|
![]() |
তুমি ভাবছো আমি বেঠিক, কারন আমি নারী!
তুমিই সঠিক কোন ফর্মুলায়, জানতে কি তা পারি?
তোমার ভাষায়, চিন্তা আমি গ্রন্থি দিয়ে করি।
আমি ভাবছি সত্য কেন, লিঙ্গকে দেয় আড়ি!
পাপ-পূণ্য পৃথিবীর দুই সন্তান ছিল ভারী,
ভুলছো কেন, তুমিও কিন্তু একই গ্রন্থিধারী!
"গ্রন্থি "(gland)
-রুমী আহমেদ
|
![]() |
প্রিয়তমা
স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন রেল মুন্ত্রি হপো
বুড়া বয়সে তোমাকে দ্বিতিয় নিকাহ করিপো
কিন্তু তুমি যদি এখনই তোমার বালুবাশা দেউ
তাহলে প্রথম নিকাহটাও তুমাকেই করিপো
.
প্রিয়তমা
স্বপ্নদেখি আমিও একদিন ছিঃনেমার নায়ক হপো
জলিল বাই এর মত অসম্ভবকে সম্ভব করপো
কিন্তু তুমি যদি এখনই তোমার বালুবাশা দেউ
তাহলে তুমাকেই তখন নাইয়াকর জন্য রাখিপো
.
প্রিয়তমা
স্বপ্নদেখি আমিও একদিন এস্ট্রোনট হপো
বঙবন্ধু চ্যাটেলাইটে চরে চান্দে যাপো
কিন্তু তুমি যদি এখনই তুমার বালুবাশা দেউ
তাহলে তুমার জন্যও একটা অগ্রিম সিট বুকিং দেপো
.
প্রিয়তমা
স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন বিএনপি তেনা হপো
প্রত্যেক ঈদের পরে একটি করে আন্দুলুনের ডাক দেপো
কিন্তু তুমি যদি এখনই তুমার বালুবাশা না দেউ
তাহলে প্রত্যেক ঈদের পরেই তুমার জন্য আন্দোলন স্থাগিত করপো
.
প্রিয়তমা
স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন টকশো বুদ্ধিজিবি হপো
টিভিতে গিয়া বাল ফেইলা আটি বাইন্ধা তালগাছে মাথায় উঠাপো
কিন্তু তুমি যদি এখনই তুমার বালুবাশা দেউ
তাহলে প্রতিটা টকশোতে শুধু তুমাকে নিয়েই আলুচুনা করপো
প্রিয়তমা
স্বপ্ন দেখি আমিও একদিন সাকিব আল হাসান হপো
এক ম্যাচে ২০ টা উইকেট নেপো আর ২ টা চেঞ্চুরি করপো
কিন্তু তুমি যদি এখনই তুমার বালুবাশা দেউ
তাহলে সবগুলা উইকেট আর চেঞ্চুরি তুমাকেই উৎসর্গ করপো
|
![]() |
রাজাকারকে কোলে নিয়ে দেশপ্রেম হয়না
স্বৈরাচারকে কোলে নিয়ে গণতন্ত্র হয়না।
আদর্শহীন ক্ষমতা, সাথে নাই জনতা, কবে হবে সমতা?
|
![]() |
আমি চামচা
।
চাকরীটা আমি পেয়েছি বিএনপির ছোঁয়ায় ,
প্রমোশনটা হয়েছে আমার জামাতের দোয়ায় ,
আওয়ামিলীগ হয়ে হয়েছি এমপি ,
করেছি ক্ষমতার দোহায়,
আমি চামচা, আমি আছি বেশ ভালো,
সবার দোয়ায়।
|
![]() |
.
