|
![]() |
.
বুইরা রেলমন্ত্রীর ভীমরতি - দুর্নীতি করে যা কামাইছে, তার জন্য দরকার বংশধর। ৫ বিয়ের খরচ সে একাই করছে। বরের বয়েস ৬৮ আর কণের বয়স ২৯। এরা বলে সমাজের মাথা, সমাজ এই জন্য ভোতা।
।
আগামী শুক্রবার দুপুরে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ৫০০ জন বরযাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মীরাখলা গ্রামে যাবেন। সেখানে বিয়ে সম্পন্ন হবে। এ উপলক্ষে কনের বাড়ি সাজানো হচ্ছে। সেখানে নতুন করে সড়ক ও ঘর মেরামত করা হয়েছে।
।
রেলে হানিমুনের কারন জিজ্ঞাসা করলে মন্ত্রি উত্তরে বলেছিলো, "রেলের ইঞ্জিনে বগি লাগালে অতিরিক্ত কুনু পরিশ্রম করতে হয় না, রেলের ঝাকুনিতেই স্বর্গীয় সুখ লাভ করা সম্ভব।
।
অবশেষে ৬৮ বছরের পুরনো ইঞ্জিনের সাথে ২৯ বছরের রিকন্ডিশন বগি সংযুক্ত হতে যাচ্ছে!!!!!!
ইঞ্জিন যদি পুরোদমে বগি টানতে না পারে তাহলে কিন্তু মাঝ পথে বগিতে যাত্রী উঠার ঝুকি আছে।
|
![]() |
জ্ঞানীরা দেখেন, ভিতরের চোখে দিব্য দৃষ্টিতে। পণ্ডিতরা, দেখে চলছেন কেবলই বাহিরে চোখে।
.
পণ্ডিতরা স্রষ্টা নন। সৃষ্টি করার যোগ্যতা তাঁদের নেই, তবে তাঁরা যোগ্যতা-সম্পন্ন এই মর্মে যে, তাঁদের ঝুলিতে অনেক কিছু আছে, এবং তা বাহিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জ্ঞানের-ই গ্রন্থসম। পণ্ডিতরা, বাহিরে খুঁজেন, বাহিরের জগত নিয়ে তাঁদের সাধনা। ইতিহাসের অনেক ঘটনাবলী যা কালের আবর্তনে মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বা যথারীতি চলে গিয়েছে, সে-সকল ঘটনাগুচ্ছের সন-তারিখ পর্যন্ত পণ্ডিতরা বলতে সক্ষম হয়ে থাকেন। কিন্তু পাণ্ডিত্য একটি শুষ্ক অবস্থা !! কেননা, ঘরের খবর যে জানে না, সে বাহিরের খবর নিয়ে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে গিয়েই বুঝতে পারে, কোথায় যেন আটকাচ্ছে। আটকানোর-ই কথা। বাহিরের চোখ বাহির-ই দেখে, সে সঠিক বলে মেনে নিলেও, তার সত্যতা আসে মন-চোখের বিচারের পর। এখানেই ধরা খেয়ে যান, পণ্ডিতের দল।
.
কিন্তু যে বা যাঁরা জ্ঞানী, তাঁদের নিয়ে ভিন্ন কথা। একজন জ্ঞানীর নিকট প্রশ্ন করে হয়ত জানা যাবে না, আজ থেকে দু-হাজার বছর পূর্বে অমুক নগরীর উৎপত্তি হয়েছিল কি না, তমুক নগরী ধ্বংস হয়েছিল কি না? অমুক দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল কি না, তমুক জাতি অমুক জাতির উপর অত্যাচার করে, কত মানুষ মেরেছিল? এসব ক্ষেত্রে জ্ঞানী পিছিয়ে থাকতে পারেন। আর এখানে দেখা যাবে, পণ্ডিতরা এগিয়ে আছেন। অনেকের নিকট থেকে শোনা যাবে মুখস্থ-বিদ্যার মতোই। ইতিহাসের বড় বড় ঘটনাবলীর আলোচনা বা পর্যালোচনা পণ্ডিতরাই করে থাকেন। সে-সব দিকে জ্ঞানীদের যেন ইচ্ছার-ও অভাব রয়েছে। কারণ, জ্ঞানীরা অপরের বমি চেটেপুটে খান না। নিজেকেই আবিস্কারের নেশায় মত্ত থাকেন এবং নিজেকেই তোলে ধরেন। যেন নিজেই নিজের গ্রন্থ। আর তাই পাঠ করে জগতকে শোনান। যদি কোনো কিছু চলন্ত না থাকে, তবে রোদ্দুরে কোনো ছায়াকে চলন্ত দেখা যাবে না। যদি ছায়াকেও দেখতে হয়, তথাপি ছায়া সৃষ্টির জন্য কিছু চাই, হোক্ তা দৃষ্টির আড়ালে। জগতে যত রকমের পরিবর্তন চলছে, তা প্রাকৃতিক হোক বা মানুষ দ্বারাই হোক। প্রকৃতপক্ষে, তা কিন্তু ভিন্ন-ধরনের পরিবর্তনের-ই ছায়া মাত্র। মানব-লোচনে ধরা না পড়তে পারে, তবে তা হচ্ছে অন্য কোথাও। জ্ঞানীরা, সেই ভিন্ন রকমের কর্ম বা কর্মের দ্বারা পরিবর্তনটি কোথায় হচ্ছে তাই জানায় মত্ত থাকেন।
.
