কর্মী
লেখা: কাসাফাদ্দৌজা নোমান
|
![]() |
.
খালেদার গল্প এবার কিশোরগঞ্জে
।
বুধবার কিশোরগঞ্জে ভাষণের নামে গল্প বলতে ঢাকা ছেড়েছেন। আন্দোলন, মামলা আর সরকারের সমালোচনায় অবৈধ সরকারের খেতাব দিয়ে আবারো নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী তুলবেন- এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
।
প্রায় দেড় ঘন্টার ভাষণে উচ্চারণে ভুল, ভুল তথ্য পরিবেশন আর গল্প বলার আসরে নিজেই প্রশ্ন আবার নিজেই উত্তর দেয়ার হাস্যকর পরিনতিতে অগণিত মানুষের দৃষ্টি কাড়তে ব্যর্থ হবেন। কারণ খুব লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তিনি যখন গল্প বলতে থাকেন তখন সভার সামনের দিকে অতি শৃঙ্খলে থাকা জামায়াত শিবির, ত্যাগী ছাত্রদলের কর্মী বৃন্দ ছাড়া কেও মোবাইলে কথা বলছে, কেও খাবার খাচ্ছে অথবা টাকা পেয়েছে তাই হাজিরা দেয়ার সংস্কৃতিতে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সেখানে এমন নেতৃত্ব প্রকটিত হয় নাই যে, মানুষ স্ট্যাচু হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার গল্প বলার আসরে শিশুর মতো মনোযোগি হয়ে পড়বে!
|
![]() |
.
সারা জীবন আমার মা আমাকে আরেকটি কথা বলতেন, পড়ালেখা করো, নিজের পাঁয়ে দাঁড়াও। শিক্ষা থাকলে তোমাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। শিক্ষা থাকলে তোমার কোন দিন অভাব হবে না, কারো কাছে হাত পাততে হবে না। ইনশাল্লাহ আমার কোন দিন হাত পাততে হয়নি। আমরা আমি শিক্ষাগ্রহণ করেছি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি।’
.
-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
.
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল ।
|
![]() |
পাগলা রে পাগলা
.
পাগল কি আর এখন শুধু দেশের পাগলা গারদে?
পাগল এখন মাপতে হবে কথা বলার পারদে
দেশের পাগল পাগল বটে তার ভেতরে ভন্ড নেই
ভন্ড পাগল গন্ডগোলে বসত এখন লন্ডনেই
.
ক'দিন বাদে ই পাগল বলে পাগল কহে কাহিনী
পাগলা ভাবে তার পেছনে আছে বিরাট বাহিনী
পুরাণ পাগল ভাত পায়না নতুন নিয়ে জ্বালা
মায়েরে কয় খালা পাগল বাপেরে কয় শালা
.
পাগল দেখে খোয়াবে তার আবার যাবে পাওয়া
নাচে গানে ভরপুর সেই ভবন খানি হাওয়া
ওরে পাগল গরুর মত ডাক পাড়িস না হাম্বা
আগের মত কারেন্ট নাইরে আছে কেবল খাম্বা
.
পাগলারে তোর সামলা জবান মরলে নিজে মারে কে?
এই কথাটা কে বুঝাবে নয়া পাগল তারেকে?
......... অজয় দাশগুপ্ত
|
![]() |
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। বিএনপি জামাত সহ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী তখন থেকেই তাকে হত্যা করতে সক্রিয়। এই পর্যন্ত ১২বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে । মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও দেশের জনগণের ভালাবাসার কাছে পরাজিত হয় ঘৃণ্য এই ঘাতক চক্রের সকল ষড়যন্ত্র ।
.
প্রথমবার : ১৯৮৭ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বেরাচারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয়ের সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মী নূর হোসেন মারা যান।
.
দ্বিতীয়বার : শেখ হাসিনাকে হামলার বড় চেষ্টা চালানো হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। তিনি জনসভা করতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে মিছিলে হামলা হয়। তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেদিন প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়।
.
তৃতীয়বার : ১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী- রা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শেখ হাসিনা তখন ওই বাসাতেই থাকতেন।
.
চতুর্থবার : ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রীনরোডে তিনি ভোটকেদ্রে পরিদর্শনে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
.
