|
![]() |
.
·
ফুট ওভার পাস ব্যবহারে এখন চাপ অনেক বেড়ে গেছে, এটি পথচারীদের মধ্যে জরিমানার ভয় অথবা সচেতনতা বৃদ্ধি সে যাই হোক, রাস্তা পারাপারে পথচারীদের ফুট ওভার পাস ব্যবহার নিশ্চিত করাই মূল কথা!
.
এক্ষেত্রে নানা বয়সী পথচারী এবং ফুট ওভার পাস ব্যবহার স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য ব্যস্ততম ফুট ওভার পাসগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলন্ত সিড়ি প্রবর্তন করার জন্য আমি প্রস্তাব ও জড়ালো সুপারিশ পেশ করছি!
.
অসংখ্য বিপণি বিতান বা শপিংমলে সম্প্রতি চলন্ত সিড়ি ব্যাপক ব্যবহৃত হলে ব্যস্ততম ফুট ওভার পাস গুলোতে কেবলমাত্র পিক আওয়ারে চলন্ত সিড়ি চালু রাখা কেন সম্ভব নয়? একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চলন্ত সিড়ি চালু করার বিষয়টি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও ডিজিটাল সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি!
.
আশা করি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পদার্পণ করার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রস্তাবটি সরকার গুরুত্নসহকারে বিবেচনা করে দেখবে!
|
![]() |
বাবাদের ভালবাসা বোঝা যায়না
.
ছোটবেলায় "বাবা কেন চাকর" ছবিটি দেখেছি আমরা সবাই।বাবার চরিত্রটি রাজ্জাক অপরুপ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল।সব অপমান অবহেলা সহ্য করে সন্তানের সুখের জন্য অবলীলায় সুখী মানুষের অভিনয় করে গেছে।
.
আমাদের বাস্তব চরিত্রের বাবাগুলাও খুব ভালো অভিনেতা।চোখের সামনে দক্ষ অভিনেতার মত দিনের পরদিন অভিনয় করে যাচ্ছে।
.
অফিসের কলিগ রা যখন উইকেন্ডে পাশের কোন দামী রেস্তরাঁয় একসাথে লাঞ্চ করতে যাচ্ছে কোন এক বাবা লজ্জালজ্জা মুখ করে বলে ফেলে,"আরে গতকাল রাত থেকে প্রচুর গ্যাসফর্ম করছে,এই অবস্থায় বাইরের খাবার খাওয়া কি ঠিক হবে??আসল গ্যাসফর্ম পেটে নয় বাবার মস্তিষ্কে হচ্ছে।সকাল হলেই ছেলেটা একশ টাকা চাইবে।বাচ্চা মানুষ, কলেজে বন্ধুবান্ধব আছে।দু এক টাকা ত হাত খরচ লাগবেই।
.
এ মাসে ডাক্তার দুটো টেস্ট দিয়েছে।দু তিন বার চেকাপে যেতেও বলেছে।কিন্তু এই মাসেই ত মেয়েটার সেমিস্টার ফি দিতে হবে।ব্যাস বাবাদের আর চেকাপে যাওয়া হয়না,টেস্ট ও করানো হয়না।"আমি বুড়ো মানুষ রোগ বালাই ত লেগেই থাকবে,তাই বলে মেয়েটার পড়ালেখাটা ত বন্ধ হতে পারেনা।ওর অনেক আশা,ও অনেক বড় হবে।
.
বাবাগুলা এমনি হয়,সারাজীবন মনে মনে নিজেকে সান্তনা দিয়ে যায়।অভিজ্ঞ অভিনেতার মত অবলীলায় অভিনয় করে যায়। আবেগ অনুভুতি গুলোকে বোবা করে রাখে।
.
মেয়ের বিয়ে শেষ।শ্বশুর বাড়ি চলে যাচ্ছে একদিনের সেই ছোট্ট পরীটা।বাবার বুক ফেটে কান্না আসে।তবু চেপে যায়।মেয়ে যখন বাবাকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে চশমার ফাকে বাবার ছলছলে চোখগুলো সান্তনা দেয় নিজেকে।মেয়ে আমার খুব সুখী হবে।মেয়ে চলে যাওয়ার পর বাবার বুক টা ছ্যাত করে উঠে,খালি খালি লাগে ঘরটা তবুও গভীর রাতে দেয়ালে ঝোলানো মেয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে নিজেকে সান্তনা দেয়,"এই যে আমার মেয়ে আমার ঘরেই ত আছে।
.
বাবাদের ভালবাসা বোঝা যায়না তবে কতটা মমতা আর স্নেহ দিয়ে ঘিরে রাখছে তার সন্তান কে গভীর ভাবে বাবার চোখে তাকালে খুব ভাল করে টের পাওয়া যায়।ছেলেটার গীটারের বড় শখ।মধ্যবিত্ত বাবার বিলাসদ্রব্য কেনার সামর্থ্য নেই।তবে বাবাকে এখন আর সিগারেট এ টান দিতে দেখা যায়না,অটো তেও বাবা খুব একটা উঠেনা।আজকাল খুব ভোরেই বাসা থেকে বের হয়।হেটে হেটে আটটার মধ্যে অফিস পৌঁছায়।দিনে পাচ কাপের জায়গায় দু কাপ চা খায়।সামনের মাসেই ত ছেলেটার জন্মদিন।ছেলে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বাবা চুপ করে তার মাথার কাছে নতুন গীটার টা রেখে আসে।সকালে ঘুম থেকে উঠেই গীটার উপহার পেয়ে ছেলেটা নিশ্চই খুব খুশি হবে।সন্তানের ওই আনন্দের হাসিটা একটা বাবার সারা জীবনের সঞ্চয়।
.