পণ্ডিতদের শুষ্ক-পাণ্ডিত্যের দ্বারা সমাজের শুধু লাভই হয় তা বলা যায় না, অনেক বড় রকমের ক্ষতি হয়ে থাকে। জানার একটি বড়াই এসে যায়। অমুক বই তমুক বই পড়েছি। এতখানা বই পড়েছি, ইতিহাস ঘেঁটেছি, ধর্ম-শাস্ত্র ইত্যাদি গিলে ফেলছি - - - -ব্যস, এই হচ্ছে শুষ্ক-পাণ্ডিত্যের চরম অবস্থা!! তাই যতই বিদ্যা লাভ হোক না কেন, দেখা যায় অতীতের অনেক কিছুই ভুলে যান, নব নব প্রাপ্তির আনন্দে। আর তা থেকেই পণ্ডিতরা শ্রেণী গঠনে মেতে উঠেন। তার প্রভাব বা লক্ষণাদি হচ্ছে, সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষকে নিয়ে নাক-সিটকানো এবং অনেক মানসিক-যাতনা সইতে হয়, সে-সকল মানুষকে। কিন্তু জ্ঞানীরা বলেন ভিন্ন কথা। জ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, সকল প্রকার দানের অন্যতম হচ্ছে 'জ্ঞান-দান'। তাই পিছিয়ে থাকা মানুষকে, জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করা, জ্ঞানীদের কর্তব্য বলেই মনে করেন। সকলের মঙ্গলে নিজের মঙ্গল, এ কেবল জ্ঞানীদের নিকট থেকেই শোনা যায়।
.
কিছু উদাহরণ দেখা যাক্, বর্তমান যুগে 'ধর্ম' এমন একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এর পক্ষে ও বিপক্ষে, সমান তালে কথা চলছে। যখন কিছু মন্দ হয়, তাতে যদি ধর্মকে ব্যবহার করা হয়, তবে তা ধর্মের দোষ হয় কেন? বিশেষ বিশেষ কোনো গ্রন্থ-কে তো ধর্ম বলা হয় না। গ্রন্থ মানে গন্থ-ই। ধর্ম সে তো ভিন্ন বিষয়। ঐ সকল গ্রন্থে ভালো লেখা রয়েছে, কালে কালে তাতে অনেক সংযোজন বা বিয়োজন হয়ে, অতীতের প্রভাবশালীদের নানাবিধ চিন্তা-প্রণালী সংযোজিত হয়েছে। কিন্তু কালের যাত্রায়, সে-সকল বহিরাগতদের মতবাদ-ও বর্তমানের মানুষ 'ধর্ম' হিসেবে জেনেছে এবং পালন-ও করছে। আগামী হাজার বছর পর, আজকের দিনের অনেক ভালো বা মন্দ-ও, ধর্ম-গ্রন্থে সংযোজিত হতে পারে। এখন দেখা যাক, গ্রন্থ কেন ধর্ম নয়? যদি আপনার দেশের রাজধানীতে যাওয়ার জন্য, অনেকগুলো রাস্তা থাকে, এবং আপনি একটি গ্রন্থে কেবল একটি রাস্তার-ই সন্ধান পেয়ে থাকেন, আর যদি পরবর্তীতে জানেন যে, আরও অনেক রাস্তা দিয়েই রাজধানীতে যাওয়া যায়, তখন কি যে গ্রন্থটি আপনি পড়ে একটি রাস্তার সন্ধান পেয়েছিলেন, তাকেই একমাত্র সহায়ক হিসেবে গ্রহণ করবেন, চিরন্তন সত্য বলে গ্রহণ করবেন? আপনি চিন্তাশীল হলে তবে এই সিদ্ধান্তে আসবেন যে, ঐ গ্রন্থে কিছু ভালো কথা বা দিক নির্দেশনা ছিল। এবং ভবিষ্যতে যদি আরও অনেক রাস্তার সন্ধান পাওয়া যায়, তা-ও কোনো না কোনো গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হবে। কিন্তু মারামারির জন্য 'ধর্ম' নামের এই শব্দটির গায়ে কেন কলঙ্ক লেপে দেয়া হয়? আগুনে ঘর পোড়ে, কেউ আগুন ব্যবহার ছেড়ে দেয়ার কথা বলে না, জল-প্লাবনে জীবন নাশ হয়, সলিল-সমাধি হয়। তথাপি জল-মুক্ত জীবন কে চিন্তা করতে পারে? এই বিষয়গুলো পণ্ডিতরা এমনভাবে পরিবেশন করেন, যা দিয়ে কেবল নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
.
সমাজে পণ্ডিতদের প্রয়োজন রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সীমানাতে তাঁদের বিচরণ হলে সুন্দর দেখাবে। কারণ, তাঁরা যে শ্রেণী গঠন করেন!! ভয়ের কারণ ও সাময়িক ধ্বংসের-ও লুকানো হাতছানি। আর জ্ঞানীরা এসে সেই শ্রেণীকে ভাঙ্গেন। পিছিয়ে থাকা মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানোর জন্য, শুষ্ক-পাণ্ডিত্য যথেষ্ট দায়ী। জ্ঞানীরা বলেন, যারা অবহেলিত নিষ্পেষিত, তাদের-কে যথাশীঘ্র আলোর নীচে আনতেই হবে। সেই সকল সাধারণ মানুষের ভাষাতেই যথাসম্ভব কথা বলতে হবে, যাতে করে সহজে বোধগম্য হয়। আর অবহেলিত সেই মানুষেরা যুগে যুগে সংখ্যায় বেশী থাকে। সেখানেই আসল শক্তি লুকিয়ে থাকে, যা অ-ব্যবহ্নত অবস্থায় থেকে যায়। জ্ঞানীদের সাথে পণ্ডিতদের পার্থক্য নতুন কিছু নয়। জ্ঞানীরা দেখেন, ভিতরের চোখে দিব্য দৃষ্টিতে। পণ্ডিতরা, দেখে চলছেন কেবলই বাহিরে চোখে।
|
![]() |
.