পঞ্চমবার : ১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
.
ষষ্ঠবার : ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে পােেপথে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বোমা হামলা চালানো হয়। তখন দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।
.
সপ্তমবার : ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় কার্জন হল থেকে অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
.
অষ্টমবার : প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। এই বোমা গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত জনসভাস্থল।
.
নবমবার : ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতকচক্র সেখানে বোমা পুঁতে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ তা উদ্ধার করে।
.
দশমবার : ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়াতে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে জামাত – বিএনপি চক্র ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে । অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পান তিনি
.
১১তম বার : ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে ওনার গাড়ী বহরে গুলিবর্ষণ করে জামাত - বিএনপির ঘাতক চক্র ।
.
১২তম বার : তার ওপর গ্রেনেড হামলা হয় গত ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশস্থলে।
.
এখানেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। তিনি যে ট্রাকটিতে উঠে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সেই ট্রাকে নিক্ষেপ করা বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বেঁচে গেছেন। তবে প্রাণ গেছে ২৪ জন নেতাকর্মীর। আহত ও জীবনের তরে পঙ্গু হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী।
|
![]() |
.
ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা হবে -প্রধানমন্ত্রী
.
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে ফেলেছিল। দুর্নীতি, হত্যা ও ক্যু করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। হাওয়া ভবন খুলে কোটি কোটি টাকার মালিকনা হয়েছে। এ অর্থ আজ দেশের বাইরে নেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া খুনি-হত্যাকারীকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি আলবদর প্রধান নিজামীকে মন্ত্রী করেছিলেন শিল্পমন্ত্রী। যার মাধ্যমে এদেশে দশ ট্রাক অস্ত্র আসে।
.
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি খুনি রশিদ-হুদাকে ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী করেছিল। ’৭৫-এর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে রাষ্ট্রদূত বানানো হয়েছিল। জাতির পিতার খুনিরা হয়েছিল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী। তিনি বলেন ১৯৯৬ সালের পর বাংলার জনগণ গণতন্ত্রের স্বাদ পায়। জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেন জিয়াউর রহমান। হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানান তিনি। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানান জিয়া। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে ফেলেছিলেন। জিয়ার সঙ্গে এরশাদও খুনিদের মদদ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের পর দেশে শুরু হয়, হত্যা, ক্যু ও নির্যাতনের রাজনীতি।
.
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যা খালেদা জিয়ার জন্য অভিশাপ তা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তিনি বলেছিলেন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলেও থাকতে পারবে না। হয়েছে উল্টো। খালেদা জিয়া নিজেই বিরোধীদলীয় নেতাও থাকতে পারেনি।
.
আমাদের ওয়াদা ছিল জনগণের কাছে। ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। সেই বিচার শুরু হয়েছে। রায় আমরা কার্যকর করতে শুরু করেছি। বাংলার মাটিতে প্রত্যেকটা রায় কার্যকর করব ইনশাআল্লাহ।
.
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি শুধু অবৈধ অবৈধ করেন। আসলে আয়নায় চেহারা দেখলে নিজেকে অবৈধই মনে হবে। কারণ, অবৈধভাবে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্যদিয়েই বিএনপির জন্ম হয়েছিল।
|
![]() |
.
নিজের ঘরের ঠিক নাই – দেশ নিয়া চিন্তা।
।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনার জেরে রোববার দুপুরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির পদধারী নেতাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ, ফোটানো হয় ককটেল, ভাংচুর করা হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রক্ষিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরালসহ নিচতলার বিভিন্ন কক্ষ, ভেঙে ফেলা হয় ভবনের মূল ফটক। এ সময় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় পালিয়ে যান ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা। নতুন কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান আশ্রয় নেন পার্টি অফিসের ওপরে। পদবঞ্চিতদের বেধড়ক পিটুনির মুখে টিকতে না পেরে বিভিন্ন অলিগলিতে পালিয়ে বাঁচেন নতুন কমিটির অনুগত নেতাকর্মীরা।
|
![]() |
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদেরই একজন লোক নিউইয়র্কে তাবলিগ জামাত, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, তার মানে ধর্মহীনতা নয়। সরকার যখন সফলভাবে হজ ব্যবস্থাপনা করছে, সেই সময়ে দলের কেউ কটূক্তি করবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘সংবিধান মোতাবেক একজন মন্ত্রীর যেভাবে নিয়োগ অবসান হয়, সেভাবেই তা করা হয়েছে। আমি মনে করি লতিফ সিদ্দিকী যা বলেছেন, সেটা গর্হিত কাজ। আমাদের মধ্যে একজন কেন এমন করেছেন, সেটা জানি না।’
|
![]() |
কার মুখে কি কথা?