বাবা গুলা এমনি হয়। ছেড়া জুতোয় বারবার সেলাই পড়ে তার,গায়ের শার্ট টার রং ধূসর হতে থাকে,হাতের ঘড়িটার এক যুগ পার হয় তবু এরা সুখি মানুষের অভিনয় করে যায় অবলীলায়।ছেলেমেয়ের সুখের জন্য নিজেকে সান্তনা দেয় জীবনভর।
.
আমার বাবাও সব বাবার মতই।নিজের অনুভুতি গুলোকে বোবা করে সারা জীবন আমাদের তিন বোনের কথা ভেবে গেলো।আমার বাবাকে কোন পুজাতেই নতুন জামা কাপড় কিনতে দেখিনি,যদি তার কাপড়ের টাকা টা দিয়ে মেয়েদের প্রসাধনীর স্বাদ টা পুরণ হয়।সারাজীবন কস্ট করল,আর নিজের মহৎ আদর্শ দিয়ে আমাদের বড় করল।
.
আজ বাবার জন্মদিন।গত কিছু বছরে বাবার সাথে একদিন ও কথা বলা হয়নি।বাবা বলে ডাকিনা বহুদিন,বাবার মুখেও আমার নাম টা শুনিনা।সম্পর্ক টায় বেশ দুরত্ব।তবে প্রতি জন্মদিনেই বলতে ইচ্ছা হয়,"শুভ জন্মদিন বাবা"কিন্তু তা আর ঠিক হয়ে উঠে না।
|
![]() |
.
সরকার বলছেন তারা দারিদ্রমোচন করবেন। নির্বাচনী ইশতেহারেও এ কথা ছিল তাদের। রাজৈনিতক বৃহত্তর দল বিএনপিও বলেছন তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দারিদ্রমোচন করেছন। আবার বর্তমান জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল দাবি করেন তাদের ৯ বছর শাসন আমলে দেশের দারিদ্রতা কমিয়েছন। জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ বলছেন তারা জনগনের জন্য এবং দুখি অসহায় মানুষের জন্য রাজনীিত করেন।
.
অপরদিকে রাষ্ট্রের আছে নারী ও শিশু মন্ত্রনালয়। শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে শিশু অধিকার নীতিমালা ও রয়েছে। এই ছবি কী বলে শিশু অধিকার কী নিশ্চিত হচ্ছে বা হয়েছে? এই ছবি বলে দেয় কী কেউই জনগনের জন্য রাজনীিত করে না। রাজনীিত করেন তাদের আয়ের জন্য। বন্ধু রা কী বলেন?
|
![]() |
একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে নিরপরাধী বা নির্দোষ দাবী করতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে আদালত অভিযুক্ত করে নি। ততক্ষণ সে তার পূর্ণ মর্যাদা নিয়েই সমাজে থাকবে। আমরা এসব কি দেখছি, বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গনে, বা আদালতের ভিতরে আইনজীবিদের জুতো নিক্ষেপ, মারামারি, ঢিল ছুঁড়তে গিয়ে ইষ্টক-প্রতিযোগিতা, এসব কিসের ইঙ্গিত? আদালতে-ও একটি পবিত্রতা বিরাজ করা চাই। যেখানে সকলেই সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়ে থাকে। আপাতঃদৃষ্টিতে একজন বা একাধিক জনকে যতই দোষী বলে মনে করা হোক, তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিক্ষোভ প্রদর্শন, আদালতের বাহিরে-ই হওয়া উচিত। এসব বিষয়াদি, আমাদের উঠতি ছেলেমেয়েদের-কে কোন্ পথে নিয়ে যাচ্ছে, একটু ভেবে দেখার বিষয়। আদালত কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানাই, যে সকল কালো-বোরকা পরিহিত কিছু অসভ্য বর্বর, আদালতের ভিতরে অশালীন আচরণ প্রদর্শনের ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে, তাদের-কে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে, তার যা ফলাফল তা ভোগ করতে দিয়ে, দেশবাসীকে নিশ্চিন্ত করা হোক।
.