বর্তমান বস এর উপড়ে বস নাই - তাই আপাতত বর্তমান খারাপ বস-রে মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আগের সব পুরাতন বসগুলো ছিল চোর-ডাকাত টাইপের। এই নতুন বস হইছে হিটলার - কোন কিছুই সে শুনে না, কোন কিছুতেই তার কিছু যায় আসে না। অফিসার কর্মচারীরা উলটাপালটা করলে গুম হয়ে যায়, তাই ভয়ে হিটলাররে বিরুধে কেও কিছু কই না।
.
আমার অফিস এর সব কর্মচারী এখন হিজরায় পরিতন হয়েছে। কোন নতুন নিয়োগ নাই, নতুন প্রমসনও নাই। নতুন ভালো বস পাইলে, আমরা সব একসাথে পদতাগ করে নতুন কম্পানিতে যোগ দেওয়া ছাড়া আমাদের হিজড়াদের আর কোন উপায় নাই।
|
![]() |
.
কবর থেকে মরদেহ উঠিয়ে সাজানো! ইন্দোনেশিয়ার বিচিত্র এক রীতি
.
আচার-অনুষ্ঠানটির নাম ‘মাইনেনে’ বা মরদেহ পরিষ্কারের অনুষ্ঠান। দেশটির দক্ষিণ সুলাওয়েসির তোরাজা গ্রামের রীতি অনুযায়ী ফি বছর মৃত স্বজনদের কবর থেকে তুলে মরদেহ পরিষ্কার করা।
.
শুধু পরিষ্কার করেই ক্ষান্ত হন না তারা, মরদেহকে নতুন কাপড় পরিয়ে, যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সোজাপথে আবার ফিরিয়ে আনা হয় কবরে। জানা যায়, মারা যাওয়ার পর বিশেষ উপায়ে তাদের মমি করে সমাহিত করা হয়। মমি করে রাখার ফলেই বহুদিন পর্যন্ত মরদেহ অনেকটা অবিকৃত অবস্থায় থাকে।
.
এমনকি শিশুদেরও তোলা হয় কবর থেকে। তাদেরকেও বাহারি পোশাকে সাজিয়ে, পুতুলসহ ঘুরিয়ে আনা হয়। প্রতিবছর আগস্ট মাসে চলে এই মরদেহ পরিষ্কারের রীতি। টোরাজানবাসীর বিশ্বাস, এতে করে মৃত ব্যক্তির আত্মা ফের গ্রামে ফিরে আসে।
|
![]() |
.
শাবাশ এএসপি বশির!!
.
১৮ জুন প্রথম আলোয় ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি’ শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়। ওই দিনই অফিসে এসে একটি টেলিফোন পেলাম। নিজের পরিচয় দিয়ে টেলিফোনদাতা বললেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি মোহাম্মদ বশিরউদ্দীন। আপনারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নামে যে সম্পাদকীয়টি লিখেছেন, সে জন্য ধন্যবাদ জানাই।
.
গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা ঘটল, তাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এল। আমাদের সমাজের মাথা বলে পরিচিত ব্যক্তিরা যখন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে আপস ও পলায়নকে জাতীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তখন এই পুলিশ কর্মকর্তা সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে সমাজটি এখনো পচে যায়নি। এখনো সত্য কথা বলার মানুষ আছেন।
.
ভোটের অঙ্কে বিজয়ী সেলিম ওসমান বা পরাজিত এস এম আকরাম নন, সেই সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বশিরউদ্দীনই হলেন নারায়ণগঞ্জের উপনির্বাচনের নায়ক। কীভাবে? তিনি নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছিলেন বন্দর উপজেলার মদনপুর কেওঢালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। শামীম ও সেলিম ওসমানের অনুসারী (আওয়ামী লীগ করেন না জাতীয় পার্টি করেন, না তিনি দুটোই একসঙ্গে করেন, জানা গেল না স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম দলবল নিয়ে কেন্দ্রটি দখল করতে গেলে তিনি বাধা দেন। তাঁকে ভোটকেন্দ্রের এলাকা ছেড়ে যেতে বলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান পুলিশ কর্মকর্তার কথা গ্রাহ্য না করে তাঁকে এই বলে হুমকি দেন যে তাঁকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া না হলে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ মাথা নিয়ে যেতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের পরও মাথা নেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার মানুষ নারায়ণগঞ্জে আছে! এ ধরনের লোককে তো রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত৷
.
এ পর্যায়ে এএসপি বশিরউদ্দীন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে তাঁরা ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। এর পরই গায়েবি আওয়াজ আসে—তাঁকে ভোটকেন্দ্রটি ছেড়ে যেতে হবে, চেয়ারম্যান সালামকে সদলবলে ভোটকেন্দ্র দখল
করতে দিতে হবে। কেননা, সময় বেশি হাতে নেই। ৭০-৮০ ভাগ ভোট কাস্ট করাতে হবে। ওপার থেকে গায়েবি টেলিফোনটি করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
.
কিন্তু এএসপি বশির তাঁর কথায় রাজি না হলে শামীম ওসমান কুত্তার বাচ্চা, শুয়োরের বাচ্চা বলে গাল দেন। তাঁকে দেখে
নেওয়ার হুমকি দেন। তাঁর টেলিফোন সক্রিয় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে টেলিফোন করার কথাও তাঁকে জানিয়ে দেন। এর পরও দমে যাননি সেই পুলিশ কর্মকর্তা। বলেছেন, ‘আমাকে আমার দায়িত্ব পালন করতে দিন। আমি এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অন্য কারও হুকুম তামিল করার এখতিয়ার নেই।’
.
