|
![]() |
.
একদিকে সম্মান অন্য দিকে লাথি কেন? তারেকের সমস্যা এতো কেন?
.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বর্তমানে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঘটনাটি ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ দিবাগত রাতের। ওই রাতে তারেক রহমান সদলবলে বঙ্গবন্ধুর মাজারেই শুধু যাননি, গিয়ে তিনি মাজারের খাদেমকে ডেকে তুলে এনে ফাতেহা পাঠ করেন।
.
বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের বিষয়ে স্থানীয় এবং সফরসঙ্গী দলীয় নেতারা প্রশ্ন করলে তারেক রহমান বলেন, জাতির পিতা হিসেবে উনাকে (বঙ্গবন্ধু) সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।
.
এদিকে ৫ নভেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তারেক জিয়া বলেন, ‘মুজিব একজন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। একজন পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন, সেইজন্য শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হওয়া উচিৎ।’
|
![]() |
বিএনপি তথা ছাত্রদলের সর্বনাশকারি ৫ পান্ডবের কাহিনী - যারা গত ২৪ বছরে বিএনপি'র হৃতপিন্ড বলে ক্ষ্যাত ছাত্রদলের সর্বনাশকারি, তাদের সম্পর্কে জানুন---- ........................
================
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস ভাই শুধুমাত্র খালেদা
জিয়ার রাজনীতির কারণে মামলার আসামি হিসেবে ফেরারী হওয়ায় নিজের জন্মদাতা পিতার জানাজায় অংশ নিতে পারেনি। চিরকালের মতো চলে গেলেও পিতার সঙ্গে শেষ দেখা হলো না পুত্রের। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সেই নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস ভাইকে বি.এন.পি সরকারের আমলেই দুই বছর কারাগারে থাকতে হয়, ভেঙে দেয়া সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত রিজভী-ইলিয়াস কমিটি।
.
ফলে ভোটে পরাজিত হয়েও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব পেলেন মিলন-
আলম। এর পিছনে কাজ করেছেন আমান। ইলিয়াস ভাইকে ছাত্রদল থেকে বিদায় করতে চতুর আমান কাজে লাগান রতন ভাইকে। আমানের চক্রান্তে এভাবেই ছাত্রদল থেকে অকালে বিদায় নিয়েছেন রিজভী ভাই ও ইলিয়াস ভাইয়ের মতো কর্মীবান্ধব জনপ্রিয় ছাত্রদল নেতারা।
.
আশির দশকে ছাত্র রাজনীতিতে তুমুল জনপ্রিয় বাবলু-নীরু। সেসময় ছাত্রদল বলতে
সবাই বাবলু -নীরুকেই বুঝতো। ছাত্রদল তখন খালেদা জিয়ার কথায় চলতো না,
ছাত্রদল চলতো বাবলু - নীরুর কথায়। ফলে নীরু ভাইকে দুর্বল করতে ও ছাত্রদল ধ্বংস করতেই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়-- ছাত্রদলের সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠক বাবলু ভাইকে। বাবলু ভাইকে হত্যার জন্য আমান কাজে লাগান
স্বৈরাচারী এরশাদকে। অনেকেই মনে করেন বোমার আঘাতে নিহত হয়েছে বাবলু ভাই, কিন্তু না। বাবলু ভাইয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
.
ছাত্রদলের আরেক অদম্য সাহসী ছাত্রদল নেতা পাগলা শহীদ ভাইকে বিতাড়িত করতে ছাত্রদলের ঝাঁনু মাল আমান ব্যবহার করেন অভি ও ইলিয়াস ভাইকে।
এরপর ডাকসু নির্বাচনের জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা সরাসরি ভোটার মাধ্যমে
মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই ভোটে আমান-খোকন প্যানেল পরাজিত
হয় দুদু - রিপনের কাছে।
.
দুদু - রিপন প্যানেল ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীদের ভোটে মনোনীত হলেও, ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেন আমান-খোকন। আমান বিভিন্নভাবে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বুঝাতে সক্ষম হন দুদু - রিপন প্যানেল ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিলে
নীরুর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যাবে। ফলে অবশেষে ম্যাডাম হাজার হাজার ছাত্রদল
নেতাকর্মীদের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে মনোনয়ন দেন আমান-খোকনকে। কিন্তু
ডাকসু বিজয় নীরু ভাই ছাড়া সম্ভব নয় জেনে নীরু - দুদু - রিপন ভাইকে আমান ও খোকনের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। ফলে ডাকসুর ভিপি হলেন আমান।
.
কারাবন্দি নীরু ভাইকে খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মনোনীত করলে, নীরু ভাই সম্মতি দেননি। কেননা নীরু ভাই আদৌ মুক্তি পাবে কিনা সেটা বলা মুশকিল ছিল। ফলে আমনকে আহবায়ক ও নীরু ভাইকে যুগ্ম আহবায়ক করে গঠিত হয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপরই আমানের নোংরা রাজনীতি ভয়ঙকর রুপ ধারণ করে। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক হয়েই মিথ্যা অপবাদে নীরু ভাই সহ ছয়জন তুখোড় ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করেন। কিন্তু ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেন এবং আমান
-খোকনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
.