ক্ষুধা --
------ রেজিনা ইসলাম
যুবতীটি রাস্তার পাশে
ডাস্টবিন ঘেঁষে বসে আছে ,
নির্নিমেষ চাহনিতে অভিমানী অভিলাষ
অধ্যুষিত ক্ষীণ দেহে যৌবনের খরস্রোত।
মতিচূরের মত শ্যামবর্ণ গ্রীবায়
মন্দিরার বিচ্ছুরণ ,
ওর ক্ষুধার্থ দৃষ্টি ডাস্টবিনের পতিত
নোংরা , এলোমেলো খাবারের উপর ।
.
যুবকটি , যুবতীটিকে দেখে থমকে দাঁড়ায়
থরোথরো নিঃশ্বসন বইছে
প্রবৃত্তি প্রলয় ওর মনে ,
দেহ জুড়ে কই মাছের উল্লম্ফন ,
তৃষ্ণার্ত অনলে কামনার বুনন
লোলুপ ক্ষুধার্ত দৃষ্টি
যুবতীটির নিটোল যৌবনের উপর।
|
![]() |
আমি নব্য দেশ প্রেমিক।
.
সন্ধ্যা নেমে এলে তেতু পানি গিলে,
করি আমি জল চিকিৎসা।
ভন্ড হৃদয়টাকে সাধুর মুখুসে ঢেকে
প্রকাশ্য দিবালোকে আসা।
.
সত্যের ভক্ত নরমের জম আমি
আমার মতহীন কেউ নাই।
যে করে হৌক অন্ততো এই জীবনে
একবার এম,পি হতে চাই।
.
টাকা আর নারী যদি আমার সাথে থাকে
মরে শালা মরুক পাবলিক,
আমি নব্য দেশ প্রেমিক।
|
![]() |
কেউ বলিনি আড়ি
খুব সহজেই বলা যেত
আঙ্গুলে দাও আড়ি-
তোমার সাথে খেলতে আমার
বয়েই গেছে ভারি!
.
খুব সহজেই ভোলা যেত
মতের অমিল দ্বন্দ্ব
আড়িভাঙার অপরাধে
কেউ বলেনি মন্দ।
.
খুব সহজেই ঘোরা যেত
এঁদো-পুকুর পাড়ে
খোঁজা যেত পাখির বাসা
গুল্ম-লতার ঝাড়ে।
.
খুব সহজেই ছোঁয়া যেত
খেলতে কানামাছি
কেউ দেখেনি বাঁকা চোখে
বসলে কাছাকাছি।
.
কখন যেন সেদিনগুলি
কোথায় দিল পাড়ি;
কে যে গেলাম কোন জগতে
কেউ বলিনি আড়ি।
|
![]() |
সদ্য স্নাত আমি..
চুল মুছিনা দেখবো বলে তোমার পাগলামি
আসো তবে সেই নদীতে আবার একটু নামি !
|
![]() |
কোন সন্দেহ নেই
নেই কোন পরীক্ষা
সবকিছু পরিষ্কার
স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ
বাস্তবতার জন্য যতটা খোলামেলা দরকার
ঠিক ততটাই মাত্রা অতিক্রম করেনি আর
পরিক্ষীত প্রস্থচ্ছেদ করে সংযত
এই আমি দাসত্বের হাতকড়ায়
পরে নিয়েছি নিবিড় দাসত্ব .................
|
![]() |
ঘর সংসার, পরিবার ও পরিজন
সন্তান-সন্তুতি এবং রান্না আর যত কান্না;
সকল বাঁধনে নারীকে বেঁধে রেখে
তুমি পূরুষ হয়েছ বাঁধাহীন, স্বাধীন -
সেই তুমি নারীকেই শুধু
অধীনতায় বাঁধিছ কেন অন্তহীন !
|
![]() |
বিস্ময়ের আর্তনাদ
---------------------------
পৃথিবীর কোন এক গৃহকোণে-
নিরালায় বসি
ভাবি আনমনে।
.
প্রতিক্ষণে, গ্রহ হতে গ্রহান্তরে -
কিই বা ঘটিছে জনে জনে ?
কিসের অহংকার আমার ?