যে শামীম ওসমানের কথা ছাড়া নারায়ণগঞ্জে নাকি একটি গাছের পাতাও নড়ে না, সেই শামীম ওসমানকে মুখের ওপর যখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা এভাবে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অবিচল থাকতে পারেন, তাঁকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই। শাবাশ জানাই। এখনো পুলিশ বিভাগে, সরকারি প্রশাসনে এ ধরনের দু-চারজন কর্মকর্তা আছেন বলেই দেশটি টিকে আছে।
.
কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রশাসন বা পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ রকম নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার প্রতি কী আচরণ করছেন? তাঁরা কি তাঁকে সুরক্ষা দেবেন? আমরা হতবাক হলাম জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘টুকটাক কথাবার্তা’ বলে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করলেন। তিনি কোন কথাকে টুকটাক কথা কললেন? শুয়োরের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা গালি, নাকি দেখে নেওয়ার হুমকি? একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্ব তাঁর অধীন ব্যক্তিকে সুরক্ষা ও অভয় দেওয়া। তিনি যাতে নিজের কর্তব্য পালন করতে পারেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের এসপি মহোদয় বিপরীত কাজটিই করলেন। এতে হুমকিদাতা আশকারা পাবেন, আর হুমকিপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। হয়তো এরপর ওই দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাকে বিএনপি-জামায়াতের লোক বানিয়ে সাসপেন্ড বা খাগড়াছড়ির দুর্গম জঙ্গলে শাস্তিমূলক বদলি করা হবে।
এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শুনতে চাই। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এএসপি বশির হুমকির শিকার হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব সেই হুমকিদাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। সেই কাজটি নির্বাচন কমিশন করতে পারলে তাদের অতীত গ্লানি কিছুটা হলেও মুছে যেত। মানুষ বলত, অন্তত কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে না পারলেও অন্তত একটি অন্যায়ের প্রতিকার করেছে।
.
আর এ ঘটনায় যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে ব্যবহার করা হয়েছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও স্পষ্ট বক্তব্য চাই। যে কেউ যখন-তখন তাঁদের সমস্ত অপকর্মের ঢাল হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে ব্যবহার করতে পারেন? শামীম ওসমান রাজনীতি করবেন কি করবেন না, সেই বার্তা কেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন?
শাবাশ এএসপি বশিরউদ্দীন। এ রকম দৃঢ়চেতা ও সৎ পুলিশ কর্মকর্তারাই পারেন সমাজের দুষ্ট ক্ষত ও ক্যানসারগুলো ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে।
.
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net
|
![]() |
.
আমার হলো শুরু তোমার হলো শেষ
|
![]() |
.
চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
তারিখ ৩১/০৫/২০১৪ ইং।
প্রিয় নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জবাসি।
আমার সালাম নিবেন। আমি লেখাপড়া না জানা একজন সাধারন মানুষ। আমার চাওয়ার চেয়ে পাওয়াটা ছিল অত্যন্ত বেশি। তাই অহমিকা ও মূর্খতার কারণে আজ এ পরিস্থিতি। সিদ্ধিরগঞ্জ হারিয়েছে সাতটি তাজা প্রাণ। আর আমি হয়েছি দেশছাড়া। আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন নজরুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে শুরু করে বহুদিন যাবৎ আমার সকল কাজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিরোধীতা করে আসছিলো। তখন থেকেই সে আমার প্রকাশ্য শত্রুতে পরিণত হয়। সে আমাকে হত্যার জন্য একবার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়া গুলি করায়। আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাই। তদুপরি সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতেই থাকে। সরকার ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সাথে আমার সম্পর্ক তেমন ভালো না থাকার সুযোগে গত কিছুদিন যাবৎ আমার প্রতিবেশী নজরুল ও মনির নিহত নজরুলের সহযোগিতায় আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ঢাকার একটি কিলার গ্রুপ এর সাথে এক কোটি টাকা চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক আমাকে যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের ওপরে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি টের পাইয়া প্রাণে রক্ষা পাই।
.
পূর্বেও তারা আমাকে হত্যার জন্য অপহরণ করেন। আমি সেখান থেকে টাকার বিনিময়ে রক্ষা পাই। নজরুল ইসলামের সাথে তৎকালীন সাংসদ কায়সার হাসনাত, সিটি মেয়র আইভী, এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে সুসম্পর্ক থাকায় নজরুল চিটাগাং রোডে সড়ক ও জনপথের অফিসে, পাওয়ার হাইজ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আদমজী ইপিজেড, চিটাগাং রোড ট্রাক টার্মিনাল এবং সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কাজ এককভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। তাছাড়াও আমার ব্যাক্তিগত বিভিন্ন ব্যবসায় বিভিন্নভাবে বাঁধা ও হয়রানী করতে থাকে। এমনকি আমার প্রাণনাশেরও চেষ্টা করিতে থাকায় আমি নিরুপায় হয়ে বিষয়টি বড় ভাইকে জানাই। তিনি আমাকে তাকে পথ থেকে সড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন। আমি বিষয়টি নিয়ে মেজর আরিফের সাথে কথা বলিলে তিনি আমার থেকে বড় ভাইয়ের সম্মতি আছে কিনা জানতে চান। আমি হা বলিলে তিনি এর সাথে কথা বলে আমাকে জানাবেন বলে জানান। আমি মেজর আরিফকে নিয়ে একদিন রাতে বড় ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি সম্মতি দেন এবং ইসমাইলের বিষয়েও কথা বলেন। ইসমাইলের বিষয়ে মতি আমার মাধ্যমে ৫০ লক্ষ টাকা দেন। ইসমাইলের কাজটি সমাধানের পর নজরুলের কাজটা নিয়ে মেজর আরিফ ও রানা, তারেক সাহেবের সাথে কথা বলে ১ কোটি দাবী করলে আমরা সম্মত হই। ১৫/২০ দিন পর মেজর আরিফ আবার আমার কাছে ২ কোটি দাবী করে বলেন তাকে একা পাওয়া যাবেনা।
.