এরপর আমান নিজের স্বার্থে ফালুর সাহায্য নিয়ে অদম্য সাহসী রতন ভাইকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। এভাবেই থাইল্যান্ডের মাগুর মাছের মতোই ছাত্রদলের কালজয়ী পরীক্ষীত নেতাদের খেয়ে ফেলেছেন গুলিস্তানের কামান সাহেব। এরপর ছাত্রদল থেকে বিদায় নিয়েছেন, বেনজির আহমেদ টিটো ভাই, নয়ন ভাই, সাঈদ ইকবাল টিটু ভাই, মামুন ভাই সহ নাম না জানা অনেকে কর্মীবান্ধব জনপ্রিয়
নেতা।
.
এখন বাতিলের খাতায় আছেন মুন্না ভাই, ইসহাক ভাই, নাসির ভাই, রয়েল ভাই, সোহাগ ভাইয়ের মতো পরীক্ষীত নেতারা। অথচ এই থাইল্যান্ডের মাগুর আমান,
দুর্নীতির দায়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। শুধুমাত্র ছাত্রদলকে কাজে লাগিয়ে হয়ে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।
.
আমানের ছাত্র রাজনীতি শুরু হয় ঢাকা কলেজ থেকে। সেসময় আমান ছিলেন
মুজিববাদী ছাত্র লীগের ঢাকা কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক। এইচএসসি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করে পরীক্ষা না দিয়ে পালিয়ে গেছেন। সেসময় ঢাকা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসে থাকতেন আমান। এক বছর লস দিয়ে পরের বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেন। এরপর নিজের চাচাতো ভাইয়ের প্রক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান। শুরু করেন ছাত্রদলের রাজনীতি।
.
স্বৈরাচারী এরশাদ নতুন বাঙলা ছাত্র সমাজ গঠন করলে হঠাৎ করেই আমান দলবদল করেন। ছাত্রদল ছেড়ে চলে যান এরশাদের দলে। কিন্তু বসুনিয়া হত্যার পড়ে এরশাদ কাগু ছাত্র সমাজ বাতিল করেন। ফলে চতুর আমান আবারো পল্টি দিয়ে ছাত্রদলে ফিরে আসেন।
.
পল্টিবাজ আমানকে ছাত্রদলে ফিরে নিতে বাবলু ভাইকে অনুরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আহবায়ক আহম্মেদ জসিম। তাই বাবলু ভাই ও নীরু ভাইয়ের পায়ে সালাম করে আমান আবার দাখিল হলেন। এরপরে গত চব্বিশ বছর ধরে ছাত্রদল চলছে আমান-খোকন- মিলন-আলম-এ্যানী ও টুকুর ইচ্ছায়। এরাই ছাত্রদলের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক।
.
এইসব দালালদের অনুমতি ছাড়া ম্যাডামের কিছুই করার থাকে না। এই বাটপার
নেতাদের আনুগত্য ছাড়া ছাত্রদল নেতা হওয়া সম্ভব নয়। এদের সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি ছাত্রদল। এই সিন্ডিকেটের বিষাক্ত ছোঁয়ায় অকালে ঝড়ে গেছেন বহু ত্যাগী নেতাকর্মী।
.
এদের ইচ্ছায় ছাত্রদলের আইন। এইসব স্বার্থপর নেতাদের বাসার বাজার খরচ করার বিনিময়ে অনেকেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন।
মন্তব্য :
এখন বিবেচনা আপনাদের। এইসব চোর- বাটপারদের কবল থেকে প্রিয় সংগঠনকে রক্ষা করবেন, নাকি নিজেদের ভবিষ্যৎ এইসব দালালদের কাছে বন্ধক রাখবেন ?
আর কত বাবলু - নীরু - ইলিয়াস – রিজভী - টিটো- নয়ন -টিটু -মুন্না -ইসহাক অবহেলিত হলে ছাত্রদলের নীতিনির্ধারকদের ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হবে
|
![]() |
.
গোলাম আযম লোক কিন্তু খুবই ভালো ছিলেন ! লক্ষ লক্ষ লোক তার জানাযায় অংশ গ্রহণ করেছিলো ! #- জয়নাল আবেদিন ফারুক
|
![]() |
.
এই ছবিটার কথা মনে আছে ? হয়ত ভুলেই গিয়েছেন অনেকে। একটা নিরহ বালুর ট্রাক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই বালুর ট্রাকেই কিন্তু আটকে দিয়েছিলো গনতন্ত্র। বাকশাল আর স্বৈরাচারীদের রুখতে সারাদেশ তখন ছিল উত্তাল । অকাতরে ঝরে যাচ্ছিল তৃনমূল নেতাদের তাজা প্রাণ। মামলা হামলা আর গুমের অভয় অরন্য পেরিয়ে দেশকে একটি সত্যিকারের গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে লড়তে ছিলো সবাই। কিন্তু তখন ঢাকায় ছিলো ভিন্নরুপ। বড় বড় নেতারা গুহায় লুকিয়ে পড়লো। বোরখা পড়ে হেলমেট পড়ে তারা নিজেদের গা বাচাতে লাগলো। অনেকে আবার পয়সা খরচ করে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হলো !
.