বাচ্চাদের প্রাথমিক স্কুল পরীক্ষার-ও যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়, আর কি কি বাকী রইল?বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত টার্গেট করে, কেউ কেউ নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করেছে। এই চক্র-টি যে খুব দুর্বল তা নয়। এখানে দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক দুর্বলতা একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। জাতি এখনও কি নাক ডেকে ঘুমোবেন? তবে আর পরীক্ষা পদ্ধতি রাখার কি প্রয়োজন? এই কোমল-মতি ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে, কেন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে, সহপাঠীকে কুপিয়ে মারবে না, কেনই বা সুযোগ পেলে রাস্তায় এসে গাড়ি ভাঙ্গবে না বলুন? এরা যখন আদালতে যাবে, সে আদালত কি মানুষের থাকবে? সে তো একটি বর্বর-আদালতেই পর্যবসিত হবে। যারা আইন নিয়ে পড়াশোনা করে, এতটুকু জ্ঞান রাখে না, এ রকমের কালো বোরকা-ওয়ালা অসভ্যদের কি দরকার?
আজকের এই বিজ্ঞানের যুগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে জগতের নানান দেশের খবরাখবর আমরা জেনে থাকি। একটু ভাবুন তো, আমাদের দেশের এই যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, শিক্ষার পরিবেশ, আদালত প্রাঙ্গনে আইনিজীবিদের মারামারি - - - -এসকল ঘটনাবলী কি বাহিরের দেশের মানুষ জানছে না? আমরা কি এসব ঢেকে রাখতে পারব? তারপর বাহিরের পৃথিবীর নিকট থেকে কি রকমের মূল্যায়ন আশা করেন? যাদের স্কুলের শিশুদের -ও দুর্নীতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে প্রতিবছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, যেখানে সরকারের কোনো কোনো কর্মকর্তার আচরণ যা প্রকাশ্য-দুর্নীতির নামান্তর, এবং সকল সরকারের সময়েই এ রকমের ঘটোনা ঘটতেই থাকে। বাহিরের পৃথিবী যে আমাদের, তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে থাকে, তা শুধু আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নয়।
.
একটি দেশে দারিদ্র্য থাকতেই পারে। তার সাথে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কি সম্পর্ক? একটি দেশের আদালতের ভিতরে মারামারি করা, এবং তা শিক্ষিত এবং প্রথম শ্রেণীর নাগরিকরা যারা ওই সকল কর্মস্থলের পেশাজীবি তারাই করছে, এর সাথে দারিদ্র্যের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি? খাবারে ভেজাল, প্রশাসনে দুর্নীতি, রুগ্ন গণতন্ত্র এসব কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। রাষ্ট্রের ধর্ম আছে, সে সব পরিচিতি শুনলে, অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সভ্য মানুষের নিকট কিছুটা কাল্পনিক মনে হওয়ার-ই কথা। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার যে চরম অবনতি হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদেরকেই মাথা ঘামাতে হবে। যদি ভবিষ্যতে আমাদেরকে কোনো কারণে, বিশ্বের বিশেষ বিশেষ অধিবেশনে না ডাকা হয়, সেদিন কিন্তু শুধু কন্সপারেসী বলেই চিৎকার করবেন না। যা হচ্ছে, তা বিশেষ করে আজকের দিনে বিশ্বের নিকট গোপন কিছু নয়। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসে, বাংলাদেশের ইংরেজী পত্রিকার নাম, গগলে সার্চ করলেই তো লিংক পেয়ে যাবে। এখন দেশের ইংরেজী পত্রিকা পড়লেই, যে কোনো প্রান্ত থেকে জানতে পারবে, সামাজিক মাধ্যমে যা নিয়ে আলাপ হচ্ছে , তা সত্যি কি না।
.
আমরা-ই আমাদের বদনাম পৌঁছে দিচ্ছি অসতর্কতায়। আমরা যদি দিগম্বর হই, আর অপরে সে ভাবে আমাদের ডাকে, তাতে অপরের দোষ হতে পারে না। আমরা বস্ত্র পরিধান করে আছি কি না, সে দায় আমাদের। আমরা কতটা নীচে নেমেছি, সকলেই জানার চেষ্টা করছি না। শিক্ষা ও বিচার-ব্যবস্থায় যদি ত্রুটি দেখা দেয়, এবং তার মান নীচের দিকে যেতে থাকে, তবে সে জাতির আর বিশেষ কিছু অবশিষ্ট আছে বলে মনে করা যায় কি?
|
![]() |
হারামজাদা ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের জন্মই আজন্ম পাপ।
--------------------------- লিয়াকত আলী
.
ভোটে কথা মাথায় রেখে, চরম ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় লালন পালন তোষণের কৌশল নিয়ে শেখ হাসিনা বড় বেশী মারাত্মক ভুল করে যাছেন। এই ভুল, শোধরানো তার পক্ষে আর সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। পানি অনেক দুর গড়িয়ে গেছে।
.
স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু রাজাকার আলবদর আল-শামস এবং স্বাধীনতা বিরোধিদের ক্ষমা করে যে ভুল করে ছিলেন, স্বপরিবারে জীবন দিয়ে তার মাশুল তাঁহাকে দিতে হয়েছে। এমন মহানূবভতার জন্যও কিন্তু ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নেয়নি, বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন সহযোগিতা করেনি। অধিকন্ত বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর উল্লাসে ফেটে পড়েছিল, এখনও সেই উল্লাসের রেশ কাটেনি, তাহাদের ছেলে মেয়ে আত্মীয় স্বজনেরাও তাহা স্বগর্বে সেই উল্লাস পরম তৃপ্তির সাথে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
.