দুইজনকে কাজ ( মানে হত্যা ) করতে হবে। উপরে ১ কোটি টাকা লাগবে। তাই মোট দুই কোটি টাকা লাগবে। আমি বড় ভাইকে বিষয়টি জানাইলে তিনি আমাকে এক কোটি, মতিকে ৫০ লক্ষ আর ইয়াসিনকে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে বলেন। বিনিময়ে আমাকে বালু ও ট্রাক স্ট্যান্ড, ইয়াসিনকে সড়ক জনপথ ও পাওয়ার হাউজ আর মতিকে ইপিজেড ও তেলের ডিপো এবং মজিবর রহমানসহ অন্যান্যদের জন্য ইজারাকৃত বিভিন্ন পার্কিং টোল ভাগাভাগি করিয়া দেন। মজিবর ভাইকে আমাদের সবকিছু সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেন। কাজটি করার জন্য নজরুলের গতিবিধি দেখাশুনার জন্য আমাকে ও মতিকে দায়িত্ব দেন মেজর আরিফ। একবার যাত্রাবাড়ি, একবার সাইনবোর্ড ও আরেকবার মিজমিজি এলাকায় কাজের (হত্যার পরিকল্পনা ব্যার্থ হওয়ায় আমরা নিরাশ হই। এরপর বড় ভাই আমাকে জানায় সাতাশ তারিখে সে কোর্টে আসিবে এবং কোর্ট থেকে বাহির হইলে যেন কাজটি করি। সেই মোতাবেক আমি আরিফ সাহেবকে বলিলে আরিফ সাহেব তার দলবল নিয়া দশজন এই কাজে রওনা হন এবং কোর্ট এলাকায় দুইজন সোর্স নিযুক্ত করেন। মতিও তার সোর্স পাঠিয়ে নজরুলের কোর্টে থাকা নিশ্চিত ও তাকে সনাক্ত করানোর কাজটা করান। আমি ও র্যাব এর সাথে থাকা আমার লোক শাহজাহানের মাধ্যমে র্যাব এর কাজকর্ম তদারকি করি।
.
বেলা ১টা৪৫ টায় র্যাবের সদস্যরা তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। পরে জানতে পারলাম মোট সাতজনকে র্যাব উঠিয়ে আনে। র্যাব পরিস্থিতি বুঝেশুনে কাজ করার জন্য তাদেরকে অজ্ঞান করে তাদের হেফাজতে রাখেন। এরপর একই দিন রাত ২টা ৩০ মিনিটে তাদের হত্যা করা হয় বলে আরিফ ও রানা আমাকে জানায়। আমি সাতজন হত্যা হোক এটা কখনও চাইনি। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই এ কাজটা তারা করেন। এ কারনে আমি বড় ভাইকে বলি এত বড় কাজটি আমি করিনি। কি কারনে কার নির্দেশে র্যাব এত বড় কাজটি করলো তা আমার জানা নেই। এরপর আমি বড় ভাইয়ের নির্দেশে ভারতে চলে আসি। নারায়ণগঞ্জবাসির জানা একান্ত প্রয়োজন মনে করে এই ঘটনাটি আমি জানাইলাম। কারণ আমাকে যেকোন সময় হত্যা করিতে পারে। সেক্ষেত্রে পুরো ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জবাসির নিকট অজানা থাকিয়া যাইবে আর বিনা দোষে অনেকে শাস্তিভোগ করিবে। আমার এই কাজের কোন ক্ষমা নাই তবুও আমি নারায়ণগঞ্জবাসি তথা সিদ্ধিরগঞ্জবাসির নিকট ক্ষমা প্রার্থী।
|
![]() |
.
চায়ের দোকানদার থেকে ভারতীয় জনতা দল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। হয়েছেন গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পুরো নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তী জরিপে দেখা গেছে তার ও দলের জয়জয়কার। গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগ থাকলেও, তা অগ্রাহ্য করেই ত্রাতা হিসেবে সমর্থকদের মন জায়গা করে নিয়েছেন মোদি।
.
রাজনীতিবিদ হিসেবে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার একটি বড় কারণ তেজদীপ্ত বক্তৃতা। প্রতিপক্ষকে তুলোধুনো করে দেয়া বক্তৃতার কারণেই সমর্থকদের কাছে ত্রাতা।
.
ভালো ছাত্র না হলেও ছিলেন ভালো তার্কিক। আগ্রহ ছিল থিয়েটারেও। বিশেষ করে, গুজরাট লোককথার গরীবের রাজা রবিন হুড ধরণের ব্যক্তিত্ব জোগিদাস খুমানের চরিত্রে বেশ কয়েকবার অভিনয় করেছেন। বিতর্ক আর থিয়েটারের অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ ভালোই প্রয়োগ করেছেন মোদি।
.
জন্ম উনিশশো পঞ্চাশ সালে গুজরাটে। স্কুলে থাকা অবস্থায় ভাদনগর ট্রেন স্টেশনে বাবার চায়ের দোকানে সাহায্য করতেন। আঠারো বছর বয়সে বিয়ে করেন যশোদাবেন চিমনলালকে। অল্প সময়ই একসাথে কাটিয়েছেন দুজন। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন নিশ্চুপ থাকলেও, বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন চলতি নির্বাচনের সময়।
|
![]() |
.