.
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাসের হার বাড়িয়ে সরকার গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
|
![]() |
সুরঞ্জিত বলেন, জালিয়াতি করা একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এগুলো আমরা আশা করি না। প্রধানমন্ত্রী দিন-রাত কাজ করছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আপনারা আমলারা মজা মারবেন তা তো হয় না। এটি শক্ত হাতে দেখা দরকার। ক্ষোভ নিয়ে সাবেক এই রেলমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এ জাতির গর্ব। মুক্তিযদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা করে আমলা সাহেবরা সেক্রেটারি হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা লিখলেই দুবছর পাওয়া যায়। তাও আবার একজন, দুজন নয়, ৫ জন। চারজন বাতিল, একজনের সনদ স্থগিত। তিনি বলেন, প্রতারণার জায়গা রয়েছে। টাকা পয়সার জন্য গরিব মানুষ এগুলো করে। কিন্তু আমলারা রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে থেকে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রতারণা করবেন! বিষয়টি সহজভাবে না নিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
|
![]() |
.
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সচিব প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী!
.
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে অংশ নিতে ১৮০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
.
রোববার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
.
জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে ১৮০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) তদন্তে প্রমাণিত পাঁচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী সচিবের একজন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন মিয়া।
|
![]() |
.
খালেদা ও সাইদির দেখা হবে জেলখানায়।
.
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলার বিচারক নিয়োগ বিষয়ে ছিল ওই আবেদন। আদালতের এ সিদ্ধান্তে এখন খালেদা জিয়ার বিচার শুরু করবার পথ পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানের স্মৃতিতে স্থাপিত দাতব্য ট্রাস্ট থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউটররা। স্বাধীনতার সময়কার সেনাবাহিনীর একজন নেতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। পরে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাকে হত্যা করা হয়। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে দেশের ২য় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান এ নারীর কারাদণ্ড হতে পারে। আর আদালতের এ রায়ে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ব আরও জোরদার হলো।
.
২০০৮ সালে উইকিলিকসে প্রকাশিত ফাঁস হওয়া মার্কিন তারবার্তায় দেখা যায়, মার্কিন কূটনীতিকেরা বলেছিলেন, বাংলাদেশে যা কিছু ভুল হচ্ছে, তার বেশির ভাগের জন্য তারেক রহমান ও তার অন্তরঙ্গ বন্ধুদের দায়ী করা যেতে পারে। তারেক রহমানের সমর্থকরা বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেসব আসলে করেছে তারা, যারা তারেকের সঙ্গে নিজেদের সমপর্কের অপব্যবহার করেছে। বিএনপির মা-পুত্র দু’জনের প্রত্যাবর্তনে খুশি না হয়ে, ইসলামপন্থি দলগুলোর ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ না করে সহ অন্যান্য কারণে বিদেশী সরকারগুলো এখন শেখ হাসিনার সঙ্গেই ব্যবসা করতে সন্তুষ্ট।
|
![]() |
ডিগবাজি খাচ্ছেন কেন?
.
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, আফগানিস্তান, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, কোরিয়া, ফিনল্যান্ডসহ পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে সংসদের হাতে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা দেওয়া আছে। এই বিধান থাকার ফলে বিচারপতিরা তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে সজাগ থাকন। এ কারণেই ভারতের ৬৫ বছরের ইতিহাসে মাত্র তিনজন বিচারপতিকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
.