শেখ হাসিনা তোমার পক্ষেও তারা কখনও আসবেন না, তোমাকে তারা কখনো ভোট দেবে না, তোমার কোন ভাল কাজকেও তারা সমর্থন দেবে না, দিতে পারে না। তোমার ধ্বংসই তাহাদের কামনা, বাসনা স্বপ্ন সাধনা। তুমি কি করে ভাব! তারা তোমাকে ছাড় দেবে! তোমার সহযোগী হবে!
.
না, কখনও না, তারা কখনও তোমার বন্ধু হবে না, হতে পারে না। যতই তোষন পোষন, আদর আপ্যায়ন, দুধ কলা কদু মধু খাওয়াও না কেন ওদের, তেঁতুল হাফেজীদের যতই উপটোকন, সালাম পাঠাও না কেন, জামাতীদের সাথে তলে তলে যতই সখ্যতার গড়ার মহড়া দাও না কেন!
.
হারামজাম]দা কুত্তা মৌলবাদীরা, সত্য সভ্যতা মানবতা,শান্তি প্রগতি অগ্রগতির পক্ষে কখনও আসবে না, আসতে পারে না। ওদের জন্মই আজন্ম পাপ, পাপের মাঝেই ওদের আজন্ম বসবাস। তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ইং নিউ ইয়র্ক।
UnlikeUnlike · · Share
|
![]() |
দেশে হচ্ছে টা কি ! কী সব অসম্ভব রকমের কান্ড কারখানা হচ্ছে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে । সভ্যতাহীন একটি বর্বর সমাজে পরিনত হয়েছে গোটা দেশটা ! এ দেশ থেকে মানুষ গুলো সব কোথায় গেলো !! মুক্ত চিন্তার , মুক্ত বিবেকের মানুষ কি নেই !!! একজন মানুষের উপর কী সাংঘাতিক রকমের প্রতিহিংসা থাকলে এমনটি ঘটতে পারে ভেবে শিউরে উঠছি । ধর্ম ভাল কি মন্দ তা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। যতদুর জানি, ধর্ম পালনের খাতিরে একটি গরীব দেশের মধ্যবিত্ত জনগনের একটি বিশাল অঙ্কের অর্থব্যায়ে হজ্ব পালনের উনি ব্যেক্তিগত ভাবে বিরোধী সে কথাই বলেছিলেন ।
.
শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, বাক স্বাধীনতা যদি বাংলাদেশের প্রধান্মন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেত্রী চর্চা করতে পারেন তবে অন্যদের বেলায় তা থাকবে না কেনো ! আর ধর্মের ধ্বজাধারী ভন্ডরা তো মহা মুনাফেক। তারা সব কিছুকেই তাদের নিজেদের সুবিধা মত অর্থ করে নেয়, কিন্তু ধর্মের নামে উস্কানী দিয়ে হিন্দু মন্দিরে আগুন দিলে , বাড়ীঘর জ্বালাও পোড়াও, খুন , রাহাজানি করলে, আর হিন্দু নারী কে অবমাননা করলে তাদের সাথে সাথে দেশ বা রাষ্ট্রের কিছুই আসে যায় না । এসব ভয়ংকর কাজের কোন বিচার হয় না । আইন তখন তাদের ক্ষেত্রে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে ফেলে। অথচ লতিফ সিদ্দিকীর বাক স্বাধীনতা, কেড়ে নিয়ে তাঁকে অবমাননার একশেষ করা হচ্ছে। ধিক্কার জানাই এই অবিবেচনাকে।
.
শুনেছি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মহা অভিযোগ রয়েছে। তাতে তাঁর বিচার হওয়া খুবই জরুরী। দেশের আনাচে কানাচে বিরোধী দলে এবং ক্ষমতাশীন দলে উচু থেকে নীচু পর্যন্ত প্রতিটি দুর্নীতিবাজের বিচার ও কঠিন শাস্তি হতে হবে। জনগনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সমুচিত শাস্তিই হবে সভ্যতার সাক্ষর। সম্ভবত জনগনই ভালো জানে দেশের কোন কোন নেতা নেত্রী ও তাদের সন্তানদের দুর্নীতির পরিমাপ কতটা আকাশচুম্বী ।
.
বাংলাদেশের মত একটি সম্ভাবনাময় দেশ, দিনে দিনে সভ্যতার আলো থেকে সরে গিয়ে উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে প্রবেশ করছে একথা মেনে নেয়া যায় না । কিছুতেই না ।।
|
![]() |
সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক জিয়া এমন একদিনে জন্মগ্রহণ করেছেন যেদিন সারাবিশ্বে স্যানিটেশন দিবস হিসেবে পালিত হয়। সহজ বাংলায় বললে টয়লেট দিবসে তারেক জিয়া জন্মগ্রহণ করেছেন।
|
![]() |
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তি হতে হবে রাজাকারদের চেয়ে বেশি, কারণ রাজাকাররা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জালিয়াতি করতে পারেনি, মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করতে পারেনি, কিন্তু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গৌরবের মহান মুক্তিযদ্ধকে নিয়ে জালিয়াতি ও ব্যবসা শুরু করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে কলঙ্কিত ও হেয় করছে।
|
![]() |
ক্ষমতাসীন ছাত্র-সংগঠন মনে করে ক্যাম্পাস তাদের, কারন প্রশাসন তাদের।
।
ছাত্রলীগ নামধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া তা-বে দেশের শিক্ষাঙ্গন আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। টেন্ডারবাজি, হলের সিট দখল, আধিপত্য বিস্তার এবং ভর্তিবাণিজ্যকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘাত-সংঘর্ষের জের ধরে ইতোমধ্যে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি;), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় এক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ছে প্রাণহানিসহ হতাহতের সংখ্যাও।
.