যৌনকর্মীরা সমাজকে পবিত্র করে : জয় শিখা
.
পুরুষ মানুষ যখন যৌন উত্তেজনায় দিশেহারা হয়ে পড়ে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তখন তারা যৌনকর্মীদের কাছে গিয়ে পবিত্র
হয়ে আসে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সামনেই এভাবে নিজের মতামত তুলে ধরেন যৌনকর্মী ফোরামের সভানেত্রী জয় শিখা।
.
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া পর্যালোচনা শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় মতামত প্রদান করতে গিয়ে যৌনকর্মীদের পক্ষে এভাবেই তার অভিমত তুলে ধরেন তিনি। জয় শিখা বলেন, যৌন পেশাকে সন্মান দিতে হবে। কারণ যৌনকর্মীরা সমাজকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করে। সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করেন।
.
তিনি আরো বলেন, যৌনকর্মীরা আছে বলেই সমাজ আজও পবিত্র আছে। যৌন পেশাকে যথাযথ সন্মান দিয়ে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে এ নেত্রী আরো বলেন, যৌন পেশা আদিকাল থেকে চলে আসছে। তাই একে অস্বীকার বা প্রতিরোধ করার মধ্যে কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না।
|
![]() |
জীবনে এমন কাউকে খুঁজে বের করুন যে আপনার প্রতি তার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে ভয় পায় না। যে জানে যে আপনি সর্বাঙ্গীন সুন্দর নয় কিন্তু আপনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ ভাবে এবং সেভাবেই ব্যবহার করে।
|
![]() |
Uganda politicians celebrate passing of anti-gay laws
.
David Bahati, the MP who introduced the bill, added: "This is a victory for the family of Uganda, a victory for the future of our children…"
.
Uganda's president has signed a controversial law allowing those convicted of homosexuality to be imprisoned for life, defying international disapproval from western donor nations.
.
"No study has shown you can be homosexual by nature. That's why I have agreed to sign the bill," Museveni said in a speech at the presidential palace near the capital, Kampala.
|
![]() |
দেশের উচ্চ আদালতে বাংলা পরবাসী! ! : ডক্টর তুহিন মালিক
.
বাংলাদেশের সংবিধানের সবচেয়ে ছোট অনুচ্ছেদটি হচ্ছে অনুচ্ছেদ ৩. তিনটি মাত্র শব্দের সমন্বয়ে এই অনুচ্ছেদটি গঠিত। যেখানে বলা হয়েছে_ 'প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা'. কিন্তু তা হলে হবে কি, আমাদের উচ্চ আদালতে একচ্ছত্র শাসন চলছে ইংরেজিরই। অথচ যে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি লাভ করেছে, মহান ভাষা আন্দোলনের. সেই দেশের উচ্চ আদালতে আজও স্বীকৃতি পায়নি বাংলা ভাষা।
যেখানে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা বলে সংবিধান স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েও সংবিধানের বাইরে থাকবে কেন? তাহলে সুপ্রিমকোর্টর্ রাষ্ট্রের বাইরে, না রাষ্ট্রের ভেতরে? দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ বা সংসদ বাংলায় চললে বিচার বিভাগের উচ্চ আদালতে বাংলা থাকতে অসুবিধা কোথায়?
.
যেখানে আমরা রাষ্ট্রের গণ্ডি ছেড়ে বহু দূরে গিয়ে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার দাবি জানাই, অথচ নিজ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বাংলা চালুর হিম্মত দেখাতে পারি না!
.
আশ্চর্য যে জাতি ভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলেছে সেই দেশের উচ্চ আদালতে বাংলা পরবাসী!
|
![]() |
ছেলে মানুষরা যাই বলে আর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই যুগের মেয়েরা তাদের নারী অধিকার , নারী স্বাধীনতা জাহির করতে ব্যস্ত থাকে । অথচ আমাদের চার পাশের বাবা মা , চাচা চাচি , বোন দুলাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে একটা ব্যাপার লক্ষনীয় যে ," যে স্ত্রী যতবেশি আজ্ঞাপালন করে , সে তত বেশি তার সংসাতে আজ্ঞাদানের ক্ষমতা লাভ করে " । এই ভাবেই একটা সুন্দর সংসার গড়ে উঠে , সমাজ গড়ে উঠে । যে সব নারীবাদীরা পুরুষের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় খবর নিলে দেখা যাবে তাদের নিজেদের সংসার বলে কিছু নেই । তারা লেজ কাটা শিয়ালের মত অন্য নারীদের তাদের কাতারে আনতে চায়। গল্পের অন্য শিয়ালরা সেই ফাঁদে পা না দিলেও বর্তমানে নারীরা অনায়াসে পা বাড়িয়ে দিয়েছে । একটা কথা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই ," নারী পুরুষ সমান না , বরং একজন অন্যের পরিপূরক "। কিছু বিষয়ে নারীর স্থান উপরে , কিছু বিষয়ে পুরুষ উপরে ।
|
![]() |
রাজনীতি আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে , অতএব আপনি আপনার রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করুন । - "গণসংহতি আন্দোলন"
|
![]() |
.
...সম্প্রতি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে উৎপাদিত চালে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ ক্যাডমিয়াম উচ্চমাত্রায় পাওয়া গেছে যা স্বাস্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির(এসিএস) এক গবেষণায় বিশ্বের ১২ টি দেশের উৎপাদিত চালে উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম সনাক্ত হয়েছে। ভয়ংকর হলেও সত্যি যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে।
|
![]() |
দিল্লীর নির্দেশেই ইনকিলাব অফিসে হামলা’
.