তখনো কিন্তু ছাত্রদল ছিলো। যুবদল ছিল। ছিলো ঢাকায় বহু এমপি, সাবেক মন্ত্রী! গ্রাম থেকে অনেক কষ্ট করে বহু মানুষ ঢাকায় এসেছিল। কিন্তু বড় নেতাদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তারা কিছুই করতে পারেনি। ১৮দল নামের বিশাল জোটের কোন নেতাকেও দেখিনি আমরা। শুধু দিনভর গরম পানিতে ভিজেছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা।
.
মুরাল ভাংগা, অফিস ভাংগারা তখন কোথায় ছিলেন সেটা প্রশ্ন করতে চাই না, কেননা আমি ভালো করেই জানি টেন্ডারবাজী চাদাবাজী করার জন্যই পদ-পদবী দরকার। দলকে ভালোবাসার জন্য দলের জন্য কাজ করার জন্য পদ-পদবীর দরকার হয়না।
.
সেদিন অকুতভয় আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে রাস্তায় নামার সময় তার ঘরের কাজের মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিলনা।
|
![]() |
ছাত্রদল কার্যালয়ে বিদ্রোহীদের তালা – সুন্দর জবাব
.
নয়াপল্টনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিদ্রোহী ও পদবঞ্চিত নেতারা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক শ’ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী কার্যালয়ে ঢুকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কুশপুত্তলিকা দাহ ও লাঠি মিছিল করেছে তারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ঘিরে ধরে ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি নতুন কমিটির একজন সহ-সভাপতিকে লাঞ্ছিত করেছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এর আগে গতকাল সকাল থেকেই ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জড়ো হয় নয়াপল্টনে। তারা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান, স্লোগান ও মিছিলের মাধ্যমে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করতে থাকে।
|
![]() |
চোখের সামনে শহীদ মিনারে যখন কপোত-কপোতী উভয়ের উষ্ঠযুগল মিলিয়ে একাকার হয়!!!
তখন নিজের চেতনা ছাড়া স্বাধীনতার চেতনা খাড়া হয় না??
.
যখন চোখের সামনে যখন তরুণ সমাজ শহীদ মিনারের পাদদেশে বসে বিড়ি সিগারেটের সুখ টানে ব্যস্ত থাকে!!!
কোথায় থাকে তুদের চেতনা??
.
শহীদের মিনারের পিছনে বসে যখন নারীর বুকের উপর হস্ত চালিয়ে সুখের নেশায় মক্ত থাকে নর-নারী!!
কোথায় থাকে ভাষা শহীদদের কথা??
.
ভাষা সৈনিক মতিনের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রিয়ভাবে কোন মর্যাদা পায় না।
তখন কোথায় থাকে শহীদ মিনারে সন্মান??
#জি_সেভেন_আরিফ
|
![]() |
ইনু-মেননের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, যারা জীবনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পাস করতে পারেননি তারা এখন নৌকায় উঠে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। লাফালাফি আর মিথ্যা কথা বলেন। এখন নাকি তারা আমার হজে যাচ্ছেন। জীবনে কোনদিন পশ্চিম দিকে একটি সিজদা দিয়ে দেখেননি। তারপরও হজে গিয়ে তওবা পড়ে যদি ভাল হন তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল।
.
র্যাব আমরা গঠন করেছিলাম সন্ত্রাস দমনের জন্য। সন্ত্রাস দমনও করেছিলাম। কিন্তু তাদের দিয়ে এ সরকার মানুষ ধরে নিয়ে হত্যা করে। এখনও পর্যন্ত আমাদের দলের ৩১০ জনকে হত্যা করেছে, ৩৬ জনকে গুম করেছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সরকার প্রধান ও র্যাব জড়িত। র্যাবের এডিজি কর্নেল জিয়াকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য জানা যাবে। তারা আরও অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। তাই র্যাব আজ পচে গেছে। এই র্যাব বাতিল করতে হবে।
|
![]() |
.
দলীয় ব্যক্তি হিসেবে বই লিখি না: মওদুদ
.
1. জামায়াত, হাওয়া ভবন, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিএনপির পরাজয়ের কারণ
2 .খালেদার কাছে তারেক ও কোকোর ভাগ্যই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
|
![]() |
তারেক রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সমালোচনা করে ‘তারেক তো ম্যাট্রিক পাস’ মন্তব্য করে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়লেও এবার বিএনপির সাবেক এ এমপি ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াতীদের চরিত্র উন্মোচন করে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন। বলেছেন, ‘জামায়াতীরা কোরান শরীফ ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভোট চায়। জামায়াতের নাম থেকে ‘ইসলাম’ শব্দটি তুলে দিতে হবে। কারণ তারা ‘ইসলাম’কে অপব্যবহার করছে। আর ইসলাম কখনও বিপথগামীকে সমর্থন করে না।’
.
পাঁচ মিনিট ২ সেকেন্ড ব্যাপ্তির এই ভিডিওটি সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের। ভিডিওটিতে ওই সমাবেশে পাপিয়ার সম্পূর্ণ বক্তব্য উঠে না এলেও ভিডিওর পুরোটা জুড়ে ধর্ম ব্যবসার জন্য জামায়াতকে তুলোধুনো করেছেন তিনি। তিনি শুরু করেন জামায়াতীদের পোশাক পাল্টিয়ে রাজনীতি করা নিয়ে। জামায়াত নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ দাড়ি কেটে ফেলেন, টুপি ফেলে জিন্সের প্যান্ট পরেন; আর গ্রামে গিয়ে ধর্ম ব্যবসা নিয়ে মেতে ওঠেন। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই জামায়াত নেতৃবৃন্দকে, তোমাদের লজ্জা থাকা দরকার। ঢাকা শহরে দাড়ি কেটে-টুপি ফেলে, গেঞ্জি-জিন্সের প্যান্ট পরে বিএনপির শেল্টারে খালেদা জিয়ার মিছিলে-খালেদা জিয়াকে নেত্রী মেনে তোমাদের মিছিলে যেতে হয়।
.
http://www.nipunservices.com/apps/videos/videos/show/18719010-papia-says-about-jamaat
|
![]() |
জাতীয় কাউন্সিলের জন্য বিএনপির নেতা নাই আছে আপোষকারী
.