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ বিদ্যাপীঠে চলমান সংঘাত যে কোনো মুহূর্তে ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ দেশের সরকারি কলেজগুলোর একটি বড় অংশ। স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই
সহ তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা একই আশঙ্কা প্রকাশ করে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এ ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে এই সংকট মোকাবেলার সুপারিশ রয়েছে।
.
গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করেছে, ছাত্রদলের বঞ্চিত ও বিদ্রোহী গ্রুপ কৌশলে ছাত্রলীগের সঙ্গে মিশে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি আরও বেশী উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের ফ্রন্টলাইনে রেখে ছাত্রলীগের বঞ্চিত ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে নিজেদের জায়গা করে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাস ক্যাডারওয়ার্ল্ডে চলছে বড় ধরনের সংঘর্ষের প্রস্তুতি।
.
একজন প্রবীণ রাজনীতিক বিশ্লেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম কলঙ্ক হলো ছাত্রলীগ। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এখন এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ছাত্রলীগ তাদের মূল আদর্শ থেকে সরে গেছে। তারা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত না করে বরং তা বিনষ্ট করেছে।
|
![]() |
কামারুজ্জামান এখন আওয়ামিলীগের ট্রাম কার্ড
।
বিজয় দিবসের পরেই কঠোর আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি। কারণ যত দেরি হবে ততই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে তাদের ধারণা। কিন্তু বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াত এখনই সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে নারাজ। তাদের দাবি তাদের কাছে তথ্য আছে, সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন শুরু হলেই ইস্যুটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ- কার্যকর করবে
.
বিএনপি আর দেরি করতে চায় না। বিএনপি আন্দোলনের জন্য প্রায় প্রস্তুত্। ঢাকা মহানগর কমিটি গঠনও প্রায় শেষ। এ ছাড়া দেশের মানুষের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলও চায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এখনই আন্দোলনে যাক বিএনপি। এর প্রমাণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখনো ৫ জানুয়ারি ওই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। আমেরিকা বলছে তারা তাদের আগের সিদ্ধান্তে অটল আছে। যুক্তরাজ্য বলেছে তারা বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে_ তারাও আগের অবস্থানে আছে।
.
জামায়াতের এক নেতা জানান, আগে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন হিসেবে চালিয়ে দিয়ে সরকার ব্যাপকভাবে সফল হয়েছিল। এবারো একই কৌশলে সরকার এগুবে। আর বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট আন্দোলন সফল করার মতো সাংগঠনিক অবস্থায় নেই এমন তথ্যও আছে তাদের কাছে। এজন্য এখন আন্দোলন করার পক্ষে নয় জামায়াত। যাতে শুধুই ক্ষতি হবে, লাভ কিছুই হবে না। তাই আন্দোলনের জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই আন্দোলনে যেতে হবে। আর এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাবে জামায়াত।
.
জামায়াতের এক নেতা জানান, উভয় সঙ্কটে পড়েছে জামায়াত। আর এর জন্য দায়ী বিএনপি। এর কারণ কেন তারা ৫ জানুয়ারির পরপরই আন্দোলন বন্ধ করে দিল। আবার কেনই বা তারা সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি না নিয়ে এখন একটা আন্দোলনের চেষ্টা করছে। অথচ জামায়াত নেতাদের এখন জীবন-মরণের প্রশ্ন।
.
হাসান মোল্লা
|
![]() |
ভেজাল মস্তিষ্কই বাংলাদেশের জন্য সর্বনাশ হয়ে দাঁড়াবে।
।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এটি জাতির জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি করতে ব্যর্থ হলে জাতির জীবনে ভবিষ্যতে অন্ধকার নেমে আসতে পারে। বিষাক্ত ও ভেজাল খাবার খেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জাতি গঠন করা যায় না। আর একটি জাতির মস্তিষ্ক সুষ্ঠু স্বাভাবিক না থাকলে হাজার উন্নয়নেও কোন লাভ হবে না। ভেজাল ও বিষযুক্ত খাদ্যের প্রভাব হতে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে অতি বিত্তবান কেউ রেহাই পাচ্ছে না। ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্যের প্রভাবে দেশে এক ধরনের নীরব হত্যা ও অসুস্থতার মহামারী চলছে। অথচ এদিকে নজর দেয়ার সময়ই নেই সরকারের।
.