এক সেকেন্ডের
হিসাব মিলাতে দেখি -
অংকের পাতায় -
যোগ বিয়োগ গুন ভাগ
সবই ফাঁকি আর ইনফিনিটি ।
.
মহা বিস্ময় তুমি ।
এক বিস্ময়ের আর্তনাদ
জাগাও আমার প্রানে ।।
|
![]() |
বাড়ছে বয়স কমছে দৃস্টি
পা টলমল,
স্বাধীনতার স্বাদ টুকু আর
কবে পাব বল ?
|
![]() |
.
বাঁধনের জুতো
...................লুৎফর রহমান রিটন
===================
কোথায় ছাত্রলীগ? ডানে নাই বামে নাই
গোলামকে প্রতিহতে একজনও নামে নাই!!
.
সোনার ছেলেরা সব টেন্ডারে ব্যস্ত?
টংকায় যাবতীয় মনোযোগ ন্যাস্ত?
নেতাদের তাবেদারী দিন নাই রাত নাই
বাঁধনকে দ্যাখ্ দ্যাখ্--যার এক হাত নাই
.
একহাতি ছেলেটাই প্রতিরোধে দাঁড়ালো!
ঘৃণা-ক্রোধে জ্বলে উঠে জুতোটাই বাড়ালো!
একপাটি জুতো তাঁর ছুঁড়ে দিলো কফিনে
তোরা বীর পুঙ্গব ক্ষমতার কফি নে...
.
তোদের তো সবই আছে, হাত-পাও-ক্ষমতা
বাঁধনের আছে শুধু দেশপ্রেম, মমতা।
বাঁধনের একপাটি জুতো গেছে হারিয়ে!?
হারায় নি।আছে সেটা ইতিহাসে দাঁড়িয়ে...
.
ইতিহাস
বাঁধনকে জানি ভালোবাসবে
এই জুতো বারবার ফিরে ফিরে আসবে।
|
![]() |
হুশিয়ার, বীর বাঙ্গালী হুশিয়ার
---------------- লিয়াকত আলী
.
হুশিয়ার, বীর বাঙ্গালী হুশিয়ার
আবারও কাল নাগিনীরা কালো পতাকা হাতে,
সুযোগ বুঝে সুযোগ পেয়ে, ধর্মকে ব্যবহার করে
ধর্ম আবমাননার দোহাই দিয়ে আসিতেছে ছুটে।
.
ওরা একাত্তুরে হানাদারের দোসর সহযোগী
খুনী ধর্ষনকারী লুন্টনকারী অগ্নিসংযোগকারী
আলবদর আল শামস রাজাকারের বংশধর
চিন্তা চেতনা ভাবনা অন্তরে সেই পুরনো বর্বর।
.
ওদেরই ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজন সুভিধাভোগী জ্ঞ্যাতি
বাংলায় জন্ম নিয়ে স্বীকার করে না, ওরা বাঙ্গালী জাতি।
ওরা একত্র হয়েছে,ওরা জোট বেঁধেছে আবার
রাজাকার বাপ দাদার পরাজয়ের বদলা নেবার।
.
বাংলায় খেয়ে দেয়ে ফেঁপে ফুলে উঠছে বেড়ে
প্রতিহিংসার ক্রোধ, ওরা বহন করে বেড়াচ্ছে বুকে
সুযোগে দিকে দিকে চালাবে তাণ্ডব বাংলার বুকে
সোনার বাংলায় বাঙ্গালীদের থাকতে দেবে না সুখে।
.
রচনা: লিয়াকত আলী
তারিখ: ১৩ অক্টোবর, ২০১৪ইং
নিউ ইয়র্ক।
|
![]() |
রাজনীতি নিয়ে বেসারতি
--------------------- লিয়াকত আলী
.