প্রসঙ্গত জাতীয় কাউন্সিলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জাঁকজমকপূর্ণ কর্মসূচী পালন করতে হলে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সক্রিয় উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা তিনভাগে বিভক্ত রয়েছে। এ কারণে ইচ্ছে করলেও বিএনপি ঢাকায় দলের জাতীয় কাউন্সিল করতে পারবে না। আর করতে গেলেও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গ্রুপিং-কোন্দল আরও বেশি চাঙ্গা হয়ে দলকে নতুন করে সঙ্কটে ফেলে দিতে পারে।
.
তবে জাতীয় কাউন্সিল কবে হবে সে বিষয়টি অনিশ্চিত হলেও কাউন্সিলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পর পদ-পদবি দেয়ার ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই নেতাদের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে ফাইল ওয়ার্ক করছেন। বিগত দিনে বিএনপির যে সব কেন্দ্রীয় নেতা আন্দোলনে ঝুঁকি নেননি উপরন্তু পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়িয়েছেন এবারের জাতীয় কাউন্সিলের পর তাদের পদ-পদবির ব্যাপারে দলীয় হাইকমান্ড সতর্ক থাকবেন। সেই সঙ্গে যারা ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন এবং যারা জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন তাদের পুরস্কৃত করার বিষয়টিও দলের উচ্চপর্যায়ের বিবেচনাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির ২ সিনিয়র নেতা প্রায় একই সুরে কথা বলেন। তাঁরা বলেন, যত সমস্যাই থাকুক না কেন দলের জাতীয় কাউন্সিল হওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রায় ৫ বছর আগে জাতীয় কাউন্সিল করে যাদের দলের কমিটিতে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই এখন নিষ্ক্রিয়। কেউ কেউ মারা গেছেন। আবার দলে অধিক সক্রিয় এমন অনেক নেতা আছেন যাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলে বিএনপির জন্য ভাল হবে। এ ছাড়া দলে এক ভারমুক্ত মহাসচিবের বড় বেশি প্রয়োজন। কারণ যত সক্রিয়ই হোক না কেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দিয়ে কাজ করতে গেলে সমস্যা থেকেই যায়। এতে যিনি দায়িত্ব পালন করেন তিনিও একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। আর দলের মধ্যেও কেউ কেউ তাকে ভালভাবে নিতে চায় না। তাই দলের যত সমস্যাই থাকুক জাতীয় কাউন্সিল করা জরুরী।
|
![]() |
.
এরশাদের মতো এরাও একই সিস্টেম-এ আছে - খালেদা বা তারকের সেই মাথা নাই।
|
![]() |
.
শেখ হাসিনা নয়, ‘শেইখা’ হাসিনা হতে পারে।
.
শেখ মুজিবর রহমান একজন শেখ, শেখ আব্দুল্লাহও (সৌদি বাদশাহ) একজন শেখ, আমি শেখ মহিউদ্দিন আহমেদও একজন শেখ। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত কোন মহিলার নামের আগে বা পিছে কখনো কি শেখ শব্দটি দেখা গেছে? কেবলমাত্র হাসিনা ওয়াজেদ আর রেহানা সিদ্দিকি ছাড়া? না যায়নি। এমনকি মরহুম শেখ লুৎফর রহমান মানে মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের পিতার কোন কন্যার নামের সামনে বা পিছনে কি কেউ কখনো শেখ পদবী দেখেছেন? বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য এই বিশাল মানচিত্রের বহু স্থানে হাসিনা বা রেহানার চেয়ে অধিক ক্ষমতাধর বা সম্পদশালী শেখ পরিবারগুলোর কন্যা, জায়া বা জননীর নাম রয়েছে। এরা কি কেউ কখনো নিজেদের নামের সাথে ‘শেখ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন? এক কথায় না করেন নাই।
।
‘শেখ’ উপাধি ব্যবহারের সংস্কৃতি পাওয়া যায় কিনা? সৈয়দ উপাধির বিপরীতে সইয়েদা, চৌধুরীর বিপরীতে চৌধুরানী, খানের বিপরীতে খানম উপাধি রয়েছে। ইতিহাস ও ভাষা এবং সংস্কৃতি বলে শেখ এর বিপরিতেও মহিলাদের জন্য ‘শেইখা’ রয়েছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশে দুই মহিলা শেখ হজম করছি যুগ যুগ ধরে। দেশে কি জ্ঞানী লোকের আকাল পড়েছে? এরা কিছু বলছে না কেন? শেখ শব্দের এই অবৈধ, ভ্রান্ত ও অপব্যাবহার কিভাবে দেশের শিক্ষিত মহল সহ্য করে চলেছে। সত্যিই সেলুকাস!