দিল্লীর নির্দেশেই ইনকিলাবে হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
.
আজ দৈনিক ইনকিলাব অফিসে পুলিশি তল্লাশি ও গ্রেফতারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
.
শফিউল আলম প্রধান বলেন, দেশের নিয়ন্ত্রক এখন আর হাসিনা নয়, দেশ চলে দিল্লীর ইশারায়। তাই দিল্লীর ষড়যন্ত্র ফাঁসের কারনে দিল্লীর নির্দেশেই ইনকিলাব অফিসে তল্লাশি ও গ্রেফতারা চালানো হয়েছে।
.
তিনি বলেন, শেখ মুজিব ৪টি গৃহপালিত পত্রিকা ব্যতীত সকল পত্র-পত্রিকা বন্ধ করেও বাকশাল টিকিয়ে রাখতে পারে নাই, হাসিনাও পারবে না। ইনকিলাব অফিসে আজকের হামলা নতুন কোন ঘটনা নয় বরং বাকশালের ধারাবাহিকতা মাত্র।
.
জাগপার পক্ষ থেকে মিডিয়ার উপর এই জগন্যতম হস্থক্ষেপ ও অধিকার হরনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শফিউল আলম প্রধান।
.
উল্লেখ্য, ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি সংবাদের জের ধরেই এ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রকাশিত সে সংবাদে সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
|
![]() |
.
খুব সম্ভবত বাংলেদশ ই বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে, ছাত্র মারা গেলে মেধাবী হয়ে যায়।
.
নেতা মারা যাবার পর তার সুন্দর গুনগুলো জনগনের সামনে আসে, নেতা মহান হয়ে যায়|
.
কবি মারা যাবার পর তার কাব্য বহুল চর্চিত হয় (জীবনানন্দ দাশখুব সম্ভবত বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ,যেখানে ছাত্র অপকর্ম করে জেলে গেলে রাজপথের সংগ্রামী নেতা হয়ে যায়| যেখানে কথার মারপ্যাচে কালো টাকা সাদা আর সাদা টাকা কালো হয়ে যায়।
.
খুব সম্ভবত বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেই দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৯৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি বা তার কম হয়
.
আমরা সব সম্ভবের দেশে বাস করি |
|
![]() |
তাসলিমা নাসরিনের কিছু অশ্লীল ইচ্ছা-
.
১. "ছেলেরা যদি দাঁড়িয়ে হিসু করতে পারে তাহলে মেয়েরা কেন পারবে না?"
→ আপনি দাঁড়িয়েই হিসু কইরেন তবে গা দিয়ে যদি গন্ধ বের হয় তাহলে পাবলিক প্লেচে যাওয়া আপনার জন্য নিষিদ্ধ।
.
২. "ছেলেরা যদি এক সাথে কয়েকটা (৪ টা স্ত্রী বিয়ে করে সংসার করতে পারে তাহলে মেয়েরা একাধিক বিয়ে করতে পারবে না কেন"
→ জ্বি আপনিও একাধিক বিয়ে করতে পারেন তবে বাংলাদেশে নয় আফ্রিকার উপজাতিদের কাছে যান।
.
৩. "ছেলেরা যদি বাইরে থেকে এসে বেলকুনিতে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে গায়ে হাওয়া লাগাতে পারে তাহলে মেয়েরা কেন তা পারবে না"
→ আপনি শুধু বেলকুনিতে কেন খালি গায়ে থাকবেন প্রয়োজনে সবসময় উলঙ্গ হয়েই থাকুন, তবে আপনি আমেরিকার যে কোন সমুদ্র সৈকতে যান।
.
৪. “ছেলেরা যদি প্রকাশ্য ধুমপান করতে পারে তবে মেয়েরা কেন পারবে না?”
→ আপনিও ধুমপান করুন, তবে ধোঁয়া যেন ভেতরের দিকেই যায় বাইরে না আসে।
.
তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস “দুঃসহবাস” যা অতি শিগ্রই ভারতের আকাশ-৮ চ্যানেলে প্রচারিত হতে চলেছে।
|
![]() |
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে ৬ একর কৃষিজমি রয়েছে, যার আনুমানিক দাম ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এখান থেকে তিনি বছরে ৭৫ হাজার টাকা পান।
.
১ একর=১০০ শতাংশ
৬ একর=৬০০ শতাংশ
তাহলে, ৬,৭৮,০০০/৬০০= ১১৩০ টাকা/শতাংশ
.
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শ্রদ্ধায় আমার মাথা নুয়েই গেল !!
.
একটা অনুরোধ, আমি টিউশনি করে মাসে ১২০০০টাকা পাই, আমার খুব শখ নিজ টাকায় জমি কেনা। আমি প্রতি কাঠা ২০০০টাকা করে দিবো, আমার কাছে ১০ শতাংশ জায়গা বিক্রি করবেন কি? প্লিজ
.
বিঃ দ্রঃ বাংলাদেশের কোন জায়গায় প্রতি শতাংশ জায়গার দাম মাত্র ১১৩০ টাকা ??? জানতে মন চায়।
|
![]() |
দুই নারী, দুটি ধর্ষণ এবং দুটি দল
.
ক্ষমতাকেন্দ্র রাজধানীতে বসে দুই নারী যুদ্ধ করছেন; জনগণের হাত-পা বাঁধা। যশোরে মা ও মেয়ে একত্রে ধর্ষিত হয়েছেন, বাবা-ভাই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তা সহ্যকরেছেন। আত্মরক্ষার কোনো সহায় তাঁদের ছিল না। যদি সিনেমার মতো সমান্তরালে জাতীয় ও পারিবারিক দুটি কাহিনি দেখি, তাহলে হয়তো ঘটনা দুটিকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে হবে না।
.