রাজনীতি নিয়ে কারবার, রাজনীতি নিয়ে বেসারতি
দুর্নীতির টাকা নেতানেত্রীদের পকেটে আঁচলের গিটে
পুরে দিয়ে, ভরে দিয়ে, বনে গেছিস মৌসুমী নেতা
হয়ে গেছি, এমপি মন্ত্রী, নীতি নির্ধারক মেকি গনদেবতা
কুত্তার বাচ্চা পাপের সন্তান, হারামজাদা পাপিষ্ট,
রাজনীতি, সৎ রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দে
পালা তুই পালা, ছাড় পবিত্র রাজনীতির অঙ্গন।
.
হারামের খাবার খেয়ে ভুঁড়িতে চর্বি জমিয়ে,
গালের মাংস বাড়িয়ে হয়ে গেছিস জব্বর নেতা
হালার পুত হালা চোর, তুই ডাকাত তুই লুটেরা
কোন অবস্থায় ছাড় পাবি না, হবে তোরে ধরা।
.
জনতার সম্পদ ছলে বলে কূট কৌশলে চুরি করে
লুটেপুটে নিয়েছিস পকেটে, তোর ঘরে, তোর ব্যাঙ্কে
তোর কুকর্মের ফিরিস্তি, তোর সকল বদমাইশী
জেনে গেছে জনতা, বুজে গেছে পুরো দেশ,
মহা সুখে রাজপুত্রের বেশে, ছিলি তো বেটা বেশ।
.
বেড়েছে সচেতনা, জেগেছ নতুন প্রজন্ম, জেগেছে মানুষ
এই বার জনতার লাত্থিতে লাত্থিতে সাঙ্গ হবে তোর খেলা
তোর বিতাড়নে দুর হবে দুঃখ, আসবে সুখ, আসবে শান্তি,
গ্রামে শহরে বন্দরে বন্দরে বসবে উৎসবের মেলা।
|
![]() |
ইচ্ছে করে
---------------লিয়াকত আলী
.
আমার বুকের ভিতর প্রচন্ড ক্ষোভ,
নিদারুণ দুঃখ তীব্র ব্যথা বেদনা যাতনা,
ইচ্ছে করে, প্রচণ্ড ইচ্ছে করে
মুক্তিযুদ্ধ শেষে জমা দেয়া
আমার সেই থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলটা
আবার ছিনিয়ে নিয়ে উর্ধশ্বাঃসে ছুটি।
.
আমার বোনের সম্ভ্রম, ভাইয়ের আত্মদান
ত্রিশ লক্ষ শহীদের অকাতরে জীবন দান
ছিনিয়ে আনা আমার প্রিয় স্বাধীনতাকে,
রাজনীতির নামে লুটেপুটে চেটে খাচ্ছে
এক দল নরপশু শুকনী হায়েনা নরকের কীট
ইচ্ছে করে ঘরে ঘরে গিয়ে ওদের খুঁজে খুঁজে ধরি!
.
অতীষ্ট মানুষ অতীষ্ঠ সমাজ, অতীষ্ঠ পুরো দেশ
শাসনের নামে শোষন অত্যাচার অবিচার
গ্রাম থেকে শহর সবখানে সর্বত্র ব্যভীচার
চুরি চামারী, ঘুষ দুর্নীতি, জবর দখল লুটপাট
ধর্মশালা শিক্ষালয় আদালত সবই লোপাট
নির্ভয়ে মহা উল্লাসে বানাচ্ছে শ্মশান।
.
পৌঢ়ত্বে সীমানায় দাঁড়িয়ে শপথে আবার আমি বলীয়ান
বিকট চিৎকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে দিতে চাই আত্মদান
ভেঙ্গেচুরে টুকরো টুকরো গুড়ো করে ভাওতাবাজী
নেতৃত্ব, উত্তরাধিকারের অসম সমীকরনের সমাধান।
.
ইচ্ছে করে গর্জে উঠে, পাপিষ্ট পাপের বাচ্চাদের বুকে
চালাই হাজার নিযুত বুলেট, ঝাঁঝরা করি মহা সূখে।
আনন্দ অশ্রুজলে শুকুনীদের অপবিত্র লাশের উপর
উল্লাসে নাচতে থাকি সকাল বিকাল দুপুর।
.