।
একজন শেখ হিসেবে আমি হাসিনা ও রেহানার ”শেখ” উপাধি ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করছি।
শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ
|
![]() |
শেখ মুজিবুর রহমান,মতান্তরে জাতির পিতা !
আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক একবার বলেছিলেন,’শেখ মুজিব তো স্বাধীনতা চায় নি,সে বরং বানর গড়তে গিয়ে শিব গড়ে ফেলেছে’। এই কথার মর্মার্থ এখন হাড়ে হাড়ে বুঝি। মূলত শেখ মুজিবুর একজন গোঁয়ার এবং অদূরদর্শি রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই অগ্রগামীরা তাকে ঐ ভাবেই চিনতেন। এই প্রসঙ্গে নিচের লেখাটি পড়া যেতে পারে-
‘ নির্বাচন হয়ে গেল। যুক্তফ্রন্ট নিরঙ্কুশ সংখ্যা-গরিষ্ঠতা অর্জন করলো। পার্লামেন্টারী দলের নেতা শেরে বাংলা ফজলুল হক গবর্ণর খালেকুজ্জামান কর্তৃক আহুত হলেন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য। এইবার বাঁধলো আর এক গোলমাল। মন্ত্রিত্বের উমেদওয়ার অনেকে। হক সাহেব কাকে নেবেন আর কাকে বাদ দেবেন ঠিক করতে পারেন না। কাজেই তিনি প্রথমে তিনজনকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে গভর্নরের নিকট তালিকা পেশ করলেন।
বদ-মেজাজী ও অপরিণত বুদ্ধি বলে হক সাহেব শেখ মুজিবকে মন্ত্রিসভায় নিতে চান না, অথচ আওযামী লীগ তাকে মন্ত্রিসভায় না নিলে অসুবিধায় পড়বে বলে শহীদ সাহেব তাকে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। যে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করছিলেন গবর্ণর-জেনারেল গোলাম মোহাম্মদের ইঙ্গিতে জনাব মোহাম্মদ আলী, সে ভাঙ্গন সহজ করে আনলেন শেখ মুজিব যুক্তফ্রন্টের নেতা শেরে বাংলা ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে। এই অনাস্থা প্রস্তাব যুক্তফ্রন্ট অথবা আওয়ামী লীগ থেকে দলগত পর্যায়ে আনা হয় নি। শেখ সাহেব নিজের উদ্যোগে কয়েকজন সদস্যকে নিজের দলে টেনে নিয়ে এই কাজটি করেছিলেন। ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়া (তোফাজ্জল হোসেন) ও আবুল মনসুর আহমদ শেখ মুজিবের এই কাজের তীব্র বিরোধিতা করতে লাগলেন। দেশী বিদেশী সাংবাদিকরা উদগ্রীব হয়ে আছে ঘটনার শেষ দেখার জন্য। মওলানা ভাসানী ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানিয়ে দিলেন যে, শেখ মুজিবের এই কান্ডকারখানা নীতি বিরুদ্ধ, এতে তাদের সমর্থন নেই।
এতদসত্ত্বেও যুক্তফ্রন্ট পার্লামেন্টারী পার্টির বৈঠক বসলো। ১৯৫৫ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী, পরিষদের হোটেল-কক্ষ সরগরম। শেখ মুজিবের পক্ষ ও বিপক্ষ উভয় দলই যুদ্ধংদেহী অবস্থায়। শেষ পর্যন্ত হাঙ্গামা হুজ্জতের মধ্যে সভা শেষ হল। উভয় পক্ষই সংবাদপত্র প্রতিনিধিদের জানালেন, তাদের জয় হয়েছে। আসলে কান্ডটা হল বানরের পিঠা ভাগের মত। করাচীর পাঞ্জাবী শাসকচক্র দেখলেন যে, যুক্তফ্রন্ট ভাঙ্গার ব্যাপারে তাদের আর তকলিফ স্বীকার করতে হল না। ওরা নিজেরাই নিজেদের গলায় ছুরি চালিয়েছে’। –( মোহাম্মদ মোদাব্বের / সাংবাদিকের রোজনামচা সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭)
স্বাধীনতা আন্দোলনেও তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল কেবল সরকার প্রধান হওয়া। স্বাধীনতার চিন্তাটুকুও তিনি করেন নি। দম্ভ ভরে শুনিয়েছিলেন,’হাম ইধার তুম উধার’ এর ডায়লগ। যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিব ছিলেন পাকিস্তানে এবং তার পরিবার প্রতিপালিত হয়েছে তৎকালীন সরকারের ভাতায়। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে মুজিব ফেরত আসেন ১৯৭২ সালে। এয়ারপোর্ট এ প্লেন থেকে নেমে তাজউদ্দিন এর সাথে বের হয়ে আসতে আসতে মুজিব বলেছিলেন,”তাজউদ্দিন,তোমরা পাকিস্তান ভেঙ্গে দিলে”? যা তখন উপস্থিত ব্যাক্তিদের অবাক ও ব্যাথিত করেছিল। ১৯৭৩ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এ দেশের বেহাল অবস্থাতেও তিনি আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন আওয়ামী লীগ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে,যেখানে বাকী সব দলের ধারনা ছিল এমন অরাজক অবস্থায় জনগন মুজিব কে ক্ষমতায় নেবেনা। (হায়দার আকবর রনো/শতাব্দী পেরিয়ে দ্রষ্টব্য)
একপর্যায়ে দেশে অনেক রকম গল্প চালু হয় এই রাষ্ট্র প্রধান কে নিয়ে। হুমায়ুন আহমেদ এর দেয়াল উপন্যাসের আনকাট ভার্সন এ একটি গল্প ছিল এমন-
শেখ মুজিবের ৩২ নাম্বার এর বাসায় প্রতিদিন অসংখ্য লোক আসতেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে।এমনই একজন একদিন তেলের টিন ভর্তি কই মাছ নিয়ে মুজিব কে দেখতে এলেন একদিন।মুজিব খুশি হয়ে তাকে দুপুরে খেয়ে যেতে বললেন আর তার সঙ্গী একজন কে বললেন,এই ব্যাক্তিকে একটি কম্বল দিতে আর রেশন এর চাল ডাল থেকে কিছু দিতে।মুজিবের সঙ্গী কানে কানে জানালেন দেয়ার মত ঐগুলোর কিছুই নেই।মুজিব বললেন,থাকবে কিভাবে?আমার চারপাশে সব খালি চাটার দল।চাটার দলে সব খেয়ে ফেলসে।