খাদ্যের বিষক্রিয়ায় কোন পর্যায়ে গিয়ে মিশেছে তা সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (এফএও) এবং খাদ্যনিরাপত্তা গবেষণাগারে এ বছরের এপ্রিল মাসের যৌথ পরীক্ষায় রাজধানীর ৮২টি দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ, ফল ও শাক সবজির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাতে নিষিদ্ধ ডিডিটি, এনড্রিন, হেপটাক্লোর এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। খাদ্যে এসব উপাদানের মাত্রা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাত্রার চেয়ে ২০ গুণ বেশি। এছাড়া এ গবেষণায় ৩৫ শতাংশ ফল ও ৫০ শতাংশ শাক সবজিতে বিষাক্ত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক পাওয়া গেছে। চালের ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫টিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। মুরগি ও মাছে পাওয়া গেছে মানুষের জন্য ক্ষতিকর এ্যান্টিবায়োটিক। আম ও মাছের ৬৬টি নমুনায় পওয়া গেছে ফরমালিন। লবণে পাওয়া গেছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে ২০-৫০ গুণ সীসা।
.
পাবলিক হেলথের গবেষণায় পরীক্ষা করা খাদ্য নমুনার মধ্যে ছিল, সরিষার তেল, সয়াবিন, পামওয়েল, দুধ, গুঁড়া দুধ, জুস, ফ্রুট সিরাপ, মধু, মিষ্টি, ক্যান্ডি, বিস্কুট চকোলেট, কেক, দই আচার, শুঁটকি মাছসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য। এর মধ্যে ঘি, জুস মধু ক্যান্ডি ও সয়াবিল তেলের ৮০-৯৯ ভাগ ভেজালের নমুনা পাওয়া গেছে। জাতীয় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচ) অধীনে পরিচালিত ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশের মানুষ প্রতিদিন যে মাছ, মাংস, দুধ, ফলমুল, চাল, ডাল, তেল মসলা ও লবণ খাচ্ছে তার শতকরা ৪০-৫৪ ভাগ পর্যন্ত ভেজাল রয়েছে। এসব খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক যেমন এনড্রিন, ডিডিটি, হেপ্টাক্লোর মেথোক্সিক্লোর, ইথিয়ন (এক ধরনের ভারী সিসা জাতীয় পদার্থ) ও আর্সেনিকের অস্তিত্ব রয়েছে।
|
![]() |
.
A true partner can make you smile even in the hardest situation of your life!
Tayeb Mia was making joke to amuse his sick wife.
|
![]() |
পেটব্যথা বা পেটফাঁপা হলে
.
হঠাৎ করে অনেকেরই পেটব্যথা করে বা পেট ফেঁপে ওঠে। হাতের কাছে হয়তো এন্টাসিড জাতীয় কোনো ওষুধও থাকে না। তখন এক কাপ গরম পানির মধ্যে এক চা চামচ জিরার গুঁড়ো ছেড়ে দিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চামচ দিয়ে নেড়ে জিরার গুঁড়োসহ সবটুকু পানি পান করতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটফাঁপা চলে যাবে ও পেটব্যথা সেরে যাবে। জিরার গুঁড়া না থাকলে আস্ত জিরাও ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে জিরার পরিমাণ হতে হবে এক টেবিল চামচ ও পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তারপর শুধু পানিটুকু পান করে নিলেই চলবে। ইন্টারনেট।
|
![]() |
.
Happy birthday to Wilfrid Laurier, Canada’s seventh Prime Minister and the Liberal Party of Canada’s Leader for 32 years.
|
![]() |
এই বিধি! তুমিই বল, উনারা কী সত্য সততা সভ্যতার প্রতিনিধি?
--------- লিয়াকত আলী, প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
.
ভোটে অংশ গ্রহন, ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই দ্বায়িত্ব থেকে সরে থাকা, দুরে থাকা, এই দ্বায়িত্ব পালন না করা নৈতিক অপরাধ। গনতান্ত্রিক দেশে গুলোতে নৈতিক অপরাধের জন্য সরকার, মন্ত্রনালয়, আলাদাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগের লক্ষ লক্ষ অনুপম নিদর্শন আছে।
.
গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে ভোট দিতে নির্বাচন কেন্দ্রে যাননি, ভোট দেননি ----
.
১ মহামন্য রাষ্ট্রপতি, ২
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩
প্রধান বিচারপতি ৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ৫
হাইকোর্টের কোন বিচারপতি, ৬
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী পুলিশবাহিনীর কোন প্রধান।
.
নৈতিকতার অবক্ষয়ের প্রতীক, উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ কী ভাবে স্বাচ্ছন্দে নিজ নিজ পদে এখনো বহাল আছেন। জনগন বিবর্জিত এই ভোট দ্বারা গঠিত সরকারের আছেন এবং সকল সুযোগ সুবিধা উৎসাহের সাথে উপভোগ করছেন?
.
মনে বড় প্রশ্ন জাগে! এই বিধি, তুমিই বল উনারা কি সত্য সততা সভ্যতার প্রতিনিধি?
.
তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০১৪ইং। নিউ ইয়র্ক।
|
![]() |
Mohammed Ali
সব সময় দেখি পুলিশের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ থেকে কেউ ঘুষ নিয়েছে এই রকম কোন খবর আছে? যারা পুলিশ থেকে ঘুষ নেন এরাই হলো আসল ঘুষ খোর ।
Khondaker Alam
যারা পুলিশ থেকে ঘুষ নেন এরা হলো হেদের বড় বস। বড় বসের বড় বস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বস প্রধানমন্ত্রী। হিসাব জটিল হয়ে গেলো।
|
![]() |
.
Homes are covered in snow in West Seneca, N.Y.,Wednesday, Nov. 19, 2014.
|
![]() |
সিদ্ধার্থের ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার জন্যে অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বুকের ভেতর কেমন দলা পাকানো কষ্ট নিয়ে জেগে উঠলাম এখন এই মাঝ্রাতে। দলা পাকানো কষ্টটা কাল থেকে গুমরে কাঁদছে ! কাল এবং আজ সারা দিন ফেসবুকে নচিকেতার ছবিটি দেখে হৃদয়ের দুকুল ভেসে যাচ্ছে। ও যেন কেমন সব হারানো মানুষের মত করুন ভঙ্গীতে মাটিতে বসে হাত দিয়ে মাটি স্পর্স করে আছে । হয়তো ওর বাবা মা , ঠাকুরদা ঠাকুরমা সারা জীবন হাহাকার করে গেছেন দেশের মাটির জন্যে!
.
কাল থেকে,- কত আগে পড়া 'ট্রেন টু লাহোর ' বা ট্রেন টু দিল্লী 'র কথা মনে হচ্ছে, আর ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চোখের পাতায় ! পরোতে্ পরোতে যার কষ্ট । একদিন ওরা ছিল এইখানে এইদেশে এইমাটি এইভিটেতেই ! নোঙ্গর তুলে মাটি থেকে শেকড় উপড়ে যে মানুষ দেশান্তরী হয় তার সকরুন গাঁথা গেয়ে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ! আজ সেই বেদনার গাঁথা নচিকেতার অশ্রু হয়ে বয়ে গেল ।
.
এমনি স্বদেশ ছেড়ে দেশে দেশে কালে কালে মানুষ দেশান্তরী হয়েছে পিছনে ফেলে গ্যাছে , ভিটে মাটি , বাড়ী ঘর , দোর দালান । পিছনে ফেলে গেছে প্রিয় শহর, কৃসেন্ট লেকের জল , মানিক মিয়া এভিনিউ , বাংলাদেশ টেলিভিশান। ফেলে গেছে রমনার বটমূল, ফেলে গেছে মোতিহার,আদিগন্ত সবুজের সমাহার। ফেলে গেছে মা, ভাই , বোন , খেলার সাথী, প্রথম প্রেমের স্মৃতি, শুকনো ফুলের পাপড়ি ছড়ানো কবিতার বই। ফেলে গেছে একটি গোটা শৈশব , যৌবনের ঊর্মিমালা, আনন্দ ও বেদনার রোদন ।
.
নদী ভাঙ্গনের তবু অপর পারের জেগে ওঠা চর আছে দেশান্তরী অসহায় মানুষের জন্যে কেবল অগম যাত্রা ।।
|
![]() |
হিজাব
.
আমি যবে থেকে হিজাব ব্যবহার করা শুরু করেছি তবে থেকে নানান বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।প্রশ্নটি হচ্ছে আমি একজন হিন্দু মেয়ে হয়ে কেনো হিজাব ব্যবহার করি।উত্তরে যখন বলেছি শুধুমাত্র পরদাশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি হিজাব পড়ি তখনো আরেক বিভ্রান্তিকর মন্তব্য,এখনকার মেয়েরা স্টাইল করার জন্য হিজাব পড়ে।আর হিন্দু মেয়েদের হিজাব পড়া ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেওয়ার মত কাজ।ঘর এবং বাহির দুই জায়গায় বিশাল আলোচনা সমালোচনা উপেক্ষা করেও আমি কলেজ জীবনে টানা দুবছর হিজাব পড়তাম।এটা ১০ সালের ঘটনা।যখনো হিজাব এক্টা ফ্যাশনে পরিণত হয়নি।
.
এখনো আমি হিজাব পড়ি।কিন্তু সেই সমালোচনাকারীদের মুখ কিন্তু বন্ধ করতে পারিনি।কাজেই কোন আত্মীয় বা হিন্দু ছাত্রীর বাসায় ঢুকতে হলে সিড়ি থেকেই আমি হিজাব খুলে তারপর তাদের ঘরে ঢুকি।
.
যাই হোক।একটা ঘটনা শেয়ার করব।কলেজে নিঝুম নামে আমার একটা সুন্দরী বান্ধবী ছিল।সে হিন্দু ধর্মমতে বৈষ্ণব শ্রেণীভুক্ত।প্রথম দিকে সবসময় তার গলায় তুলসীর মালা দেখতাম।সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পরপরই দেখেছি সে বোরকা পরে,নেকাব লাগিয়ে কলেজে আসতো।প্রথমে ভেবেছি ধর্মান্তরিত হয়েছে।তবে পরে বোরকা খুললেও গলায় তুলসীর মালা দেখে বুঝতে পারলাম, না সমস্যা অন্য কোথাও।
.