কামাল হোসেন ও আমীর-উল-ইসলামের উদ্দেশে মাহবুবে আলম বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা যুদ্ধপরাধীর বিচার চায় না, তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের সঙ্গে আপনারা, এই দুঃখ কোথায় রাখি। যারা সাঈদীর পক্ষে কথা বলে, যারা গোলাম আযমের অনুসারী, যারা বিচার চায় না, তাদের সঙ্গে আপনারা হাত মেলাবেন না। আপনারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে গলায় গলা মেলাবেন না।’
|
![]() |
.
বিএনপির জজ মিয়ার নাটক
.
গ্রেনেড হামলার দিন তার ছেলে বাড়ি থেকে বাজারে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে রাজা মিয়ার চায়ের দোকান থেকে জজ মিয়াকে সেনবাগ থানার কবির দারোগা ও অন্য একজন পুলিশ মোটরসাইকেলে বসিয়ে সেনবাগ থানায় নিয়ে যায়। থানায় গেলে তারা বলেন, সিআইডির সদস্যরা জজ মিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাবে। তাকে এখানে রাখা যাবে না। তারপর ঢাকার মালিবাগ সিআইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, জজ মিয়াকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাশিমপুর কারাগারে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আদালত থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে আসতে। পরে আদালতে তারা একজনকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে জজ মিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতে জজ মিয়া বলে, 'মা, আমি ভালো আছি। তোমরাও ভালো থেক। তোমরা সিআইডি অফিসে যোগাযোগ কর তাহলে তারা তোমাকে টাকা দেবে।' তারপর তিনি সিআইডি অফিসে গেলে এক কর্মকর্তা বলেন, 'জজ মিয়াকে কাজ শেষে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর তোমাদের ভরণ-পোষণ আমরা করব। এই শর্তে আমাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর ৬ মাসে মোট সাড়ে ১২ হাজার টাকা দেয়।'
|
![]() |
.
বিএনপি ও তারেক রহমানের রাজনীতির ভবিষ্যত
.
গোঁদা পা দিয়ে লাথি মারার ইচ্ছা একজন মানুষের যতই থাকুক, তার শক্তির পরিমাপ আগে করতে হবে। বিএনপি গত সাধারণ নির্বাচনে যোগ না দিয়ে এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং কোমর ভাঙ্গা। বিএনপির ‘পারিবারিক আত্মীয়’ এবং লেঠেল জামায়াত এখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। তারা নিজেদের কোন ইস্যু ছাড়া কেবল বিএনপিকে বাঁচাতে মাঠে নামবে না। এই অবস্থায় ফখরুল মির্জা এবং দলের দু’চারজন পাতি নেতার গলাবাজি ছাড়া বর্তমান রাজনীতিতে মূলধন বলতে বিএনপির আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
.
বেগম জিয়ার নিহত স্বামীর জন্য তার মনে যতটা শোক, তার চাইতে চোখে শোকাশ্র“ বহায়েছেন অনেক বেশি। কিন্তু তার তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলেও জিয়া হত্যার তদন্ত বা জিয়াউর রহমানের প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করেননি। জেনারেল এরশাদের প্রতি তিনি প্রচ- ক্রোধ দেখিয়েছেন তার স্বামী হত্যার হোতা হিসেবে। এমনকি এই ক্রোধের শিকার হয়ে জেনারেল এরশাদকে ক্ষমতা ত্যাগের পর দীর্ঘকাল জেল খাটতেও হয়েছে। কিন্তু এই জেনারেলকেই তিনি আবার ক্ষমতার স্বার্থে কাছে টেনে নেন এবং একই মঞ্চে বসে সভা-সম্মেলন করেন।
.
‘৭১-এর পর গত বছর (২০১৩) দেশময় সন্ত্রাস ছড়িয়েও জামায়াত এখন নিষ্ক্রিয় না হলেও নির্বীর্য। এরশাদ সাহেবের এখন না ঘরকা না ঘাটকার দশা। অন্যদিকে সাধারণ নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি যে চরম বোকামি করেছে, তার ফলে তার অবস্থা হাঁটুভাঙ্গা দ’য়ের মতো। সাপুড়ে বাঁশি বাজাচ্ছে। কিন্তু সাপ ঝাঁপি থেকে বের হচ্ছে না।
.