আবার এই গল্পও উল্লেখ করার মত- “অফিসিয়াল কাজকর্ম শেষে হালকা মেজাজে বঙ্গবন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করলেন বাজারে কি কি রসিকতা ছড়ানো হয়েছে। আমি নারায়ণগঞ্জের পকেটমারের গল্পটি বললাম – বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা এবং সে কারণে সকল শ্রেণীর সকল গোষ্ঠীর মানুষই তার পৃষ্ঠপোষকতার দাবিদার। একদিন নিখিল বাংলাদেশ পকেটমার সমিতির একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাত করে অনুযোগ করলো, বঙ্গবন্ধু সকলের জন্যই সবকিছু করেছেন, কিন্তু পকেটমাররা কি পেল? বঙ্গবন্ধু তাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে বললেন, পরের দিন নারায়ণগঞ্জে একটি পাবলিক মিটিং আছে। পকেটমাররা যেন সেই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন। তিনি যখন শ্রোতাদের বলবেন, ‘আপনারা দু’হাত তুলে বলুন আপনারা আমার সঙ্গে একমত কিনা’ এবং মানুষ যখন দু’হাত তুলে তার কথায় সায় দেবে তখন যেন পকেটমাররা তাদের কাজ সেরে ফেলে। বঙ্গবন্ধু এ গল্প শুলে বললেন, গল্পটি পুরাতন। তিনি জানালেন, সর্বশেষ গল্প হলো, শেখ মুজিব ডানে তাকায় দেখে চোর, বামে তাকায় দেখে চোর, পেছনে তাকায় দেখে চোর এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সামনে তাকালেও দেখে চোর।” – (মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন / সময়ের বয়ান)
১৯৭৪ এর দূর্ভিক্ষ আওয়ামী লীগ চাইলেও কখনো ঢাকতে পারবেনা। দেশের অসংখ্য মানুষ খাবার এর অভাবে পথে ঘাটে মরে পড়েছিল। আবার সেই অসম্ভব দূর্যোগের সময় প্রেসিডেণ্ট তনয় দ্বয়ের রাজকীয় জাঁকজমক পূর্ন বিয়ের আয়োজন ও মানুষ ভুলে যাবেনা।
প্রেসিডেন্ট তনয়দ্বয়ের কাহিনীও ছিল অনেক পংকিলতায় ভরা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে ব্যাংক ডাকাতি আর ধর্ষন এর প্রথার প্রবর্তক শেখ মুজিব এর দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামাল। বলা হয়ে থাকে দেশে কোন অপরাধী ধরা পড়ার খবর শুনলে শেখ মুজিব প্রথমে শেখ ফজিলাতুন্নেসা কে জিজ্ঞেস করতেন কামাল জামাল ঘরে ফিরেছে কিনা। স্বাধীনতার যুদ্ধে শেখ কামাল এবং শেখ জামাল প্রাপ্ত বয়ষ্ক এবং যোগ্য হয়েও যুদ্ধে অংশ নেন নি। বরং যুদ্ধের পর ব্যাংক ডাকাতির জন্য কিং কোবরা নামে দল বানিয়েছিলেন। পিতা পুত্র ছাড়াও ছিল আরেকজন,শেখ মনি;শেখ মুজিবের ভাগ্নে। শেখ মনির মতামতেই মুজিব অনেক খানি পরিচালিত হতেন। কিন্তু দেশে মুজিবের বিরোধিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
সিরাজ শিকদার নামে আলোচিত এক মুক্তিযোদ্ধার পরিচালনায় গঠন হয়েছিল সর্বহারা পার্টি।সর্বহারা দলের লোকজনের নামে আওয়ামী শিবিরে ত্রাস ভর করতো। সেই সিরাজ শিকদারকেও হত্যা করা হয় শেখ মুজিব এর নির্দেশে। সিরাজ শিকদার এর হত্যা মামলার বিবরণে দেখা যায়- ৪ জুন ১৯৯২ সালে সিরাজ সিকদারকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ ও মোহাম্মদ নাসিমসহ সাতজনকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সিরাজ সিকদার পরিষদের সভাপতি শেখ মহিউদ্দিন আহমদ বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন : ১. সাবেক পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ২. আবদুর রাজ্জাক এমপি, ৩. তোফায়েল আহমেদ এমপি, ৪. সাবেক আইজিপি ই এ চৌধুরী, ৫. সাবেক রক্ষীবাহিনীর মহাপরিচালক কর্নেল (অব.) নূরুজ্জামান, ৭. মোহাম্মদ নাসিম এমপি গং। আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ১০৯ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আর্জিতে বলা হয়, …. ” সে সময় ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন তাঁর রিভলবারের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সিরাজ সিকদার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শেখ কামাল রাগের মাথায় গুলি করলে সিরাজ সিকদারের হাতে লাগে। ওই সময় সব আসামি শেখ মুজিবের উপস্থিতিতেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল,ঘুষি, লাথি মারতে মারতে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলেন। এর পর শেখ মুজিব, মনসুর আলী এবং ২ থেকে ৭ নং আসামি সিরাজ সিকদারকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১ নং আসামিকে নির্দেশ দেন। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে,’কোথায় এখন সিরাজ শিকদার?’ বলে শেখ মুজিবের সেই পুরানো দম্ভ কি ভোলা যায়?