দুই দিকে দুটি আয়োজন চলছিল। জাতিসংঘের দূত তারানকো যখন ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক চালাচ্ছিলেন, তখন যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ১০ জন পুরুষ একজোট হচ্ছিল। রাতের ঢাকায় যখন দিনের শেষ ককটেলটি ফুটছিল, তখন যশোরের একটি বাড়ির দরজা ভাঙা হচ্ছিল। দুই নেত্রী এবং তাঁদের নায়েব-উজির-সিপাহসালাররা যখন ঘুমের আয়োজন করছেন, তখন হাত-পা বাঁধা হচ্ছিল মায়ের স্বামী-পুত্রের এবং বোনের বাবা-ভাইয়ের। বিটিভিতে তখন আমাদের বিষণ্ন সুন্দর জাতীয় সংগীতের শেষ চরণটি বাজছিল, ‘ওমা তোর বদনখানি মলিন হলে, আমি নয়নজলে ভাসি’, তখন মাতৃজাতির মেয়েটিকে মায়ের ঘরে আর মাকে উঠানে রাখা চৌকিতে চরম নির্যাতন করা হচ্ছিল। যখন টক শোয়ে মাতোয়ারা হচ্ছিলেন আলোচক ও দর্শক, তখন বাবা-ভাই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দর্শক হচ্ছিলেন নিজেরই স্ত্রী-কন্যা, মা-বোনের ধর্ষণযজ্ঞের।
.
যা দেখার নয়, যা সহ্য করার নয় তা যখন দেখতে ও সইতে হচ্ছিল তাঁদের, তখন দেশবাসীও যা দেখার কথা ছিল না, তেমন রাজনীতির অসহায় দর্শক হয়ে থাকছিলেন। আমরা সবাই যেন ভয়াবহ নির্যাতনের সাক্ষী শুধু নই, আমরা নিজেরাও এর শিকার। নিজ গৃহে নিজেরই কন্যা-জায়া-জননীর ওপর পাশবিক নির্যাতন যতটা মর্মান্তিক; জনপ্রিয় দুই নেত্রীর দেশবাসীর এই দুর্ভোগ চেয়েচেয়েদেখা ততই দুঃখজনক। যে দেশের নেতা-নেত্রীরা এ রকম দায়িত্বহীন, সেই দেশের ভয়ার্ত গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙে ধর্ষিতা আর তাঁদের স্বজনের আর্তনাদে। সেই অক্ষম আর্তনাদে কেঁপে ওঠেনি বঙ্গভবন, কালো হয়ে যায়নি শুভ্র সংসদ ভবন, লজ্জিত হয়নি জাতীয় পতাকা, থমকে যায়নি রাজনীতির ইয়াজুজ-মাজুজেরা। কেবল শহীদ মিনারই অধোবদন।
.
সারা দেশে যা হচ্ছে, যশোরের মনিরামপুরে সেটাই হচ্ছে। তবে তার থেকে কিছু বেশি। সেখানে সাংবাদিকও যেতে পারেন না, সড়কে গাছের গুঁড়ির বাধা যদিওবা পেরোতে পারেন, পিকেটারদের আগুনে মোটরসাইকেল পোড়ানো ঠেকাবেন কীভাবে? পুলিশও সেখানে যেতে ভয় পায়। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত, বিচার—সব তাই থমকে থাকবে। জাতীয় সমস্যার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ব্যস্ত থাকবে বিরোধী ঠেকাতে, কিন্তু সাধারণ মানুষ কি ততক্ষণ নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকবে? এই পরিস্থিতিই তো সুবর্ণ সুযোগ দুর্বৃত্ত ও দস্যুদের।
.
সংবাদটি গণমাধ্যমে সামান্য গুরুত্বই পেয়েছে। অথচ এটাই হতে পারত আজকের জাতীয় পরিস্থিতির শিরোনাম, প্রধান সংবাদ। যদি হতো, তাহলে হয়তো অনেকেরই অনুভূতিতে কাঁপন ধরত। অনেকেই ক্রোধে ফেটে পড়তেন। কিন্তু তা হয়নি। এ রকম অরাজনৈতিক ‘মানবিক কাহিনি’র দাম এখন কম। এখন এরশাদ কাহিনি, সুজাতা-তারানকো কাহিনি, হাসিনা-খালেদা কাহিনির রমরমা। দুই দল ক্ষমতার পাঞ্জা লড়ছে। এ অবস্থায় মা ও মেয়ের ধর্ষণ তো অরাজনৈতিক ‘হিউম্যান স্টোরি’, নিতান্তই একটি গরিব পরিবারের পারসোনাল ট্র্যাজেডি।
.
ওই ১০ ধর্ষকের যে ছয়জন মাকে নিপীড়ন করেছিল, আর যে চারজন কন্যাকে চরম সহিংসতার শিকার করছিল, তারা সংসদে সংখ্যাগুরু আর সংখ্যালঘু দলের প্রতিনিধি কি না, আমরা জানি না। তবে এটা বলতে পারি, তারা প্রথম ধর্ষণটি ঘটায় দেশের প্রতীক মায়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় ধর্ষণটি ঘটে কন্যাটির ওপর, যে হতে চাইছিল ভবিষ্যৎ। এই বাস্তবতায় দুই নারী যেন আমাদের দেশ ও ভবিষ্যতেরই প্রতীক।
.
ফারুক ওয়াসিফ: সাংবাদিক ও লেখক।
bagharu@gmail.com
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.