বেগম জিয়া কখনও জনগণকে তার দলের বা তার নেতৃত্বের ক্ষমতার উৎস করে তোলেননি। তার ক্ষমতার প্রধান উৎস ছিল দু’টি। ক্যান্টনমেন্ট এবং লায়েক হওয়ার পর পুত্র তারেক রহমান। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি তার হাতছাড়া হয়েছে এবং পুত্র তারেককেও নানা গুরুতর অপরাধের মামলার আসামি হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। তার দেশে ফেরার সাহস নেই। তিনি বিদেশে বসে কিছু ভাড়াটে গবেষক যোগাড় করে ইতিহাসবিদ সেজেছেন। তিনি একদিকে নতুন নতুন ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কার করে লোক হাসাচ্ছেন এবং অন্যদিকে মা’কে দেশে তার রাজনীতির খুঁটি হিসেবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপির অস্তিত্ব ও ঐক্য ধরে রাখার জন্য বেগম জিয়া পুত্র তারেককে দলের নেতাকর্মীদের নাকের ডগায় মূলোর মতো ঝুলিয়ে রেখেছেন। তাদের হয়ত বোঝাতে চাইছেন, তোমাদের ভয় নেই। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে কি হবে, দলকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তারেক রহমান আছেন। তিনি প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য যথাসময়ে ‘মহানায়কের’ বেশে দেশে ফিরবেন।
.
এই আশায় বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা চাতক পাখির মতো তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় বসে আছেন। কিন্তু ‘মহানায়ক’ সুস্থ শরীরে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন, সৌদি আরবে যাচ্ছেন; কিন্তু দেশে ফিরছেন না। ফলে বিএনপির তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত হতাশা ক্রমে বাড়ছে।
.
বেগম খালেদা জিয়া যদি অসুস্থতাবশত দলকে নেতৃত্ব দিতে না পারেন এবং তারেক রহমানও দেশে ফেরার সাহস না দেখিয়ে বিদেশেই স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করেন, তাহলে আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির জয়ী হওয়া দূরের কথা, ওই সময় পর্যন্ত দলটির বর্তমান দুর্দিন আরও কতটা ঘনায় তা দেখার রইল।
.
লেখকঃ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
|
![]() |
জিয়া পরিবার হচ্ছে খুনী পরিবার।
.
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলার জন্য সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়ী করে বলেছেন, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল, ঠিক তেমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া, পুত্র তারেক জিয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা জড়িত ছিল। আসলে জিয়া পরিবার হচ্ছে খুনী পরিবার। এই খুনী পরিবারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
.
২১ আগস্ট ভয়াল ওই গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির মিছিল করতে গিয়ে আমরাই সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হয়েছি। একের পর এক ১৩টি গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মনে হয়েছে যেন কিয়ামত হচ্ছে। হানিফ ভাই (প্রয়াত সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ), মায়া (ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম) ও মামুন (তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার) মানবঢাল রচনা করে আমাকে রক্ষা করেছেন। শুধু গ্রেনেডই নয়, আমাকে হত্যার জন্য আমার গাড়ি লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলিও ছোঁড়া হয়। সেই গুলিতে আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্য মাহাবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
.
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার পর তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার উদ্ধার তো দূরের কথা, উল্টো উদ্ধার করতে আসা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সকল আলামত ধুয়েমুছে নষ্ট করে দিয়েছে। এমনকি আমরা সংসদে কথা বলতে গেলেও আমাদের কথা বলতে দেয়া হয়নি। ওই বিএনপি নেত্রীসহ অন্যরা বলেছে, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে ১৩টি গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে হামলা করেছি! শুধু মিথ্যাচারই নয়, হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা অপকর্ম করেছে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আজ জাতির সামনে স্পষ্ট হয়েছে এবং তদন্তেও বেরিয়ে এসেছে- এই হামলার সঙ্গে খালেদা জিয়া, তার পুত্র ও তাঁর মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই জড়িত ছিলেন।
|
![]() |
বিএনপির প্রত্যাশা আর একটা ১৫ অগাস্ট
.
ভবিষ্যৎ কর্মসূচী দিয়ে নয়, সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে এই বছরে সরকার পতনে সফল হতে চায় বিএনপি। আর সেই সফলতা এনে দেয়ার মূখ্য ভুমিকা পালন করতে চায় দুটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা- এমন গোপন খবরের সত্যতা মিলছে।
.