দাম্ভিকতার সর্বশেষ ধাপ ছিল বাকশাল।আর তার পরিনতি ছিল ভয়াবহ ও নির্মম মৃত্যু।দম্ভ,অপরিসীম পক্ষপাত,সীমাহীন দূর্নীতি,অদূরদর্শিতা এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অদম্য লালসা,এই সকল গুনে গুণান্বিত হবার কারনেই ইতিহাসে শেখ মুজিবের করুণ পরিণতি সবার জন্য একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত।
কার্টেসিঃ ফাতেম জোহরা আপু।
|
![]() |
.
অদৃশ্য টেলিফোনে আদালতের রায় হয়
.
যে আদালতে অদৃশ্য টেলিফোনে রায় হয়, সে আদালতে আইনজীবীদের আইনের বই পড়া নিস্ফল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আদালতে যেসব বিচারক ও আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার ৮০ ভাগ দলীয় কর্মী। সরকার বিচারকদের ওপর আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না বলেই বিচার বিভাগ নিজেদের আওতায় নিতে চাচ্ছে।’ ‘বিচার বিভাগকে নিজেদের আওয়তায় এনে আইনের শিরচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে সরকার। এর ফলে গুম-খুন আরও বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষ তাদের সর্বশেষ আশ্রয় হারাবে।’
.
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যা করছেন একটু ভেবে চিন্তে করুন, নইলে এ কাজ আপনাদের জন্য আগামী দিনের মৃত্যুকূপ হবে।’
|
![]() |
.
সালাম নেতা, ধন্য জাতি, তোমায় হারিয়ে আমরা বুঝেছি।
.
প্রেসিডেন্ট ভবনে জিয়াউর রহমান রাতের ডিনার সারছেন। ছোট্ট টিফিন ক্যারিয়ারে ডিনার ক্যান্টনমেন্ট তাঁর বাসা থেকে এসেছে।
.
মেন্যু দেওয়া হলো---
- পটল ভাজি,
- মলা মাছের ঝোল,
- ডিমের ঝোল,
- আর ডাল।
.
জিয়া বিড়বিড় করে বললেন,আমি সবসময় বলি, ডিনারে বা লাঞ্চে যেন আমাকে তিন আইটেমের বেশি না দেওয়া হয়। এরা সবসময় আমার আদেশ ভঙ্গ করে।
""" I don't like that ''""
.
গ্রন্থঃ দেয়াল,
লেখকঃ- হুমায়ূন আহমেদ,
পৃষ্ঠাঃ- ১৯১-১৯২.
|
![]() |
তারেকের ঈদকার্ড
।
সবুজ জমিনের ওপর শুভ্র মিনার অঙ্কিত ঈদকার্ডে তারেক রহমান লিখেছেন, 'গণতন্ত্রহীন দুর্বিষহ অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ। শকুনীর হিংস্র থাবায় রক্তাক্ত প্রিয় মাতৃভূমি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় 'দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও' আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই কেটে যাবে অন্ধকার, ফুটবে আলো, প্রতিষ্ঠিত হবে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ও সুশাসন। এ প্রত্যাশায় আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতি রইল পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা এবং আপনার মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা রইল আপনার এলাকার প্রতিটি মানুষের প্রতি। ঈদ মোবারক।'
.
আর দীর্ঘ চিঠিতে তারেক রহমান শেখ 'হাসিনা সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসন-হত্যার চিত্র' তুলে ধরেছেন। চিঠিতে শেখ হাসিনাকে 'গণতন্ত্রের শত্রু এবং মিথ্যাবাদী' আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, 'ঘোর ঘন অমানিশায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন নেই, নেই সামাজিক ন্যায়বিচার। জানমালের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশজুড়ে চলছে খুনি কাপালিকদের উল্লাস। লুটেরা দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের রাজত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য এখন মানুষ খুন করছে টাকার বিনিময়ে। পবিত্র ঈদের দিনটিতেও পরিবারের সঙ্গে আমার মতো আপনাদের অনেকেই ঠিকমতো আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও অনেকেই উদ্বিগ্ন। গণতন্ত্রের শত্রু মিথ্যাবাদী হাসিনা গোটা বাংলাদেশকে পরিণত করেছেন কয়েদখানায়।'
.