তারপর প্রান জুড়িয়ে দু'হাত কপালে ঠেকিয়ে বলি
“ও আমার দেশের মাটি তোমার’পরে ঠেকাই মাথা
ও মা তোমার’পরে ঠেকাই মাথা।“
.
রচনা: লিয়াকত আলী
তারিখ: ২২শে জুন, ২০১২ইং
নিউ ইয়র্ক
|
![]() |
তোমাদের ধারাপাত কেবলই ভুল,
চেতনবলী গোলকধাঁধাঁয় আবর্তিত,
পাখিগুলো পর্যায়ক্রমে অভিন্ন ডাকডাকিতে ব্যস্ত,
বাতাস একঘেয়ে পথে দীর্ঘশ্বাস ফেলে যায়,
প্রতিভোরে একই সূর্য, এক ভাবে আলো দেয়
.
তোমরা স্বাপ্নিক নও, যান্ত্রিক হচ্ছ ক্রমাগত,
তোমাদের ভালবাসা কেবল জৈবিকতা,
ফুলেরা একভাবে সম্পূর্ণ ফুটে থাকে,
রঙে তাদের অস্বাভাবিক পৌনঃপুনিকতা
.
তোমাদের শহরে আজব সৃষ্টিছাড়া কিছু জীব এসেছে,
তাদের ছোঁয়ায় সব হয়ে গেছে মেকী আর অসুন্দর,
তারা ধারাপাতকে করে তুলেছে গম্ভীর,
চেতনাকে করেছে যান্ত্রিক, কুটিল আর পঙ্গু
.
দম্পতিদের শোবার ঘরে বাতাসদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ,
কড়িতে কেনা পাখিগুলো ডেকে চলে, কখনও বেলকনিতে, কখনও দরজায়,
ঘরের ভেতর আলো জ্বলে,লাল,নীল,হলুদ ... অদ্ভুত ...
সিনথেটিক ফুলে কৃত্রিম সুবাসের অসংযত আনাগোনা,রঙগুলো পারমুটেশন
.
ভালবাসা চলে গেছে মন থেকে দেহে,
হৃদয়ানুভূতির বদলে রাজত্ব গেড়েছে জৈবিকতা,
কোন স্বপ্ন নেই পৃথিবীতে,
সব সুখ চলে গেছে তেপান্তরে
.
নগরায়ন,তুমি পারনা,কিছুই পারনা
|
![]() |
.
শেষ লড়াইয়ে শেষ বিজয় হবে মেহনতী জনতার
-------------------------লিয়াকত আলী
.
সভ্যতার ইতিহাস শোষকের সাথে শোষিতের লড়াই
যুগে যুগে কালে কালে চলমান, সচল, বহমান, চিরন্তন
আবারও হবে এই লড়াই, এই ভূখন্ডে, সাথে এসো ভাই।
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান আসলে নাই কোন ব্যবধান
নাই কোন ভেদাভেদ সকলের রক্ত লাল, সকলেই সমান।
.
বিবেদ বিভক্তি শাসন শোষনের কৌশলী হাতিয়ার...
মানি না শোষক সৃষ্ট, কলহ সৃষ্টির কোন জাতপাত
সারা পৃথিবী জুড়ে আছে চলমান মাত্র দু’টি জাত
শোষিত বঞ্চিত মজলুম, অপর দিকে শোষক লুটেরা বজ্জাত।
.
উঠাও হাতিয়ার, শক্তি বাহুবল আছে যার, এই বিশ্ব তার,
লড়াই হবে বন্ধু, হিস্যা রক্ষার লড়াই হবে আবার
লড়াইয়েই শেষ মীমাংসাই হবে, এই বিশ্ব কার।
গৌবরে সৌরভে দাপটে জোর করে ছিনিয়ে নিতে হবে,
আমার হিস্যা, আমার পাওনা, আমার জন্মের অধিকার
হয় বাঁচব না হয় মরব, এক রত্তিও ছাড় দেব না আর।
.