এদিকে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর মত ইতিহাসের কলংকময় দিনের প্রত্যাশায় জাতীয়তাবাদী শক্তির যত অপেক্ষা- এমন দাবী করছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
|
![]() |
.
জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে প্রথম সন্ত্রাস ও খালেদা জিয়া তার উত্তরশরি
।
বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পায়ে গুলি খেয়েছিল বিএনপি নেত্রীর বর্তমান ওই নেতা। তাঁকে বঙ্গবন্ধু জার্মানি থেকে চিকিৎসা করিয়ে এনে সুস্থ করে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও দয়া করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়ার নির্দেশে বর্তমানে ওই বিএনপি নেতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের লিবিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিল এবং বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতি ওই নেতার প্রতিদান।
।
জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখলের পর ’৭৫ থেকে ’৮৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১ বছর প্রতিরাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে সামরিক স্বৈরাচাররা। প্রায় ১৯টি ক্যুর ঘটনায় জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীর প্রায় আড়াই হাজার অফিসার ও সৈনিককে হয় গুলি করে নয়ত ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে। একমাত্র বিমানবাহিনীরই ৬৬০ জন অফিসারকে জিয়ার নির্দেশে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, এই জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে প্রথম সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজ শুরু করেছিল। তার পরবর্তী ক্ষমতায় আসা সকল সামরিক স্বৈরাচাররাও একই কাজ করেছে। যে কাজটি এখন করছেন বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া)।
।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ খালেদা জিয়াকে নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার পর এই জিয়াই খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জিয়াকে ডেকে বলেছিলেন, বউকে আর কষ্ট দিও না, একসঙ্গে থাক। অথচ সেই খালেদা জিয়াই আজ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে ভুয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে উল্লাস করেন! তাঁকে ঘৃণা ও ধিক্কার জানাই। খালেদা জিয়ার মতো এমন নিষ্ঠুর ও হৃদয়হীন নেত্রী কখনও দেশের মানুষের নেতৃত্ব দিতে পারে না।
।
৭০ বছর বয়সে পাতলা শিফন শাড়ি পরে খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে উল্লাস দেখে দেশের জনগণ ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছে।
|
![]() |
সত্যি সত্যিই খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট ।
.
সব কিছুই শিখেছি কিন্তু মিথ্যা বলতে শিখেনি ।আজও আপনাদের মিথ্যা বলবো না । সত্য যে কঠিন কঠিনেরে ভালোবাসিলাম ।
.
দেখুন "খালেদা জিয়া" মানে শুধুমাত্র একজন মানবীয় ব্যাক্তি নয়। খালেদা জিয়া মানেই হলো জিয়ার অনুপুস্থিতে পাকিস্থানের গুপ্তচর "মেজর জিয়া"
খালেদা জিয়া একটি "রাজনৈতিক নাম" ।
খালেদা জিয়া একটি "অশুভ শক্তির নাম" ।
"খালেদা জিয়া" মানেই হলো ৭১ এর
পরাজিত শক্তি জামাত BNP"র মুখপাত্র ।
"খালেদা জিয়া" মানেই হলো রাজাকার
আলবদরদের উত্থানের প্রতীক ।
.
৭১ এর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষ, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টী, তরিকত ফেডারেশন, কেউই ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্ম মেনে নিতে পারে না। আমিও মেনে নিতে পারিনা কিন্তু "মনে প্রানে বিশ্বাস করি" ১৫ আগস্টই BNP নেত্রীর ভুয়া জন্ম দিন ।
.
একটু চিন্তা করে দেখবেন -১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নির্মম ভাবে হত্যা না হলে বেঈমান জিয়া আর খালেদার "রাজনৈতিক জন্ম" হতোনা । এই জন্যেই আমিও বিশ্বাস করি ১৫ আগস্টেই "খালেদা ম্যাডামের" রাজনৈতিক অশুভ জন্মদিন ।
তাই PLEASE আপনিও বিশ্বাস করুন ১৫ আগস্টই খালেদা ও জিয়াদের "অশুভ জন্ম দিন" ।
.
অহিদুর রহমান জয়
(গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক)
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.