এতে আরো বলা হয়, 'মাতৃভূমি বাংলাদেশ এখন অসহায়। খুনি-লুটেরা, সন্ত্রাসী, সোনা চোরাকারবারি আর বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নেতা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের টাকা লুট করে সুইস ব্যাংকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করছে হাসিনা ও তার বাহিনী। শুধু সুইস ব্যাংকের হিসাব মতেই আওয়ামী লীগ নেতামন্ত্রীরা ২০০৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত প্রতিবছর তিন হাজার কোটি টাকা করে সুইজারল্যান্ডে পাচার করেছেন। শুধু তাই নয়, ইউরোপ-আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শত শত বিলাসবহুল বাড়ি ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলা হয়েছে। অবস্থা এতটাই ভয়ঙ্কর, খোদ হাসিনা বাহিনীর সদস্যরা পর্যন্ত তাদের পাতানো সংসদে বলতে বাধ্য হয়েছেন, পাচারের টাকায় কানাডায় গড়ে উঠেছে বেগমপাড়া।' শেখ হাসিনা বিরোধী অন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেয়া চিঠিটি একটু ব্যতিক্রম। এই চিঠিটিতে তারেক রহমান লেখেন, 'হাসিনার দুঃশাসনে কেউ ভালো নেই। আপনারা হারিয়েছেন বাবা-মা, ভাইবোন কিংবা আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধব। হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। নষ্ট হয়েছে আপনাদের অর্থসম্পদ। আপনাদের এই নির্মম যাতনার কথা আমি বুঝি। কারণ হাসিনার প্রতিহিংসায় আমিও হারিয়েছি আমার পিতা বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের দীর্ঘদিনের স্মৃতিবিজড়িত বসতবাড়ি, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে চলছে ধারাবাহিক অপপ্রচার।' উভয় চিঠির শেষ প্যারায় তারেক রহমান লেখেন, 'আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণ নেই। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এই অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন ঘটবে। আপনারা সোচ্চার থাকুন। দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। ইনশাআল্লাহ আমাদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে কাটবে অাঁধার, ফুটবে আলো। সেই সোনালি ভোরের প্রত্যাশায় আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদ মোবারক।'
|
![]() |
জয়ের বক্তব্য বাবার পরিবারের সঙ্গে যায় না’___শামসুজ্জামান দুদু।
.
তিনি বলেন, ‘কেবল বিএনপি নয়, দেশের সকল মানুষের মনেই প্রশ্ন জাগে- লেখাপড়া জানা কোনো লোকের বক্তব্য এমন হতে পারে না। তিনি (জয় থাকেন বিদেশে। সেখান থেকে এসে মাঝে মধ্যে এমন কিছু মন্তব্য করে বসেন, যা তার নানার পরিবারের সঙ্গে খাপ খেলেও বাবার পরিবারের সঙ্গে যায় না।’
.
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এক সেমিনারে জয় বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তাদের শিক্ষার অভাব রয়েছে। তারা হিসাব জানে না। ছোট বাচ্চারাও তাদের চেয়ে অংক ভাল জানে।’জয়ের এমন বক্তব্যের জবাবেই শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু।
.
তিনি আরো বলেন, জয়ের কোনো বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। কারণ, তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন? কোন ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি করেছেন? এবং কোন নেতৃত্ব ফোরামের সদস্য? তা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশের চেয়ে বিদেশেই বেশি থাকেন। সেখান থেকে এসে মাঝে মধ্যে এমন দু/একটি মন্তব্য করে বসেন।
.
তবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক আদর্শ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্বের কিছুটা অংশ বিক্রি করা। সমুদ্রসীমার রায়ের ক্ষেত্রেও আমার মনে হয় বাংলাদেশ কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে।’
|
![]() |
দ্রুত নির্বাচন না হলে দেশে দুর্যোগ নেমে আসবে : দুদু
.
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দ্রুত নির্বাচন না হলে দেশে ‘দুর্যোগ’ নেমে আসবে। সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা করে দ্রুত নির্বাচন দিন। লুটপাট-গুণ্ডামি বন্ধ করুন। অন্যথায় দেশে যে দুর্যোগ নেমে আসবে, তা থেকে আপনারা রক্ষা পাবেন না।’’ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচি দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ঘোষণার করবেন বলে জানান দুদু।
|
![]() |
শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালে মাত্র কয়েক মিনিটে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন, নিজ দল আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করেন। জনগণকে ৭৪ এর দূর্ভিক্ষ উপহার দেন। তার শাসনামলে ঘরে বাইরে জনগণকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছিলো।
.
‘১৯৭২ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের জুন পর্যন্ত সেই সময়কালে দেশে ২ হাজার ৩৫টি গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছিল এবং দুষ্কৃতিকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিল ৪ হাজার ৯শ’ ২৫ জন।
.
তার কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলেও একইভাবে গুম খুন অপহরণ অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং সন্ত্রাস যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। গুম খুণ অপহরণ এখন দেশের নিত্যদিনের চিত্র।
.
--বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.