লড়াই হবে বন্ধু লড়াই হবে, এসো হাতে হাত ধরে সন্মূখে আগাই
প্রতিশোধের দানাবল ছড়িযে, অধিকার আদায়ে শপথে আত্মাকে জাগাই
রাজপ্রাসাদ পায়ে দলে মাড়িয়ে দেব, ভেঙ্গে চুরে খান খান করে দেব
শাষক শোষক অত্যাচারী লুন্টনকারীর মস্তক ছিন্ন করে বদলা নেব।
.
আমি নিশ্চিত বন্ধু, হাজার বছরের শপথ নিয়ে আমি নিশ্চিত
উল্লাসে নেচে নেচে, চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা কাঁপিয়ে পৃথিবীর ভিত
নিপীড়িত নির্যাতিত শোষিত লাঞ্চিত বঞ্চিত মানুষের অহংকার
শেষ লড়াইয়ে শেষ বিজয় হবে মেহনতী জনতার।
|
![]() |
মানুষ্যত্ব নেই
.
যখন আদিবাসীদের অধিকারের দাবি ওঠে,
তখন তোমরা বাঙালি সাজো;
.
যখন নাস্তিকহত্যার বিচারের দাবি ওঠে,
তখন তোমরা ধার্মিক সাজো;
.
যখন সাম্প্রদায়িকতার বিচারের দাবি ওঠে,
তখন তোমরা মুসলিম সাজো;
.
যখন শিয়া-কাদিয়ানিহত্যার বিচারের দাবি ওঠে,
তখন তোমরা সুন্নী সাজো;
.
যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ওঠে,
তখন তোমরা মানবতাবাদী সাজো'
.
যখন নারীদের অধিকারের দাবি ওঠে,
তখন তোমরা পুরুষ সাজো...
.
গিরগিটির মতো রং পাল্টাতে পাল্টাতে তোমাদের নিজস্ব রং নেই,
মুখোশ পরতে পরতে তোমাদের নিজস্ব কোনো চেহারা নেই,"
বিভিন্ন নাম ধারণ করতে গিয়ে মানুষ নামটিই মুছে গেছে, মানুষ্যত্ব নেই।
|
![]() |
.
শেষ বয়সে চলবে জোরে
চুন্নু সাবের গাড়ি,
বাজবে সানাই ঢোল-বাদ্য
সাজবে আলোয় বাড়ি।
থাকবে না আর চির কুমার
করবে এবার বিয়ে,
চিন্তাতে তার ফুলেল বাসর
যৌবতী বউ নিয়ে।
.
স্বপ্ন মাঝে হঠাৎ করেই
পড়লো মাথায় বাজ,
এই বয়সে কেমনে হবে
বাসর রাতের কাজ।
কি করি হায়, কি করি হায়!
সমাধান তার চাই,
অনেক ভেবে ঠিক করলেন
কাকুর কাছেই যাই।
.
এরশাদ কাকু নারী পটান
বাঁধ মানে না বয়স,
তার কাছেতে পাবেন তিনি
বিয়ে করার সাহস।
কাকুর কাছে বলেন তিনি
মনের কথন শেষে,
শুনে সেসব এরশাদ কাকু
দেন সমাধান হেসে।
.
বলেন কাকু- এই বয়সেও
দেখেন আমার ঝাল,
চিন্তা কেন? আজ চলে যান
কলকাতা হারবাল।
.
ওষুধ খেয়ে ভাবেন তিনি
থাকবে না আর দুখ,
বউকে নিয়ে চির জীবন
পাবেন অসীম সুখ।
খোদাই জানে সামনে কেমন
কাটবে যে দিন তার,
শেষ জীবনে কাটুক তাদের
সুখেরই সংসার।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.