পরবরতীতে জেনেছি এক বখাটে ছেলের উপদ্রবে সে যখন কলেজে আসা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছিল।তখন তার মা বাবা তাকে বোরখা পরার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বুঝতে পারলাম,ঠেলায় পড়লে ঘুঘু ও তার ফাদ দেখায়।সমস্ত ধর্মানুভুতির গায়ে জল ঢেলে হিন্দু মেয়েটির মা বাবা বোরখা পড়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে,যখন কিনা আমাদের সমাজে হিন্দু মেয়েদের মাথায় স্কার্ফ অর্থাৎ হিজাব পড়াটাও সমালোচনার বিষয়।
.
যাই হোক উল্লেখিত বাক্যগুলাতে হিন্দু হিন্দু উচ্চারণ করতে বড় বিরক্ত লাগছিলো।মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করা আমার কাছে মানবতাবিরোধী কাজ মনে হয়।
.
বলতে বাধ্য হলাম কারন এই হিপোক্রেট সমাজব্যবস্থায় একটি মেয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় চলাফেরা করলেও যতটা সমালোচনা না হয় তার চেয়ে দ্বিগুন সমালোচনা হয় একটা হিন্দু মেয়ে হিজাব পড়লে।এক্টা মেয়ের শালীনতাবোধ কে সমাজের মানুষ রা সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মানুভূতি দ্বারা বিচার করে জেনে খুব খারাপ লাগে।
.
শেষমেশ এটাই বলব,একটা হিন্দু মেয়ে যখন তার মাসতুতো,পিসতুতো ভাইয়ের হাতে ধর্ষিতা হয় তখন কই থাকে এই সমালোচকদের ধর্মানুভুতি?যখন ওই মহিলা সাধু সন্নাসীনিরা শরীরের অর্ধেক কাপড় চোপড় খুইলা সং সাইজা ধর্ম বিক্রি করে তখন কই থাকে আপনাদের ধর্মানুভুতি?যখন হিন্দু কোন মেয়ে পতিতালয়ে শরীর বিক্রি কইরা পংগু স্বামীর চিকিৎসা খরচ চালায় তখন কই থাকে আপ্নাদের ধর্মানুভুতি?
.
শুধুমাত্র হিজাবের বেলায় কোথ থেকে আসে ধরম্প্রীতি?
ধর্মের নামে এসব ভন্ডামি বন্ধ করেন।ধর্মান্ধ যদি হইতে হয় অনুভুতি আর বিশ্বাস দিয়া হন,কুসংস্কার দিয়া না।ধর্মের চোখেও মানবতা বড়
ধর্ম ।
|
![]() |
.
বাড়ী বানাও - চাঁদা দাও - এই শিল্প (সন্ত্রাসী- পুলিশ) বন্ধ হবে কবে?
।
নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ। চারতলার কাজ শেষে শ্রমিকরা কাজ করছেন পাঁচতলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য। ঠিক তখনই ৮-১০ জনের সশস্ত্র একদল চাঁদাবাজ নির্মাণাধীন ওই ভবনে ঢুকে পড়ে। ভবন মালিকের খোঁজ করে তারা। না পেয়ে তারা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শ্রমিকদের। দু-একজন শ্রমিক তবুও কাজ করতে থাকলে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা তাদের বেদম পিটুনি দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তারা। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন শ্রমিকদের কাছে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে বলে, ‘আমার নাম বেলাল। ‘বেলাল’-কে চাঁদা না দিলে বাড়ির কাজ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করতে হবে। নইলে প্রাণও যাবে, সঙ্গে বাড়িটাও।’ রাজধানীর জনবহুল আবাসিক এলাকা মিরপুরের শেওড়াপাড়ার ঘটনা এটি।
।
মিরপুর থানা পুলিশকে চাঁদাবাজদের হুমকির কথা জানানো হয়েছে। তাতে কাজ হয়নি। বরং চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া। প্রায় প্রতিদিনই ওই ভবনকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে তারা। খোঁজ করছে মালিকদের। প্রাণভয়ে মালিক পক্ষের কেউ আর সেখানে ঘেঁষতেই পারছেন না। সর্বশেষ গত সোমবার সন্ধ্যায় ‘বেলাল বাহিনী’র সদস্য সালাম, পল্টু, বাবুসহ অন্য সন্ত্রাসীরা ওই ভবনে গিয়ে তাগাদা দিয়েছে। শুধু এই সাততলা ভবনটিই নয়, শেওড়াপাড়া ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় সশস্ত্র চাঁদাবাজদের এমন হুমকি-ধমকিতে বেশ কয়েকটি চারতলা, পাঁচতলা ও ছয়তলা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
।
শেওড়াপাড়া থেকে শুরু করে আশপাশের মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করছে বেলাল। পুলিশের সঙ্গে সখ্য করেই বেলাল একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন তাকে প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখলেও পুলিশ বলছে, আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। শেওড়াপাড়ার শাপলা সরণির ৪৪, ১/এফ-১ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন সাততলা ভবনটিতে এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না।
If you are the site owner, please renew your premium subscription or contact support.